১৯৫৮ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফিল মার্শাল আইয়ুব খান পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং- ১৮ বলে ১৮৭০ সালের গ্রাম চৌকিদার আইন (১৮৭০ সালের ৬ নং আইন) ১৮৮৫ সালের বন্দীয় স্থানীয় স্বায়ত্বশাসন আইন (১৮৮৫ সালের ৩ নং আইন) রহিত করে মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ ১৯৫৯ জারী করেন। উক্ত ব্যবস্থার অধীনে ৫৯ নং বন্দুকভাঙ্গা মৌজা, ১১৩ নং তৈমেদুং মৌজা, ১১২ নং দুলুছড়ি মৌজা, ১১১ নং কুতুকছড়ি মৌজা নিয়ে ৫ নং তৈমেদুং ইউনিয়ন কাউন্সিল গঠন করা হয়। এর সদস্য সংখ্যা ছিল ৯ জন। তৎমধ্যে ৬ জন নির্বাচিত ও ৩ জন মনোনীত। এর মেয়াদ কাল ছিল ৫ বৎসর। নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে তাদের মধ্যে থেকে ১ জন চেয়ারম্যান ও ১ জন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতেন। নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে, প্রাদেশিক পরিষদ ও জাতীয় পরিষদের সদস্য, এমনকি দেশের রাষ্ট্রপতিও নির্বাচিত হতেন। ১৯৬২ সালে মনোনয়ন প্রথা বাতিল করা হয়। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ছাড়াও ইউনিয়ন কাউন্সিলকে ৩৭ টি কার্য্যাবলী সম্পাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত একটি দূর্গম ও জনবহুল ইউনিয়ন। ইহা ৫৯ নং বন্দুকভাঙ্গা মৌজা নিয়ে গঠিত। মৌজা প্রধান (হেডম্যান) হিসাবে চাকমা সার্কেল চীফ বাবু দেবাশীষ রায় বাহাদুর দায়িত্বেরত আছেন। রাঙ্গামাটি সদর থেকে যোগাযোগ ও যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌ-পথ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস