Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভূমি বিষয়ক তথ্য

রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ন আইন, ১৯৫০
(১৯৫১ সালের ২৮নং আইন)

[১৬ই মে, ১৯৫১]
প্রথম খণ্ড
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক


ধারা-(সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও বিস্তৃতি)
উপধারা-(১)এই আইন ১৯৫০ সালের পূর্ববঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন নামে অভিহিত হইবে।
উপধারা-(২)এই আইন সমগ্র বাংলাদেশে কার্যকর হইবে।

ধারা-( সংজ্ঞাসমূহ)
এই আইনের বিষয়বস্তু বা প্রসঙ্গে বিপরীত কোনোকিছু না থাকলে-
উপধারা-(১)'সেস'শব্দটি ১৮৭৯ সালের আসাম স্থানীয় হার রেগুলেশন মোতাবেক ধার্যকৃত স্থানীয় হারসমূহকে অন্তর্ভূক্ত হইবে।
উপধারা-(২)'দাতব্য উদ্দেশ্য'শব্দটি গরীবদের ত্রাণ, শিক্ষা, চিকিত্‍সা ও সাধারণ জনহিতকর অন্যান্য কার্যকে অন্তর্ভুক্ত করে;
উপধারা-(৩)'কালেক্টর'অর্থ একটি জেলার কালেক্টর এবং একজন ডেপুটি কমিশনার ও সরকার কতৃর্ক এই আইনের অধীনে কালেক্টরের সমস্ত বা যে কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত হতে পারে এরূপ অন্যান্য কর্মকর্তা এর অন্তর্ভুক্ত হবে;
উপধারা-(৪)'কমিশনার'বলতে ৪৮ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক নিযুক্ত রাষ্ট্রীয় ক্রয় কমিশনারকে বুঝায়;
উপধারা-(৫)'কোম্পানী'বলতে ১৯১৩ সালের কোম্পানী আইনের অনুরূপ অর্থ বুঝাবে;
উপধারা-(৬)'সম্পুর্ণখাই খালাসী রেহেন'বলতে ঋণ হিসেবে গৃহীত অর্থ বা শস্য প্রদান করার নিশ্চয়তাস্বরূপ কোনো প্রজা কর্তৃক কোনো ভূমির দখলাধিকার এই শর্তে হস্তান্তর করাকে বুঝায় যে রেহেনের মেয়াদকাল ঐ ভূমি হতে প্রাপ্ত মুনাফার দ্বারা সকল সুদসহ ঋণ শোধ বলে ধরে নেয়া হবে;
উপধারা-(৭)জোতসমুহের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত 'একত্রীকরণ'শব্দটি দ্বারা বিভিন্ন জোতে অবস্থিত সকল অথবা যে কোনো পৃথক পৃথক দাগের ভূমি একত্রে সন্নিবেশ করার নিমিত্ত পুনঃবন্টন কার্যক্রমকে বুঝায়;
উপধারা-(৮)'সমবায় সমিতি'বলিতে ১৯১২ সালের সমবায় সমিতি আইন বা ১৯৪০ সালের বঙ্গীয় সমবায় সমিতি আইন মোতাবেক রেজিস্ট্রিকৃত বা রেজিস্ট্রিকত বলে গণ্য একটি সমিতিকে বুঝায়;
উপধারা-(৯)'রায়তী কৃষক'বা অধীনস্থ রায়তী কৃষক' বলিতে এমন রায়ত বা অধীনস্থ রায়তকে বুঝায় যে নিজ বা পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা বা চাকরদের দ্বারা বা বর্গাদারদের দ্বারা বা ভাড়াটে শ্রমিকদের দ্বারা বা সহ-অংশীদারদের দ্বারা চাষের নিমিত্ত ভূমি অধিকারে রাখে;
উপধারা-()-'পরিত্যাক্ত চা বাগান'অর্থ একক ব্যবস্থাপনার অধীনে রাখা ভূমির যে কোনো খণ্ড বা খণ্ডের সমষ্টি যা চা-এর চাষ বা চা উত্‍পাদনের নিমিত্ত দখল, বন্দোবস্ত অথবা ইজারা দেওয়া হইয়াছিল বা যার মধ্যে চা গাছের ঝোপ ছিল বা আছে এবং যা সরকার কতৃর্ক প্রদত্ত নোটিশের মাধ্যমে পরিত্যক্ত চা বাগান হিসেবে ঘোষিত হয়েছে এবং উক্ত ভূমির উপর নির্মিত দালান কোঠাও এর অন্তর্ভুক্ত হইবে।

শর্ত থাকে যে, কোনো ভূমির একটি খণ্ড বা খণ্ডগুলিকে পরিত্যক্ত বা চা বাগান হিসেবে ঘোষণা প্রদানকালে সরকার বিবেচনা করিতে পারেন-
(i)পূর্ববর্তী পাঁচ বছরে ঐরূপ ভূমির কমপক্ষে ১৫ শতাংশ পরিমাণ এলাকায় চা-এর আবাদ করা হয়েছে;(ii) পূর্ববর্তী সাত বছরের অধিককাল এবং যে এলাকায় চা-এর আবাদ করা হয়েছে বিগত ৩ বছরে তার একর প্রতি উত্‍পাদন সেই সময় বাংলাদেশে চা আবাদকারী সমস্ত এলাকার একর প্রতি গড় উত্‍পাদনের শতকরা ২৫ ভাগের কম কি না সে বিষয়ে চা বোর্ডের মতামত;

উপধারা-(-) ভূমিরেকর্ড ও জরিপ পরিচালক' শব্দসমুহ ভূমি রেকর্ড এবংজরিপের অতিরিক্ত পরিচালককে অন্তর্ভুক্ত করে।

উপধারা-(১০)'দায়দায়িত্ব' শব্দটি কোনো জমিদারী, রায়তীস্বত্ব, হোল্ডিং, প্রজাস্বত্ব বা ভূমিসম্পর্কে ব্যবহৃত হয় যার দ্বারা উক্ত জমিদারী, রায়তীস্বত্ব,হোল্ডিং, প্রজাস্বত্ববা ভূমির উপরে দখলদার কতৃর্ক সৃষ্ট কোনো রেহেন, দায়, পূর্ব দায়, অধীনস্থপ্রজাস্বত্ব, ইজমেন্ট বা অপরাপর অধিকার বা স্বার্থ কিংবা ঐগুলিতে নিহিত তার নিজস্বস্বার্থের উপর সীমাবদ্ধতা অারোপ করে তাকে বুঝায়।

উপধারা-(১১)'এস্টেট'অর্থ অাপাতত বলবত্‍ অাইন অনুসারে একটিজেলার কালেক্টর কতৃর্ক প্রস্তুতকৃত ও রক্ষিত রাজস্ব প্রদানকারী জমি ওরাজস্বমুক্ত জমির সাধারণ রেজিস্টারগুলির কোনো একটিতে অন্তর্ভুক্ত জমি এবং সরকারীসরকারী খাস মহল সমুহ ও রাজস্বমুক্ত জমি যাহা রেজিস্টার অন্তর্ভুক্ত হয় নাই এবংসিরেট জেলার নিম্নলিখিত জমিও ইহার অন্তর্ভুক্ত -

(i)যে জমির জন্য অনতিবিলম্বে বা ভবিষ্যতে ভূমি রাজস্ব প্রদান করিতে হইবে যাহার জন্যএকটি পৃথক চুক্তি সম্পাদন করা হইয়াছে;

(ii)যে জমির জন্য ভূমি রাজস্ব হিসাবে পৃথক একটি অংশ প্রদান করিতে হইবে কিংবা নিম্নরুপকরা হইয়াছে অথচ সেই অর্থের জন্য সরকারের সহিত কোনো চুক্তি সম্পাদিত হয় নাই;

(iii) এরূপ ভূমি যেগুলি সামাজিকভাবে ডেপুটি কমিশনারের রাজস্বমুক্ত এস্টেটের রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি;(iv)এরূপ ভূমি যেগুলি সম্পূর্ণরূপে সরকারী সম্পত্তি হিসেবে ১৮৮৬ সালের আসাম ভূমি ও রাজস্ব রেগুলেশনের ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক প্রস্তুতকৃত রাজস্বভূক্ত বা রাজস্বমুক্ত এস্টেটের সাধারণ রেজিস্টারে পৃথকভাবে অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে;
উপধারা-(১২)'হাট' বা 'বাজার'অর্থ সেই স্থান যে স্থানে লোকেরা সপ্তাহের প্রতিদিন বা বিশেষ দিনে প্রধানতঃ কৃষিপণ্য বা সবজি, গবাদিপশু, পশুর চামড়া, হাস-মুরগী, মাছ-মাংস,ডিম, দুধ, দুগ্ধজাত সামগ্রী বা অন্যান্য খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য বা দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় অন্যান্য দ্রব্য বেচাকেনার জন্য সমবেত হয়; ঐ স্থানে অবস্থিত ঐ সকল জিনিসের দোকানপাটও এর অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(১৩)'হোল্ডিং বা জোত'অর্থ ভূমির একটি খণ্ড অথবা খণ্ডসমূহ বা তার একটি অবিভক্ত অংশ যা কোনো রায়ত বা অধীনস্থ রায়ত কর্তৃক অধিকৃত এবং যা কোনো পৃথক প্রজাস্বত্বের বিষয়বস্তু;
উপধারা-(১৪)'বসতবাটি'বলিতে বাসগৃহ ও তার আওতাভূক্ত ভূমি সেই সঙ্গে এ ধরনের বাসগৃহ সংলগ্ন বা সংশ্লিষ্ট কোনো আঙ্গিনা, বাগান, পুকুর,প্রার্থনার জায়গা, ব্যক্তিগত গোরস্থান বা শ্নশানঘাটকে বুঝায় এবং তা অন্তর্ভুক্ত করে বাসগৃহের সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে বা কৃষি বা সবজি চাষের সঙ্গে সংযুক্ত বহির্বাটিকে বা সুনির্দিষ্ট সীমানার মধ্যকার ভূমিকে তা পতিত হোক বা না হোক;
উপধারা-(১৫)কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট 'খাস ভূমি' বা 'খাস দখলীয় ভূমি'বলিতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যতীত ইজারাভূক্ত ভূমি, ঐ ভূমিতে দণ্ডায়মান ভবন ও প্রয়োজনীয় সংলগ্ন স্থানও এর অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(১৬) 'ভূমি'বলিতে সেই রকমের ভূমিকে বুঝায় যেগুলি আবাদ করা হয় বা চাষাবাদ না করে ফেলিয়া রাখা হয় বা বছরের যে কোনো সময় জলে ভরা থাকে; এই ভূমি হইতে উদ্ভুত সুবিধা, ঘর-বাড়ি, দালানকোঠা এবং মাটির সাথে সংযুক্ত যে কোনো বস্তুর সঙ্গে স্থায়ীভাবে সংযুক্ত যে কোনো বস্তুও এর অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(১৬-ক)সাময়িকভাবে বলবত্‍ যে কোনো আইনে বা কোনো চুক্তিতে বা কোনো আদালতের রায় বা ডিক্রি আদেশে যাই থাকুক না কেন (১৬) উপধারায় বর্ণিত ভূমির সংজ্ঞার মধ্যে সকল রকমের উন্মুক্ত বা বদ্ধ মত্‍স্য খামার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(১৭)'অকৃষি প্রজা'অর্থ একজন প্রজা যে কৃষি চাষ বা ফলচাষের সাথে সম্পর্কিত নয় এরূপ ভূমির অধিকারী থাকে; তবে যে ব্যক্তি চিরস্থায়ী ইজারা ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার ইজারাসূত্রে ভূমি ও তার উপর নির্মিত দালান ও প্রয়োজনীয় সংলগ্ন জায়গা অধিকারে রাখে সে তার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
উপধারা-(১৮)'নোটিফিকেশন' অর্থ সরকারী গেজেটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি,
উপধারা-(১৮-ক)'ফলবাগান'বলিতে মানুষের প্রচেষ্টায় সৃষ্ট ফল গাছের বাগানকে বুঝায়, নারিকেল, সুপারি ও আনারসের এর অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(১৯)'নির্ধারিত'অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি দ্বারা কোনো কিছু নির্দিষ্ট করে দেয়া;
উপধারা-(২০) 'স্বত্বাধিকারী'বলতে এমন কোনো ব্যক্তিকে বুঝায় যে অছি-এর মাধ্যমে বা তার নিজের কল্যাণে কোনো এস্টেট বা তার অংশ বিশেশের মালিকানার অধিকারী থাকে;
উপধারা-(২১)'রেজিস্ট্রিকৃত' অর্থ কোনো দলিল রেজিস্ট্রিকরণের জন্য সাময়িকভাবে বলবত্‍ আইনের অধীনে রেজিস্ট্রিকৃত;
উপধারা-(২২)'খাজনা'বলিতে প্রজা কতৃর্ক ভূমি ব্যবহার বা দখলে রাখার নিমিত্ত আইনানুগভাবে ভূ-স্বামীকে পরিশোধযোগ্য বা অর্পণযোগ্য কোনো নগদ অর্থ বা দ্রব্যসামগ্রীকে বুঝায়;
উপধারা-(২৩) 'খাজনা গ্রহীতা'অর্থ একজন স্বত্বাধিকারী বা রায়তিস্বত্বের অধিকারী ও সেই সঙ্গে একজন রায়ত,একজন অধীনস্থ রায়ত বা একজন অকৃষি প্রজা যাহার ভূমি ইজারা প্রদান করা হয়েছে ও তত্‍সহ সেবা কার্য প্রদান করার বিনিময়ে কোনো ব্যক্তিকে নিষ্কর ভূমি প্রদানকারী উপরস্থ মালিক এর অন্তর্ভুক্ত; কিন্তু চিরস্থায়ী ব্যতীত অন্য প্রকারে যে ব্যক্তি তার এরূপ অকৃষি ভূমি ও এর উপরের কোনো দালান ও তত্‍সংলগ্ন প্রয়োজনীয় জায়গা স্থায়ীভাবে ইজারা প্রদান করিয়াছে সে এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নহে;
উপধারা-(২৪)'রাজস্ব অফিসার'বলিতে এই আইন মোতাবেক বা এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি অনুসারে একজন রাজস্ব কর্মকর্তার সকল কার্য বা যে কোনো কার্য সম্পাদন করিবার উদ্দেশ্যে সরকার কতৃর্ক নিযুক্ত কোনো অফিসার রাজস্ব অফিসার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হইবে;
উপধারা-(২৫)'স্বাক্ষরিত'বলিতে অন্তর্ভুক্ত যে ক্ষেত্রে স্বীয় নাম লিখিতে অক্ষম কোনো ব্যক্তি চিহ্নটি প্রদান করে; উক্ত ব্যক্তির নামও স্বাক্ষরিত সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত;
উপধারা-(২৬) উত্তরাধিকার'বলিতে উইল ছাড়া বা উইলের মাধ্যমে প্রদত্ত উভয়বিধ উত্তরাধিকার অন্তর্ভুক্ত হয়;
উপধারা-(২৭)'প্রজা'বলিতে এমন ব্যক্তিকে বুঝায় যে অপরের ভূমি দখল করিয়া আছে ও বিশেষ চুক্তির অবর্তমানে উক্ত ভূমির জন্য উক্ত ব্যক্তিকে খাজনা দিতে বাধ্য থাকেঃ
শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি যদি সাধারণভাবে প্রচলিত আধিবাবর্গা চাষী বা ভোগ ব্যবস্থাধীনে অপরের ভূমি এই শর্তে চাষাবাদ করে যে উক্ত ব্যক্তিকে সে উত্‍পন্ন ফসলের একটি অংশ প্রদান করিবে তবে সে প্রজা নহে,কিন্তু উক্ত ব্যক্তি প্রজা হিসেবে গণ্য হইবে;
উক্ত ব্যক্তিকে যদি তার ভূ-স্বামী কতৃর্ক সম্পাদিত বা তার অনুকূলে সম্পাদিত ও ভূমির মালিক কর্তৃক গৃহীত কোনো দলিলের মাধ্যমে একজন প্রজা হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়; দেওয়ানী আদালত কর্তৃক উক্ত ব্যক্তিকে যদি প্রজা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে কিংবা হয়;
উপধারা-(২৮)'মধ্যস্বত্ব'অর্থ মধ্যস্বত্বের অধিকারী বা অধীনস্থ মধ্যস্বত্বের অধিকারীর স্বার্থ;
উপধারা-(২৯)'গ্রাম'বলিতে সরকার কর্তৃক বা সরকারের কতৃর্ত্বাধীনে পরিচালিত জরীপে সুনির্দিষ্ট এবং পৃথক গ্রাম হিসেবে সীমানা চিহ্নিত ও জরিপকৃত এবং রেকর্ডভূক্ত এলাকাতে বুঝায় এবং যেখানে এ ধরনের কোনো জরিপ করা হয়নি সেখানে কালেক্টর রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদনক্রমে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ জারির মাধ্যমে ঐ এলাকাতে গ্রাম ঘোষণা করতে পারেন;
উপধারা-(৩০)বত্‍সর বা কৃষি বত্‍সর বলিতে পহেলা বৈশাখে শুরু বাংলা সনকে বুঝাইবে;
উপধারা-(৩১)যে সমস্ত শব্দ বা বর্ণনা এই আইনের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ খণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে কিন্তু এই আইনে যেগুলির ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি এবং বঙ্গীয় প্রজস্বত্ব আইন, ১৮৮৫ বা সিলেট প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৩৬ এ ব্যবহৃত হয়েছে ঐ সমস্ত শব্দ ও বর্ণনার অর্থ যে ভাবে ঐ আইনসমূহে দেয়া হয়েছে সেগুলি ঐ আইন যে এলাকায় প্রযোজ্য সেই এলাকা সমূহে একই অর্থ বুঝাইবে।
ধারা-২ক(অব্যাহতি)

সরকার জনস্বার্থে কোনো জমিতে বা বিভিন্ন শ্রেণীর জমিতে নিহিত স্থানীয় কতৃর্পক্ষের স্বার্থকে এই আইন অনুসারে অর্জন করা হইতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা অব্যাহতি দিতে পারিবেন।

দ্বিতীয় খন্ড
দ্বিতীয় অধ্যায়
কতিপয়খাজনা গ্রহীতার স্বার্থে অধিগ্রহণের নিমিত্ত বিশেষ বিধানাবলী

 

ধারা- (কতিপয়খাজনা গ্রহীতার স্বার্থ অধিগ্রহণ এবংউহার ফলাফল)
উপধারা-(১)এই আইন কার্যকর হওয়ার সময়ে সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তারিখ হইতে খাজনা প্রাপকের নিম্নবর্ণিত সম্পত্তি সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ করা অাইনসংগতবলিয়াবিবেচিতহইবে-
(i)বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত কোনো জেলায় বা জেলার অংশে বা স্থানীয় এলাকায় অবস্থিত খাজনা প্রাপকের এস্টেট, মধ্যস্বস্ত, জোত বা প্রজাস্বত্বে বিদ্যমান সকল স্বার্থ; এবং
(ii)১৮৭৯ সালের কোর্ট অব ওয়ার্ডস এ্যাক্টের অধীনে কোর্ট অব ওয়ার্ডসের ব্যবস্থাধীনে পরিচালিত খাজনা প্রাপকের এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের অন্ত-ভূমিতে (land) এবং মাটির নীচে অবস্থিত খনিতে বিদ্যমান সকল স্বার্থ এই অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত।
উপধারা-(২)এই আইনের ২০ ধারার (২), (৩), (৪), (৫) ও (৬) উপধারায় বর্ণিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বে বিদ্যমান খাজনা প্রাপকের স্বার্থ সম্পর্কিত (১) উপধারা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সাথে সাথে বা পরে যে কোনো সময় সরকারী গেজেটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত তারিখ হইতে যে সকল ভূমি খাজনা প্রাপক খাস দখলে রাখিতে পারিবে না তা সরকার অধিগ্রহণ করিবে এবং ঐ সমস্ত সম্পত্তি দায়মুক্ত অবস্থায় চুড়ান্তরূপে সরকারের উপর বর্তাইবে।
উপধারা-(২ক)এই ধারা মোতাবেক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে খাজনা প্রাপকের নাম নির্দিষ্ট উল্লেখ থাকিবে বা যে এলাকায় তার স্বার্থ বিদ্যমান আছে তা উল্লেখ থাকিবে বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো নিয়মে বর্ণিত থাকিবে।
উপধারা-(৩)উপধারা (১) ও (২) এ উল্লেখিত বিজ্ঞপ্তির আকার ঐরূপ হইবে ও বিবরণী ঐরূপ থাকিবে যা নিরূপন বা নির্ধারণ করা যাইবে।
উপধারা-(৪)উপধারা (১) অনুযায়ী প্রচলিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তারিখ হইতে-
(ক)বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত এস্টেট,তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত, প্রজাস্বত্বে নিহিত স্বার্থ, খাস দখলীয় সকল সম্পত্তিতে নিহিত স্বার্থ, ঐ সকল এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের অন্তঃভূমিতে এবং মাটির নীচে অবস্থিত খনিতে বিদ্যমান সমস্ত স্বার্থ ঐ সকল এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বে খাজনা আদায়ের নিমিত্ত অফিস অথবা কাচারী হিসেবে ব্যবহৃত দালান অথবা দালানের অংশে বিদ্যমান খাজনা প্রাপকের স্বার্থ দায়হীনভাবে সরকারের উপর চুড়ান্তরূপে বর্তাইবে।
শর্ত থাকে যে, এই দফায় উল্লেখিত কোনো কিছুই সংশ্লিষ্ট খাজনা প্রাপকের বসতবাড়ীতে অবস্থিত দালানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
(খ)উপধারা (১) অনুযায়ী স্বার্থ অধিগ্রহণের নিমিত্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে যে সমস্ত বকেয়া খাজনা, সেস ও ঐগুলির সুদ বৈধভাবে খাজনা প্রাপকের নিকট কালেক্টরের পাওনা ছিল সেগুলি আদায়যোগ্য হইবে ও আদায়ের অন্যান্য উপায়ের বিপরীত কোনো কাজ না করিয়া ৫৮ ধারা মোতাবেক যখন কালেক্টরের আদেশে তাহাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হইবে।তখন ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে বকেয়া খাজনা, সে এবং ঐগুলির সুদ বাবদ প্রাপ্য অর্থ কাটিয়া নেয়া হইবে।
(গ)উপধারা (১) অনুযায়ী স্বার্থ অধিগ্রহণের নিমিত্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে যে সকল বকেয়া খাজনা, সেস এবং ঐগুলির সুদ খাজনা প্রাপকের প্রাপ্য ছিল তা উক্ত তারিখে তামাদি হইয়া না গিয়ানা থাকাকালে সরকার কর্তৃক আদায়যোগ্য বলিয়া গণ্য হইবে এবং আদায়ের অন্যান্য উপায়ের বিপরীত কোনো কাজ না করিয়া ৫৮ ধারা মোতাবেক কালেক্টরের আদেশে যে ব্যক্তির উক্তঅর্থপাওনাছিল তাহাকে যখন ক্ষতিপূরণ (যদি পাওনাথাকে), প্রদান করা হইবে তখন তা হতে বকেয়া খাজনা, সেস এবং ঐগুলির সুদ বাবদ প্রাপ্য অর্থ কাটিয়ালওয়া হইবে।(ঘ)উপধারা (১) অনুযায়ী স্বার্থ অধিগ্রহলের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে ১৮৮২ সালের বেঙ্গল ইমব্যাংকমেন্ট এ্যাক্ট বা ১৯৫২ সালের ইস্ট বেঙ্গল ইমব্যাংকমেন্ট এন্ড ড্রেইনেজ এ্যাক্ট মোতাবেক খাজনা প্রাপকের নিকট যদি কোনো বকেয়া অর্থ অথবা ভবিষ্যতের কিস্তি পাওনা থাকে তাহলে আদায়ের অন্যান্য উপায়ের বিপরীত কোনো কাজ না করিয়া ৫৮ ধারা মোতাবেক যখন কালেক্টরের আদেশে তাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হইবে তখন ক্ষতিপূরণের অর্থ হতে উক্ত বকেয়া অর্থ এবং ভবিষ্যতের কিস্তির অর্থ কেটে নেয়া হবে।
(ঘঘ)উপধারা (১) অনুযায়ী স্বার্থ অধিগ্রহণের নিমিত্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে ১৯৪৪ সালের বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন মোতাবেক যদি খাজনা প্রাপকের নিকট কোনো বকেয়া কৃষি আয়কর সরকারের পাওনা থাকে তবে আদায়ের অন্যান্য উপারের বিপরীত কোন কাজ না করিয়া ৫৮ ধারা মোতাবেক যখন কালেক্টরের আদেশে তাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হইবে তখন ক্ষতিপূরণের অর্থ হতে উক্ত বকেয়া কাটিয়া রাখা হইবে।
(ঙ) এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের ভূমি যে সমস্ত প্রজা (১) উপধারার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত খাজনা প্রাপকের প্রত্যক্ষ অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করিত তাহারা প্রত্যক্ষভাবে সরকারের প্রজা বলিয়া গণ্য হইবে এবং খাজনা প্রদানযোগ্য ভূমি অধিকারে অথবা দখলে রাখার নিমিত্তে প্রচলিত হারে সরকারকে খাজনা খাজনাপ্রদানকরিবে,অপর কোনো ব্যক্তিকে নহে।
শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ১৯৫৭ সালের পূর্ব বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশ বলবত্‍ হওয়ার পূর্বে ৪৩ ধারার (২) উপধারা মোতাবেক এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বে নিহিত খাজনা প্রাপকের স্বার্থের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়াছে বলিয়া কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি সেক্ষেত্রে এ সমস্ত এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের অধিকারী খাজনা প্রাপকের সরাসরি অধীনস্থ প্রজা ঐ সমস্ত ভূমি খাজনামুক্ত ভূমি ছাড়া অধিকারে রাখার জন্য ১৯ ধারার (৩) উপধারা অনুযায়ী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত ও ৫৩ ধারা অনুযায়ী সংশোধনকৃত স্বত্বলিপিতে নির্ধারিত হারে খাজনা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।
(চ)উপধারা (২) অনুযায়ী যে সকল খাসভূমি অধিগ্রহণ করা হয়নি সেই সমস্ত ভূমি খাজনা প্রাপকগণ সরকারের প্রত্যক্ষ প্রজা হিসেবে দখলে রাখার অধিকারী হইবে এবং ৫ ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত খাজনা সরকারকে প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।
(চচ)সিলেট জেলা ছাড়া অপরাপর জেলার ক্ষেত্রে ১৯ ধারার (৩) উপধারা অনুযায়ী স্বত্বলিপি চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত বা ৫ ধারা অনুযায়ী খাজনা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত (ঙ) দফার শর্তে ও (চ) দফায় বর্ণিত প্রজাগণ ৪র্থ অধ্যায় মতে প্রণয়নকৃত বিধি অনুযযায়ী প্রাথমিক খাজনার বিবরণীতে প্রদর্শিত হারে সরকারকে খাজনা প্রদানকরিবে।সিলেট জেলার ক্ষেত্রে (ঙ) দফার শর্তে উল্লেখিত প্রজাগণ ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইন বা ১৯৮৬ সালের আসাম ল্যান্ড এ্যান্ড রেভিনিউ রেগুলেশন বা ১৯৫০ সালের বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন মোতাবেক সত্যায়িত খসড়া স্বত্বলিপির উপর ভিত্তি করে প্রণয়নকৃত সাময়িক খাজনার বিপরীতে প্রদর্শিত হারে সরকারকে খাজনা দিতে হইবে এবং (চ) দফায় বর্ণিত প্রজাগণকে ৫ ধারা ও তদনুযায়ী প্রণীত বিধি অনুসারে নির্ধারিত হারে সরকারকে খাজনা প্রদানকরিতে হইবে।
শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ১৯ ধারার (৩) উপধারা অনুযায়ী চুড়ান্ত ভাবে প্রকাশিত স্বত্বলিপিতে হ্রাসকৃত হারে বা বির্ধিত হারে উক্ত খাজনা দেখানো হয় বা ৫ ধারা অনুযায়ী হ্রাসকৃত হারে বা বর্ধিত হারে নির্ধারিত হয় বা ৫৩ ধারা অনুযায়ী উক্ত খাজনার পরিমাণ হ্রাস কিংবা বৃদ্ধি পায় সেক্ষেত্রে উক্ত প্রজার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তারিখ হইতে পূর্বে দেয়া খাজনার পরিমাণ কম হইলে নির্ধারিত খাজনার বাকী অংশ দিতে বাধ্য থাকিবে এবং বেশী হলে অতিরিক্ত খাজনা ভবিষ্যতে প্রদত্ত খাজনার সাথে সমন্বয় সাধন করার অধিকারী হইবে।
(ছ)দফা (ঙ), (চ) ও (চচ) এ উল্লেখিত বকেয়া খাজনা আদায় করার জন্য উপায়ের বিপরীত কোনো কাজ না করিয়া ১৯১৩ সালের বঙ্গীয় সরকারী দাবি আদায় আইন মোতাবেক আদায়যোগ্য হইবে।(জ)দফা (ঙ) অনুযায়ী যে সকল মধ্যস্বত্ব সম্পূর্ণরূপে ও প্রত্যক্ষভাবে সরকারের অধীনে স্থানান্তরিত হইয়াছে তা ১৯৬৮ সালের বঙ্গীয় ভূমি রাজস্ব বিক্রয় আইন-এর ১ ধারা অনুসারে প্রদত্ত মধ্যস্বত্বের সংজ্ঞার ধারার একই অর্থ বুঝাইবে।
উপধারা-(-ক)আপাততঃ বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ কিছুথাকাসত্ত্বেও সিলেট জেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (৪) উপধারার (ঙ), (চ) এবং (চচ) দফা মোতাবেক প্রদত্ত বকেয়া খাজনা আদায় করিবার ক্ষেত্রে তামাদি হওয়ার সময়সীমা খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের তারিখ হইতে ২৪ মাস বাদদিয়গণনা করিতেহইবে।
উপধারা-(৫)বিদায়ী খাজনা প্রাপকরা যাদের স্বার্থ এই ধারা মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে তাহারা এই আইনে উল্লেখিত ক্ষতিপূরণ লাভের অধিকারী হইবে।
ধারা-৩ক(বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে বিবরণী দাখিলের নিমিত্ত নোটিশ)

 ৩ ধারা অনুযায়ী এস্টেট, তালুক, জোত বা প্রজাস্বত্ব বা খাস দখলীয় ভূমিতে বিদ্যমান খাজনা প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার উক্ত ধারার (১) উপধারা বা (২) উপধারা মোতাবেক উক্ত স্বার্থ অথবা ভূমি সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পূর্বে যে কোনো সময়ে নির্ধারিত উপায়ে খাজনা প্রাপকের উপর নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে নোটিশ জারির ষাট দিনের কম নহে এমন নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত ফরমে নোটিশে নির্দেশিতভাবে নিম্নলিখিত সকল অথবা যে কোনো তথ্য সংবলিত একটি বিবরণী দাখিল করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারেন।
(i)খাজনা প্রাপক কর্তৃক অধিকৃত এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত ও প্রজাস্বত্বের মোট পরিমাণ এবং বর্ণনা ও বার্ষিক রাজস্ব খাজনা ও সেসসমূহ যাহা সে তাহার ভূমির তাত্‍ক্ষণিক উপরস্থ ভূমির ভূমি মালিককে বা সরকারকে ক্ষেত্র ভেদে প্রদান করিত তাহার বিবরণ;(ii)যে গ্রাম, থানা এবং জেলায় এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত ও প্রজাস্বত্বের ভূমি অবস্থিত তাহার নাম ও সেই সঙ্গে তাত্‍ক্ষণিক পূর্ববর্তী পাঁচ বছরের অধিক নহে সময়ের জন্য ব্যবহৃত খাজনা আদায়ের কাগজপত্রের তালিকা;(iii)খাজনা প্রাপকের খাস দখলীয় সকল ভূমি যে গ্রাম এবং যে থানায় অবস্থিত তাহার নামসহ ভূমির পরিমাণ, বর্ণনা ও শ্রেণীবিন্যাস;(iv)উক্ত এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত ও প্রজাস্বত্বের অন্যান্যসহ অংশীদারগণ যাহারা যৌথভাবে খাজনা প্রাপকের সঙ্গে খাজনা আদায় করিত তাহাদের নাম এবং নির্ধারিত অংশসমূহের বিবরণ; ও
(v) উক্তরূপ অন্যান্য বিবরণ যাহা রাজস্ব অফিসার প্রয়োজন মনে করেন।


ধারা-(বিবরণী দাখিলের নিমিত্ত নোটিশ প্রদান ও নির্দেশ পালন না করার জন্য দন্ড)
উপধারা-(১): ৩(১) ধারা মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যতশীঘ্র সম্ভব রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত পন্থায় খাজনা প্রাপক যাহার সম্পত্তি কোর্ট অব ওয়ার্ডসআইন ১৮৭৯ মোতাবেক কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর পরিচালনাধীন রহিয়াছে সেছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত প্রত্যেক খাজনা প্রাপককে নোটিশ জারির মাধ্যমে দাখিল করার নিমিত্ত নির্দেশ দিতে পারেন-
(ক)নির্ধারিত ফরমে একটি বিবরণী যাতে দেখাতে হবে-
(i)উক্ত বিজ্ঞপ্তি দ্বারা যে সকল এস্টেট, তালুক, রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বে তার স্বার্থ অধিগ্রহণ করা হয়েছে তার মোট পরিমাণ ও বর্ণনা এবং সেগুলির বার্ষিক খাজনা ও সেস, যা সে ভূমির উপরস্থ ভূ-স্বামী অথবা সরকারকে,ক্ষেত্র ভেদে প্রদান করত তার বর্ণনা;(ii)যে গ্রাম, থানা ও জেলায় এস্টেট, তালুক, রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের ভূমি অবস্থিত তাহার নাম এবং প্রত্যেক গ্রামের খাজনা ও সেস, কর বাবদ মোট বার্ষিক দাবির পরিমাণ ও দাবির সমর্থনেদাবীআদায়ের কাগজপত্রের তালিকা।
(iii)তার খাস দখলীয় ভূমির পরিমাণ এবং বর্ণনা;(iv)উক্ত এস্টেট, তালুক, জোত বা প্রজাস্বত্বের খাজনা গ্রহীতার সাথে যৌথভাবে খাজনা আদায়কারীর সহ-অংশীদারদের নাম ও নির্ধারিত অংশসমূহ; এবং
(খ)রাজস্ব অফিসারের প্রয়োজন অনুযায়ী অপরাপর বিবরণ, কাগজপত্র বা দলিলপত্র এবং নোটিশে উল্লখিত অফিসারের নিকট নোটিশ জারির ষাট দিনের কম নহেএরূপ সময়ে উক্ত এস্টেট, তালুক, জোত বা প্রজাস্বত্ব বিষয়ক সেরেস্তার সমস্ত কাগজপত্র;
শর্ত থাকে যে, ৩ক ধারা মোতাবেক নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে যে সমস্ত বিবরণ দাখিল করা হয়েছে তাহা সঠিকভাবে প্রদত্ত হইয়াছেবলিয়া রাজস্ব অফিসার মনে করিলে খাজনা প্রাপককে আর বিবরণী দাখিল করিতে হইবে না।
উপধারা-(২):উপধারা (১) এ বর্ণিত কাগজপত্র যে অফিসার গ্রহণ করিবেন তিনি হস্তান্তরিত কাগজপত্রের জন্য রশিদ প্রদান করবেন ।
উপধারা-(৩):যৌথভাবে আদায়কারী সকল সহ-অংশীদার যৌথভাবে অধিকৃত এস্টেট, তালুক,মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্ব বিষয়ক এই ধারার (১) উপধারা অথবা ৩ক ধারা মোতাবেক নোটিশে প্রদত্ত নির্দেশসমূহ পালন করিবার নিমিত্তে যৌথ ও এককভাবে দায়ী থাকিবে।
উপধারা-(৪):এই ধারার (১) উপধারা অথবা ৩ক ধারা মোতাবেক যাহার উপর নোটিশ দেয়া হইয়াছে সেই ব্যক্তি যদি নোটিশে উল্লেখিত সময় বা রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তাহার স্বেচ্ছামূলক ক্ষমতাবলে মঞ্জুরীকৃত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত নোটিশে উল্লেখিত এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্ব বিষয়ক সকল বা কোনো নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হইয়াথাকে, ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য পরিবেশন করে বা কোনো তথ্য, কাগজপত্র বা দলিল গোপন করিয়াথাকেতবে-
(ক)সেই ব্যক্তি শুনানীর সুযোগ অন্তে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক ধার্যকৃত জরিমানার দায়ে দায়ী হইবেন, যাহা-
(i)রাজস্ব প্রদানের আওতাভুক্ত এস্টেটের বা খাজনা প্রদানের আওতাভুক্ত তালুক,রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের ক্ষেত্রে এস্টেটের বার্ষিক রাজস্ব বা তালুক, রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের বার্ষিক খাজনার পাঁচ গুণ,অবস্থাভেদে বর্ধিত হইতে পারে; এবং
(ii)রাজস্বমুক্ত এস্টেটের বা খাজনামুক্ত তালুক, রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের ক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার তার স্বেচ্ছামূলক ক্ষমতাবলে ২,৫০০/- টাকার বেশী নয় এরূপ যে কোনো পরিমাণ অর্থ পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারেন।
(খ)এতদ্ব্যতীত রাজস্ব অফিসার কর্তৃক নিদেশিত হইলে সে ৬ ধারা মোতাবেক প্রদত্ত অন্তবর্তীকালীন আর্থিক সুবিধা হইতে বঞ্চিত হইতে পারে।
উপধারা-(৫):(i)উপধারা (১) মোতাবেক যার উপর নোটিশ জারি করা হইয়াছে সেই খাজনা প্রাপক নোটিশে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে বা রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তাহার স্বেচ্ছামূলক ক্ষমতা প্রয়োগ দ্বারা মঞ্জুরীকৃত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে যদি নোটিশে উল্লেখিত নির্দেশ অনুযায়ী তাহার এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্ব বিষয়ক সেরেস্তার কাগজপত্র হস্তান্তর করিতে ব্যর্থ হয়, তবে রাজস্ব অফিসার বা তত্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অপর কোনো ব্যক্তি প্রয়োজন মনে করিলে সহায়তাসহ যে কোনো ভূমিতে বা দালানকোঠায়, যেখানে ঐ সমস্ত কাগজপত্র পাওয়া যাইবে বলিয়া রাজস্ব অফিসারের বিশ্বাস করার কারণ রহিয়াছেসেখানেপ্রবেশ করিতে পারেন এবং উক্ত এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্ব জোত বা প্রজাস্বত্ব ব্যবস্থাপনা করার নিমিত্ত যে সমস্ত কাগজপত্র দরকার বলিয়া তিনি বিবেচনা করিবেন সেই সমস্ত কাগজপত্র জব্দ করিতে এবং দখলে লইতে পারেন;
শর্ত থাকে যে, রাজস্ব অফিসার অথবা ঐরূপ অন্য কোনো ব্যক্তি দালান সংলগ্ন আবদ্ধ উঠান অথবা বাগানে উক্ত উঠান বা বাগানের বাসিন্দা অথবা দখলকারীর সম্মতি ব্যতীত বা যদি উক্ত সম্মতি দিতে অস্বীকার করা হয় তবে উক্ত বাসিন্দা অথবা দখলকারীকে তাহার উদ্দেশ্য সম্বলিত লিখিত দুই ঘন্টার নোটিশ প্রদান ব্যতীত প্রবেশ করিবেন না;
আরও শর্ত থাকে যে, এই উপধারা মোতাবেক যে সমস্ত কাগজপত্র রাজস্ব অফিসার অথবা অপর কোনো ব্যক্তি কর্তৃক দখলে নেয়া হইবে তার একটি তালিকা রাজস্ব অফিসার সংশ্লিষ্ট খাজনা প্রাপককে প্রদান করিবেন।(ii)উপধারা (৪) এর বিধানের হানিকর কিছুনা করিয়াথাকিলেএ উপধারার বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে।
উপধারা-(৬):খাজনা প্রাপক যে এস্টেট, তালুক, জোত বা প্রজাস্বত্ব বিষয়ক সেরেস্তার কাগজপত্র (১) উপধারা মোতাবেক সরকারের কোনো অফিসারের নিকট হস্তান্তর করিয়াছে সে বা উক্ত এস্টেট, তালুক, জোত বা প্রজাস্বত্বের সঙ্গে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পন্থায় উক্ত কাগজপত্র পরিদর্শন করার অধিকারী হইবে ও নির্ধারিত ফিস প্রদান করিয়া উক্ত কাগজপত্রের অনুলিপি পাওয়ারও অধিকারী হইবে।


ধারা-(খাজনা প্রাপকের খাস ভূমির খাজনা নির্ধারণ)

৩(১) ধারা মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর যথাশীঘ্র সম্ভব রাজস্ব অফিসার ২৩, ২৪, ২৫, ২৫ক, ২৬, ২৭ এবং ২৮ ধারায় বর্ণিত নীতিসমূহ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ও বিজ্ঞপ্তির সাথে সম্পর্কিত ভূ-সম্পত্তি,তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বসমূহে অবস্থিত সকল খাজনা প্রাপকগণের খাস দখলীয় প্রত্যেক ভূমি খন্ডের খাজনা নির্ধারণ করিবেন।
ধারা-(অন্তর্বর্তীকালীন পরিশোধ)

উপধারা-(১):৩ ধারার (১) উপধারার অধীনে কোনো ভূ-সম্পত্তি, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বে কোনো খাজনা প্রাপকের স্বার্থসমূহ অধিগ্রহণ করা হইলে সে বিজ্ঞপ্তির তারিখ হইতে নির্ধারিত সময় ও নির্ধারিত পন্থায় তার ঐরূপ স্বার্থের জন্য তাহার ভূ-সম্পত্তি, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বসমূহ যাই হোক ইহাতে খাজনা ও সেস বাবদ বার্ষিক যে আয় হইত সে তাহার এক তৃতীয়াংশ পাবে।
উপধারা-(২):কোনো খাজনা প্রাপক যাহার খাস ভূমি ৩ ধারার (২) উপধারা মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে সে বিজ্ঞপ্তির তারিখ হইতে নির্ধারিত সময় ও পন্থায় ৩৯ ধারার (১) উপধারায় যে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্ত হইবে তাহার ৫% অর্থ বার্ষিক অন্তর্বর্তীকালীন পাওনা হিসেবে পাওয়ার অধিকারী হইবে এবং ঐ ক্ষতিপূরণের টাকা নির্ধারণের জন্য ঐরূপ ভূমির বাবদ ৩৯ ধারার (২) (৩) ও (৪) উপধারার বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে।
উপধারা-(৩):উপধারা (১) এর উদ্দেশ্যে কোনো ভূ-সম্পত্তি, তালুক, রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের কোনো বছরের প্রকৃত আয় নিরূপণ করার সময় উক্ত ভূ-সম্পত্তি,তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্ব হইতে সরকার ৩ ধারার (২) উপধারায় অধিগ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে খাজনা ও সেস বাবদ যে স্থূল বা মোটঅংকেরটাকা আদায় করিয়াছেন তাহা হইতে নিম্নলিখিত অর্থসমূহ বাদ দেয়া হইবে-
(i)বিজ্ঞপ্তির তারিখের অব্যবহিত পূর্বে সরকার বা উপরস্থ ভূ-স্বামীকে ঐ সকল স্বার্থের জন্য বার্ষিক রাজস্ব বা খাজনা এবং সেস হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করার নিমিত্ত নির্ধারণ করা হইত বাহয়সেই পরিমাণ সেই পরিমাণ অর্থ;(ii)যেখানে ৩ ধারার বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইত না সেক্ষেত্রে বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন ১৯৪৪ বা আয়কর আইন ১৯২২ মোতাবেক ঐ আদায়ের উপর যে পরিমাণ খাজনা ধার্য করা হইত তার গড় হারের সমপরিমাণ অর্থ;(iii)বিদায়ী খাজনা প্রাপক যদি আইনানুগভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে বাধ্য থাকিত তবে উক্ত ভূ-সম্পত্তি, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের সেচ অথবা রক্ষণমূলক কাজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হ'ত, যদি থাকে,সেই পরিমাণ অর্থ; এবং
(iv)আদায় চার্জ বাবদ মোট আদায়ের শতকরা বিশ ভাগের বেশী নয় এরূপ পরিমাণ অর্থ।
ব্যাখ্যাঃ এই উপধারায় গড় হার বলিতে বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন, ১৯৪৪ বা আয়কর আইন, ১৯২২-এর বিধান মোতাবেক বিজ্ঞাপিত তারিখের পূর্বে শেষ বারের মত নির্ধরিত খাজনার গড় হারকে বুঝায়।
উপধারা-(৪)উপধারা (৩) এর অধীনে যে পরিমাণ অর্থ বাদ দেয়া হইবে তা নির্ধারণের জন্য রাজস্ব অফিসার সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হইবেন।
উপধারা-(৪ক)উপধারা (১) (৩) এবং (৪) এ ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও সরকার নির্ধারিত সময়ে এবং পন্থায় ঐরূপ যে কোনোখাজনা প্রাপককে যে বছরের বাবদ (খ) উপধারা মোতাবেক অন্তবর্তীকালীন অর্থ পাওনা ছিল কিন্তু উক্ত উপধারা মোতাবেক তাহা প্রদান করা হয়নি, উক্ত (১) উপধারায় উল্লেখিত অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ প্রদানের পরিবর্তে ৩৫ বা ৩৬ ধারার অধীনে নির্ধারিত ৪২ ধারার অধীনে ক্ষতিপূরণ বিবরণীতে ৫৪ ধারার অধীনে সংশোধন সাপেক্ষে চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত ঐরূপ স্বার্থের প্রকৃত আয়ের এক ষষ্ঠাংশ হারে নগদ অর্থ প্রদান করিতে পারিবেন।
উপধারা-(৫)এই ধারার কোনো কিছুই ওয়াকফ,ওয়াকফ-আল আওলাদ, দেবোত্তর বা অপর কোনো অছির অধীনস্থ কোনো ভূ-সম্পত্তি, তালুক রায়তিস্বত্ব, জোত, প্রজাস্বত্ব বা ভূমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
ধারা-৬ক(অছির অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ প্রদান)
উপধারা-(১)যে খাজনা প্রাপকের ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল আওলাদ, দেবোত্তর বা অপর কোনো অছির অধীন এস্টেট, তালুক,মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বে বিদ্যমান স্বার্থ ৩ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে সে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ হইতে নির্ধারিত সময়ে এবং নির্ধারিত নিয়মে উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত বার্ষিক অন্তর্বর্তীকালীন আর্থিক সুবিধা হিসেবে নিম্নবর্ণিত নগদ অর্থ পাওয়ার অধিকারী হইবে-
(i)এস্টেট, তালুক, রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের প্রকৃত আয়ের যতখানি ব্যক্তিগত আর্থিক সুবিধা সংরক্ষণ ছাড়া দাতব্য এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে উত্‍সর্গ এবং প্রয়োগ করা হইয়াছে ততখানির সমকক্ষ বার্ষিক বৃত্তি;(ii)দফা (i)মোতাবেক বাষিক বৃত্তি বাদ দেয়ার পর উক্ত এস্টেট, তালুক, রায়তীস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের প্রকৃত আয়ের কোনো অংশ অতিরিক্ত থাকে সেই প্রকৃত আয়ের অংশ বাবদ ৩৭ ধারার (৩) উপধারা মোতাবেক যতখানি ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাইবে তার ৩% হারে নির্ধারিত অর্থ।
উপধারা-(২)উপধারা (১) এর দফা (i)এ উল্লেখিত বার্ষিক বৃত্তির পরিমাণ ৩৭ ধারার (৩) উপধারা মোতাবেক স্থায়ী বার্ষিক বৃত্তি নির্ধারণের নিমিত্ত যে নিয়ম বর্ণিত আছে উক্ত একই পদ্ধতিতে তা নির্ধারিত হইবে এবং উক্ত অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে ৫৮(৪) উপধারা এবং ৫৯(৪) উপধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে।
উপধারা-(৩)উপধারা (১) এর (ii)দফার নিমিত্ত ৬ ধারার (৩) ও (৪) উপধারায় উল্লেখিত নিয়মে প্রকৃত আয় নির্ধারণ করা হইবে।
উপধারা-(৪)যে খাজনা প্রাপকের ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল আওলাদ, দেবোত্তর বা অপর কোনো অছির অধীন খাস ভূমি ৩ ধারার (২) উপধারা মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হয়েছে সে বিজ্ঞপ্তি জারির তারিখ হইতে নির্ধারিত সময়ে এবং নির্ধারিত নিয়মে উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত বার্ষিক অন্তর্বর্তীকালীন সুবিধা হিসেবে নিম্নলিখিত নগদ অর্থ পাওয়ার অধিকারী হইবে-
(i)ভূমির আয়ের যতখানি ব্যক্তিগত আর্থিক সুবিধা সংরক্ষণ ছাড়া দাতব্য এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে উত্‍সর্গ এবং প্রয়োগ করা হয়েছে ততখানির সমপরিমাণ বার্ষিক বৃত্তি; এবং
(i) উক্ত ভূমির প্রকৃত আয়ের অবশিষ্ট অংশ, যদি থাকে বাবদ ৩৯ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক যতখানি ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে তার ৩% হারে নির্ধারিত অর্থ এবং উক্ত অর্থ নির্ধারণের ক্ষেত্রে উক্ত ধারার (২), (৩) ও (৪) উপধারার বিধানসমূহ প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাপেক্ষে প্রযোজ্য হইবে।
উপধারা-(৫)উপধারা (৪) এর (i)দফায় উল্লেখিত বার্ষিক বৃত্তির পরিমাণ ৩৯ ধারার ১(ক) উপধারা মোতাবেক স্থায়ী বার্ষিক বৃত্তি নির্ধারণের যে নিয়ম বর্ণিত আছে সেই নিয়ম মোতাবেক নির্ধারিত হইবে এবং উক্ত অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে ৫৮ ধারার (৪) উপধারা এবং ৫৯ ধারার (৪) উপধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে।
ধারা-(আপিল)কোনো ব্যক্তি যদি ৪ ধারার (৪) উপধারা অথবা ৫ ধারায় প্রদত্ত রাজস্ব অফিসারের কোনো আদেশ দ্বারা ক্ষুব্ধ হন বা ৬ অথবা ৬ক ধারা মোতাবেক রাজস্ব অফিসার কর্তৃক অন্তর্বর্তীকালীন নির্ধারিত অর্থ প্রদানের আদেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হন তবে তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং নির্ধারিত উপায়ে নির্ধারিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আপিল পেশ করিতে পারেন এবং উক্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ও কেবল উক্ত সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বর্ণিত এবং উপধারাসমূহের অধীনে প্রদত্ত রাজস্ব অফিসারের উক্ত আদেশ চুড়ান্ত হইবে।
ধারা-(এই অধ্যায়ের অধীনে আরোপিত জরিমানা পরিশোধ ও আদায়)

এই অধ্যায়ের অধীনে কোনো ব্যক্তিকে জরিমানা করা হলে রাজস্ব অফিসার যে তারিখে জরিমানা করে আদেশ প্রদান করেন সে তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে বা যেক্ষেত্রে ঐরূপ আদেশের বিরুদ্ধে ৭ ধারা অনুযায়ী কোনো আপিলদায়ের করা হয় তবে উক্ত আপিল নিষ্পত্তির তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে নির্ধারিত উপায়ে তিনি তা পরিশোধ করিবেন এবং ঐরূপভাবে উক্ত জরিমানার অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তা সরকারী দাবি আদায় আইন ১৯১৩-এর অধীনে সরকারী দাবি হিসেবে আদায়যোগ্য হইবে।
ধারা-(বাতিল)
ধারা-১০(অন্তর্বর্তীকালীন প্রাপ্য অর্থ ক্রোকমুক্ত)

১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধি ও ১৯১৩ সালের সরকারী দাবি আদায় আইনে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও ৬ ধারার (১) ও (২) উপধারা বা ৬ক ধারার (১) বা (৪) উপধারা মোতাবেক বিদায়ী খাজনা প্রাপক যে অন্তর্বর্তীকালীনঅর্থ প্রাপ্য হয় তা দেওয়ানী আদালতের কোনো ডিক্রী অথবা আদেশ অথবা সার্টিফিকেট জারি করার নিমিত্ত ক্রোক করা চলিবে না যদি না উক্ত ডিক্রী অথবা সার্টিফিকেট কোনো ভূ-সম্পত্তি, তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত, প্রজাস্বত্ব বা ভূমির বকেয়া রাজস্ব, খাজনা অথবা সেস আদায়ের নিমিত্ত দেয়া হইয়া থাকে।
ধারা-১০ক(ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল আওলাদ, দেবোত্তর অথবা অন্যান্য ধর্মীয় অছির অধীনস্থ কতিপয় খাজনা গ্রহণের স্বার্থ-সম্পর্কিত বিশেষ বিধানসমূহ)
উপধারা-()ধারা ৩ এর (৪) উপধারার (ঙ) এবং (চচ) দফাসমূহে বা ৬ক ধারায় ভিন্ন কিছু থাকা সত্ত্বেও এই ধারার বিধানসমূহ সেই সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে যেক্ষেত্রেওয়াকফ,ওয়াকফ-আল আওলাদ দেবোত্তর অথবা অন্যান্য ধর্মীয় অছির অধীনস্থ খাজনা প্রাপকের স্বার্থ ৩ ধারার (১) উপধারা বা (২) উপধারা মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে, কিন্তু ১৯৬০ সালের পূর্ব বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার তারিখ পর্যন্ত উক্ত স্বার্থের অধীনস্থ ভূমি অধিকারে রাখার নিমিত্তে প্রজাদের নিকট হইতে খাজনা অথবা সেস কর আদায়ের মধ্য দিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে সরকার ঐ সমস্ত সম্পত্তির উপর দখলের অধিকার প্রয়োগ করেনি।
উপধারা-(২)উক্ত স্বার্থ অধিগ্রহণের তারিখে বা তারিখ হইতে মোতাওয়াল্লি বা সেবাইত বা অছিদার, যেখানে যা প্রযোজ্য হয়, উক্ত তারিখের অব্যবহিত পূর্বে অধিকৃত সম্পত্তি কৃষি বছরের শেষ দিন যে দিন ৭৩ ধারার (২) উপধারা মোতাবেক উক্ত স্বার্থ সম্পর্কিত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণী বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে বলিয়া বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে সেই দিন পর্যন্ত বা উক্ত সম্পত্তিতে সরকার দখলের অধিকার প্রয়োগ না করা পর্যন্ত, যা পরে ঘটিবে,সেই পর্যন্ত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচালনা করিবে বা পরিচালনা করিয়াছে বলিয়া গণ্য করা হইবে।
উপধারা-(৩)উক্ত মোতাওয়াল্লী, সেবাইত অথবা অছিদার সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে (৪) উপধারায় উল্লেখিত বিধান সাপেক্ষে ও উল্লেখিত হারে উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত প্রজা কর্তৃক প্রদত্ত সকল খাজনা এবং সেস কর ও খাস জমির ফসলের ভাগ উক্ত স্বার্থ অধিগ্রহণের তারিখ হতে কৃষি বছরের শেষ দিন পর্যন্ত বা উপধারা-২মোতাবেক বর্ণিত দখলের অধিকার প্রয়োগ না করা পর্যন্ত, যা পরে সংঘটিত হবে সেই পর্যন্ত আদায়ের অধিকারী হইবে এবং সে ৬ক ধারা মোতাবেক উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ প্রদান এবং তার মজুরীর পরিবর্তে আদায়কৃত ফসলের বিক্রয়লব্ধ অর্থ এবং অন্যান্য আয় অধিকারে রাখিবে এবং নিম্নেবর্ণিত অর্থের কম পরিমাণ অর্থ নির্ধারিত নিয়মে বার্ষিক হারে সরকারকে প্রদান সাপেক্ষে-
(ক)যে পরিমান অর্থ ঐসমস্ত অধিগ্রহণের অব্যবহিত আগে বার্ষিক রাজস্ব বা খাজনা ও সেস কর বাবদ সরকারকে অথবা উপরস্থ জমিদারকে, যেখানে যা প্রযোজ্য হয়,প্রদানের নিমিত্ত কালেক্টর কতৃর্ক নির্ধারিত হয় বা হইত; এবং
(খ) যে পরিমান অর্থ ঐ সমস্ত স্বার্থ অধিগ্রহণ না করা হলে ১৯৪৪ সালের বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন মোতাবেক ঐ সমস্ত স্বার্থ হতে আগত আয়ের উপর কর নির্ধারণযোগ্য হইত;
শর্ত থাকে যে,(i)কোনো মোতাওয়াল্লি, সেবাইত অথবা অছিদার অস্থায় ইজারা ছাড়া অপর কোনো নিয়মে খাস ভূমিতে নিহিত কোনো স্বার্থ হস্তান্তর বা দায় বা চার্জ সৃষ্টি করার অধিকারী হবে না; উক্ত অস্থায়ী ইজারা যে বছর সৃষ্টি করা হইয়াছে সেই বছরের শেষ কারিখে এক বছরের অতিরিক্ত সময়ের জন্য এক সঙ্গে প্রদান করা হইবে না;কালেক্টরের পূর্ব অনুমতি ছাড়া এবং কালেক্টর কতৃর্ক এই ব্যাপারে নির্ধারিত শর্ত পালন ছাড়া কোনো গাছ কাটা যাইবেনা অথবা কোনো ইমারত ধ্বংস করা যাইবেনা; ঐসকল শর্তের পরিপন্থী কোনো হস্তান্তর বা দায় বা চার্জ সৃষ্টি করা হলে অথবা কোনো ইজারা দেয়া হলে তা বাতিল বলিয়াগণ্য হইবে ও শর্তের পরিপন্থীভাবে যে গাছ কাটা হয়েছে বা যে ইমারত ধ্বংস করা হয়েছে তার সম্পূর্ণ মূণ্য উক্ত মোতাওয়াল্লি, সেবাইত অথবা অছিদারের নিকট হইতে বকেয়া খাজনা অথবা ভূমির রাজস্ব হিসেবে উদ্ধারযোগ্য হইবে।
(i)(i)কালেক্টর কতৃর্ক নির্ধারিত যে পরিমাণ অর্থ স্বার্থ অধিগ্রহণের অব্যবহিত আগে মোতাওয়াল্লি, সেবাইত অথবা অছিদারের সরাসরি অধীনে ১৮৮০ সালের বঙ্গীয় সেস কর আইন মোতাবেক পথ এবং গণপূর্ত সেস করবা ১৮৭৯ সালের আসাম স্থানীয় কর রেগুলেশন মোতাবেক স্থানীয় কর প্রজাগণের দ্বারা বার্ষিক হারে প্রদানযোগ্য ছিল সেই পরিমাণ অর্থ (ক) দফায় বর্ণিত অর্থ হতে বাদ যাইবে এবং তা বাংলা ১৩৬৭ সালের ১লা বৈশাখ হতে কার্যকর হইবে।
(iii)যে ক্ষেত্রে (১) উপধারায় উল্লেখিত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো মোতাওয়াল্লি,সেবাইত অথবা অছিদার উক্ত স্বার্থ অধিগ্রহণের অব্যবহিত পূর্বে কোনো রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের কারণে সরকারের নিকট হইতে বা এমন খাজনা প্রাপকের নিকট হইতে যার উক্ত রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বে নিহিত স্বার্থ অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এবং দখল লাভ করা হইয়াছে সে ক্ষেত্রে উক্ত মোতাওয়াল্লি, সেবাইত অথবা অছিদার এই ধারা মোতাবেক সরকারের কাছে তার বার্ষিক আয়ের সঙ্গে সেই পরিমাণ অর্থের সমপরিমাণ অর্থ সমন্বয় করার অধিকারী হইবে কালেক্টর কতৃর্ক নির্ধারিত যে পরিমাণ অর্থ অধিগ্রহণের অব্যবহিত পূর্বে উক্ত রায়তিস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্বের কারণে বার্ষিক খাজনা এবং সেস কর হিসেবে তার প্রাপ্য ছিল; কিন্তু ১৮৮০ সালের বঙ্গীয় সেস কর আইন মোতাবেক পথ ও গণপূর্ত সেস কর বা ১৮৭৯ সালের আসাম স্থানীয় কর রেগুলেশন মোতাবেক স্থানীয় কর ১৩৬৭ বাংলা সালের ১লা বৈশাখ হইতে আয় সমন্বয়ের জন্য গ্রহণযোগ্য হইবে না এবং সমন্বয়ের নিমিত্ত যদি বার্ষিক মোট অর্থের পরিমাণ এই ধারায় উল্লেখিত মোট বার্ষিক আয় অপেক্ষা বেশী হয় তবে অতিরিক্ত অর্থ কোনো আইন অথবা চুক্তি অনুযায়ী তার নিকট অপর কোনো সরকারী পাওনা থাকলে তা কেটে নেয়ার পর বাকী অর্থ সরকারের নিকট হইতে পাওয়ার অধিকারী হইবে।
ব্যাখাঃ ১৯৪৪ সালের বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন মোতাবেক অধিগ্রহণের তারিখের আগে শেষবার যে কর নির্ধারণ করা হয়েছিল তার গড় হার বের করিয়া (খ) দফার জন্য অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা যাইবে।
উপধারা-(৪)অধিগ্রহণের অব্যবহিত পূর্বে খাজনা প্রদান সাপেক্ষে ভূমির অধিকারী (৩) উপধারায় উল্লেখিত প্রজাগণ ৪৩ ধারা মোতাবেক সংশোধন সাপেক্ষে ১৯ ধারার (৩) উপধারা মোতাবেক চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ানে নির্ধারিত হারে উক্ত ভূমির খাজনা পরিশোধের জন্য দায়ী হইবে;
শর্ত থাকে যে, উক্ত প্রজাগণ চুড়ান্তভাবে খতিয়ান প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চতুর্থ অধ্যায় মোতাবেক প্রণয়নকৃত বিধিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক খাজনার বিবরণীতে উল্লেখিত হারে উক্ত ভূমির খাজনা প্রদান করিবে; এবং যে ক্ষেত্রে উক্ত প্রাথমিক খাজনার বিবরণী প্রণয়ন করা হয়নি সেক্ষেত্রে উক্ত প্রাথমিক খাজনার বিবরণী প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত অধিগ্রহণের অব্যবহিত পূর্বে যে হারে প্রচলিত ছিল সে হারে খাজনা প্রদান করিবে।
আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ১৯ ধারার (৩) উপধারা অনুযায়ী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ানে হ্রাসকৃত হারে বা বর্ধিত হারে উক্ত খাজনা প্রদর্শিত হয় বা ৪৩ ধারা মোতাবেক উক্ত খাজনার পরিমাণ হ্রাস বা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় সেক্ষেত্রে উক্ত প্রজার পূর্বে দেয়া খাজনার পরিমাণ কম হলে নির্ধারিত খাজনার বাকী অংশ দিতে বাধ্য থাকিবে এবং বেশী হলে অতিরিক্ত খাজনার ভবিষ্যতে প্রদত্ত খাজনার সাথে পূর্ব হইতে বলবত্‍‍যোগ্যরূপে সমন্বয় সাধন করার অধিকারী হইবে।
উপধারা-(৫)এই ধারা মোতাবেক প্রজার নিকট হইতে মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদারের আদায়যোগ্য বকেয়া খাজনা ও সেস কর সরকারী পাওনা হিসেবে পুনরুদ্ধারযোগ্য হইবে এবং উক্ত মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদারের ১৯১৩ সালের সরকারী দাবি আদায় আইন মোতাবেক উক্ত বকেয়া আদায়ের নিমিত্ত নির্ধারিত নিয়মে সার্টিফিকেট কর্মকর্তার টিকট দরখাস্ত করিতে পারিবে।
উপধারা-(৬)উপধারা (৪) অনুযায়ী কোনো প্রজা অতিরিক্ত খাজনা প্রদান করিলে প্রদত্ত সেই খাজনা হইতে মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদারের পরিচালানাধীন সময়ে পরবর্তীকালে তত্‍কতৃর্ক প্রদানযোগ্য খাজনা উক্ত উপধারা মোতাবেক সমন্বয় করার পর অবশিষ্ট অর্থ উক্ত মোতাওয়াল্লি,সেবাইত বা অছিদার সরকারকে পরিশোধ করিবে।
উপধারা-(৭)উপধারা (৩) বা (৬) মোতাবেক যে অর্থ মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদার কতৃর্ক সরকারকে প্রদানযোগ্য ছিল তা সরকারী পাওনা হিসেবে আদায়যোগ্য হইবে।
উপধারা-(৮)উপধারা (৫) মোতাবেক কোনো সার্টিফিকেট অফিসার কর্তৃক আদায়কৃত বকেয়া খাজনা এবং সেস করা (৩) অথবা (৬) উপধারা মোতাবেক বকেয়া সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট অর্থ সংশ্লিষ্ট মোতাওয়াল্লি,সেবাইত বা অছিদারকে দেয়া হইবে।
উপধারা-(৯)এই আইনের কোনো স্থানে বা আপাততঃ বলবত্‍  কোনো আইনে ভিন্নরূপ কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও উপধারা (৪) মোতাবেক কোনো প্রজা কতৃর্ক প্রদত্ত বকেয়া খাজনা এবং সেস কর আদায়ের সময়সীমা গণনা করার ক্ষেত্রে উক্ত বকেয়া পাওনার সাথে সংশ্লিষ্ট খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের তারিখ হইতে চব্বিশ মাস সময় বাদ দিতে হইবে।
উপধারা-(১০)প্রত্যেক মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদার নির্ধারিত ফরম-এ এবং নির্ধারিত সময়ে এই ধারা মোতাবেক আগের বছরে তত্‍তৃর্ক আদায়কৃত খাজনা এবং সেস কর দেয়া সত্ত্বেও উক্ত আদায়কৃত অর্থ হতে তত্‍কতৃর্ক ব্যয়কৃত অর্থের হিসাবে সমন্বিত একটি বিবরণী কালেক্টরের কাছে দাখিল করিবে।
উপধারা-(১১)কোনো আদালত কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক কোনো সম্পত্তি সম্পর্কিত এই ধারারয় বর্ণিত সুবিধার নিমিত্ত দাবি বা উক্তরূপ সুবিধার অধিকারী তাহার জন্য ঘোষণার উদ্দেশ্যে দায়েরকৃত কোনো মামলা অথবা দরখাস্ত গ্রহণ করিবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত উক্ত ব্যক্তি কালেক্টরের নিকট দরখাস্ত না করেন এবং কালেক্টর সেই ব্যক্তি উক্ত সুবিধার অধিকারী নয় বলিয়া চুড়ান্ত আদেশ প্রদান না করেন;
শর্ত থাকে যে, উক্ত দরখাস্ত দায়েরের তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে যদি কালেক্টর কতৃর্ক চুড়ান্ত আদেশ প্রদান না করা হয় তবে উক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মোতাওয়াল্লি, সেবাইত বা অছিদার দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়েরের অধিকারী হইবে।


তৃতীয় খন্ড
তৃতীয় অধ্যায়
চাকুরীর বিনিময়ে ভূমি ভোগ সম্পর্কে বিশেষ বিধানসমূহ
ধারা-১১( দখলী অধিকারসমূহ অর্জন)
উপধারা-(১)আপাততঃ বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি তার সেবার বিনিময়ে কৃষি বা ফলচাষ বা বসবাসের প্রয়োজনে অন্য ব্যক্তির অধীনে ভূমি অধিকারে রাখে বলে স্থানীয়ভাবে নানকর, চাকরান অথবা অনুরূপভাবে পরিচিত সেই ব্যক্তি এই আইন কার্যকর হওয়ার তারিখে অথবা তারিখ হইতে যার অধীনে ভূমি অধিকারে রাখে তাহাকে যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা প্রদান সাপেক্ষে ঐ ভূমিতে দখলী অধিকার অর্জন করিবে এবং ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন ও ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের যতটা দখলী রায়তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় ততটা তার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
উপধারা-(২)উপধারা (১) এ উল্লেখিত যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা বলতে ঐরূপ খাজনাকে বুঝায় যা দখলীয় রায়ত কতৃর্ক প্রদত্ত অনুরূপ বর্ণনা ও সুবিধা সংবলিত একই গ্রাম অথবা পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভূমির জন্য ঐরূপ প্রজা ও তার ভূ-স্বামীর মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে স্বীকৃত খাজনা বা চুক্তির অবর্তমানে প্রজা বা ভূ-স্বামীর আবেদনক্রমে কালেক্টর কতৃর্ক নির্ধারিত প্রচলিত খাজনার হারের বেশী হইবে না।
ধারা-১২ (কোন কোন ক্ষেত্রে প্রচার বসতবাড়ি উচ্ছেদ)
উপধারা-(১)১১ ধারায় ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্তেও যেক্ষেত্রে ঐ প্রচার বসতবাড়ি ভূমির মালিকের বসতবাড়ির মধ্যে অবস্থিত থাকে সেক্ষেত্রে সে বা তাহার ভূমির মালিক এই আইন কার্যকর হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে উক্ত ভূমির দখল সম্বন্ধীয় মোকাদ্দমা গ্রহণ করার এখতিয়ার বিশিষ্ট দেওয়ানী আদালতে ঐ প্রচার বসতবাড়ি উচ্ছেদ করার আদেশের জন্য দরখাস্ত করিতে পারিবে।
উপধারা-(২)উপধারা (১) মোতাবেক দরখাস্ত দায়ের করা হইলে আদালত পক্ষগণকে শুনানীর সুযোগ দান করিয়া যতটুকু যথাযথ মনে করিবেন ততটুকু সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়া এবং অনুসন্ধান করিয়া যদি সন্তুষ্ট হন যে, ঐ প্রজার বসতবাড়ি ভূমির মালিকের বসতবাড়ির মধ্যে অবস্থিত তবে প্রার্থীত আদেশ প্রদান করিবেন।
শর্ত থাকে যে, আদালত যদি দেখেন, ১১ ধারা মাতাবেক বা অন্য কোনো উপায়ে দরখাস্তে বর্ণিত বসতবাড়ি ছাড়া ঐ প্রজা দখলী রায়ত হিসেবে চাষাবাদের নিমিত্ত পাঁচ বিঘার কম ভূমি দখলে রাখে তবে আদালত ভূমির মালিক কতৃর্ক প্রজাকে বিবেচনাপ্রসূত ক্ষতিপূরণ প্রদানের পরিমাণ নির্ধারণ করিবেন অথবা আদালতের মতানুসারে নতুন স্থানে বসতবাড়ি স্থানান্তরের খরচ, অনুরূপ বসতবাড়ি পুনঃনির্মানের খরচ, ঐরূপ নির্মাণের জন্য ভূমির খরচ এবং আদালত কতৃর্ক যথাযথ বিবেচিত অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ নিরূপণ করিবেন; যতক্ষণ পর্যন্ত ভূমির মালিক প্রজাকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত অর্থ আদালতে জমা না দেয় বা প্রজা লিখিতভাবে আদালতে স্বীকার না করে যে, আদালতের বাহিরে ঐ পরিমাণ অর্থ ভূমির মালিকের নিকট হইতে গ্রহণ করিয়াছে ততক্ষণ পর্যন্ত আদালত উচ্ছেদের আদেশ প্রদান করিবেন না।
উপধারা-(৩)উপধারা (১) মোতাবেক প্রদত্ত আদেশ ঐ প্রজার বিরুদ্ধে উচ্ছেদের ডিগ্রী হিসেবে গণ্য হইবে এবং ঐরূপ আদশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল চলিবে না।

ধারা-১৩ (কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৃষি ভূমির পুনরুদ্ধার)
উপধারা-(১)যদি কোনো ব্যক্তিকে ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিলের পর দেওয়ানী আদালতের ডিক্রী বা আদেশ বা কালেক্টরের আদেশ বা কালেক্ট কতৃর্ক ক্ষমতাপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশ ছাড়া অন্য কোনোভাবে ১১ ধারার (১) উপধারায় সেবার বিনিময়ে নিষ্করভাবে ভোগ দখলকৃত কৃষিচাষ ও ফলের চাষ হতে উচ্ছদ করা হয়েথাকেসেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি এই আইন কার্যকর হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ঐ ভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য কালেক্টরের নিকট দরখাস্ত করিতে পারিবে।
উপধারা-(২)উপধারা (১) মোতাবেক দরখাস্ত করা হইলে কালেক্টর পক্ষগণকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করেন ও যতটুকু যথাযথ মনে করিবেন ততটুকু সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়া এবং অনুসন্ধান করিয়া যদি সন্তুষ্ট হন যে,উল্লেখিত তারিখের পরে ভোগ দখলকৃত ভূমি হইতে দরখাস্তকারীকে উচ্ছেদ করা হইয়াছে তবে কালেক্টর দরখাস্তকারীর নিকট উক্ত ভূমি নুপঃরুদ্ধারের জন্য আদেশ প্রদান করিতেও তিনি যথাযথ মনে করিলে পরবর্তী কৃষি বছরের পরে নহে এমন তারিখ হইতে উক্ত আদেশ কার্যকর করিবেন।
উপধারা-(৩) যে ব্যক্তির দখলে উক্ত ভূমি রহিয়াছে সে যদি দরখাস্তকারীর নিকট দখল কার্যকর হওয়ার তারিখে দখল হস্তান্ত না করে তবে কালেক্টর দরখাস্তকারীর আবেদনক্রমে উক্ত ব্যক্তিকে উচ্ছেদ করিয়া ঐ ভূমিতে দরখাস্তকারীকে দখল প্রদান করিবেন।
শর্ত থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি যদি ভূমির মালিক ছাড়াও অন্য ব্যক্তি হয় তবে সে ভূমির মালিকের নিকট হইতে কালেক্টর কতৃর্ক নির্ধারিত যুক্তিসঙ্গত ক্ষতিপূরণ পাইবে।
উপধারা-(৪)যেক্ষেত্রে এই ধারার অধীনে কৃষি চাষ বা ফলচাষের ভূমি কোনো ব্যক্তিকে পুনরুদ্ধার করিয়া দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে ১১ ধারার বিধানসমূহ ভূমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।


ধারা-১৪(আপিল)১১ ধারার (২) উপধারায় কালেক্টরের আদেশে ক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি উক্ত আদেশের তারিখ হইতে ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত এলাকার এখতিয়ারবান জেলা জজের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত আপিলে জেলা জজের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হইবে।
ধারা-১৫ (বিবিধ)১১ ধারার (২) উপধারায় ১২ ধারার (১) উপধারায় বা ১৩ ধারার (১) উপধারায় কোনো দরখাস্ত নির্ধারিত ফরমে নির্ধরিত বিবরণসহ করিতে হইবে এবং তার সঙ্গে নির্ধারিত প্রসেস ফি জমা দিতে হইবে।
ধারা-১৬(কতিপয় ভূমির অব্যাহতি) এই অধ্যায়ের কোনো কিছু চা এস্টেটের সীমানার মধ্যে অথবা অপর কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের সীমানার মধ্যে অবস্থিত ভূমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
 

চতুর্থ খন্ড
চতুর্থ অধ্যায়
স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণ

 

ধারা-১৭(স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণ)
উপধারা-(১)সরকার এই আইন মোতাবেক কোনো জেলায়, জেলার অংশে বা স্থানীয় এলাকায় অবস্থিত খাজনা প্রাপকগণের স্বার্থ এবং এই আইন মোতাবেক ঐ সমস্ত স্থানের ভূমিতে নিহিত অধিগ্রহণযোগ্য অন্যান্য স্বার্থ অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যে এবং ২য় অধ্যায়ের অধীনে ইতোমধ্যে অধিগৃহীত স্বার্থসহ এই সমস্ত স্বার্থের নিমিত্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের উদ্দেশ্যে এই মর্মে আদেশ জারি করিতে পারিবেন যে-
(ক)উক্ত জেলা, জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার জন্য স্বত্বলিপি তৈরী করিতে হইবে; বা
(খ)১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের দশম অধ্যায় মোতাবেক সর্বশেষ প্রণয়নকৃত ও চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ান উক্ত জেলা, জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার জন্য এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ এবং সরকার কতৃর্ক এই উদ্দেশ্যে প্রণয়নকৃত বিধিমালা অনুযায়ী রাজস্ব কর্মকর্তা কতৃর্ক রিভিশন বা পরিমার্জন করিতে হইবে।
উপধারা-(২)যদি ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ১০১ ধারা মোতাবেক বা ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের ১১৭ ধারা মোতাবেক কোনো জেলা, জেলার অংশ বা স্থানীয় এলাকার জন্য খতিয়ান তৈরীর উদ্দেশ্যে আদেশ করা হইয়া থাকে; কিন্তু খতিয়ান তৈরীর কাজ ম্পন্ন না হয় বা জেলা, জেলার অংশ অথবা এলাকার জন্য খতিয়ান তৈরী অথবা পরিমার্জনের উদ্দেশ্যে (১) উপধারা মোতাবেক আদেশ দানের সময় ঐ স্বত্বলিপি বা খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত না হয় তাহা হলে এই আইন মোতাবেক খতিয়ান তৈরীর কার্যক্রম স্থগিত হইবে এবং ঐ খতিয়ান এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ এবং সরকার কতৃর্ক এই উদ্দেশ্যে প্রণয়নকৃত বিধিমালা অনুযায়ী প্রস্তুত করিতে হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, স্বত্বলিপি প্রণয়নের ক্ষেত্রে ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ১০ম অধ্যায় বা ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের ৯ম অধ্যায় মোতাবেক আরম্ভকৃত কার্যক্রম ও ঐ স্বত্বলিপির খসড়া প্রকাশিত হওয়ার আগে ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ১০৩ ধারার (৪) উপধারা বা ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের ১১৯ ধারা মোতাবেক যেখানে যাহা প্রযোজ্য হয়, গৃহীত কার্যক্রম এই অধ্যায় মোতাবেক স্বত্বলিপি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এই অধ্যায় মোতাবেক শুরু করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
উপধারা-(৩) উপধারা (১) মোতাবেক আদেশের সরকারী গেজেট বিজ্ঞপ্তিকে ঐ আদেশ যথাযথভাবে প্রস্তুত হইয়াছে বলিয়া চুড়ান্ত সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য করা হইবে।
ধারা-১৮ (যে সকল বিবরণ খতিয়ানে রেকর্ড করিতে হইবে)যখন ১৭ ধারা মোতাবেক কোনো আদেশ প্রদান করা হয় তখন ঐ আদেশ অনুযায়ী প্রণয়নকৃত বা পরিমার্জিত খতিয়ানে রাজস্ব কর্মকর্তা নির্ধারিতবিবরণসমূহ রেকর্ডভুক্ত করিবেন।
ধারা-১৯(খতিয়ানসমূহের খসড়া ও চুড়ান্ত প্রকাশ)
উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে ১৮ ধারায় বর্ণিত বিবরণসমূহ অন্তর্ভুক্ত করার নিমিত্ত একটি স্বত্বলিপি প্রণয়ন করা হয় অথবা পরিমার্জন করা হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত সময়ের জন্য নির্ধারিত নিয়মে প্রণয়নকৃত এবং পরিমার্জিত খসড়া স্বত্বলিপি প্রকাশ করিবেন ও প্রকাশের সময় যা কিছু অন্তর্ভুক্ত করা যাইত অথবা বাদ দেওয়া হইয়াছে সেই সম্বন্ধে আপত্তি গ্রহণ ও বিবেচনা করিবেন।
উপধারা-(২)উপধারা (১) মোতাবেক দায়েরকৃত আপত্তির প্রেক্ষিতে রাজস্ব অফিসার কতৃর্ক প্রদত্ত কোনো আদেশে ক্ষুব্ধ ব্যক্তি সহকারী সেটলমেন্ট অফিসারের নিম্নতম পদে নহে এরূপ নির্ধারত রাজস্ব কর্র্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত নিয়মে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করিতে পারিবে।
উপধারা-(৩)যেক্ষেত্রে এরূপ সকল আপত্তি এবং আপিল সরকার কতৃর্ক এই উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধিসমূহ অনুযায়ী বিবেচিত ও নিষ্পত্তি হইয়াছে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার চুড়ান্তভাবে স্বত্বলিপি প্রণয়ন করিবেন ও নির্ধারিত নিয়মে ঐ স্বত্বলিপি চুড়ান্তভাবে প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন; এবং উক্ত প্রকাশ এই অধ্যায় মোতাবেক খতিয়ান যথাযথভাবে প্রণয়ন ও পরিমার্জনের জন্যচুড়ান্ত সাক্ষ্য বলিয়া গণ্য হইবে।
উপধারা-()যেক্ষেত্রে (৩) উপধারা মোতাবেক একটি খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয় সেক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে রাজস্ব বোর্ড কতৃর্ক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজস্ব অফিসার তার চুড়ান্ত প্রকাশনা ও তাহার তারিখ উল্লেখ করিয়া একটি সার্টিফিকেট প্রদান করিবেন এবং তিনি তাহাতে তারিখ ও পদবীসহ নাম স্বাক্ষর করিবেন।

ধারা-২০(খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক ও অকৃষি প্রজা কতৃর্ক দখলে রাখা ভূমিসমূহ)
উপধারা-(১)৫ম অধ্যায় মোতাবেক খাজনা প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহনের প্রেক্ষিতে একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক ও অকৃষি প্রজা (২) উপধারায় উল্লেখিত খাস ভূমি ছাড়া অন্য কোনো এলাকায় খাস ভূমি দখলে রাখার অধিকারী হইবে না।
উপধারা-(২)একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা সরকারের অধীনস্থ প্রজা হিসেবে দখলে রাখার অধিকারী হইবে-
(ক)কোনো এস্টেট, তালুক, মধ্যস্বত্বে খাজনা আদায়ের অফিস অথবা কর্মচারী হিসেবে প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত ও সরকার কতৃর্ক অধিগ্রহণের জন্য গৃহীত বসত-বাড়ির বাইরে অবস্থিত কোনো দালান অথবা দালানের অংশ ছাড়া বসতবাড়ি বা বসতবাড়ি সংলগ্ন ভূমি;(খ)পরিত্যক্ত চা বাগান ছাড়া নিম্নে উল্লেখিত বিভিন্ন শ্রেণীর খাস দখলীয় ভূমি-
(i)কৃষি চাষ, ফল চাষ অথবা পুকুরের জন্য ব্যবহৃত ভূমি;(ii) চাষযোগ্য বা সংস্কার করার পর চাষযোগ্য ভূমি;(iii)পতিত অকৃষি ভূমিঃ
শর্ত থাকে যে, (ক) ও (খ) দফায় উল্লেখিত খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক,অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা কতৃর্ক অধিকৃত ভূমির মোট পরিমাণ ৩৭৫ বিঘা বা তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের পিছু দশ বিঘা যা অধিক হইবে, এর অতিরিক্ত হইবে না।
উপধারা-(২ক)আপাততঃ বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে অথবা কোনো দলিলে বা আদালতের রায় ডিক্রী বা আদেশ ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও (২) উপধারার (ক) ও (খ) দফায় উল্লেখিত শ্রেণীভুক্ত ভূমি অন্তর্ভুক্ত করে না বা অন্তুর্ভুক্ত করে না বলে ধরিয়া লওয়াহ্ইবে-
(i)হাট অথবা বাজারে অবস্থিত ভূমি অথবা দালান; অথবা
(ii)সম্পূর্ণভাবে খননকৃত পুকুর ছাড়া মত্‍স্য খামার; অথবা
(iii)বনাঞ্চলের জন্য ভূমি; বা
(iv)ফেরীঘাট হিসেবে প্রকৃতপক্ষে ব্যবহৃত ভূমি।
 উপধারা-(৩)ধারা ২ এর (৪) উপধারার (খ) দফা মোতাবেক একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক,অধীনস্থ রায়তী কৃষক, অকৃষি প্রজা যে সকল জমি দখলে রাখার অধিকারী সেই সকল জমির বন্টন ঐ খাজনা গ্রহীতা, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজার ইচ্ছা অনুযায়ী রাজস্ব অফিসারবন্টন করিবেন বা যেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়নি সেইক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে সরকার কতৃর্ক প্রণীত বিধি অনুযায়ী বন্টন করিবেন।
শর্ত থাকে যে, এই ইচ্ছা প্রয়োগের ক্ষেত্রে উক্ত খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক,অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণের মাথাপিছু ১০ বিঘা পরিমাণ বা তার কম বা ১০ বিঘার অতিরিক্ত হইলে কমপক্ষে ১০ বিঘা পরিমাণ ভূমি অধিকারে রাখিতে পারিবে এবং ঐ পরিবারে ভূমি বন্টনের ক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার যে ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে ভূমি দখলে রাখে তার নাম রেকর্ডভুক্ত করিবেন।
আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে কোনো খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা কোনো ভূমি ১৯৫২ সালের কৃষি উন্নয়ন ফাইন্যান্স কর্পোরেশ এ্যাক্ট মোতাবেক প্রতিষ্ঠিত কৃষি উন্নয়ন ফাইন্যান্স কর্পোরেশন-এর নিকট বা ১৯৫৭ সালের কৃষি ব্যাংক এ্যাক্ট মোতাবেক প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান কৃষি ব্যাংকের নিকট রেহেন রাখিয়াছে সেইক্ষেত্রে এই ধারা মোতাবেক ইচ্ছা প্রয়োগের ক্ষেত্রে (২) উপধারা মোতাবেক সেই সকল শ্রেণীর ভূমি এবং যেই পরিমাণ ভূমি সে অধিকারে রাখিতে পারিবে তাহার মধ্যে ঐ রেহেনকৃত ভূমি অন্তর্ভুক্ত করিতে বাধ্য থাকিবে এবং যেক্ষেত্রে ঐ খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা এই ধারা মোতাবেক ইতঃপূর্বে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছে কিন্তু অতিরিক্ত খাস ভূমি সম্পর্কিত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণী বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়নি, সেইক্ষেত্রে এই শর্তের বিধানসমূহ অনুযায়ী তাহার ইচ্ছা পরিমার্জন করার প্রয়োজন হইবে।
উপধারা-(৪)উপধারা (২) এ ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা খাজনা প্রাপকগণের বা রায়তী কৃষকগণের বা অধীনস্থ রায়তী কৃষকগণের দল যাহারা সমবায়ের ভিত্তিতে অথবা শক্তি চালিত যান্ত্রিক পদ্ধতির প্রয়োগের অন্যভাবে বৃহদায়তন খামার অথবা বৃহদায়তন দুগ্ধ খামার পরিচালনা করিতেছে তাহারা এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ কতৃর্ক প্রদত্ত সার্টিফিকেট সাপেক্ষে, এই উপধারায় নির্ধারিত ভূমির অতিরিক্ত সেই পরিমাণ ভূমি দখলে এবং অধিকারে রাখিতে পারিবে যে পরিমাণ ভূমি রাজস্ব কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক প্রদত্ত সার্টিফিকেটে উল্লেখ থাকিবে।
শর্ত থাকে যে, সরকার কতৃর্ক নির্ধারিত বিশেষ বিশেষ সময়ে ঐ সার্টিফিকেট রাজস্ব কতৃর্পক্ষের রিভিশনের আওতায় থাকিবে।
উপধারা-(৪ক)উপধারা (২) এ ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ চা বা কফি চাষ ও উত্‍পাদনের উদ্দেশ্যে অথবা রাবার চাষের উদ্দেশ্যে ভূমি অধিকারে রাখিলে বা কোনো কোম্পানী চিনি উত্‍পাদনের উদ্দেশ্যে আখ চাষের জন্য জমি অধিকারে রাখিলে এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত রাজস্ব কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক প্রদত্ত সার্টিফিকেট সাপেক্ষে এই উপধারায় নির্ধারিত পরিমাণ ভূমির অতিরিক্ত সেই পরিমাণ ভূমি দখলে এবং অধিকারে রাখিতে পারিবে যে পরিমাণ ভূমি রাজস্ব কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক প্রদত্ত সার্টিফিকেটে উল্লেখ থাকিবে।
আরও শর্ত থাকে যে, এই উপধারার উদ্দেশ্যে একটি পরিত্যক্ত চা বাগানকে চা চাষ এবং উত্‍পাদনের জন্য অধিকৃত ভূমি হিসেবে ধরিয়ালওয়া যাইবে না।
উপধারা-(৪খ)উপধারা (৪) ও (৪ক) বা ৩৯, ৪৩ এবং ৪৪ ধারা বা আপাততঃ বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও উপধারা (৪) ও (৪ক) মোতাবেক সার্টিফিকেটের অধীনস্থ ভূমি ঐ তারিখে সরকরের উপর চুড়ান্তভাবে বর্তাইবে যখন উক্ত সার্টিফিকেটধারী ব্যক্তির উক্ত ভূমি দীর্ঘস্থায়ী মেয়াদে ইজারা গ্রহণের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার তাহার পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে, যেখানে সার্টিফিকেটধারী ব্যক্তি উক্ত ভূমি আনুষ্ঠানিকভাবে অধিগ্রহণের জন্য ৩৯ ধারা মোতাবেক প্রাপ্য ক্ষতিপূরনের দাবি ত্যাগ করিয়াছে ও উক্ত সার্টিফিকেটের সমাপ্তি ঘটাইয়া কোনো প্রিমিয়াম দাবি না করিয়া ইজারার মধ্যে সরকার কতৃর্ক নির্ধারিতশর্ত সাপেক্ষে ভূমি ৮১ ধারার (১) উপধারার ২য় শর্ত মোতাবেক ইজারা দেয়া যাইবেএকথা উল্লেখ করিয়াছে।
উপধারা-(৫) (i) এই ধারায় (১) (২) এবং (৩) উপধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হবে না-
(ক) বাতিল
(খ)বৃহদায়তন শিল্পের জন্য ব্যবহৃত দালান বা অট্টালিকা ও প্রয়োজনীয় সংলগ্ন এলাকার ভূমিসহ উক্ত শিল্পের কাঁচামালা উত্‍পাদনের জন্য ভূমি; বা
(গ)দেবোত্তর, ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদের অধীনস্থ ভূমির যতটুকু অংশ সম্পূর্ণভাবে উত্‍সর্গীকৃত থাকে ততটুকু ভূমি ও যার আয় কোনো ব্যক্তি বিশেষের অার্থিক সুবিধার জন্য সংরক্ষণ না করিয়া সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় এবং দাতব্য উদ্দেশ্যে প্রযোজ্য হয়।
(i)যেক্ষেত্রে দেবোত্তর ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদ বা অন্য কোনো ট্রাস্টের অধীনস্থ ভূমি হইতে আগত আয়ের এক অংশ ধর্মীয় ও দাতব্য উদ্দেশ্যে উত্‍সর্গ করা হয় এবং এক অংশ কোনো ব্যক্তি বিশেষের আর্থিক সুবিধার জন্য সংরক্ষণ করা হয়,সেক্ষেত্রে ভূমির উক্ত অংশ এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত দফা (i)এর উপদফা (গ) এর আওতাভুক্তহইবে।
ব্যাখাঃ এই ধারার (২) উপধারার উদ্দেশ্যে-
(ক)একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তীকৃষক বা অকৃষি প্রজা পরিবারের সদস্যদিগকে নিয়ে গঠিত দলভুক্ত ব্যক্তিগণকেও অন্তর্ভুক্ত করে বলিয়াধরিয়া লওয়া হয়, এবং
(খ)একজন খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তীকৃষক বা অকৃষি প্রজা সম্পর্কিত পরিবার উক্ত খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তীকৃষক বা অকৃষি প্রজা ও একই মেসে বসবাসকারী এবং ঐ খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তীকৃষক বা অকৃষি প্রজার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিগণকে নিয়ে গঠিত হয় ধরিয়া লওয়া হয়, কিন্তু তাহা একই মেসে বসবাসকারী কোনো কর্মচারী অথবা ভাড়াটিয়া শ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করিবে না।
উপধারা-(৬)হাট অথবা বাজারে অবস্থিত ভূমি বা বনাঞ্চল, মত্‍স্য খামার অথবা ফেরীর জন্য ব্যবহৃত ভূমির ক্ষেত্রে (৫) উপধারার দফা (i)এর উপদফা (গ) এবং উক্ত উপধারার দফা (ii)এর বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে না অথবা প্রযোজ্য হইবে না ধরিয়া লওয়া হবে।
ধারা-২১(দখলীয় ভূমির খাজনা প্রদান)

কোনো খাজনা প্রাপ্ত, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা ২০ ধারা মোতাবেক যে সমস্ত ভূমি দখলে রাখিয়া তাহার জন্য তাহাকে এই আইনের বিধান মোতাবেক ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা পরিশোধ করিতে হইবে।
ধারা-২২ (সকল ভূমির জন্য এই অধ্যায়ের অধীনে নির্ধারিত ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা প্রদান করতে হবে)
উপধারা-(১)আপাততঃ বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে অথবা ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের দশম অধ্যায়ের অধীনে সর্বশেষ প্রস্তুত ও চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ানের কোনো বিবরণে ভিন্নরূপ কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও এই অধ্যায়ের অধীনে কোনো জেলার বা জেলার অংশের বা স্থানীয় এলাকার সমস্ত ভূমি, যা সম্বন্ধে খতিয়ান প্রস্তুত ও পুনঃপরীক্ষণ করা হইয়াছে, এই অধ্যায়ের বিধান অনুসারে নির্ধারিত ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত খাজনার জন্য দায়ী থাকিবে এবং উক্তরূপে প্রস্তুত বা পুনঃপরীক্ষণ খতিয়ানে ঐরূপ খাজনা অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।
শর্ত থাকে যে, যদি ৫ ধারা মোতাবেক কোনো ভূমির খাজনা ইতিপূর্বে নির্ধারিত হইয়া থাকে তবে এই অধ্যায়ের অধীনে আর খাজনা নির্ধারণ করার প্রয়োজন হইবে না এবং উক্তরূপ নির্ধারিত খাজনা এই অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক ন্যায় এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে নির্ধারণ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
উপধারা-(২) যেক্ষেত্রে ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ অনুযায়ী নির্ধারিত হইয়াছে কিন্তু তা এই আইনের অন্য কোনো বিধান মোতাবেক কার্যকরী না হয় সেক্ষেত্রে যে এলাকায় উক্ত ভূমি অবস্থিত সেই এলাকার ক্ষতিপূরণ নির্ধারণী তালিকা ঘোষণা করে ৪৩ ধারার (২) উপধারা মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছরের প্রথম দিন হতে তা কার্যকর হইবে।
ধারা-২৩ (খাস ভূমির যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা নির্ধারণ)

এই অধ্যায় মোতাবেক খতিয়ান প্রণয়ন ও পরিমার্জনের ক্ষেত্রে একজন রাজস্ব অফিসার ২য় অধ্যায় মোতাবেক যে মালিক অথবা মধ্যস্বত্বের অধিকারীর স্বার্থ অধিগ্রহণ করা হইয়াছে সে সেহ একজন মালিক অথবা মধ্যস্বত্বের অধিকারীর খাস দখলীয় ঐ এলাকার স্বত্বলিপিভুক্ত প্রত্যেক খন্ড ভূমির খাজনা নির্ধারণ করিবেন-
(i)যদি ঐরূপ ভূমি কৃষি ভূমি হয় তবে একই গ্রামে অথবা পার্শ্ববর্তী গ্রামে অবস্থিত অনুরূপ বর্ণনা ও সুবিধা সংবলিত ভূমির জন্য দখলদার রায়তগণ কতৃর্ক সাধারণভাবে প্রদত্ত খাজনার হার বিবেচনা করিয়া রাজস্ব অফিসার যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনার হার নির্ধারণ করিবেন; এবং
(ii)যদি ঐরূপ ভূমি অকৃষি ভূমি হয় এবং তবে রাজস্ব অফিসার নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করিয়া যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনার হার নির্ধারণ করিবেন-
(ক)সংলগ্ন এলাকার অনুরূপ সুবিধা ও বর্ণনা সংবলিত অকৃষি ভূমির জন্য সরকারকে বা অন্য কোনো ভূ-স্বামীকে সাধারণভাবে প্রদত্ত খাজনা;(খ)ধারা ১৭ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অব্যবহিত পূর্বে ঐ ভূমির বাজার মূল্য; এবং
(গ) প্রদানযোগ্য খাজনা যাতে নির্ধারিত খাজনার হার বাজার মূল্য অপেক্ষা শতকরা এক ভাগের বেশী না হয়;
ঐরূপ মালিক অথবা মধ্যস্বত্বের অধিকারী ২০ ধারা মোতাবেক উক্ত খন্ড ভূমি দখলে রাখার অধিকারী হউক বা না হউক।
শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে কোনো এস্টেট, তালুক বা মধ্যস্বত্বের ক্ষেত্রে বিগত পনেরো বছরের মধ্যে ভূমি রাজস্ব নির্ধারণ করা হইয়াছে সেক্ষেত্রে সেই নির্ধারণে যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত হিসেবে গৃহীত খাজনার হারকে এই ধারার অর্থে যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
ব্যাখাঃ এই ধারার প্রয়োগের জন্য ভূমির উপর দন্ডায়মান দালান অথবা ইমারত ভূমির অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
ধারা-২৪ ( রায়ত ও অধীনস্থ রায়তদের যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা নির্ধারণ)
উপধারা-(১)এই অধ্যায়ের অধীনে স্বত্বলিপি প্রণয়ন ও পরিমার্জনের ক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার স্বত্বলিপি প্রণয়ন বা পরিমার্জনের সময়ে এলাকায় অবস্থিত স্বত্বলিপির অন্তর্ভুক্ত একজন রায়ত বা অধীনস্থ রায়ত কর্তৃক অধিকৃত ভূমির জন্য প্রদানযোগ্য খাজনা (২) (৩) ও (৪) উপধারার বিধানসমূহ সাপেক্ষে যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত বলিয়া অনুমান করিবেন।
উপধারা-(২)যেক্ষেত্রে রায়ত কতৃর্ক উক্ত ভূমির জন্য প্রদানযোগ্য খাজনার পরিমাণ রাজস্ব অফিসারের মতানুসারে যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত বলিয়া প্রতীয়মান না হয়, সেক্ষেত্রে তিনি একই গ্রামে অথবা পার্শ্ববর্তী গ্রামে অবস্থিত অনুরূপ বর্ণনা ও সুবিধা সংবলিত ভূমির জন্য দখলকার রায়ত কতৃর্ক সাধারণভাবে প্রদত্ত খাজনার হার বিবেচনা করিয়া তিনি যে পরিমান যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত মনে করেন সেই পরিমাণ হ্রাস করিবেন।
উপধারা-(৩) যেক্ষেত্রে অধীনস্থ রায়ত কতৃর্ক কোনো ভূমির জন্য প্রদানযোগ্য খাজনার পরিমাণ রাজস্ব অফিসারের মতানুসারে যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত বলে প্রতীয়মান না হয় সেক্ষেত্রে তিনি একই গ্রামে অথবা পাশ্ববর্তী গ্রামে অবস্থিত অনুরূপ বর্ণনা ও সুবিধা সম্বলিত ভূমির জন্য দখলদার রায়ত কতৃর্ক প্রদানযোগ্য যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা অপেক্ষা শতকরা ৫০ ভাগের বেশী নহে এরূপ পরিমাণ খাজনা হ্রাস করিতে পারেন।
উপধারা-(৪)কোনো রায়ত অথবা অধীনস্থ রায়ত যদি (১) উপধারায় বর্ণিত কোনো ভূমি সম্বন্ধীয় খাজনা দ্রব্যের মাধ্যমে প্রদান করে অথবা অাসলের অংশের নির্ধারিত মূল্যে প্রদান করে অথবা ঐ সকল নিয়মের মধ্যে একাধিক নিয়মে প্রদান করে তবে রাজস্ব অফিসার ঐ খাজনাকে ঐ ভূমির বার্ষিক মোট উত্‍পাদিত ফসলের মোট মূল্যের এক দশমাংশের বেশী নহে এরূপ যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত আর্থিক খাজনায় রূপান্তরিত করিবেন; যা নির্ধারণ করা হইবে ঐ ভূমির স্বাভাবিক উত্‍পাদন নির্ধারিত নিয়মে বহুগুণ বৃদ্ধি করে বিগত বিশ বছরে প্রত্যেক প্রকার ফসলের গড়মূল্য বাহির করিয়া সেই সঙ্গে যে বছর ফসলেরমূল্যাঅস্বাভাবিক ছিল সেই বছরের হিসাব হইতে বাদ দিয়ে
শর্ত থাকে যে, রাজস্ব অফিসার ঐ খাজনাকে যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত আর্থিক খাজনায় রূপান্তরিত করিবার সময় ঐ রায়ত অথবা অধীনস্থ রায়তের উর্ধ্বতন ভূমির মালিককে ঐ রায়ত বা অধীনস্থ রায়তের উর্ধ্বতন ভূমির মালিককে ঐ রায়ত বা অধীনস্থ রায়তের উর্ধ্বতন ভূমির মালিক কতৃর্ক প্রদানযোগ্য খাজনার ২৫ ভাগের কম নয় ও ৫০ ভাগের বেশী নয় অনুরূপ একটি লাভের অংশ প্রদান করিবেন।
যখন ঐ উর্ধ্বতন ভূমির মালিক দ্রব্যের মাধ্যমে বা ফসলের অংশের নির্ধারিত মূল্যে বা ফসলের সাথে উক্ত উঠানামা করা হারে বা এই সকল নিয়মের মধ্যে একাধিক নিয়মে খাজনা প্রদান করে।
ধারা-২৫(অকৃষি প্রজাগণের ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা নির্ধারণ)

এই অধ্যায় মোতাবেক খতিয়ান প্রস্তুত এবং পুনঃপরীক্ষণের সময় রাজস্ব অফিসার রায়তীয় স্বত্বের অধিকারী ব্যতীত সকল অকৃষি প্রজাগণ কতৃর্ক অধিকৃত সকল অকৃষি ভূমির জন্য ২৩ ধারার বিধানসমূহের যতটুকু অকৃষি ভূমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় ততটুকু ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা নির্ধারণ করিবেন ।
শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ঐরূপ কোনো প্রজা কোনো স্বত্বাধিকারী অথবা রায়তী স্বত্বের অধিকারী ছাড়া অপর কোনো ব্যক্তির অধীনে কোনো ভূমি অধিকারে রাখে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত ভূমির জন্য ঐ প্রজা কতৃর্ক প্রদত্ত প্রচলিত খাজনাকে ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত বলিয়া অনুমান করেন যদি তাহা উক্ত ব্যক্তি কতৃর্ক ঐভূমির জন্য প্রদানযোগ্য ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত খাজনা অপেক্ষা শতকরা ৫০ ভাগের বেশী না হয় এবং তা যদি বেশী হয় তবে রাজস্ব অফিসার উক্ত প্রজা কতৃর্ক অধিকৃত উক্ত ভূমির ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা অপেক্ষা শতকরা ৫০ ভাগের বেশী না হয় এরূপ পরিমাণ খাজনা ধার্য করিবেন।
ধারা-২৫ক (কতিপয় ক্ষেত্রে খাজনা বৃদ্ধি ও নির্ধারণ)
উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে কোনো তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের খাজনা ঐরূপ তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের মালিক কতৃর্ক ভূমির উপরস্থ মালিক অথবা সরকারকে প্রদানযোগ্য খাজনা বা রাজস্ব অপেক্ষা কম হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার ঐরূপ তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের খাজনার পরিমাণ বৃদ্ধি করিতে পারেন যাহা ঐরূপ তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের মালিক কতৃর্ক প্রদানযোগ্য খাজনা বা রাজস্বের চেয়ে কম হইবে না।
শর্ত থাকে যে, যখন কোনো তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্ব মূল এস্টেট,তালুক, মধ্যস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের অংশ নিয়ে গঠিত হয় তখন এই ধারা মোতাবেক খাজনা বৃদ্ধির পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার কোনো ভূমির জন্য ভূমির মালিককে প্রদানযোগ্য খাজনা ও মূল এস্টেট, তালুক,মধ্যস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের অবশিষ্ট অংশসহ উক্ত ভূমির মালিকের খাস দখলীয় ভূমির খাজনার মূল্য বিবেচনা করিবেন।
উপধারা-(২)যেক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বের অধিকারী, রায়ত, অধীনস্থ রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কতৃর্ক অধিকৃত ভূমির খাজনা ধার্যের জন্য দায়ী হয়, কিন্তু এ সম্পর্কে কোনো খাজনা ধার্য করা হয়নিসেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার মধ্যস্বত্বের অধিকারী কতৃর্ক প্রদানযোগ্য খাজনা ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের (৭) ধারা অনুসারে এবং ঐরূপ রায়ত ও অধীনস্থ রায়ত কতৃর্ক প্রদানযোগ্য খাজনা (২৬) ধারার নীতি অনুসারে নির্ধারণ করিবেন।
ধারা-২৬ (নিস্কর জমির খাজনা ধার্যকরণ)
উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে কোনো একজন রায়ত অথবা অধীনস্থ রায়ত কতৃর্ক কোনো নিষ্কর ভূমির অধিকার লাভ করেন সেক্ষেত্রে একই গ্রামে অথবা পার্শ্ববর্তী গ্রামে অবস্থিত অনুরূপ বর্ণনা ও অনুরূপ সুবিধা বিশিষ্ট ভূমির দখলী রায়তগণ সাধারণতঃ যে খাজনা প্রদান করেন সেই হার বিবেচনা করে রাজস্ব অফিসার বিবেচনা অনুযায়ী ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা নির্ধারণ করিবেন।
উপধারা-(২)যেক্ষেত্রে কোনো রায়ত কতৃর্ক কোনো নিষ্কর অকৃষি ভূমির অধিকার লাভ করা হয় সেক্ষেত্রে ঐরূপ ভূমির খাজনা অকৃষি ভূমির ক্ষেত্রে ২৩ ধারার বিধান যতখানি প্রযোজ্য সেইভাবে উক্ত ধারার বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত হইবে।
ধারা-২৭(কোনো কোনো ক্ষেত্রে পৃথক জোত অথবা প্রজাস্বত্ব সৃষ্টি)

যেক্ষেত্রে মালিক অথবা রায়তীস্বত্বের অধিকারী ছাড়া কোনো খাজনা প্রাপক একটি জোত অথবা প্রজাস্বত্বের একটি অংশ খাস দখলে রাখে সেক্ষেত্রে উক্ত অংশ একটি পৃথক জোত অথবা প্রজাস্বত্বরূপে গণ্য হইবে এবং তাহার জন্য পৃথকভাবে খাজনা ধার্য করা হইবে এবং ঐরূপ খাজনা ধার্য করার সময় রাজস্ব অফিসার মূল জোত অথবা প্রজাস্বত্বের খাজনা নতুন জোত বা প্রজাস্বত্বের আনুপাতিক এলাকা ও মূল্য এবং ঐ শ্রেণীর জোত বা প্রজাস্বত্বের ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত খাজনা নির্ধারণ করার নিমিত্ত এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ বিবেচনা করিবেন।
ধারা-২৮ (সেবামূলক প্রজাস্বত্বের খাজনা নির্ধারণ)

এই অধ্যায় মোতাবেক খতিয়ান প্রস্তুত বা পরিমার্জনের ক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত রেকর্ডের সংশ্লিষ্ট এলাকায় যদি কোনো ব্যক্তি সেবার বিনিময়ে কোনো ভূমির খাজনা ছাড়া অধিকারে রাখার সাক্ষ্য দিতে পারে তবে ঐ ভূমির খাজনা একই গ্রামে অথবা পার্শ্ববর্তী গ্রামে অবস্থিত অনুরূপ বর্ণনা এবং অনুরূপ সুবিধা সংবলিত ভূমির জন্য দখলীয় রায়ত কতৃর্ক প্রদত্তখাজনার হার বিবেচনায় রাখিয়া যে হার যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত মনে করিবেন সেই হারে ধার্য করিবেন।
শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোনো কিছুই চা এস্টেটের এলাকায় বা অন্য কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের এলাকায় অবস্থিত সেবার বিনিময়ে নিষ্কর ভূমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
ধারা-২৯(এই অধ্যায়ের অধীনে খাজনা নির্ধারণের ফলাফল)
উপধারা-(১)এই অধ্যায়ের অধীনে নির্ধারিত ও ১৯ ধারা মোতাবেক চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত স্বত্বলিপি বা খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত সমস্ত খাজনা ৫৩ ধারার বিধান সাপেক্ষে শুদ্ধভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণার্থে ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত হয়েছে বলিয়া গণ্য করা হইবে।
উপধারা-(২)এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ মোতাবেক কোনো খাজনা নির্ধারণ সম্বন্ধে অথবা উক্ত খাজনা নির্ধারণ থেকে বাদ দেয়া সম্বন্ধে আদালতে কোনোমামলা দায়ের করা চলিবে না।
ধারা-৩০ (দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা)
উপধারা-(১)কোনো এলাকা সম্বন্ধে খতিয়ান প্রস্তুত এবং পরিমার্জন করার নিমিত্ত ১৭ ধারা মোতাবেক কোনো আদেশ জারি করার পর কোনো দেওয়ানী আদালত খাজনা পরিবর্তন অথবা কোনো প্রজার মর্যাদা নিরূপণ অথবা উক্ত এলাকার জোত অথবা প্রজাস্বত্বের অনুসঙ্গ সম্বন্ধীয় কোনো মামলা অথবা দরখাস্ত গ্রহণ করিবেন না; এবং ঐ এলাকা সম্বন্ধীয় কোনো মামলা বা দরখাস্ত যদি কোনো দেওয়ানী আদালতে আদেশ প্রদানের তারিখে রুজু অবস্থায় থাকে, তবে তাহা আর চলিতে দেয়া হইবে না এবং তা বাতিল হইবে।
ব্যাখ্যাঃ এই উপধারায় মামলা বলতে একটি আপিলকেও অন্তর্ভুক্ত করিবে।
উপধারা-(২) এই অধ্যায়ের অধীনে কোনো খতিয়ান প্রস্তুত, বা পুনঃপরীক্ষণের জন্য প্রদত্ত আদেশ সম্বন্ধে বা ঐরূপ কোনো রেকর্ড বা তার অংশবিশেষ প্রস্তুত, প্রকাশ,স্বাক্ষর অথবা সত্যায়ন সম্পর্কে দেওয়ানী আদালতে মামলা আনয়ন করা যাইবে না।
উপধারা-(৩)কোনো ভূমি সম্পর্কে দেওয়ানী আদালতের বা হাইকোর্টের কোনো মামলা, আপিল বা কার্যক্রম বা ঐরূপ মামলা, আপিল বা কার্যক্রমে প্রদত্ত কোনো আদেশ এই আইনের বিধানসমূহ মোতাবেক খতিয়ান অথবা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়ন অথবা পুনঃপরীক্ষণ করার পথে কোনো প্রতিবন্ধকরূপে কার্যকর হইবে না।
ধারা-৩১(বর্তমান খতিয়ান সমূহের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রস্তুত)
উপধারা-(১)১৭ ধারার কার্যক্রমের পরিবর্তে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ১০ম অধ্যায় অথবা ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের ৯ম অধ্যায় মোতাবেক সর্বশেষ প্রস্তুতকৃত এবং চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ানের উপর ভিত্তি করিয়াকোনো রিভিশন ছাড়া অথবা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত বিবরণ রিভিশন বা রেকর্ডভুক্ত করার পর কোনো নির্দিষ্ট জেলা অথবা জেলার অংশ বা স্থানীয় এলাকা সম্বন্ধে ৫ম অধ্যায় মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রস্তুত করার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
উপধারা-(২)যেক্ষেত্রে (১) উপধারার অধীনে কোনো আদেশ প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার সরকার কতৃর্ক প্রণীত বিধি মোতাবেক বিবরণসমূহ রিভিশন অথবা রেকর্ডভুক্ত করিবেন।
উপধারা-(৩)উপধারা (২) মোতাবেক শুদ্ধকৃত স্বত্বলিপি এই অধ্যায়ের অধীনে যথাযথভাবে রিভিশনকৃত এবং চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়ছে বলিয়া গণ্য করা হইবে।
উপধারা-(৪) যেক্ষেত্রে উপধারা (১) মোতাবেক কোনো এলাকা সম্বন্ধে কোনো আদেশ দেয়া হয় সেক্ষেত্রে ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন এর ১০৫, ১০৫ক এবং ১০৬ ধারা বা ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইন এর ১২১, ১২২ এবং ১২৩ ধারা, যেখানে যা প্রযোজ্য হইবে, উক্ত এলাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না এবং উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখে উক্ত ধারাসমূহের অধীনে বিচারাধীন কোনো দরখাস্ত, মামলা বা কার্যক্রমসমূহ আর চলিবে না এবং বাতিল হইবে।

পঞ্চম অধ্যায়
খাজনা প্রাপকদের স্বার্থ ও কতিপয় অন্যান্য
স্বার্থ অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ

ধারা-৩২ (ব্যাখা)

এই অধ্যায়ে খাজনা প্রাপক, মালিক অথবা মধ্যস্বত্বের অধিকারী বলিতে দ্বিতীয় অধ্যায়ের অধীনে যে খাজনা প্রাপক স্বত্বাধিকারী অথবা মধ্যস্বত্বের অধিকারী স্বার্থসমূহ অধিগ্রহণ করা হইয়াছে তাহাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে বা বুঝায়।
ধারা-৩৩ (ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রস্তুতের আদেশ)

৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক যে কোনো জেলা, জেলার অংশ বিশেষ অথবা স্থানীয় এলাকা সম্বন্ধীয় খতিয়ান প্রস্তুত, পুনঃপরীক্ষণ এবং চুড়ান্তভাবে প্রকাশের সাথে সাথে রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত ফরমে এবং নির্ধারিত উপায়ে ক্ষতিপূরণ নির্ধারন বিবরণী তৈরী করিবেন যাহার মধ্যে উক্ত জেলা, জেলার অংশবিশেষ অথবা স্থানীয় এলাকায় অবস্থিত খাজনা প্রাপকগণের সকলের মোট সম্পদ এবং প্রকৃত আয় এবং এই অধ্যায় অথবা ২য় অধ্যায়ের অধীনে যাহাদের স্বার্থসমূহ অধিগ্রহণ করা হইয়াছে সেই সমস্ত ব্যক্তিগণকে এই আইনের বিধানসমূহ মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপুরণসহ নির্ধারিত অপরাপর বিবরণসমূহ উল্লেখ থাকিবে।
শর্ত থাকে যে, সম্পত্তি সম্বন্ধে পঞ্চম ক অধ্যায় মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী করা হইয়াছে এই অধ্যায় অথবা ২য় অধ্যায়ের অধীনে অধিগ্রহণকৃত উক্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরীর কোনোপ্রয়োজন নাই।
ধারা-৩৪(মালিক, মধ্যস্বত্বের অধিকারী বা অন্যান্য খাজনা প্রাপকগণের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ ও পরিশোধের ক্ষেত্রে পৃথক ব্যবহার)

এরূপ ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরীর ক্ষেত্রে বিবরণীর সাথে ম্বন্ধযুক্ত এলাকায় অবস্থিত কোনো এস্টেট, মধ্যস্বত্ব, জোত বা প্রজাস্বত্ব বা কোনো এস্টেটের, মধ্যস্বত্বের, জোতের বা প্রজাস্বত্বের খন্ডে খাজনা আদায়কারী প্রত্যেক স্বত্বাধিকারী, মধ্যস্বত্বের অধিকারী বা অন্যান্য খাজনা প্রাপক, সে ভিন্নভাবে খাজনা আদায় করুক বা অন্যান্যদেরসঙ্গে আদায় করুক না কেন এ অধ্যায় মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ব্যবহৃত হইবে।
শর্ত থাকে যে, মিতক্ষরা আইন মোতাবেক নিয়ন্ত্রিত অবিভক্ত হিন্দু পরিবারের ক্ষেত্রে উক্ত পরিবারের অন্তর্ভুক্ত সমস্ত খাজনা প্রাপকগণ উক্ত উদ্দেশ্যে যৌথভাবে গণ্য বা ব্যবহৃত হবে।
আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে একাধিক স্বত্ত্বাধিকারী, মধ্যস্বত্বের অধিকারী অথবা অন্যান্য খাজনা প্রাপক যৌথভাবে খাজনা প্রাপকের স্বার্থসমূহ অধিকারে রাখে এবং ঐরূপ স্বার্থসমূহের প্রকৃত আয় পাঁচশত টাকা অতিক্রম না করে সে ক্ষেত্রে উক্ত স্বত্বাধিকারীগণ, রায়তী স্বাত্বের অধিকারীগণ, অন্যান্য খাজনা প্রাপকগণ এই অধ্যায় মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে যৌথভাবে গণ্য বা ব্যবহৃত হইতে পারে।
ধারা-৩৫ (খাজনা প্রাপকগণের মোট আয় প্রকৃত আয় গণনা)
উপধারা-(১)এই অধ্যায় মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়নের উদ্দেশ্যে-
(ক)খাজনা প্রাপকের মোট আয় অধীনস্থ প্রজা কতৃর্ক ঐ খাজনা প্রাপককে দেয়া মোট খাজনা ও সেস  এরসমস্টিকে ধরিতেহইবে।
(i)২য় অধ্যায় মোতাবেক স্বার্থ অধিগৃহণের ক্ষেত্রে নোটিশে বর্ণিত তারিখের অব্যবহিত আগের কৃষি বছরের জন্য; ও
(ii)অন্যান্য ক্ষেত্রে ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত স্বত্বলিপির অব্যবহিত আগের কৃষি বছরের জন্য; এবং

যেক্ষেত্রে ঐ খাজনা প্রাপক এবং এস্টেটের মালিক অথবা মধ্যস্বত্বের অধিকারী হয়, সেক্ষেত্রে ২০ ধারা মোতাবেক খাস ভূমি দখলে রাখার জন্য ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক নির্ধারিত মোট যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গত খাজনা ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণী পণয়নের জন্য গণনা করা হয়।
তবেশর্ত থাকে যে, ২৪, ২৫, ২৫ক, ২৭ এবং ২৮ ধারায় বর্ণিত মধ্যস্বত্বের অধিকারী,রায়ত, অধীনস্থ রায়ত অথবা অকৃষি প্রজার ক্ষেত্রে ঐ ভূমির জন্য ঐ সকল ধারার বিধান মোতাবেক ধার্যকৃত ও নির্ধারিত ও ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত স্বত্বলিপিতে অন্তর্ভুক্ত খাজনাকে এই দফার উদ্দেশ্যে ঐ বছরের ঐভূমির জন্য ঐ মধ্যস্বত্বের অধিকরী রায়ত, অধীনস্থ রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কর্তৃক তার উপরস্থ উর্ধ্বতন ভূমির মালিককে দেয়া খাজনা বলে ধরিয়া লওয়া হইবে;(খ)মোট আয় হতে নিম্নলিখিত অর্থ বাদ দিয়ে খাজনা প্রাপকের প্রকৃত আয় গণনা করা হবে-
(i)মোট আয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত ভূমির ক্ষেত্রে সরকার বা উপরস্থ ভূমির মালিককে,ভূমি রাজস্ব অথবা খাজনা ও সেস হিসেবে গ্রহীতা কর্তৃক প্রদানের জন্য গণনা করা হইয়াছিল অথবা গণনা করা হইয়াছে যে পরিমাণ অর্থ;(ii)ঐ বছরের আয়ের জন্য ১৯৪৪ সালের বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন মোতাবেক কর হিসেবে ঐ খাজনা প্রাপক কর্তৃক প্রদানের জন্য গণনা করা হইয়াছিল অথবা গণনা করা হইয়াছে যে পরিমাণ অর্থ;(iii)ঐ বছরের আয়ের জন্য অন্তর্ভুক্ত অকৃষি হতে আগত আয়ের জন্য ১৯২২ সালের আয়কর আইন মোতাবেক কর হিসেবে ঐ খাজনা প্রাপক কর্তৃক প্রদানের জন্য গণনা করা হইয়াছিল অথবা গণনা করা হইয়াছে যে পরিমান অর্থ;(ivঐ ভূমির সেচ ব্যবস্থা এবং সংস্কারমূলক কার্যাদি পরিচালনা করার জন্য খাজনা প্রাপক কর্তৃক ব্যয়কৃত অর্থের বার্ষিক গড় পরিমাণ অর্থ;(iv)মোট আয়ের শতকরা ২০ ভাগের বেশী নহে ঐ পরিমাণ আদায়ের জন্য চার্জ বাবদ অর্থ।
উপধারা-(২)উপধারা (১) এর (খ) দফার (i),(ii),(iii)উপদফায় বর্ণিত অর্থ গণনা করিতে গিয়ে অথবা ঐ দফার (i)উপদফায় বর্ণিত ব্যয় এবং চার্জ নির্ধারণ করিতে গিয়ে রাজস্ব অফিসা সরকার কর্তৃক এই উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধিসমূহ মোতাবেক পরিচালিত হইবে।
ধারা-৩৬(কর্তৃপক্ষকে মানিতে অসম্মত স্বত্বাধিকারীর প্রকৃত আয়)

৩৬ ধারায় ভিন্নরূপ কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও অস্থায়ীভাবে বন্দোবস্তকৃত ব্যক্তিগত ভূ-সম্পত্তির অসম্মত মালিকের ক্ষেত্রে ৩৫ ধারার (১) উপধারার (ক) দফার (i)অথবা (ii)উপদফার উল্লেখিত কৃষি বত্‍সরের ঐরূপ স্বত্বাধিকারীকে প্রদেয় মালিকানাকে ৩৫ ধারা মোতাবেক হিসাবকৃত ঐরূপ স্বাত্বধিকারীর প্রকৃত আয় হিসেবে গণ্য করা হইবে।
ধারা-৩৬ক (শেইর (SAIR)ক্ষতিপূরণ ভাতাগ্রহণকারী প্রকৃত আয়)

৩৫ ধারায় অন্য কিছু থাকা সত্ত্বেও শেইর (SAIR)ক্ষতিপূরণ ভাতা, যা বাজারের, জমিতে আদায়কৃত তোলা ও কর অবলুপ্তির কারণে জমির মালিককে প্রদান করা হয়, গ্রহণকারীর ক্ষেত্রে ঐ গ্রহণকারীকে বার্ষিক প্রদানযোগ্য শেইর (SAIR)ক্ষতিপূরণ ভাতার পরিমাণকে ৩৫ ধারা অনুযায়ী গণনাকৃত ঐ গ্রহণকারীর প্রকৃত আয় হিসেবে গণ্য করিতে হ্ইবে।
ধারা-৩৭(খাজনা প্রাপকের স্বার্থের জন্য ক্ষতিপূরণের হার)

৩৫ এবং ৩৬ ধারা মোতাবেক প্রকৃত আয় গণনা করার পর খাজনা প্রাপকগণের স্বার্থ অধিগ্রহণ সম্পর্কে দেয়া ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নিম্নলিখিতভাবে নির্ধারণ করা হইবেঃ
উপধারা-(১)এক্ষেত্রে খাজনা প্রাপক কোনো এস্টেটের মালিক, স্থায়ী রায়তীস্বত্ব অথবা প্রজাস্বত্বের অধিকারী অথবা কোনো রায়ত বা অধীনস্থ, রায়ত হয় সেক্ষেত্রে ঐ খাজনা প্রাপকের স্বার্থ হইতে আগত প্রকৃত আয়ের উপর ভিত্তি করিয়া নিম্নলিখিত বিবরণী বা টেবিল অনুসারে নির্ধারণ করা হইবে; যথাঃ
 

বাংলাদেশে মোট প্রকৃত আয়ের পরিমাণ

প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের হার

(ক)যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় পাঁচশত টাকা অতিক্রম করে না।

 ঐরূপ প্রকৃত আয়ের দশগুণ ।

(খ)যেক্ষেত্রে গণনাকৃত আয় পাঁচশত টাকা অতিক্রম করে কিন্তু বাংলাদেশে মোট প্রকৃত আয়ের পরিমাণ দুই হাজার অতিক্রম করে না।

ঐরূপ প্রকৃত আয়ের আট গুণ বা উপরের (ক) আইটেম অনুসারে সর্বোচ্চ প্রকৃত প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের হার আয়ের চেয়ে ঐ (ক) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয়।

(গ)যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় দুই হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু পাঁচ হাজার টাকা অতিক্রম করে না।

ঐরূপ প্রকৃত আয়ের সাত গুণ বা উপরের (খ) আইটেম অনুসারে সর্বোচ প্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (খ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয়।

 

(ঘ)যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় পাঁচ হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু দশ হাজার টাকা অতিক্রম করে না।

ঐরূপ প্রকৃত আয়ের ছয় গুণ বা উপরের (গ) আইটেম অনুসারে সর্বোচ প্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (গ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয় ।

(ঙ) যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় দশ হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু পঁচিশ হাজার টাকা অতিক্রম করে না।

ঐরূপ আয়ের পাঁচ গুণ বা উপরের (ঘ) আইটেম অনুসারে সর্বোচপ্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (ঘ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয়।

(চ) যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় পঁচিশ হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকা অতিক্রম করে না।

ঐরূপ আয়ের চার গুণ বা উপরের (ঙ) আইটেম অনুসারে সর্বোচ্চ প্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (ঙ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয়।

(ছ)যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় পঞ্চাশ হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু এক লক্ষ টাকা অতিক্রম করে না।

 

ঐরূপ আয়ের তিন গুণ বা উপরের (চ) আইটেম অনুসারেসর্বোচ্চ প্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (চ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয়।

 

(জ)যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় এক লক্ষ টাকা অতিক্রম করে।

 ঐরূপ আয়ের দুই গুণ বা উপরের (ঙ) আইটেম অনুসারে সর্বোচ্চ প্রকৃত আয়ের চেয়ে ঐ (ঙ) আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত প্রকৃত আয় দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ, যাহার পরিমাণ অধিকতর হয়।

উপধারা-()যেক্ষেত্রে খাজনা প্রাপক অস্থায়ী মধ্যস্বত্বের অথবা অস্থায়ী অপর কোনো প্রজাস্বত্বের অধিকারী হয় সেক্ষেত্রে উক্ত খাজনা প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে উক্ত খাজনা প্রাপক প্রদানযোগ্য ব্যক্তি উক্ত খাজনা প্রাপকের উপরস্থ মালিকের স্বার্থ অধিগ্রহণ করার জন্য এই অধ্যায় অনুযায়ী উপরস্থ মালিককে প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণ হইতে প্রদান করা হইবে; এবং রাজস্ব অফিসার এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিসাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের অর্থ অস্থায়ী রায়তীস্বত্ব বা প্রজাস্বত্বের অধিকারী ও তার উপরস্থ জমির মালিকের মধ্যে ভাগ করে দিবেন; এবং ঐ অংশ ভাগ করার সময় রাজস্ব অফিসার অস্থায়ী রায়তীস্বত্ত্বের অসমাপ্ত সময় বিবেচনার মধ্যে রাখিবেন এবং
উপধারা-()যেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে ওয়কফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদ, দোবাত্তর অথবা অপর কোনো ট্রাস্ট অথবা আইনতঃ বাধ্যবাধকতার অধীনস্থ কোনো এস্টেট,রায়তীস্বত্ত্ব জোত অথবা প্রজাস্বত্বের প্রকৃত আয় অথবা প্রকৃত আয়ের কোনো অংশ কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য আর্থিক সুবিধা সংরক্ষণ ছাড়া দাতব্য অথবা ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণভাবে উত্‍সর্গীকৃত ও প্রযোজ্য হয় সেক্ষেত্রে খাজনা প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্য প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণ দফা (১) অনুযায়ী ধার্য করার পরিবর্তে বার্ষিক বৃত্তি হিসেবে নির্ধারিত নিয়মে ধার্য করা হইবে যাহার পরিমাণ ঐ প্রকৃত আয় অথবা আয়ের অংশ যেখানে যা প্রযোজ্য তার সমান হইবে।
ধারা-৩৮ (একাধিক এলাকায় কোনো খাজনা প্রাপকের স্বার্থসমূহের ক্ষতিপূরণ বিবরণী প্রস্তুত)

যেক্ষেত্রে কোনো খাজনা প্রাপক একাধিক এলাকায় অবস্থিত স্বার্থসমূহের খাজনা গ্রহণের অধিকারী হয় সেক্ষেত্রে ঐ স্বার্থ প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এই উদ্দেশ্যে সরকার কতৃর্ক প্রণীত বিধিসমূহ মোতাবেক নির্ধারণ করা হইবে এবং উক্ত স্বার্থ সম্বন্ধীয় ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী করা হইবে।
ধারা-৩৯ (খাস ভূমির ক্ষতিপূরণেরর হার)
উপধারা-()খাজনা প্রাপক, চাষী রায়ত, অধীনস্থ চাষী রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা ২০ ধারা মোতাবেক যে সকল ভূমি অধিকারে রাখতে পারে না সেই খাস দখলীয় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিবরণী অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হইবে।

ভূমির শ্রেণী

প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের হার

(ক)কৃষি চাষ, ফল চাষ অথবা পুকুরের জন্য ব্যবহৃত ভূমির জন্য

 উক্ত ভূমি হইতে আগত বার্ষিক লাভের পাঁচগুণ।

(খ)যে সকল ভূমির উপর হাট অথবা বাজার বসে সেই সকল ভূমির জন্য

 উক্ত হাট অথবা বাজার হইতে আগত বার্ষিক লাভের পাঁচগুণ।ঐ

(গ)চাষযোগ্য অথবা সংস্কারের পর চাষযোগ্য ভূমির জন্য-
(i)লাভজনক ভূমি
(ii)অলাভজনক ভূমি

উক্ত ভূমি হইতে আগত বার্ষিক লাভের পাঁচগুণ বা বার্ষিক রায়তী এই উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার কতৃর্ক নির্ধারিত পার্র্শ্ববর্তী চাষযোগ্য ভূমির সমান এলাকার খাজনার দশগুণ, যার পরিমাণ অধিকতর হয়।
একর প্রতি দশ টাকা।

 

(ঘ)মত্‍স্য খামার বা বনাঞ্চলের জন্য বা ফেরী হিসেবে ব্যবহৃত ভমির জন্য

উক্ত ভূমি হইতে আগত বার্ষিক লাভের পাঁচগুণ।

(ঘ-১)জঙ্গল, নদীর কোর্স অথবা মত্‍স্য খামার নয় এরূপ অচাষযোগ্য ভূমি যথা-রাস্তা,পথ, সাধারণের জন্য গোস্থান অথবা শ্মশানঘাট, নদী, খাল ও জলের কোর্স যা সর্ব-সাধারণ তাহাদের স্বাভাবিক অথবা প্রথাগত অধিকার দ্বারা অথবা ইজমেন্ট-এর অধিকার দ্বারা ব্যবহার করে ঐরূপ ভূমির জন্য  যেক্ষেত্রে প্রকৃত আয় দশ হাজার টাকা অতিক্রম করে কিন্তু পঁচিশ হাজার টাকা অতিক্রম করে না।

 উক্ত ভূমি হতে আগত বার্ষিক লাভের পাঁচগুণ।

(ঙ)খালি অ-কৃষি ভূমির জন্য

নির্ধারিত নিয়মে ধার্যকৃত ভূমি ইজারা দেয়ার বার্ষিক মূল্যের পাঁচগুণ।

(চ)দালানসহ ভূমির জন্য
(i)ভূমি
(ii)দালান

 

নির্ধারিত নিয়মে ধার্যকৃত ভূমি ইজারা দেয়ার বার্ষিক মূল্যের পাঁচগুণ।

নির্ধারিত নিয়মে ধার্যকৃত অপচয় বাদ দিয়ে নির্মাণের প্রকৃত খরচ।

উপধারা-(১ক)উপধারা (১) এ ভিন্নতর কিছু থাকা সত্ত্বেও, যে ভূমিতে হাট বা বাজার বসে অথবা যে ভূমি বন অথবা মত্‍স্য খামার লইয়াগঠিত হয় অথবা ফেরীর জন্য ব্যবহৃত হয় ঐরূপ ওয়াকফ,ওয়াকফ-আল-আওলাদ, দেবাত্তর বা অন্য কোনো ট্রাস্ট-এর অধীনস্থ খাস জমি অথবা সম্পূর্ণরূপে উত্‍সগীর্কৃত করা হইয়াছে ও যার আয় কোনো ব্যক্তি বিশেষের আর্থিক সুবিধা সংরক্ষণ ছাড়া ধর্মীয় অথবা দাতব্য উদ্দেশ্যে প্রযোজ্য করা হইয়াছে এরূপ জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণ ঐ উপধারায় উল্লেখিত বিবরণী অনুযায়ী নির্ধারণ করার পরিবর্তে নির্ধারিত নিয়মে ধার্যকৃত উক্ত প্রযোজ্য বার্ষিক গড় আয়ের পরিমাণ অর্থ বার্ষিক বৃত্তি হিসেবে ধার্য করা হইবে,কিন্তু উক্ত বৃত্তির পরিমাণ এই ধারার বিধান মোতাবেক নির্ধারিত ঐ জমি হইতে আগত প্রকৃত বার্ষিক লাভের অতিরিক্ত হইবে না।
শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদ বা অন্য কোনো ট্রাস্টের অধীনস্থ জমি হইতে ধর্মীয় অথবা দাতব্য উদ্দেশ্যে উত্‍সর্গীত হয় ও অংশ বিশেষ কোনো ব্যক্তির আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য সংরক্ষণ করা হয় যা এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত হইয়াছে তাহা এই উপধারার আওতাধীন থাকিবে।
উপধারা-(২)উপধারা (১) ও (১ক) মোতাবেক জমির শ্রেণীবিন্যাসের ক্ষেত্রে কোনো বিবাদ দেখা দিলে তা নির্ধারিত রাজস্ব কতৃর্পক্ষের নিকট পাঠানো হইবে যার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।
উপধারা-(৩)উপধারা (১) এর (ক) ও (খ) দফার উদ্দেশ্যে জমি হতে প্রকৃত বার্ষিক লাভ নিম্নলিখিত নিয়মে নির্ধারণ করা হবে৷
(ক) যে বছরের জন্য নির্ধারণী বিবরণ প্রস্তুত করা হইবে তার অব্যবহিত দশ বছরের পূর্বের প্রত্যেক প্রকার ফসলের গড় দাম দ্বারা, নির্ধারিত নিয়মে জমির স্বাভাবিক বার্ষিক উত্‍পাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করিয়া প্রথমে জমির বার্ষিক উত্‍পাদনের মোট মূল্য গণনা করা হইবে।
(খ) ভূমির বার্ষিক উত্‍পাদনের মোট মূল্য হইতে নিম্নলিখিত বিষয় বাদ দিয়ে প্রকৃত বার্ষিক লাভ গণনা করিতে হইবে-
(i)আবাদের জন্য খরচ হিসেবে নির্ধারিত নিয়মে ধার্যকৃত অর্থ যার পরিমাণ ভূমির বার্ষিক উত্‍পাদনের মোট মূল্যের শতকরা পাঁচ ভাগের বেশী হবে না;(ii)ভূমির বার্ষিক রাজস্ব বা খাজনা ও সেস কর হিসেবে খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক,অধীনস্থ রায়তী কৃষক বা অকৃষি প্রজা কতৃর্ক প্রদানযোগ্য গণনাকৃত অর্থ;(iii)১৯৪৪ সালের বঙ্গীয় কৃষি আয়কর আইন মোতাবেক ঐ জমির আয়ের জন্য কর হিসেবে খাজনা প্রাপক, রায়তী কৃষক, অধীনস্থ কৃষক অথবা অকৃষি প্রজা কতৃর্ক প্রদানযোগ্য গণনাকৃত অর্থ;(vi)১৯২২ সালের আয়কর আইন মোতাবেক উক্ত জমির আয়ের জন্য কর হিসেবে খাজনা প্রদান অথবা অকৃষি প্রজা কতৃর্ক প্রদানযোগ্য গণনাকৃত অর্থ।
উপধারা-(৪)উপধারা (১) এর (খ) (ঘ) ও (ঘ-১) দফার উদ্দেশ্যে প্রকৃত বার্ষিক আয় বলিতে এই উদ্দেশ্যে সরকার কতৃর্ক প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক রাজস্ব অফিসার কর্তৃক নির্ধারিত প্রকৃত বার্ষিক আয়কে বুঝায়।
উপধারা-(৫)যেক্ষেত্রে রায়তী কৃষক অথবা অকৃষি প্রজা কতৃর্ক অধিকৃত জমি যার জন্য (১) উপধারা মোতাবেক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়, রেহেন অবস্থায় থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত উপধারা মোতাবেক ঐ রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক অথবা অকৃষি প্রজা ও তাহার রেহেন গ্রহীতার মধ্যে ভাগ করিয়া দেওয়া হইবে; এবং রাজস্ব অফিসার এই আইন মোতাবেক এই আইনের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধানসমূহ মোতাবেক উক্ত ক্ষতিপূরণ ভাগ করিয়াদিবেন;এবং ঐ ভাগ করার সময় রাজস্ব অফিসার খাই-খালাসী রেহেনের ক্ষেত্রে উক্ত রেহেনের ক্ষেত্রে উক্ত রেহেনের অসমাপ্ত সময়কে বিবেচনার মধ্যে রাখিবেন।
ধারা-৪০ ( ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রাথমিকভাবে প্রকাশ)

এই অধ্যায়ের অধীনে অধিগ্রহণযোগ্য বা ২য় অধ্যায় মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এই রকম খাজনা প্রাপক চাষী রায়ত, অধীনস্থ চাষী রায়ত এবং অকৃষি প্রজার খাজ ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ২৭, ৩৮ এবং ৩৯ ধারা মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপূরণের অংক নির্ধারিত হওয়ার পর ৩৩ ধারা মোতাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী করিবেন ও উক্ত বিবরণী যখন তৈরী হইবে রাজস্ব অফিসার তখন তার খসড়া নির্ধারিত নিয়মে ত্রিশ দিনের কম নহে এরূপ সময়ের জন্য প্রকাশ করাইবেন এবং উক্ত প্রকাশের সময়ের মধ্যে এতে কোনো কিছু অন্তর্ভুক্ত করা অথবা এ হইতে কোনো কিছু বাদ দেওয়া সম্বন্ধে আপত্তি গ্রহণ করিবেন ও তা বিবেচনা করিবেন এবং সরকার কতৃর্ক এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক ঐ সমস্ত আপত্তির নিষ্পত্তি করিবেন।
তবেশর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীনে কোনো আপত্তি করা চলিবে না-
(i)এই ব্যক্তির দ্বারা যে খসড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরীতে অন্তর্ভুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়নি; অথবা
(ii)ঐ বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এরূপ খাজনার পরিমাণ সম্বন্ধে যা ৫ ধারা অথবা ৪র্থ অধ্যায় অথবা ৪৬ক ধারার (২) উপধারা মোতাবেক নির্ধারিত হইয়াছে।
উপধারা-(২)কোনো জেলায় অথবা জেলার অংশে অথবা স্থানীয় এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন গ্রাম অথবা দলবদ্ধ গ্রামসমূহের নিমিত্ত অথবা এক বা একাধিক ব্যক্তি যাহার অথবা যাহাদের বিভিন্ন এলাকায় থাকা স্বার্থ যে সম্বন্ধে ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক খতিয়ান রিভিশন এবং চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হইয়াছে তাহার বা তাহাদের নিমিত্ত (১) উপধারা মোতাবেক ভিন্ন খসড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রস্তুত ও প্রকাশ করা যাইতে পারে।
ধারা-৪১(উর্ধ্বতন রেভিনিউ কতৃর্পক্ষের নিকট আপিল)

৪০ ধারার (১) উপধারায় প্রদত্ত রাজস্ব অফিসারের প্রতিটি আদেশের বিরুদ্ধে উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে দুই মাস মেয়াদের মধ্যে নির্ধারিত উধ্বতন রাজস্ব অফিসারের নিকট আপিল করা চলিবে; এবং উক্ত উর্ধ্বতন রাজস্ব অফিসার এতদুদ্দেশ্যে সরকার কতৃর্ক প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক উক্ত অাপিল বিবেচনা ও নিষ্পত্তি করিবেন।
ধারা-৪২ (ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীর চুড়ান্ত প্রকাশ)

যেক্ষেত্রে ঐরূপ সমস্ত আপত্তি ও আপিলের নিষ্পত্তি হয় সেই ক্ষেত্রে খসড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে রাজস্ব অফিসার ঐরূপ পরিবর্তন সাধন করিবেন যাহা৪০ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক আনীত আপত্তি বা ৪১ ধারা মোতাবেক আপিলের প্রেক্ষিতে দেওয়া আদেশ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজন হইয়া পড়ে এবং ঐ পরিবর্তিত বিবরণী নির্ধারিত নিয়ম মোতাবেক চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করিবেন এবং উক্ত প্রকাশ এই অধ্যায়ের অধীনে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী সঠিকভাবে প্রস্তুত হইয়াছেতাহার চুড়ান্ত সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হইবে এবং চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রতিটি এন্ট্রি অতঃপর বর্ণিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে, উক্ত এন্ট্রিতে বর্ণিত বিষয় খাজনা প্রাপকগণের স্বার্থ সমূহের প্রকৃতি, ভূমির সঠিক পরিমাণ ও স্বার্থের দাবিদারগণের মধ্যে ক্ষতিপূরণ হারাহারিভাবে বন্টন এবং চুড়ান্ত সাক্ষ্য হিসেবে ধরা হইবে।
ধারা-৪৩ ( ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীর চুড়ান্ত প্রকাশ সম্পর্কে সার্টিফিকেট ও অনুমান)
উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে ৪২ ধারায় কোনো ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয় সেক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক সাধারণ অথবা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্ধারিত সময়ে রাজস্ব অফিসার উক্ত চুড়ান্ত প্রকাশ এবং প্রকাশের তারিখের ঘটনা বর্ণনাক্রমে একটি সার্টিফিকেট তৈরী করিবেন ও তাতে তার নাম এবং অফিসের উপাধিসহ দস্তখত করিবেন ও তারিখ লিখিবেন।
উপধারা-(২)৪২ ধারায় কোনো গ্রাম, দলবদ্ধ গ্রাম অথবা স্থানীয় এলাকা সম্বন্ধে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণী বিবরণ চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ঐ বিজ্ঞপ্তিতে তারিখ এবং চুড়ান্ত প্রকাশের বিষয় বর্ণনা করিয়াঘোষনা দিবেন যে, উক্ত গ্রাম, অথবা দলবদ্ধ গ্রাম অথবা স্থানীয় এলাকা, যেখানে যেমন প্রযোজ্য হয় এর নিমিত্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়াছে ও উক্ত বিজ্ঞপ্তি উক্ত প্রকাশ এবং তারিখের চুড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে গণ্য হইবে।
ধারা-৪৪ ( স্বাত্বাধিকারী,রায়তীস্বত্বের অধিকারী ও অন্যান্য খাজনা প্রাপকগণের স্বার্থ ও কতিপয় খাস জমি সরকার কতৃর্ক অধিগ্রহণ ও সরকারের উপর ন্যাস্ত ও তার ফলাফল)

আপাততঃ বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে অথবা এই আইনের ২য় অধ্যায় অথবা অপর কোনো চুক্তিতে ভিন্ন কিছু বলা থাকা সত্ত্বেও ৩ ধারার (৪) উপ-ধারার (ক) (খ) (গ) ও (ঘ) দফার ৪০ এবং ৪৬ঙ ধারার (৩) উপধারার বিধান সাপেক্ষে ৪৩ ধারার (২) উপধারা মোতাবেক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়াছেএই মর্মে ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি সরকারী গেজেট প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নলিখিত ফলাফল উদ্ভব হইবে, যথাঃ
উপধারা-(১) কোনো এস্টেটে নিহিত সব স্বত্বাধিকারীর রায়তীস্বত্বে নিহিত সব রায়তী স্বত্বের অধিকারীর এবং বিবরণীতে বর্ণিত এলাকায় পত্তনভুক্ত জোত অথবা প্রজাস্বত্বে নিহিত অন্য সব খাজনা প্রাপকের স্বার্থ বা ঐ এলাকাভুক্ত এস্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্ব, যেখানে যা প্রযোজ্য হয়, এর অংশ বিশেষের স্বার্থসহ ঐ সব ভূ-স্বামী রায়তী স্বত্বের অধিকারী এবং অন্য খাজনা প্রাপকের বা ঐ এলাকাভুক্ত এস্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্ব অথবা ঐ এস্টেট রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের অংশ বিশেষের ভূমি যাহা ঐ স্বত্বাধিকারী রায়তী স্বত্বের অধিকারী এবং অন্য খাজনা প্রাপকের খাস দখলে থাকে এতে নিহিত স্বার্থ ও ইতঃপূর্বে ২য় অধ্যায় মোতাবেক বা ৪৬ঙ ধারার (৩) উপধারা মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এমন স্বার্থ ছাড়া ঐ এস্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্ব বা ঐ এস্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের অংশ বিশেষের জমির মাটির নীচে নিহিত সব খাজনা প্রাপকের স্বার্থসহ জমির অধিকার সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছরের ১লা তারিখ হইতে সরকার কতৃর্ক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে বলিয়া ধরিয়ালওয়া হইবে এবং দফা (২) এ বর্ণিত ঐ ভূ-স্বামী রায়তী স্বত্বের অধিকারী এবং অন্য খাজনা প্রাপকের অধিকার সাপেক্ষে সব রকম দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর সম্পূর্ণভাবে ন্যস্ত হইবে।
উপধারা-(২)প্রত্যেক স্বত্বাধিকারী, রায়তী স্বত্বের অধিকারী এবং অন্য খাজনা প্রাপক যার বিবরণীর সাথে সম্পর্কযুক্ত এলাকায় অবস্থিত কোনো এস্টেট রায়তীস্বত্ব বা জোত বা প্রজাস্বত্বের বা কোনো এস্টেট, রায়তীস্বত্ব অথবা জোত অথবা প্রজাস্বত্বের অংশ বিশেষে নিহিত স্বার্থ, যেখানে যা প্রযোজ্য হয়, এই আইন মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে, যে ৪র্থ অধ্যায় মোতাবেক যে সমস্ত জমি দখলে রাখার অধিকারী হয় তা সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছরের প্রথম দিন হতে কার্যকর এই আইনের বিধান সাপেক্ষে সরকারের অধীনে সরাসরি প্রজা হিসেবে দখলে রাখার অধিকারী হইবে।
উপধারা-(৩)যে সব জমি রায়ত, অধীনস্থ রায়ত, অথবা অকৃষি প্রজা চতুর্থ অধ্যায় মোতাবেক দখলে রাখার অধিকারী তার অতিরিক্ত বিবরণীরসাথে সম্পর্কযুক্ত এলাকায় অবস্থিত এ রায়ত, অধীনস্থ রায়ত ও অকৃষি প্রজার স্বার্থসহ ইতঃপূর্বে এই আইনের অন্য কোনো বিধান মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছেএই রকম স্বার্থ ছাড়া অধিকৃত অতিরিক্ত সব জমির মাটির নীচে নিহিত স্বার্থ ও সেখানে নিহিত সমস্ত অধিকার সরকারী গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখের পরবর্তী কৃষি সালের ১লা তারিখ হইতে সরকার কতৃর্ক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে এবং সকল প্রকার দায়দেনা মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর সম্পূর্ণভাবে ন্যস্ত হইবে।
উপধারা-(৪)উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছরের ১লা তারিখের অব্যবহিত পূর্বে বিবরণীর সাথে সম্পর্কযুক্ত এলাকায় অবস্থিত জমির অধিকারী সব রায়তী কৃষক, অধীনস্থ রায়তী কৃষক এবং অন্য কোনো প্রজা, যদি তারা ইতঃপূর্বে এই আইনের অন্য কোনো বিধান মোতাবেক সরকারের সরাসরি প্রজা না হইয়া থাকে, তবে উক্ত কৃষি বছরের ১লা তারিখ হইতে কার্যকরী সরকারের অধীনস্থ প্রজা হইবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে ঐসব জমি যেগুলি (৩) দফা মোতাবেক বা এই আইনের অন্য কোনো বিধান মোতাবেক সরকারের উপর ন্যস্ত হয়নি এতে দখলে রাখার অধিকারী হইবে এবং ঐ অধিকৃত জমির জন্য সরকারকে খাজনা প্রদানের জন্য দায়ী থাকিবে।
উপধারা-(৫)৩ ধারার (৪) উপধারার (খ) দফায় বর্ণিত সব বকেয়া রাজস্ব এবং সেস করসহ সুদ যদি পাওনা থাকে বিবরণীর সাথে সম্পর্কযুক্ত এলাকায় অবস্থিত এস্টেট সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছরের ১লা তারিখে বৈধভাবে প্রাপ্য হইলে এতে ঐ কৃষি বছরের ১লা তারিখের পর বিদায়ী মালিকের নিকট আদায়যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে ও আদায়ের জন্য অন্য কোনো নিয়মের পরিপন্থী কোনো কাজ না করিয়া কালেক্টর কতৃর্ক আদেশ প্রদান করা হইলে ঐ মালিককে প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ঐ বকেয়া সেস কর এবং সুদের অর্থ বাদ দিয়ে তা আদায় করা হইবে।
উপধারা-(৬)১৮৮২ সালের বঙ্গীয় ইমব্যাংকমেন্ট আইন বা ১৯৫২ সালের পূর্ব বঙ্গীয় ইমব্যাংকমেন্ট এন্ড ড্রেইনেজ আই মোতাবেক খাজনা প্রাপকের নিকট সরকার কতৃর্ক আদায়যোগ্য সব অর্থ বা ঐ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছরের ১লা তারিখে প্রাপ্য থাকে এবং যাহা ৩ ধারার (৪) উপধারার (ঘ) দফা অনুযায়ী ইতঃপূর্বে আওতাভুক্ত হয়নি ঐ অর্থ ১৮৮২ সালের বঙ্গীয় ইমব্যাংকমেন্ট আইন অথবা ১৯৫২ সালের পূর্ব বঙ্গীয় ইমব্যাংকমেন্ট এন্ড ড্রেইনেজ আইন মোতাবেক বকেয়া পাওনা হিসেবে হোক অথবা ভবিষ্যতের কিস্তি হিসেবে হোক আদায়ের অপর কোনো নিয়মের পরিপন্থী কোনো কাজ না করিয়া কালেক্টর কতৃর্ক আদেশ প্রদান করা হইলে আদায়যোগ্য অর্থের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জমির স্বার্থ অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে খাজনা প্রাপকের প্রদানযোগ্যক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ঐ বকেয়া পাওনা এবং ভবিষ্যতের কিস্তির অর্থ বাদ দিয়া অাদায় করাহইবে।
উপধারা-(৬ক)১৯৪৪ সালের বেঙ্গল এগ্রিকালচারালইনকাম ট্যাক্স এ্যাক্টমোতাবেক কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে সরকারের আদায়যোগ্য বকেয়া কৃষি আয়কর যাহা উক্তবিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখের পরবর্তী কৃষি বত্‍সরের১লা তারিখে প্রাপ্য থাকে ও যাহা ৩ ধারার (৪) উপধারার (ঘ) অনুচ্ছেদ দ্বারা আদায় হয়নাই আদায়ের অপর কোনো নিয়মের পরিপন্থী কোনো কাজ না করিয়া কালেক্টর কর্তৃক আদেশ প্রদানকরা হইলে আদায়যোগ্য অর্থের সংগে সম্পর্কযুক্ত স্বার্থ অথবা জমির বেলায় ৫৮ ধারামোতাবেক উক্ত ব্যক্তিকে প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ঐ বকেয়া অর্থ বাদ দিয়াআদায় করা হইবে।

উপধারা-(৭)উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখের পরবর্তী কৃষি বত্‍সরের১লা তারিখে পূর্ববর্তী যে কোনো সময়ের ঐ বিবরণীর সংগে সম্পর্কযুক্ত কোনো রায়তীস্বত্ব, জোত অথবা জমির বকেয়া খাজনা এবং সেসকর তদসহ সুদ যাহা তামাদি হইয়া যায় নাই অথবাইতিপূর্বে ৩ (৪) ধারার ঙ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সরকারের উপর ন্যস্ত হয় নাই উক্ত কৃষি বত্‍সরের১লা তারিখে অথবা ১লা তারিখ হইতে সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে এবং সরকার কর্তৃকআদায়যোগ্য হইবে ও আদায়ের অপর কোনো নিয়মের পরিপন্থী কোনো কাজ না করিয়া কালেক্টর কর্তৃকআদেশ প্রদান করা হইলে ৫৮ ধারা মোতাবেক উক্ত ব্যক্তিকে প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থহইতে ঐ বকেয়া খাজনা, সেসকর ও সুদের অর্থ বাদ দিয়া উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে আদায় করাহইবে;

উপধারা-(৮)উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখের পরবর্তী কৃষি বত্‍সরেরতারিখ হইতে কার্যকরী খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অথবা জমির বেলায় বিজ্ঞপ্তির সংগেসম্পর্কযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে ধার্যকৃত ক্ষতিপূরণের জন্য ঐ ধারার (১)অথবা (২) অথবা (৪ক) উপধারা মোতাবেক প্রদত্ত অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ প্রদানেরপরিসমাপ্তি ঘটিবে; এবং ঐ স্বার্থ অথবা জমি সম্পর্কে ঐ ধারার (১) অথবা (২) অথবা (ক)উপধারা মোতাবেক মোট প্রদত্ত অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ উক্ত স্বার্থ অথবা জমির জন্য ঐধারা মোতাবেক অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ প্রদানের তারিখ হইতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ারকৃষি বত্‍সরেরশেষ দিন পর্যন্ত সময়ের জন্য ঐ বিবরণীতে বর্ণিত স্বার্থ অথবা জমির জন্য নির্ধারিতক্ষতিপূরণের অর্থের শতকরা তিনভাগ পরিমাণ অর্থ ঐ ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে বাদ যাইবে।

ধারা ৪৫(রাজস্ব অফিসার কর্তৃক ঘোষণা)- সরকারী গেজেটে ৪৩ (২) ধারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাথে সাথে রাজস্ব অফিসার প্রকাশিতবিজ্ঞপ্তির সহিত সম্বন্ধযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে অন্তর্ভূক্ত এলাকায়স্থানীয় ভাষায় একটি ঘোষণা প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন-

(ক)ঐরূপ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হইবার প্রেক্ষিতে ৪৪ ধারা মোতাবেক যে সমস্ত ফলাফল উদ্ভুতহইয়াছে সেইগুলি ব্যাখ্যা করিয়া; ও

(খ)ঐরূপ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পরের কৃষি বত্‍সরেরপ্রথম দিন হইতে যে সমস্ত ব্যক্তি সরকারের প্রজা হইবে উহাদিগকে সরকার ছাড়া অপর কোনোব্যক্তি খাজনা প্রদান না করিবার নিমিত্ত নির্দেশ জারী করিয়া।

ধারা ৪৬খতিয়ান মুদ্রণ ওবিতরণ-

উপধারা-(১)সকল এস্টেট, মধ্যস্বত্ব অথবা জেলা, জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকায় অবস্থিত জোত বাপ্রজাস্বত্বে নিহিত খাজনা প্রাপকের স্বার্থ যেগুলি সম্বন্ধে ৪র্থ অধ্যায়ের অধীনেখতিয়ান প্রণয়ন পরিমার্জন এবং চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়াছে সেইগুলির সংগেসম্বন্ধযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রকাশিত হইবার পর ঐ খাজনা প্রাপকদেরপর্যায়ভুক্ত সম্পূর্ণ স্বার্থের পরিসমাপ্তি ঘটাইয়া ও যে সকল ব্যক্তি ঐ স্বার্থঅধিগ্রহণ করার ফলে প্রজা হিসাবে সরাসরি সরকারের অধীনে আসিবে তাহা প্রদর্শন করিয়াসংশোধন করা হইবে, ও জেলার রাজস্ব বিবরণী প্রকাশের পরে খতিয়ানের সহিত সম্বন্ধযুক্তএলাকায় এক বা একাধিকসদস্যেরজন্ম হইলে তাহা ঐ উদ্দেশ্যেসরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিসমূহ মোতাবেক কালেক্টর কর্তৃক নির্ধারিত হইবে ।

উপধারা-(২)খতিয়ানের মুদ্রিত অনুলিপি উহার সংগে সম্পর্কযুক্ত এলাকায় প্রজাদের মধ্যেনির্ধারিত নিয়মে বিনামূল্যেবিতরণ করা হইবে ।

দ্বিতীয় অধ্যায়ের অধীন অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীপ্রস্তুতকরণের জন্য বিশেষ বিধানসমূহ ৫-ক অধ্যায় অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীপ্রস্তুতকরণ ।

ধারা-৪৬( বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রেক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রস্তুতকরণ)-

উপধারা-(১)১৭ অথবা ৩১ ধারার অধীনে কার্যক্রমপরিচালনা করিবার পরিবর্তে সরকার গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ৩ক ও ৪ ধারারঅধীন দাখিলকৃত অথবা দখলকৃত বিবরণী কাগজপত্র এবং দলিল-দস্তাবেজের উপর ভিত্তি করিয়া ৩ধারার অধীন অধিগ্রহণকৃত খাজনা প্রাপকের সম্পত্তি ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরীকরিবার জন্য আদেশ দিতে পারিবেন ।

উপধারা-(২)যখন (১) উপধারার অধীন আদেশ করা হয় তখন রাজস্ব অফিসার ঐবিবরণী, কাগজপত্র এবং দলিল-দস্তাবেজ নির্ধারিত নিয়মে পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন, প্রয়োজন মাফিক সংশোধন করিবেন ও ঐ খাজনা প্রাপকের অব্যবহিত অধীনস্থ সকল প্রজার যথাযথও ন্যায়সংগত খাজনা ২৪, ২৫, ২৫ক, ২৬ ও ২৮ ধারায় বর্ণিত নীতি অনুসারে নির্ধারিত করিবেন ।

উপধারা-(৩)উপধারা (২) এর অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার পর রাজস্বঅফিসার নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত নিয়মে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী করিবেনযাহাতে ঐ খাজনা প্রাপকের মোট সম্পত্তি ও প্রকৃত আয় এই আইনের বিধানাবলী অনুসারেতাহার প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ও তদসহ নির্ধারিত অন্যান্য বিবরণ থাকিবে ।

ধারা৪৬-খ (দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারে প্রতিবন্ধকতা)

৪৬ ধারারঅধীনে কোনো আদেশ প্রদানের পর উক্ত ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী যে ভূমির যথাযথ ওন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণ করা প্রয়োজন হয় সেই ভূমির খাজনা পরিবর্তন অথবা নির্ধারণেরজন্য কোনো দেওয়ানী আদালত কোনো মামলা বা দরখাস্ত গ্রহণ করিবেন না এবং উক্ত আদেশপ্রদানের তারিখে যদি কোনো মামলা অথবা দরখাস্ত কোনো দেওয়ানী আদালতে রুজু থাকে তবে উহারকার্যক্রম আর চলিবে না এবং উহা বাতিল হইবে ।

ধারা ৪৬-গ(পঞ্চম-ক অধ্যায়ের অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণবিবরণীর ক্ষেত্রে ৩৪-৩৪ ধারার বিধানসমূহ প্রয়োগ)

 এই অধ্যায়ের অধীন ক্ষতিপূরণনির্ধারণ বিবরণী তৈরী ও প্রকাশের ক্ষেত্রে-

(ক)৩৪, ৩৮ এবং ৪০-৪৩ ধারার বিধানসমূহ যতটুকু প্রযোজ্য ততটুকুপ্রয়োগ করিতে হইবে;

(খ)৩৭ ও ৩৯ ধারার বিধানাবলী সম্পূর্ণ প্রয়োগ হইবে;

(গ)নিম্নলিখিত সংশোধনসাপেক্ষে ৩৫ ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্যহইবে যথা:

“(ক)বিজ্ঞপ্তি তারিখের অব্যবহিত অধীনস্থ প্রজাগণ কর্তৃকপ্রদত্ত”মোট খাজনা ও সেস নিয়া ও যেক্ষেত্রে ঐ খাজনাপ্রাপক কোনো এস্টেটের মালিক বামধ্যস্বত্বের অধিকারী হয় সেক্ষেত্রে ২০ ধারার অধীন ঐ এস্টেটের বা মধ্যস্বত্বের মধ্যেঅধিকৃত খাস ভূমির জন্য ৫ ধারার অধীন নির্ধারিত মোট যথাযথ ও ন্যায়সংগত খাজনা নিয়া ঐখাজনাপ্রাপকের মোট আয় গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য করা হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো (মধ্যস্বত্বের অধিকারী) বা রায়তঅধীনস্থ রায়ত অথবা অকৃষি প্রজার ক্ষেত্রে ২৪, ২৫, ২৫ক ও ২৮ ধারায় নীতিসমূহ মোতাবেক৪৬ (ক) ধারার (২) উপধারায় কোনো ভূমির জন্য নিধারিত খাজনাকে এই অনুচ্ছেদেরউদ্দেশ্যপূরণের জন্য ঐ ভূমির জন্য ঐ রায়ত, অধীনস্থ রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কর্তৃক ঐবত্সরের জন্য প্রদানযোগ্য খাজনা বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে । ”

ধারা-৪৬ঘ(৫ম-ক অধ্যায়ের অধীন অবাধ্য মালিকের প্রকৃত আয়)

৪৬ গ ধারার (গ) অনুচ্ছেদে যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, অস্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেওয়াব্যক্তিগত সম্পত্তির অবাধ্য মালিকের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখেরঅব্যবহিতআগের বত্সরে উক্ত মালিককে প্রদত্ত মালিকানাকে উক্ত অনুচ্ছেদ অনুযায়ীহিসাবকৃত উক্ত মালিকের প্রকৃত আয় বলিয়া গণ্য করা হইবে ।

ধারা-৪৬(ঙ) পঞ্চম-ক অধ্যায়ের অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীচূড়ান্ত প্রকাশনার ফলাফল-

 দ্বিতীয় অধ্যায়ে যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, ৪৩ধারার (২) উপধারার ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হইয়াছে এইমর্মে ঘোষণা দিয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রেক্ষিতে ।

উপধারা-(১)ধারা-৩ এর (৪) উপধারার ঙ অনুচ্ছেদের অধীন যে সমস্ত প্রজা সরকারেরসরাসরি প্রজা হিসাবে গণ্য হয় তাহারা ঐ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার তারিখের অব্যবহিতপরবর্তী কৃষি বত্সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকর তাহাদের অধিকৃত ভূমির জন্য এইঅধ্যায়ের অধীন নির্ধারিত হারে সরকারকে খাজনা প্রদান করিবে ।

উপধারা-(২)ঐ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার তারিখে পরবর্তী কৃষি বত্সরেরপ্রথম দিন হইতে কার্যকর খাজনা প্রাপকের স্বার্থ বা ভূমির ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তির সহিতসম্বন্ধযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে ধার্যকৃত ক্ষতিপূরণের জন্য ৬ অথবা ৬ক ধারামোতাবেক প্রদত্ত অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ প্রদানের তারিখ হইতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিতহওয়ার কৃষি বত্সরের শেষ দিন পর্যন্ত সময়ের জন্য ঐ বিবরণীতে বর্ণিত স্বার্থ বাভূমির জন্য নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের অর্থের শতকরা ৩ ভাগ পরিমাণ অর্থ ঐ ক্ষতিপূরণেরঅর্থ হইতে বাদ যাইবে ।

উপধারা-(৩)ঐ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পরবর্তী কৃষিবত্সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকর খাস দখলীয় সকল ভূমিতে খাজনা প্রাপকের স্বার্থ যাহাসে ২০ ধারা মোতাবেক দখলে রাখার অধিকারী নহে অথবা যাহার জন্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণবিবরণীতে ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হইয়াছে যদি তাহা ৩ (২) ধারানুসারে ইতিপূর্বে অধিগৃহীতনা করা হইয়া থাকে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে ওসম্পর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় চূড়ান্তভাবে সরকারেরর উপর বর্তাইবে ।

ধারা-৪৭ রাজস্ব ও বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ-অত্রআইনের এই খণ্ডের উদ্দেশ্যে  নিম্নলিখিত কর্তৃপক্ষ থাকিবে:

(ক)স্টেট পার্চেজ কমিশনার;

(খ)ল্যাণ্ড রেকর্ডস এণ্ড সার্ভেস- এর ডাইরেক্টর;

(গ)সেটেলমেন্ট অফিসারগণ ও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারগণ;

(ঘ)অন্যান্য রাজস্ব অফিসারগণ;

(ঙ)বিশেষ জজগণ ।

ধারা-৪৮ নিয়োগ ও ক্ষমতাসমূহ-

উপধারা-(১)স্টেট পার্চেজ- এরকমিশনার সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন ।

উপধারা-(২)স্টেট পার্চেজ- এর কমিশনার সমস্ত বাংলাদেশের ক্ষেত্রেঅত্র আইন ও অত্র আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ওঅর্পিত কর্তব্য সম্পাদন করিবেন । তিনি ল্যাণ্ড রেকর্ডস এণ্ড সার্ভেস-এর ডাইরেক্টর ওতাহার মাধ্যমে তাহার অধীনস্থ অপরাপর সকল অফিসারগণের উপর পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণসম্বন্ধীয় সাধারণ ক্ষমতাসমূহ প্রয়োগ করিবেন ।

উপধারা-(৩)ডাইরেক্টরঅব ল্যাণ্ড রেকর্ড এণ্ড সার্ভে-অাইনের অধীনে ডাইরেক্টর অত্র আইনেরঅধীনে অথবা ইহার অধীনে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক সেই সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কর্তব্যপালন করিবেন যে সমস্ত ক্ষমতা ও কর্তব্য তাহাকে প্রদান করা হইবে অথবা তাহার উপরন্যস্ত করা হইবে ।

উপধারা-(৪)জেলা জজ অথবা অধীনস্থ জজের ক্ষমতা প্রয়োগ করিয়াছেন এমন একঅথবা একাধিক ব্যক্তিকে এই আইনের অধীনেতাঁহার বা তাহাদের কাছে দায়েরকৃত আপিলেরশুনানীর উদ্দেশ্যে অথবা ৪২ ধারা অনুযায়ী প্রকাশিত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীরক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার অধিকার সংক্রান্ত বিরোধ সমূহের তদন্ত করার জন্য অথবা ৪২ধারার অধীন কোনো ক্ষতিপূরণ বন্টনের জন্য ৬০ ধারার অধীন প্রেরিত বিষয়সমূহেরনিষ্পত্তির জন্য সরকার বিশেষ জজ নিয়োগ করিতে পারিবেন ।

 

ক্ষতি পূরণ নির্ধারণ বিবরণীর রিভিশন এবং ক্ষতিপূরণ সম্বন্ধেবিরোধসমূহের নিষ্পত্তি

ধারা-৪৯(ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী পরিমার্জন)

কমিশনার, জেলার জয়েন্ট ডেপুটি কমিশনারের পদমর্যাদার নীচে নন এমন কোনো অফিসার বাঅনুরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত সেটেলমেন্ট অফিসার ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী তৈরী করার সময়আবেদনক্রমে কোনো ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী বা উহার অংশবিশেষ এবং বিবরণীর উপর ভিত্তিকরিয়া প্রস্তুতকৃত কোনো খতিয়ান অথবা খতিয়ানের কোনো অংশ পুনঃ পরীক্ষণ করার ঐরূপনির্দেশ দিতে পারিবেন, কিন্তু ৪১ ধারার অধীনে উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের আদেশ অথবা৫১ ধারা বা ৫২ ধারার (৪) উপধারার অধীনে বিশেষ জজের আদেশ ইহার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তহইবে না ।

তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে এই বিষয়ে উপস্থিত হইবারও শুনানীর জন্য ১৫ দিনের কম নয় সময়ের নোটিশ প্রদান না করিয়া ঐরুপ নির্দেশ জারি করাযাইবে না ।

ধারা-৫০( রাজস্ব অফিসার কর্তৃক ভুল সংশোধন)

৫৮ ধারারঅধীনে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী অনুসারে রাজস্ব অফিসার যে কোনো সময় আবেদনক্রমে অথবাস্বেচ্ছায় ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীর সহিত সম্পর্কযুক্ত এলাকার নিমিত্ত ৪র্থঅধ্যায়ের অধীনে প্রস্তুতকৃত পুনঃপরীক্ষিত এবং চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ানে অথবাক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে যে কোনো লিখনি যদি তিনি সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত লিখনিপ্রকৃত ভুলের প্রজার স্বার্থ উত্তরাধিকারের উপর বর্তানোর ফলে অথবা হস্তান্তরের কারণেউক্ত লিখনি শুদ্ধকরণ প্রয়োজন তবে সংশোধন করিতে পারিবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, ঐরুপ লিখনির বিরুদ্ধে যদি ৫১ অথবা ৫৩-ধারারঅধীন কোনো আপিল করা হইয়া থাকে বা সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে শুনানির সুযোগ দিবার জন্য হাজিরহইবার যথাযথ নোটিশ না দিয়া ঐরূপ শুদ্ধাকরণ করা যাইবে না ।

ধারা-৫১ ( বিশেষ জজের নিকট আপিল)

উপধারা-(১)কোনোব্যক্তি ৪১ ধারার অধীন উধ্বর্তন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের অথবা ৪৯ ধারার অধীন কমিশনার অথবাঅপর অফিসারের আদেশ দ্বারা ক্ষুদ্ধ হইলে সে ৪৮ (৪) ধারার অধীন নিযুক্ত বিশেষ জজেরকাছে ঐরূপ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সহিত সম্বন্ধযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ৪২ধারার অধীন প্রকাশিত হওয়ার ৬০ দিনের ভিতর বা যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়াছে উহাপ্রদানের ৬০ দিনের মধ্যে যাহাই পরে ঘটে, আপিল করিতে পারিবে ।

উপধারা-(২)যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী অনুযায়ীক্ষতিপূরণ গ্রহণ করিবার স্বত্ব সম্বেন্ধ অথবা ক্ষতিপূরণের অংশবিশেষের বন্টন সম্বন্ধেউদ্ভুত বিবাদের ব্যাপারটি রাজস্ব অফিসার ৬০ ধারার অধীন বিশেষ জজের কাছেপ্রেরণ করেন সেইক্ষেত্রে উক্ত বিশেষ জজ ঐ বিবাদের বিষয় অনুসন্ধান করিয়া সিদ্ধান্তগ্রহণ করিবেন এবং তাহার সিদ্ধান্ত ৫২ ধারার শর্তসাপেক্ষে চূড়ান্ত হইবে ।

ধারা-৫২( বিশেষ জজ কর্তৃক হাইকোর্টে মামলার বিবরণী প্রেরণ)

উপধারা-(১)বিশেষ জজের দ্বারাসংক্ষুদ্ধ কোনো পক্ষ ঐ রূপ আদেশ প্রদানের৬০ দিনের ভিতর নির্ধারিত ফরমে তদসহ ৫০ টাকা ফিস প্রদান করিয়া, যেক্ষেত্রে দরখাস্তটি, সরকার ছাড়া অন্য কেহ করে, দরখাস্তের মাধ্যমে বিশেষ জজকে ঐরূপ আদেশ হইতে উদ্ভুত কোনোআইনের প্রশ্ন হাইকোর্টেপ্রেরণের জন্য অনুরোধ জানাইতে পারিবেন ও উক্ত দরখাস্ত প্রাপ্তির ৯০ দিনের মধ্যেবিশেষ জজ উক্ত মোকদ্দমার বিবরণ প্রস্তুত করিয়া ইহা হাইকোর্টে প্রেরণ করিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, (২) উপধারার অধীনে যদি বিশেষ জজ সরকার ছাড়াঅন্য কোনো পক্ষ কতৃর্ক দরখাস্ত মোকদ্দমার বিবরণ দিতে অস্বীকার করেন তবে ঐরূপ পক্ষমোকদ্দমার বিবরণ প্রদানের অস্বীকৃতির নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে তাহার দরখাস্তপ্রত্যাহার করিয়া নিতে পারিবে এবং যদি সে এইরূপ করে তবে তাহার প্রদত্ত ফেরত্ দেওয়াহইবে ।

উপধারা-(২)উপধারার-১ এর অধীন দরখাস্ত দাখিলের পর যদি কোনো আইনেরপ্রশ্ন উদ্ভুত হয় নাই এই হেতুতে উক্ত বিশেষ মামলার বিবরণ প্রদান করিতে অস্বীকারকরেন, তবে দরখাস্তকারী পক্ষ প্রত্যাখ্যানের নোটিশের ৬০ দিনের ভিতর হাইকোর্টে আবেদনপেশ করিতে পারিবে এবং যদি হাইকোর্ট বিশেষ জজের সিদ্ধান্তের শুদ্ধতা সম্বন্ধেসন্তুষ্ট না হন তবে মামলার বিবরণ প্রস্তুত করিবার ও উহা হাইকোর্ট পাঠাইবার জন্যবিশেষ জজকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন । বিশেষ জজ ঐরূপ নোটিশ প্রাপ্তির পরযথাযথভাবে মোকদ্দমার বিবরণী তৈরী করিয়া উহা হাইকোর্টে প্রেরণ করিবেন ।

উপধারা-(৩)এই ধারার অধীনে প্রেরিত মোকদ্দমার বিবরণ উদ্ভুত প্রশ্ননির্ধারণ করিবার জন্য যথেষ্ট এই মর্মে যদি হাইকোর্ট সন্তুষ্ট না হন তবে এই উদ্দেশ্যেহাইকোর্ট নির্দেশিত বিষয় অন্তর্ভূক্ত অথবা পরিবর্তন করিবার জন্য পুনরায় উক্তমোকদ্দমা নির্দেশিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত অথবা পরিবর্তন করিবার জন্য পুনরায় উক্তমোকদ্দমা বিশেষ জজের কাছে ফেরত্ পাঠাইতে পারিবেন ।

উপধারা-(৪)উক্ত মোকদ্দমার শুনানীর পর হাইকোর্ট উদ্ভুত আইনেরপ্রশ্নসমূহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন এবং যে সকল হেতুর উপর ভিত্তি করিয়াসিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে উহা বর্ণনা করিয়া ইহার রায় প্রদান করিবেন এবং যে সকলহেতুর উপর ভিত্তি করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে উহা বর্ণনা করিয়া ইহার রায়প্রদান করিবেন ও কোর্টের সীলমোহরকৃত এবং সীলমোহরকৃত এবং রেজিস্ট্রার কর্তৃকস্বাক্ষরিত উক্ত রায়ের একটি কপি বিশেষ জজের কাছে প্রেরণ করিবেন যিনি উক্ত রায়েরসহিত মিল রাখিয়া এইরূপ আদেশ দিবেন যাহা মোকদ্দমা নিষ্পত্তির নিমিত্তে প্রয়োজন হয় ।

উপধারা-(৫)যেক্ষেত্রে হাইকোর্টে কোনো রেফারেন্স করা হয় সেইক্ষেত্রেখরচ আদালতের বিবেচনাধীন অন্তর্ভুক্ত হইবে ।

ধারা-৫৩( বিশেষ জজের নিকট আপিল)

কোনো ভূমির খাজনানির্ধারণ অথবা দখলেরা স্বত্বলিপি তৈরির বেলায় আপিলের প্রেক্ষিতে ১৯ (২) ধারার অধীনরাজস্ব অফিসারের প্রদত্ত আদেশ দ্বারা বা ভূমির খাজনা নির্ধারণ অথবা দখলের খতিয়ানসম্বন্ধীয় ৩১ (২) ধারার অধীন খতিয়ানের কোনো লিখনি দ্বারা বা ৪৬ক ধারার (২) উপধারারঅধীন খতিয়ানের কোনো লিখনি দ্বারা বা ৪৬ক ধারার (২) উপধারার অধীন কোনো ভূমির ন্যায্য ওন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণের নিমিত্তে আদেশ দ্বারা ক্ষুদ্ধ ব্যক্তি ঐরূপ আদেশ বা লিখনির বিরুদ্ধে আপিলের সহিত সম্বন্ধযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ৪২ ধারাঅনুযায়ী প্রকাশের তারিখ হইতে ৩ মাসের ভিতর ৪৮ (৪) ধারার অধীন নিযুক্ত বিশেষ জজেরকাছে আপিল দায়ের করিতে পারিবে । ৫২ ধারায় ভিন্নরূপ যাহা কিছু থাকুক না কেন, উক্তআপিলে বিশেষ জজের রায় চূড়ান্ত হইবে ।

ধারা-৫৪( ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী শুদ্ধকরণ)

৪৯ ধারার অধীন কমিশনার অথবা অন্য অফিসার প্রদত্ত নির্দেশ বা ৫১, ৫৩ অথবা ৫২ ধারার (২)উপধারার অধীন বিশেষ জজ প্রদত্ত আদেশ বা কোনো ভূমির মালিকানা অথবা দখল ঘোষণা করিয়াকোনো মামলা, আপিল অথবা কার্যক্রমে কোনো দেওয়ানী আদালতের অথবা হাইকোর্টেরচূড়ান্ত আদেশ অথবা ডিক্রী কার্যকর করিবার নিমিত্তে যেমন প্রয়োজন হইবে রাজস্ব অফিসারস্বত্বলিপির অথবা ক্ষতিপূরণ বিবরণী সেইরূপ পরিবর্তন করিবেন ।

ধারা-৫৫( বিশেষ জজের কাছে আপিল ও বিশেষ জজ কর্তৃকঅনুসন্ধানের ক্ষেত্রে দেওয়ানী কার্যবিধির প্রয়োগ)

৫১ (১)ধারার অধীনে বিশেষজজের কাছে দায়েরকৃত আপিলের ক্ষেত্রে বা ৫১ (২) ধারার অধীন বিশেষ জজের কাছে দায়েরকৃতআপিলের ক্ষেত্রে বা ৫১ (২) ধারার অধীন তত্কর্তৃক পরিচালিত অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানাবলী যতটুকু সম্ভব প্রযোজ্য হইবে ।

ধারা-৫৬ ( কতিপয় বিচার্য বিষয় উত্থাপনে বাধা)

অত্র আইনেরঅন্যত্র যাহা কিছু থাকুক না কেন, কোনো দেওয়ানী আদালতে অথবা হাইকোর্টে ভূমি সম্পর্কেমামলা, আপিল অথবা কার্যক্রমের কোনো পক্ষ ১৯, ৪০, ৪৯, ৫১, ৫৩ অথবা ৬০ ধারার অধীন কোনোরাজস্ব অফিসার, রাজস্ব কর্তৃপক্ষ, বিশেষ জজ অথবা কমিশনার অথবা অপর কোনো অফিসারের কাছেউক্ত ভূমি সম্পর্কিত কোনো ইস্যু যাহা ঐরূপ মামলা, আপিল অথবা কার্যক্রমে মূলত বিচার্যবিষয় উত্থাপন করিতে পারিবে না ।

ধারা-৫৭( ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদানযোগ্য অর্থের সীমা ওপরিমাণ )

উপধারা(১)এই আইনের অন্যত্র বা ৫৪ ধারার অধীন চূড়ান্তভাবে সংশোধিতক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, কোনো খাজনাগ্রহীতা তাহারবাংলাদেশ অধিকৃত সকল এস্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত ও প্রজাস্বত্বে নিহিত সকল খাজনাগ্রহণের স্বার্থ হইতে আগত মোট প্রকৃত আয়ের উপর ৩৭ ধারা অনুযায়ী প্রযোজ্য হারেগণনাকৃত খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ অপেক্ষা অতিরিক্ত অর্থগ্রহণের অধিকারী হইবে না ।

উপধারা-(২)যখন কোনো খাজনাগ্রহীতা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত খাজনাগ্রহণের স্বার্থ অধিকারে রাখে, তখন রাজস্ব কর্মকর্তা কোনো এলাকায় অবস্থিত খাজনাগ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্য ৫৪ ধারাআ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে সংশোধিত ক্ষতিপূরণনির্ধারণ বিবরণী অনুযায়ী প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণ ৫৮ ধারা অনুযায়ী পূর্বে ঐ খাজনাগ্রহীতাকে এলাকা বা এলাকাসমূহে অবস্থিত খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্যক্ষতিপূরণ হিসাবে (১) উপধারা অনুযায়ী অনুমোদিত অর্থের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করাহইয়াছে কিনা তাহার নিশ্চয়তা বিধান করিবেন, এবং যদি দেখা যায় অতিরিক্ত অর্থ প্রদানকরা হইয়াছে, তাহা হইলে ঐ স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্য বিবরণী অনুযায়ী প্রদানযোগ্যক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ঐ অতিরিক্ত অর্থ কাটিয়া রাখা হইয়াছে ।

তবে শর্ত থাকে যে, ঐ খাজনাগ্রহীতাকে এই ব্যাপারে উপস্থিতহওয়ার জন্য ও শুনানীর জন্য যুক্তিসঙ্গত নোটিশ প্রদান না করিয়া ঐ অর্থ কাটিয়া রাখাযাইবে না ।

আরো শর্ত থাকে যে, ঐ অর্থ কাটিয়া নেওয়ার জন্য প্রদত্ত আদেশেরত্রিশ দিনের মধ্যে ঐ আদেশের বিরুদ্ধে নির্ধারিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকটআপিল করা যাইবে যাহার আদেষ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।

উপধারা-(৩)যেক্ষেত্রে খাজনা গ্রহণের স্বার্থ অধিগ্রহণের জন্যক্ষতিপূরণ নির্ধারন বিবরণী অনুযায়ী প্রদেয় ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে (২) উপধারার অধীন কোনো অর্থ কাটিয়া রাখার পর যাহা অতিরিক্ত অর্থ থাকে তাহা ৫৮ ধারার উদ্দেশ্যে ঐবিবরণীর শর্তসমূহ মোতাবেক ঐ স্বার্থসমূহের জন্য খাজনা প্রাপককে দেয় ক্ষতিপূরণ হিসাবেধরিয়া লওয়া হইবে ।

ধারা ৫৮ ক্ষতিপূরণ প্রদানের পদ্ধতি

যেক্ষেত্রে ৫১ধারা অথবা ৫৩ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে কোনো এন্ট্রি বা লিখনি বাদসম্পর্কে আপিল দায়ের করার সময় অতিবাহিত হয় এবং যেক্ষেত্রে ৫১ ধারার অধীন ঐ আপিলদায়েরের ক্ষেত্রে ঐ আপিলের সংগে সম্পর্কযুক্ত বিশেষ জজ কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশসম্পর্কে ৫২ ধারার অধীন হাইকোর্টে রেফারেন্স করার সময় অতিবাহিত হয় এবং আপিলসম্পর্কে ৫২ ধারার অধীন সকল রেফারেন্সের নিষ্পত্তি সম্পন্ন হয় এবং ঐ রেফারেন্স হইতেউদ্ভুত ঐ ধারার (৪) উপধারার অধীন সকল আদেশ প্রদান করা হইয়াছে এবং যেক্ষেত্রে ৫৩ধারায় দায়েরকৃত আপিলের নিষ্পত্তি সম্পন্ন হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসারস্বত্বাধিকারী, মধ্যস্বত্বের অধিকারীগণ বা অন্যান্য খাজনা প্রাপকগণকে ও চাষী রায়তগণ, অধীন রায়তগণ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে শুরু করিবেন, যাদ্ধারা৫৪ ধারা মোতাবেক চূড়ান্তভাবে সংশোধিতকৃত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীতে ঐ বিবরণীরশর্ত মোতাবেক দোষ ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে কালেক্টরের আদেশে ৩ ধারার (৪) নং উপধারারখ,গ, ঘ, ঘঘ অনুচ্ছেদ অথবা ৪৪ ধারার ৫, ৬, ৬ক বা ৭অনুচেছদ মোতাবেক নির্ধারিত পরিমাণঅর্থ কাটিয়া রাখার পরও ৪৪ ধারার ৮ অনুচ্ছেদ অথবা ৪৬ঙ ধারার ২ অনুচ্ছেদ বা ৭৬খ ধারারঅধীন নির্ধারিত অর্থ কাটিয়া রাখার পরও ১০ম অধ্যায় অনুসারে নির্ধারিত অর্থ আদায় করারপর খাজনা প্রাপক যদি এই আইনের ১০ম অধ্যায় অনুসারে তাহার ঋণ পরিশোধ করিয়া লইবার জন্যআবেদন করে, তবে ক্ষতিপূরণ বিবরণী মোতাবেক তাহাকে দেয় ক্ষতিপূরণের অর্থের শুধুমাত্রঅর্ধেক অর্থ হইতে ৩ ধারার (৪) উপধারার খ, গ, ঘ বা ঘঘ অনুচ্ছেদ অথবা ৪৪ ধারার ৫, ৬, ৬ক, ৭ বা ৮ অনুচ্ছেদ অথবা ৪৬ঙ ধারার অনুচ্ছেদ অথবা ৭৬ক ধারার অধীন কর্তনযোগ্য অর্থবাদ দিয়া প্রদান করা হইবে এবং ঐ আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাকী অর্ধেক অর্থপ্রদান স্থগিত থাকিবে এবং ঐ ধারা মোতাবেক যে সকল ঋণ ঐ ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতেআদায়যোগ্য হইবে তাহা ৭১ (৭) ধারার বিধানাবলী অনুযায়ী আদায় না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতরাখিতে হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, পাকা বাসভবনসহ ভূমির জন্য ক্ষতিপূরণনির্ধারণ বিবরণী মোতাবেক ঐ ব্যক্তিকে দেয় ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী মোতাবেক ঐব্যক্তিকে দেয় ক্ষতিপূরণ সরকার ঐ ভূমির ও পাকা বাসভবনের খাস দখল না লওয়া পর্যন্তপ্রদান করা হইবে না ।

উপধারা-(২)দেয় ক্ষতিপূরণের অর্থ নগদ অর্থ দ্বারা বা বণ্ডসমূহ দ্বারাবা আংশিক নগদ ও আংশিক বণ্ডসমূহ দ্বারা প্রদান করা হইবে। বণ্ডগুলি হস্তান্তর অযোগ্যদলিল হইবে ও উহাতে বর্ণিত ব্যক্তি বা স্বার্থের উত্তরাধীকে ৪০ কিস্তির বেশি নহেএইরূপ বার্ষিক কিস্তিতে প্রদান করা হইবে এবং উহা প্রদান করার তারিখ হইতে বার্ষিকতিন টাকা হারে সুদ প্রদান করা হইবে ।

উপধারা-(৩)যদি কোনো এষ্টেট, মধ্যস্বত্ব বা জোত বা উহার অংশ অথবা কোনোভূমি সম্পর্কিত ঐ ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করার অধিকারী ব্যক্তির ঐ এষ্টেট, ‌মধ্যস্বত্ব, জোত বা তাহার অংশ অথবা কোনো ভূমি হস্তান্তর করার ক্ষমতা না থাকিত বা ক্ষতিপূরণগ্রহণের মালিকানা অথবা উহার বন্টন সম্পর্কিত কোনো বিবাদ দেখা দেয় তবে রাজস্ব অফিসারক্ষতিপূরণের অর্থ বা বণ্ডসমূহ যাহার মাধ্যমে উহা প্রদান করা হয়, জেলার কালেক্টরেরনিকট জমা রাখিবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, এখানে বর্ণিত কোন কিছুই এই ধারা মোতাবেকক্ষতিপূরণের সমস্ত বা অংশ বিশেষের অর্থ গ্রহণকারী ব্যক্তির বৈধভাবে অধিকারীর নিকট ঐঅর্থ প্রদানের দায়িত্ব ক্ষুন্ন হইবে না।

উপধারা-(৪)(২) ও (৩) উপধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ৩৭ ধারার ৩দফা অথবা ৩৯ ধারার (১ক) উপধারায় উল্লেখিত বার্ষিক বৃত্তি, ওয়াকফ অথবাআল-আল-আওলাদ-এর ক্ষেত্রে ওয়াকফ্ কমিশনারের নিকট ও অন্য কোনো ক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যেসরকার কর্তৃক নিযুক্ত ট্রাষ্টির নিকট প্রদান করিতে হইবে ।

উপধারা-(৫)যদি (১) উপধারার অধীনে অনুমোদিত অর্থ অপেক্ষা অতিরিক্তক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয় বা যদি আইনগতভাবে অধিকারী নয় ঐরূপ কোনো ব্যক্তিক্ষতিপূরণেরঅর্থ গ্রহণ করে তবে কালেক্টর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে ঐ অর্থফেরত্‍ প্রদানের নির্দেশ দিবেন । যদি ঐ ব্যক্তি ফেরত্ দিতে ব্যর্থ হয়, তবে ঐঅর্থ সরকারীদাবী বলিয়া গণ্য হইবে ও উহা সরকারী দাবী হিসাবে ১৯১৩ সালের সরকারী দাবীআদায় আইনের১ নং তফ্সিলের ৪ (১) অনুচ্ছেদ ঐ ব্যক্তির নিকট হইতে আদায় করা হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, এখানে বর্ণিত কোনো কিছুই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরঅপরাধজনক দায়িত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে না ।

ধারা ৫৯হস্তান্তর করার অযোগ্য ব্যক্তির অধিকারেএস্টেটসমূহ রায়তীস্বত্বসমূহ, জোতসমূহ বা ভূমিসমূহ সম্পর্কিত ক্ষতিপূরণের অর্থ তকবাবণ্ড জমা

উপধারা-(১)যদি ৫৮ (৩) ধারার অধীন বণ্ড অথবা নগদে প্রদত্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ জেলার কালেক্টরের নিকট জমা দেওয়া হয় ও কালেক্টরের নিকট প্রতীয়মানহয় যে, নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের সংগে সম্পর্কযুক্ত এস্টেট মধ্যস্বত জোত অথবা উহারঅংশবিশেষ অথবা কোনো ভূমি এমন ব্যক্তি কর্তৃক অধিকৃত হয় যাহার উহা হস্তান্তর করিবারক্ষমতা ছিল না তাহা হইলে কালেক্টর যেক্ষেত্রে নগদ অর্থ জমা দেওয়া হয়, যেরুপযথাযথ মনে করিবেন ঐরূপ সরকারী বা অন্য কোনো অনুমোদিত ঋণপত্র ক্রয় করিয়া উক্ত অর্থবিনিয়োগ করার আদেশ প্রদান করিবেন ও বণ্ড সমূহের সুদ অথবা ঐ বিনিয়োগকৃত অর্থের সুদবিনিয়োগ হইতে বিক্রয়লব্ধ অর্থ ঐ ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিবর্গকে প্রদান করার নির্দেশদিবেন যে বা যাহারা আপাতত ঐ এষ্টেট, রায়তীস্বত্ব, জোত বা উহার অংশ অথবা অন্যান্যভূমিতে নিহিত স্বার্থ, যেখানে যাহা প্রযোজ্য হয়, যদি ঐ স্বার্থ ৩ ধারা অথবা ৪৪ধারার অধীন সরকারের উপর না বর্তাইয়া থাকে ইহার অধিকারী হইয়াছেন এবং ঐ বণ্ড বাঋণপত্র জমাকৃত অবস্থায় থাকিবে যতদিন পর্যন্ত না-

(ক)ঐগুলি চূড়ান্ডভাবে অধিকারী ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিগণের নিকটহস্হান্তর করা হয়; বা

(খ)ঐগুলি প্রদানযোগ্য হয় ।

উপধারা-(২)যদি ঐ বণ্ডসমূহ বা জামানতগুলি প্রদানযোগ্য হয় এবং হওয়ারকালে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ চূড়ান্তভাবে ঐগুলির অধিকারী না হয় তবে কালেক্টর ঐবণ্ডসমূহ বা ঋণপত্রগুলির বিক্রয়লবদ্ধ অর্থ যেইরূপ যথাযথ মনে করিবেন এইরূপ সরকারীঅথবা অন্য কোনো অনুমোদিত ঋণপত্র ক্রয় করিয়া ঐ অর্থ বিনিয়োগ করার আদেশ প্রদানকরিবেন এবং (১) উপধারার বিধানসমূহ ঐরূপ বিনিয়োগ ও বিনিয়োগের এবং বিনিয়োগ হইতেবিক্রয়লব্ধ অর্থের বেলায় প্রযোজ্যহইবে যেভাবে ঐগুলি ৫৮ (৩) ধারার অধীন কালেক্টরের নিকট জমাকৃত ক্ষতিপূরণের অর্থ (১)উপধারা অধীন বিনিয়োগ, ঐ বিনিনয়োগের সুদ এবং বিনিয়োগ হইতে বিক্রয়লব্ধ অর্থের ক্ষেত্রেপ্রযোজ্য হইব ।

উপধারা-(৩)এই ধারা মোতাবেক প্রযোজ্য সকল অর্থ, বণ্ড ও অন্যান্যক্ষেত্রে জেলার কালেক্টর নিম্নলিখিত বিষয়সহ সকল ন্যায়সংগত চার্জ এবং আনুসঙ্গিক খরচসরকার কর্তৃক প্রদান করার জন্য আদেশ প্রদান করিবেন, যথা:

(ক)উপরোল্লিখিত ঐ বিনিয়োগসমূহের ব্যয়; (খ) যাহার উপর ভিত্তিকরিয়া সাময়িক কালের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করা হইয়াছে ঋণপত্রের সুদ বা ঋণপত্রেরবিক্রয়লব্ধ অর্থ বা বণ্ড সমূহ বা অন্যান্য সেই ঋণপত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী দাবীদারগণেরমধ্য সংঘটিত মামলা ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রমের অর্থ প্রদানের আদেশের জন্য ব্যয় । 

উপধারা-(৪)যেক্ষেত্রে কোনো বার্ষিক বৃত্তি ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫৮ ধারার(৪) উপধারায় ওয়াকফ্ কফিশনারের নিকট প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রে তিনি ঐ অর্থক্ষতিপূরণের সংগে সম্পর্কযুক্ত ঐ ওয়াকফ্ সম্পত্তি দখলের অধিকারী মুতওয়াল্লী অথবাকোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের নিকট প্রদান করিবেন, এবং যেক্ষেত্রে কোনো বার্ষিক বৃত্তিক্ষতিপূরণ হিসাবে ঐ উপধারা মোতাবেক এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ট্রাষ্টি-এর নিকট প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রে ঐ ক্ষতিপূরণের সংগে সম্পর্কযুক্ত ঐ সময় ট্রাষ্টসম্পত্তি দখলের অধিকারী সেবায়েত্ অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের নিকট প্রদানকরিবেন, এবং এই উপধারা মোতাবেক প্রত্যেকটি বৃত্তি প্রদানের সকল খরচ সরকার কর্তৃকবহন করা হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, ওয়াকফ কমিশনার অথবা অন্য ট্রাষ্টি ঐবৃত্তির সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ অর্থ প্রদান স্থগিত রাখিতে পারিবেন যতক্ষণ পর্যন্ততিনি সন্তুষ্ট না হয় যে, ৫৮ ধারার (৪) উপধারা মোতাবেক পূর্ববর্তী বত্সরের প্রদত্তবার্ষিক বৃত্তির অর্থ যে উদ্দেশ্য প্রদান করা হইয়াছিল তাহা খরচ করা হইয়াছে ।

ধারা ৬০( স্বত্ব অথবা ভাগ বাটোয়ারা প্রশ্নে বিরোধ)

যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপূরণ কোনো ব্যক্তির গ্রহণ করিবার স্বত্ব নিয়া বা ঐরূপ ক্ষতিপূরণ অথবা উহার অংশ বিশেষের বন্টন নিয়া কোনোবিরোধ দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার ৪৮ (৪) ধারার অধীন নিযুক্ত বিশেষ জজেরকাছে বিবাদ সম্বন্ধে তদন্ত করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিষয়টি প্রেরণ করিবেন ।

ধারা ৬০ক(কতিপয় ধারা ভবিষ্যৰ অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেঅপ্রযোজ্য )

১৯৫৬ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশকার্যকর হওয়ার তারিখে অথবা উহার পরে খাজনা গ্রহণের স্বার্থে অধিগ্রহণের বেলায় ৩ (৪)ধারার (গ) অনুচ্ছেদ, ৪৪ ধারার (৭) অনুচ্ছেদ এবং হইতে ৬৮ ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্যহইবে না ।

ধারা ৬১( বকেয়ার সংজ্ঞা)

৩ ধারার (৪) উপধারার (গ)অনুচ্ছেদ বা ৪৪ ধারার ৭ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্যে বকেয়াসমূহ বলিতে উক্ত অনুচ্ছেদেউল্লেখিত তারিখে বা দিনে ক্ষেত্র বিশেষ যাহাই হউক, যে বকেয়ার বিষয়ে মোকদ্দমাবিচারাধীন আছে সেই বকেয়া অন্তর্ভুক্ত বা উল্লেখিত তারিখের পূর্বে খাজনা বা অর্থেরজন্য যে সকল ডিক্রি পাওয়া গিয়াছে কিন্তু উহা বাতিল বা তামাদি বারিত হয় নাই, সেই সকলডিক্রির দরুন অনুমোদিত খরচ উক্ত বকেয়ার অন্তর্ভুক্ত হইবে ।

ধারা ৬২( বকেয়া পরিশোধ এবং আদায়)

উপধারা-(১)এই আইনের ৩ধারার (৪) উপধারার (গ) অনুচ্ছেদ বা ৪৪ ধারার (৭) দফায় সরকারের উপর ন্যস্ত হইয়াছেএইরুপ বকেয়া খাজনা, সকল কর ও সুদ সরকারকে প্রদান করিতে হইবে, অপর কাহাকেও নহে, এবংএই উপধারার বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোনো খাজনা প্রদান করা হইলে উহা বৈধ হইবে না ।

উপধারা-(২)৬৩, ৬৪ এবং ৬৫ ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে এইরূপ সকলবকেয়া খাজনা এবং কর ও সুদ এবং ৩৪ ধারার (খ) দফায় বা ৪৪ ধারার (৫) নং দফায় উল্লেখিতসমস্ত বকেয়া রাজস্ব, কর ও সুদ আদায়ের অন্যান্য পদ্ধতির হানিকর কিছু না করিয়া রাজস্বঅফিসার কর্তৃক ১৯১৩ সালের সরকারী দাবি আদায় আইনের বিধানাবলী মোতাবেক আদায়যোগ্য হইবে ।

ধারা ৬৩( বিচারাধীন মোকদ্দমা এবং কার্যক্রম সম্পর্কিতবিধান )

যদি ৩ (৪) ধারার (গ) দফায় বা ৪৪ ধারার (৭) দফা অনুসারে সরকারের উপরবর্তাইয়াছে এইরূপ কোনো বকেয়া আদায়ের জন্য কোনো খাজনা প্রাপক বা খাজনা প্রাপকগণ কোনোমামলা বা এইরূপ কোনো বকেয়া আদায়ের নিমিত্তে কোনো ডিক্রি জারীর কার্যক্রম উক্ত তারিখেবা দিনে, যেখানে যেমন প্রযোজ্য হয়, আদালতে রুজু থাকে তাহা হইলে খাজনা প্রাপক যদিএকক ভূস্বামী হন বা এরূপ সকল অংশীদার খাজনা প্রাপকগণ যদি একটি পূর্ণ সহ-শরীকজমিদারিত্ব সৃষ্টি করে; তবে ঐরূপ মামলা অথবা কার্যক্রম আর অধিক অগ্রসর করা যাইবে নাএবং উহা প্রত্যাহার করা হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে । ১৯৯৩ সালের সরকারী দাবি আদায়আইনের অধীনে দায়েরকৃত কোন সার্টিফিকেটের মত এইরূপ কোনো ডিক্রি জারী করা যাইতে পারে ।

ধারা ৬৪( সরকারের অধীনে প্রজাগণ কর্তৃক দখলকৃত ভূমির বকেয়াখাজনা আদায়)

উপধারা-(১)যে বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ প্রযোজ্যসেই বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য কোনো সার্টিফিকেট বা ডিক্রিভুক্ত বকেয়া এইরূপ কোনোপ্রজার কোনো জোত বা ভূমি সম্পর্কিত, উক্ত সার্টিফিকেট দেনাদার বা সাব্যস্ত খাতককেগ্রেপ্তার ও দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা বা এইরূপ বকেয়ার সহিত সম্পর্কযুক্ত নয় এমনঅবস্থান বা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয়ের দ্বারা, বকেয়ার সহিত সম্পর্কযুক্ত (জোতবা ভূমি) ব্যতীত, বাস্তবায়ন করা চলিবে না ।

উপধারা-(২)যদি এইরূপ বকেয়ার সহিত সম্পর্কযুক্ত জোত বা ভূমি ঐরূপসার্টিফিকেট বা ডিক্রি জারির পূর্বে অন্য কোনো ডিক্রি বা সার্টিফিকেটমূলে বিক্রি করাহয় । তবে আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনের ভিন্নরূপ কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও ঐরূপ বকেয়ারজন্য উক্ত জোত বা ভূমির উপর চার্জ সৃষ্টি হইবে ।

ধার ৬৫ ( সরকারের অধীন প্রজা কর্তৃক অধিকৃত জমি বকেয়াআদায়ের জন্য বিক্রয়)

যেক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের কোনো সার্টিফিকেট দেনাদার অথবাডিক্রি সরকারের অধীনস্থ প্রজা হিসাবে সার্টিফিকেট অথবা সাব্যস্ত খাতক কর্তৃক অধিকৃতকোনো ভূমি ক্রোক এবং বিক্রীর মাধ্যমে কার্যকর করা হয় সেক্ষেত্রে ঐরূপ বিক্রয়, (যেইএলাকায় ৫ম খণ্ড প্রযোজ্য হয় ঐ এলাকার ক্ষেত্রে), ৯০ ধারার বিধানসমূহ সাপেক্ষেকার্যকর হইবে ।

ধারা ৬৫( সরকারের অধীনে প্রজা কর্তৃক অধিকৃত জমি বকেয়াআদায়ের জন্য বিক্রয়)

যেক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের অধীনে কোনো সার্টিফিকেট দেনাদারঅথবা ডিক্রি সরকারেরর অধীনস্থ প্রজা হিসাবে সার্টিফিকেট অথবা সাব্যস্ত খাতককর্তৃক অধিকৃত কোনো ভূমি ক্রোক এবং বিক্রীর মাধ্যমে কার্যকর করা হয় সেক্ষেত্রে ঐরূপবিক্রয়, (যেই এলাকায় ৫ম খণ্ড প্রযোজ্য হয় ঐ এলাকার ক্ষেত্রে), ৯০ ধারারবিধানসমূহসাপেক্ষে কার্যকর হইবে ।

ধারা ৬৬ ( কিস্তিমঞ্জুর এবং জারী স্থগিত করিবার ক্ষমতা)

এই অধ্যায়ের অধীনে কোনো সার্টিফিকেট অথবাডিক্রিজারী করিবার জন্য সার্টিফিকেট কর্মকর্তা ঐরূপ সার্টিফেকেট অথবা ডিক্রির অর্থআদেশ প্রদানের তারিখ হইতে অনধিক তিন বত্সর সময়ের মধ্যে কিস্তিতে সার্টিফিকেটদেনাদার অথবা সাব্যস্ত খাতক কর্তৃক পরিশোধ করার নিমিত্ত আদেশ প্রদানের এবং ঐরূপসময়ের জন্য সার্টিফিকেট অথবা ডিক্রি কার্যকর করা স্থগিত করিতে ক্ষমতাবান হইবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কিস্তির পরিশোধে ব্যর্থ হইলে ঐ সমস্তবাকী অর্থের জন্য সার্টিফিকেট বা ডিক্রিজারীতে দেওয়া হইবে ।

ধারা ৬৭ ( বিদায়ী খাজনা প্রাপকগণকে অর্থ পরিশোধ)

উপধারা-(১)ধারা ৩ এর (৪) উপধারার (গ) দফা অথবা ৪৪ ধারার (৭) দফার সরকারের উপর বর্তাইয়াছে এমন কোনো বকেয়া খাজনা, সেস এবং সুদ যাহা উক্ত দফাসমূহে বর্ণিত তারিখে বা দিনের, যেখানে যাহা প্রয্যেজ্য হয়, অব্যবহিত আগে খাজনা প্রাপকগণের পাওনা ছিল উহার জন্য সরকার নির্ধারিত উপায়ে গণনাকৃতশতকরা পঞ্চাশ ভাগ অর্থ, সুদ ব্যতীত, ক্ষতিপূরণ হিসাবে উক্ত তারিখ বা দিন হইতে অনধিক৪ বত্সরের মধ্যে নির্ধারিতভাবে ও নির্ধারিত কিস্তিতে উক্ত বিদায়ী খাজনা প্রাপককেপরিশোধ করিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, বিদায়ী খাজনা প্রাপককে শুনানীর সুযোগপ্রদানের পর ঐরূপ খাজনা প্রাপকের কাছে সরকারের কোন ঋণ বা পাওনা থাকিলে উক্ত অর্থপ্রদানের পূর্বে সরকার উহা কাটিয়া রাখিতে পারিবেন।

উপধারা-(২)সরকার (১) উপধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে ঐউপধারার অধীন প্রদেয় ক্ষতিপূরণের পরিবর্তে ঐরূপ বকেয়াসমূহ হইতে সরকার কর্তৃকপ্রকৃতপক্ষে আদায়কৃত সর্বমোট অর্থের শতকরা ৭০ ভাগের সমপরিমাণ অর্থ নির্ধারিত সময়েনির্ধারিত নিয়মে বিদায়ী খাজনা প্রাপককে প্রদান করিবেন এবং (১) উপধারার অনুবিধিরবিধান এইরূপ অর্থ প্রদানের বেলায়ো প্রযোজ্য হইবে ।

উপধারা-(৩)কালেক্টর (২) উপধারার অধীন প্রদেয় অর্থ এখতিয়ারের অধিকারীমুন্সেফের নিকট নির্ধারিত নিয়মে জমা দিবেন, কালেক্টর কর্তৃক বর্ণিত যে ব্যক্তিঅর্থপ্রাপ্ত হইবেন মুন্সেফ অতঃপর উহার বিবরণসমূহ প্রকাশ করিবেন এবংঐ অর্থের বিরুদ্ধেউক্ত ব্যক্তির সহ-শরীকগণ ও উর্ধ্বতন মালিকের, যদি থাকে, নিকট হইতে দাবী আহবানকরিবেন এবং তত্পর একটি রোয়েদাদ তৈরী করিবেন তত্পর যাহাদের বৈধ দাবি আছে বলিয়া তিনিদেখেন তাহাদের মধ্যে বিতরণ করিবেন ।

ধারা ৬৮( তামাদি মেয়াদ গণনা)

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহাকিছু থাকুক না কেন, এই অধ্যায় মোতাবেক বকেয়া আদায়ের জন্য তামাদির মেয়াদ গণনার বেলায়, ৩ (৪) ধারার (গ) দফা অথবা ৪৪ ধারার (৭) নং দফার অধীনে সরকারের উপর বর্তানো বকেয়াপাওনাসমূহ উক্ত দফার অধীন বকেয়া পাওনাসমূহ বর্তানোর তারিখে অথবা দিনে বা তারিখ বাদিন হইতে, যেখানে যেমন প্রযোজ্য হয়, ১০ বত্সর সময় এবং যেক্ষেত্রে ৬৩ ধারায় বর্ণিতঐ বকেয়াসমূহ আদায়ের নিমিত্ত দায়েরকৃত কোনো মোকদ্দমা অথবা কার্যক্রম কোনো আদালত স্থগিতথাকে সেক্ষেত্রে উক্ত মোকদ্দমা বা কার্যক্রম স্থগিত থাকাকালীন সময় বাদ দেওয়া হইবে ।

ধারা ৬৮ক( এই অধ্যায়ের প্রয়োগ)

এই অধ্যায়ের বিধানাবলী ১৯৫৬সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ এবং প্রজাস্বত্ব সংশোধনী অধ্যাদেশ বলবত্‍ হওয়ার তারিখে অথবাতারিখের পরে খাজনা প্রাপকের অধিগ্রহণের বেলায় প্রযোজ্য হইবে ।

ধারা ৬৮খ( সার্টিফিকেট কর্মকর্তার নিকট বিচারাধীন মোকদ্দমাসম্পর্কে অস্থায়ী বিধানাবলী)

উপধারা-(১)বকেয়া খাজনা আদায়ের সকল রিকুইজিশন ও নবম -কঅধ্যায়ের বিধানাবলীর অধীন সার্টিফিকেট কর্মকর্তা কর্তৃক বকেয়া খাজনা আদায়ের নিমিত্তডিক্রি জারী করিবার আবেদন যাহা ১৯৫৭ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (২য়সংশোধনী) অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার তারিখে সার্টিফিকেট কর্মকর্তার নিকট রুজু রহিয়াছেউহা উক্ত বলবত্‍ হওয়ার তারিখের সাথে সাথে রিকুইজিশন অথবা আবেদনের সাথে সম্পর্কযুক্তবকেয়া খাজনা আদায়ের মামলা শুনানীর এখতিয়ারসম্পন্ন দেওয়ানী আদালতে স্থানান্তরিত হইবে । 

উপধারা-(২)উক্তরূপ স্থানান্তরিত হওয়ার প্রেক্ষিতে উক্তরিকুইজিশন অথবা আবেদনকে ১৯০৮ সালের কার্যবিধির অর্থে আরজী অথবা ডিক্রি কার্যকর করিবার নিমিত্ত আবেদন হিসাবে গণ্য হইবে ও মোকদ্দমা অথবা আবেদন বকেয়া আদায় অথবাডিক্রি কার্যকর করিবার নিমিত্ত আপাতত বলবত্‍ বিধানসমূহ মোতাবেক পরিচালিত হইবে। 

তবে শর্ত থাকে যে, যে আদালতে উক্ত রিকুইজিশন অথবা আবেদনস্থানান্তরিত হইয়াছে সেই আদালত উক্ত মামলা অথবা আবেদনের কার্যক্রম পরিচালনার পূর্বেউক্ত রিকুইজিশন অথবা আবেদনের নিমিত্ত সার্টিফিকেট কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত কোর্ট ফিও উক্ত আদালতে উক্ত আরজী অথবা আবেদনের জন্য প্রদানযোগ্য কোর্ট ফির মধ্যে যেপার্থক্য রহিয়াছে সেই পরিমান অর্থ আদায় করিবেন ।

ধারা ৬৮গ( খাজনা প্রাপকের নিকট বকেয়া খাজনা, সেস এবংকর আদায় ও ঐ বকেয়ার নিমিত্ত ডিক্রি)

সুদসহ সমস্ত বকেয়া খাজনা এবং সেস যাহা খাজনাপ্রাপকের স্বার্থ এই আইনের অধীন অধিগ্রহণের তারিখ তাহার পাওনা ছিল এবং যাহা তামাদিহয় নাই এবং উক্ত অধিগ্রহণের আগে বা পরে এইরূপ বকেয়া আদায়ের নিমিত্ত ডিক্রিসম্পর্কীয় সমস্ত পাওনাদি, তাহা খাজনার ডিক্রি হউক অথবা অর্থ ডিক্রি হউক, এবং উহাঅধিগ্রহণের আগে বা পরে যখনই পাওনা হউক না কেন এবং যাহা জারী দেওয়া তামাদি আইনেবারিত হয় নাই তাহা আপোস অথবা দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে দেনাদারের নিকট হইতেআদায়যোগ্য হইবে ।

ধারা ৬৮-ঘ( কতিপয় শর্তসাপেক্ষে সরকারের মাধ্যমেবকেয়াসমূহ আদায়ের জন্য মতামত)

উপধারা-(১)কোনো খাজনাপ্রাপক কালেক্টরের কাছে আবেদনক্রমেতামাদি হইয়া যায় নাই বকেয়া পাওনা এবং উহার সুদ, প্রকৃত আদায়কৃত অর্থের অর্ধাংশসরকারকে প্রদান করিয়া সরকারের মাধ্যমে আদায়ের জন্য মতামত প্রকাশ করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(২)লিখিত কারণসমূহ রেকর্ড করিয়া কালেক্টর উক্ত দরখাস্তপ্রত্যাখান করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(৩)কালেক্টর যদি দরখাস্ত মঞ্জুর করেন তবে উক্ত বকেয়া পাওয়াএবং সুদ যেন সরকারী পাওনা এইরূপভাবে অথবা সরকার যেন খাজনা প্রাপক এইরূপ অপর কোনোপদ্ধতিতে ঐ বকেয়া আদায় করার জন্য সরকার অধিকারী হইবে ।

উপধারা-(৪)কালেক্টর সময় সময় নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী উপরে বর্ণিতবকেয়া পাওনা এবং সুদের প্রকৃত আদায়ের হিসাব খাজনা প্রাপকের কাছে পাঠাইবেন ও উক্তআদায়কৃত অর্থের অর্ধাংশ খাজনা প্রাপককে প্রদান করিবেন এবং অবশিষ্ট অর্থকে সরকারেরজন্য রাখিবেন এবং উক্ত হিসাব চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ও এই ব্যাপারে কোনো প্রশ্নউত্থাপন করা চলিবে না ।

উপধারা-(৫)উক্ত বকেয়া এবং উহার সুদের সম্পূর্ণ অথবা কোনো অংশ বিশেষআদায় করিতে ব্যর্থ হইলে সরকার দায়ী হইবে না ।  

ধারা ৬৮-ঙ( তামাদি মেয়াদ গণনা)

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহাকিছু থাকুক না কেন ? এইরূপ কোনো বকেয়া আদায়ের নিমিত্ত বা এইরূপ বকেয়া সম্বন্ধীয় কোনোডিক্রী জারী করার জন্য তামাদি মেয়াদ গণনার বেলায় উক্ত এলাকার সহিত সম্পর্কযুক্তখাজনা প্রাপকের স্বার্থ এই আইনের অধীন অধিগ্রহণের তারিখ অথবা তারিখ হইতে ৪৮ মাস বাদদেওয়া হইবে ।

ধারা ৬৯ ( খাজনা প্রাপকদের ঋণ আদায়ের জন্য কতিপয় ডিক্রি এবংআদেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা)

উপধারা-(১)এই আইন বলবত্‍ হওয়ার পর কোনো দেওয়ানীআদালত ৭০ ধারার অধীন হ্রাস পাওয়ার যোগ্য কোনো ঋণ আদায়ের জন্য কোনো খাজনা প্রাপকের কোনোসম্পত্তির বিরুদ্ধে কোনো মামলা গ্রহণ অথবা কোনো ডিক্রী বা আদেশ কার্যকর করিবেন না, যে পর্যন্তনা উক্তরূপ খাজনা প্রাপকের যে সমস্ত স্বার্থ সরকার কর্তৃক এই আইনে অধিগ্রহণযোগ্যতাহা অধিগ্রহণ করা হয় ও খাজনা প্রাপককে উক্ত স্বার্থসমূহের জন্য ক্ষতিপূরণপরিশোধ করা হয় বা এই আইনের বিধান অনুযায়ী কালেক্টরের নিকট জমা দেওয়া হয়।

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো খাজনা প্রাপক যদি ৭০ ধারার (১) উপধারায়বর্ণিতনির্ধারিত সময়ের ভিতর উক্ত ঋণ পরিশোধ করিয়া লইবার জন্য দরখাস্ত দিতে ব্যর্থ হয় তবেঐ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর উপধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না ।

উপধারা-(২)আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনোডিক্রী অথবা আদেশ জারী দেওয়ার জন্য মোকদ্দমা, অথবা দরখাস্তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্যতামাদি মেয়াদ গণনা করিতে যাইয়া কোনো মোকদ্দমা দায়ের অথবা কোনো ডিক্রী অথবা আদেশেরকার্যকারিতা (১) উপধারার অধীন তামাদি হওয়ার সময় বাদ দেওয়া হইবে ।

উপধারা-(৩)যেক্ষেত্রে কোনো ঋণ ৭০ ধারার অধীনে হ্রাস করা হইয়াছে যেঅর্থ দ্বারা উক্ত ঋণ হ্রাস করা হইয়াছে সেই অর্থ (১) উপধারা অনুযায়ী প্রয়োগের বেলায়বারিত হইয়াছে এইরূপ ডিক্রী অথবা আদেশ মোতাবেক হ্রাস করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইয়াছে ।

ধারা ৭০ (ঋণ হ্রাস ও উহা আদায়)

 উপধারা-(১)এই আইন অনুযায়ী কোনো জেলা, জেলার অংশে অথবা স্থানীয় এলাকার অবস্থিত প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহণের বকেয়া রাজস্বও সেস ছাড়া সরকারের নিকট অথবা সমবায় সমিতির নিকট প্রদানযোগ্য কোনো টাকা বা পাওনা ছাড়া(চা শিল্পের জন্য আর্থিক ঋণ ব্যতীত) ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিলের পূর্বে খাজনা প্রাপকেরঅন্য কোনো ঋণ আপাতত বলব্ত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, নিম্নলিখিত নিয়মেহ্রাস করা হইবে যদি খাজনা প্রাপক নির্ধারিত নিয়মে নিয়মে ঋণ-হ্রাসের জন্য ৭১ (১)ধারার অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত রাজস্ব অফিসারের নিকট ৩ ধারা অথবা ৪৪ ধারা অনুযায়ীস্বার্থ বা ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ৪২ ধারা মোতাবেকপ্রকাশের ৩ মাসের মধ্যে আবেদন করিয়া থাকে

(ক)এই আইনের বিধানাবলীর অধীন অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপখাজনা প্রাপকের স্বার্থ বন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধ করিয়া গৃহীত ঋণের সংশ্লিষ্টস্বার্থ অধিগ্রহণের দরুণ ক্ষতিগ্রস্ত খাজনা প্রাপকের প্রকৃত আয় হ্রাসের আনুপাতিকহারেঐ হ্রাস করা হইবে;

(খ)এই আইনের বিধানাবলীর অধীন অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ খাজনাপ্রাপকের স্বার্থের অংশবিশেষ বন্ধক রাখিয়া, দায়বদ্ধ করিয়া ও এই আইনের বিধানাবলীরঅধীন অধিগ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ সম্পত্তির অংশবিশেষ বন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধকরিয়া গৃহীত ঋণের ক্ষেত্রে, অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ বন্ধকীকৃত ও দায়বদ্ধ স্বার্থহইতে ঐ খাজনা প্রাপকের বার্ষিক প্রকৃত আয় ও অধিগ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ বন্ধকীকৃত ওদায়বদ্ধ স্বার্থ হইতে ঐ খাজনা প্রাপকের বার্ষিক প্রকৃত আয়ের অনুপাতে ঐ ঋণ নির্ধারিতনিয়মে দুইভাগে বিভক্ত করা যাইবে এবং ঐ অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ স্বার্থ হইতে আগতবার্ষিক প্রকৃত আয়ের অনুপাতে ঐ ঋণের অংশ হ্রাস করা হইবে । সংশ্লিষ্ট স্বার্থঅধিগ্রহণ করার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ খাজনা প্রাপকের প্রকৃত আয়ের হ্রাসের আনুপাতিক হারে।

তবে শর্ত থাকে যে, খাজনা প্রাপকের ঋণের কোনো অংশে হ্রাস করাহইবে না যদি অধিগ্রহণকৃত খাজনা প্রাপকের স্বার্থ বা ভূমির উপর ক, খ ও গ দফার অধীনআনুপাতিক হারে ঋণের পরিমাণ খাজনা প্রাপকের প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের মোট অর্থের .২৫অংশের কম হয় ।

আরো শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন হ্রাসকৃত ঋণ ক্ষতিপূরণের মোটঅর্থের .২৫ অংশের কম হইলে তাহা হ্রাস করা হইবে না।

(১ক) (১)উপধারায় যাহা কিছু থাকুক না কেন, একজন খাজনা প্রাপকযাহার স্বার্থ সম্পর্কে ৪২ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ১৯৫৫ সালের ১৫ইমার্চ তারিখের বা উহার পূর্বে তাহার ঋণ হ্রাস করার জন্য ১৯৫৬ সালের পূর্ববংগরাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজস্বত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশ বলবত্‍ হইবার ৩ মাসের মধ্যে ঐউধারায় বর্ণিত নিয়মে আবেদন করিতে পারিবেন । 

(১খ) (১) উপধারায় অথবা (১ক) উপধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, খাজনাপ্রাপক যাহার সম্পত্তি ১৯৭৯ সালের কোর্ট অব ওয়ার্ডস আইন মোতাবেক কোর্ট অবওয়ার্ডসের ব্যবস্থাধীন ছিল ও যাহার স্বার্থ সম্পর্কে ৪২ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণনির্ধারণ বিবরণী ১৯৫৬ সালের পূর্ববঙ্গ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী)অধ্যাদেশ বলবত্‍ হওয়ার তারিখের আগে প্রকাশিত হইয়াছে তাহার ঋণ হ্রাস করার জন্য (১)উপধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে ঐ তারিখ হইতে ৩ মাসের ভিতর আবেদন করিতে পারিবে ।

(২) কোনো খাজনা প্রাপক যদি এই আইন অনুযায়ী যেগুলি অধিগ্রহণ করাযাইবে না যেইগুলি কোনো ভূমি বা স্থাবর সম্পত্তি বিভিন্ন এলাকায় অধিকারে রাখেসেক্ষেত্রে এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীনে ঋণ হ্রাস করিবার জন্যকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না (এই আইন মোতাবেক) ঐ এলাকাগুলিসম্পর্কে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী অথবা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীসমূহ তৈরী করাহয় এবং ৫৪ ধারার অধীন চূড়ান্তভাবে সংশোধিত হয় ।

(৩) (১) উপধারার ক, খ ও গ দফায় বর্ণিত খাজনা প্রাপকের আয়হ্রাসের পরিমাণ এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধানাবলী অনুযায়ী নির্ধারিত হইবে ।

(৪) (১) উপধারার খ ও গ দফায় বর্ণিত এই আইন অনুযায়ী অধিগ্রহণকরা হয় নাই এইরূপ সম্পত্তি হইতে আগত বার্ষিক প্রকৃত আয় এবং অন্যান্য উত্স হইতে আগতআয় এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুসারে গণনা করা হইবে ।

(৫) আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে বা চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু থাকাসত্ত্বেও,

(ক) (১) উপধারার (ক) দফায় বর্ণিত ঋণের সহিত সম্পর্কযুক্ত উক্তউপধারার অধীন হ্রাসকৃত ঋণ অপেক্ষা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করিবারঅধিকারী হইবে না ।

(খ) এই আইন অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ খাজনা প্রাপকেরস্বার্থ হইতে (১) উপধারার (খ) ও (গ) দফা অনুযায়ী বিভক্ত হইয়াছে অনুরূপ কোনো ঋণেরঅংশবিশেষ সংগে সম্পর্কযুক্ত ঋণদাতা (১) উপধারার খ ও গ দফা হ্রাসকৃত অংশবিশেষ অপেক্ষাঅতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অধিকারী হইবে না; ও ঐ ঋণের অংশবিশেষ উদ্বৃত্ত অর্থেরপ্রাপকের দায়িত্বের সমাপ্তি ঘটিবে।

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন অনুসারে সকল স্বার্থের অধিগ্রহণেরজন্য প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ১ উপধারার ক, খ, গ দফা অনুযায়ী-হ্রাসকৃতখাজনা প্রাপকের সকল ঋণের আদায়যোগ্য হইবে।

আরও শর্ত থাকে যে, অধিগ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ সম্পত্তি হইতে(১) উপধারার খ ও গ দফার অধীন বিভক্ত খাজনা প্রাপকের ঋণের কোন অংশ ও ঐ সম্পত্তিবন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধ করিয়া লওয়া কোনো ঋণের অংশে এই আইন অনুযায়ী ঐ খাজনা প্রাপকেরপ্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে আদায়যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে না ।

(গ) (খ) দফার অনুবিধানসাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ঋণআদায়ের ব্যাপারে কোনো ভূমি বা অন্য স্থাবর সম্পত্তিতে নিহিত খাজনা প্রাপকের স্বার্থবন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধ করিয়া লওয়া ঋণ বন্ধক না রাখিয়া বা দায়বদ্ধ না করিয়া গৃহীতঋণের অপেক্ষা অগ্রাধিকার পাইবে এবং ঐ বন্ধকীকৃত ও দায়বদ্ধ ঋণ পরিশোধের পর যদি কোনোঅর্থ থাকে তাহাঅাদায়বদ্ধ ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে বন্টন করা হইবে ।

ধারা ৭১ ( সরকার কর্তৃক রাজস্ব অফিসারকে ৭০ ধারার অধীন ব্যবস্থাগ্রহণের ক্ষমতা প্রদান)

উপধারা-(১)৭০ ধারার অধীনে যে কোনো এলাকায় খাজনা প্রাপকের ঋণ হ্রাসকরার নিমিত্ত সরকার যে কোনো রাজস্ব অফিসারকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন এবং তিনিতদানুসারে ঐ ধারার অধীনে প্রয়োজনীয় বা অনুমোদিত অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতেপারিবেন ।

উপধারা-(২)(১) উপধারায় ভারপ্রাপ্ত কোনো রাজস্ব অফিসার প্রত্যেকঋণদাতাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং নির্ধারিত ফরমে বিবরণী দাখিল করিবার জন্যনির্ধারিত নিয়মে নোটিশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত বিবরণীতে ৭০ (১) ধারায় বর্ণিত সকলপ্রকার ঋণের নিমিত্ত ঐ এলাকায় দায়গ্রস্ত খাজনা প্রাপক যাহার স্বার্থ ৩ ধারা অথবা ৪৪ধারা মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে ও যে ৭০ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী ঋণ হ্রাসেরজন্য দরখাস্ত দিয়াছে এই সমস্ত বিষয় এবং অন্যান্য নির্ধারিত বিবরণ প্রদর্শন করিতেহইবে ।

উপধারা-(৩)(২) উপধারা অনুযায়ী উহাতে উল্লেখিত নির্ধারিত মেয়াদেরভিতর ঋণদাতা ৭০ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত ধরনের ঋণ সম্বন্ধীয় বিবরণী দাখিল করিতেব্যর্থ ঋণগ্রহীতার ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব উক্ত সময়ে আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহাকিছুই থাকুক না কেন, পরিসমাপ্তি হইয়াছে বলিয়া গণ্য করা হইবে ।

উপধারা-(৪)(২) উপধারায় সময়ের পরিসমাপ্তি অন্তে রাজস্ব অফিসার উক্তধারার অধিন দাখিলী ঋণ এবং অন্যান্য বর্ণনা সম্বন্ধীয় বিবরণ পরীক্ষা করিবেন ও ঋণগ্রহীতাগণকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া এবং যাহা তিনি উপযুক্ত মনে করিবেন ঐরূপঅনুসন্ধানান্তে উক্ত বিবরণ প্রয়োজনীয় সংশোধন করিবেন ।

উপধারা-(৫)উপধারা (৪) এর অধীনে ঋণের বিবরণপত্র পরীক্ষা এবংপ্রয়োজনীয় সংশোধন করার পর রাজস্ব অফিসার ৭০ ধারার বিধান মতে সংশোধিত এইরূপেবিবরণপত্রে প্রদর্শিত সকল ঋণের পরিমাণ হ্রাসকরণের কাজ শুরু করিবেন এবং এই ধরনেরঋণের ক্ষেত্রে ঐ ধারায় প্রয়োজনীয় বা অনুমোদিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং এই কাজকরিতে এবং এই অধ্যায়ের বিধানমতে প্রয়োজনীয় বা বা অনুমোদিত অন্যান্য সকল ব্যবস্থ্যগ্রহণের সময় রাজস্ব অফিসার এই বিষয়ে সরকার কর্তৃক কার্যপদ্ধতি ও অপরাপর ব্যাপারেপ্রণীত বিধি অনুসরণ করিবেন ।

উপধারা-(৬)এই ধারার অধীনে রাজস্ব অফিসারের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধেনির্ধারিত সময়ের ৪৮ (৪) ধারার অধীনে নিযুক্ত বিশেষ জজের নিকটে আপিল করা যাইবে এবংবিশেষ জজের সিদ্ধান্ত এবং শুধুমাত্র এই সিদ্ধান্তসাপেক্ষে রাজস্ব অফিসারেরসিদ্ধান্ত ও আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে ।

উপধারা-(৭)এই অধ্যায়ের অধীনে আদায়যোগ্য কোনো ঋণ ক্ষতিপূরণ নির্ধারণতালিকা বা তালিকাসমূহের অধীনে খাতককে(ঋণ গ্রহীতাকে) দেয় ক্ষতিপূরণেরসর্বমোট অর্থ হইতে নির্ধারিতপন্থায় আদায় করা যাইবে ।

একাদশ অধ্যায়

বিবিধ

ধারা-৭২( কতিপয় বিষয়ে দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারের উপরবাধা-নিষেধ)

এই খণ্ডে প্রকাশ্যভাবে উল্লিখিত বিষয় ছাড়া ৫ম ও ৫ম ক অধ্যায়অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী অথবা উহার অংশের প্রস্তুতি, স্বাক্ষর এবংপ্রকাশনা সম্বন্ধে বা উক্ত বিবরণী অথবা উহার অংশের প্রস্তুতি, স্বাক্ষর এবং প্রকাশনাসম্বন্ধে বা উক্ত বিবরণীতে কোনো অন্তর্ভুক্তি অথবা উক্ত বিবরণী থেকে কোনো কিছু বাদ পড়াসম্বন্ধে বা ৫ম হইতে ১০ম অধ্যায়ের অধীনে দরখাস্ত অথবা কার্যক্রমের কোনো বিষয় সম্বন্ধেউক্ত অধ্যায়সমূহের অধীনে দেওয়া আদেশ সম্বন্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা করা চলিবে না ।

ধারা-৭৩( ভূমিতে প্রবেশ এবং জরিপ করার ক্ষমতা)

 অত্রআইনের অধীন প্রণীত বিধিমালাসাপেক্ষে রাজস্ব অফিসার ও কর্মচারীসহ সূর্যদয় ওসূর্যাস্তের মধ্যে যে কোনো সময়ে যে কোনো জমিতে প্রবেশ করিতে পারিবেন অথবা উহার পরিমাপকরিতে অথবা অত্র আইনের অধীনে তাহার কর্তব্য পালন করিতে গিয়া যাহা তিনি প্রয়োজন মনেকরিবেন ঐরূপ অপর যে কোনো কার্য করিতে পারিবেন ।

ধারা-৭৪( বর্ণনা ও দলিলপত্র দাখিল করার জন্য বাধ্য করারক্ষমতা)

উপধারা-(১)এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালা সাপেক্ষে এই আইনের উদ্দেশ্যসাধনার্থে রাজস্ব অফিসার কোনো ব্যক্তিকে নোটিশের মাধ্যমে নোটেশে উল্লেখিত সময়ে এবংস্থানে কোনো এস্টেট মধ্যস্বত্ব জোত, অথবা ভূমি সম্বন্ধীয় বিবরণী তৈরী এবং হস্তান্তরএবং তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা নথিপত্র অথবা দলিল দাখিল করার আদেশ দিতে পারিবেন ।

উপধারা-(২)এই ধারার অধীনে একটি বিবরণী তৈরী এবং প্রদান করিতে বানথিপত্র অথবা দলিলাদি দাখিল করিতে বাধ্য প্রত্যেক ব্যক্তি দণ্ড বিধির ১৭৫ এবং ১৭৬ধারার অর্থ অনুসারে আইনসংগতভাবে বাধ্য বলিয়া গণ্য হইবে ।

ধারা-৭৫( সাক্ষীগণের উপস্থিত ও দলিল দাখিল করিতে বাধ্যকরার ক্ষমতা)

অত্র আইনের অধীনে কোনো তদন্তের উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসারসাক্ষীগণকে অথবা কোনো সম্পত্তি, মধ্যস্বত্ব, জোত অথবা ভূমিতে স্বার্থবান এমনকোনো ব্যক্তিকে সমন করিতে ও উপস্থিত হইতে বা দলিল-দস্তাবেজ দাখিল করিতে বাধ্যকরিতে ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির অনুসারে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে কোনো দেওয়ানী আদালতেযে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারেন সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন ।

ধারা-৭৫ক(কোর্ফা পত্তনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ)

উপধারা-(১)১৭ ধারার (৩) উপধারার অধীনে বা ৩১ ধারার (১) উপধারার অধীনে যেদিন নোটিফিকেশন প্রকাশিতহইয়াছে সেই দিন হইতে কোনো ব্যক্তি তাহার দখলীয় খাস ভূমি কোর্ফা পত্তন দিতে পারিবেনা । 

উপধারা-(২)(১) উপধারার পরিপন্থী কোনো কোর্ফা পত্তন করা হইলে উহাবাতিল হইবে এবং উক্তরূপে যে ভূমি কোর্ফা পত্তন করা হইয়াছে উহা বাজেয়াপ্ত হইবে এবংসরকারের উপর ন্যস্ত হইবে ।

উপধারা-(৩)৩৯ ধারার নির্ধারিত হারে ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে ৩ধারার (২) উপধারায় তাহার কোনো খাস ভূমি অধিগ্রহণ করার জন্য যে কোনো সময় সরকারের কাছেদরখাস্ত দিতে পারিবেন ।

ধারা-৭৫খ( তদন্তের দরখাস্তের জন্য ফি)

অত্র আইনমোতাবেক স্বত্বলিপি অথবা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়নের সময় নূতন করিয়াতদন্তের দরখাস্তের সঙ্গে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হইবে ।

ধারা-৭৬( সরকারের উপর বর্তানো ভূমির বন্দোবস্ত এবং ব্যবহার)

এই আইনের প্রকাশ্যভাবে বর্ণিত বিধানসমূহ সাপেক্ষে এই আইনের যে কোনো বিধানবলীদ্বারা সরকারের উপর ন্যস্ত ভূমি সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকিবে; এবং এইউদ্দেশ্যে তৈরী বিধিমালা অনুযায়ী সরকার ঐ সমস্ত ভূমি বন্দোবস্ত দিবার অথবা উহা যেমনউপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ নিয়মে ব্যবহার অথবা অপর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতেক্ষমতাবান হইবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তির কাছে ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়াহইবে না যদি না ৯০ ধারার অধীন ঐ ব্যক্তির নিকট ভূমি হস্তান্তর করা যায় ।

আর ও শর্ত থাকে যে, চাষাবাদযোগ্য ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়ার সময়বন্দোবস্তের জন্য ঐরূপ দরখাস্তকারীকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হইবে যে নিজে অথবাপরিবারের সদস্যগণের দ্বারা ভূমি চাষ করে অথবা করায় ও চাষাবাদযোগ্য ভূমি অধিকারে রাখেযাহার পরিমাণ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণের অধিকৃত ভূমি যদি থাকে, এর সহিত যুক্ত হইয়া ৩ একরের কম হইবে ।

(২) (১) উপধারা অনুসারে কোনো সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ভূমিবন্দোবস্ত সম্বন্ধে কোনো দেওয়ানী আদালতে কোনো আবেদন অথবা মামলা গ্রহণ করা যাইবে না ।

ধারা-৭৬ক( পৃথক এস্টেটের সৃষ্টি এবং রাজস্ব বণ্টন)

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে অথবা চুক্তিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন

উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে কোনো ভূ-সম্পত্তির অংশে বা খণ্ডে খাজনা প্রাপকঅথবা খাজনা প্রাপকগণের অর্থ সমূহ ৩ ধারার (১) উপধারায় বা ৪৪ ধারার (১) দফায় অধিগ্রহণ করা হয় সেক্ষেত্রে ১৮৫৯সালের বঙ্গীয় ভূমি রাজস্ব বিক্রয় আইন বা ১৮৮৬ সালের আসাম ভূমি এবং রাজস্বরেগুলেশন-এর ৫ম অধ্যায়ের কোনো কিছুই উক্ত অংশ বা খণ্ড উপরোল্লিখিত আইন অথবারেগুলেশনের উদ্দেশ্যে ভিন্ন এস্টেট বা ভূ-সম্পত্তি হিসাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্যহইবে, এবং

উপধারা-(২)মূল ভূসম্পত্তির জন্য প্রদানযোগ্য ভূমি রাজস্ব ও সসকর, অধিগ্রহণ করা হইয়াছে ঐরূপ অংশ বা খণ্ড এবং (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত পৃথক ভূ-সম্পত্তিরবা এস্টেটের নিম্নলিখিত নীতিসমূহ মোতাবেক হারাহারিভাবে বন্টন করা হইবে,

যথা :

(ক)যেক্ষেত্রে অধিগৃহীত অংশ ভিন্ন হিসাবসমূহ দ্বারা গঠিত হয়সেক্ষেত্রে উক্ত পৃথক ভূ-সম্পত্তির বা এস্টেটের ভূমি রাজস্ব ও সেসকর মূল ভূ-সম্পত্তিবা এস্টেটের জন্য প্রদেয় ভূমি রাজস্ব ও সেসকর এবং অধিকৃত পৃথক হিসাব বা হিসাবসমূহেরজন্য নির্ধারিইত ভূমি রাজস্ব ও সেসকরের মধ্যে বিরাজমান ব্যবধানের সমপরিমাণ অর্থপাইবে ।

(খ)যেক্ষেত্রে অধিগ্রহণকৃত অংশ পৃথক হিসাব নিয়া গঠিত নহে, সেক্ষেত্রে পৃথক ভূসম্পত্তি বা এস্টেটের ভূমি রাজস্ব ও সেসকর মূল ভূ-সম্পত্তি বাএস্টেটের ভূমি রাজস্ব এবং সেস করের যেই পরিমাণ অংশ বহন করে সেই পরিমাণ ভিন্নএস্টেটের অংশ মূল ভূ-সম্পত্তির সংগে অন্তভূর্ক্ত থাকে ।

(গ)যেক্ষেত্রে অধিগ্রহণকৃত অংশ এস্টেটের ভূমির অংশবিশেষলইয়া গঠিত হয় এবং পৃথক হিসাববিহীন হয় বা যেক্ষেত্রে একটি এস্টেট আংশিক অধিগ্রহণকৃত হয়সেক্ষেত্রে পৃথক পৃথক এস্টেটের ভূমি রাজস্বও সেস কর মূল এস্টেটের ভূমি রাজস্ব এবংসেস করের সেই পরিমাণ অংশ বহন করে যেই পরিমাণ পৃথক এস্টেটের ভূমির এলাকা মূলএস্টেটের ভূমির এলাকা মূল এস্টেটের সমস্ত ভূমির এলাকার সংগে জড়িত থাকে ।

উপধারা-(৩)যেক্ষেত্রে ঐ আইন দ্বারা রায়তী জোত অথবা অন্যান্যপ্রজাস্বত্বের অংশের কোনো স্বার্থ অধিগ্রহীত হয় এবং উক্ত খণ্ড নির্দিষ্ট কোনো অংশলইয়া গঠিত হয় সেক্ষেত্রে উক্ত রায়তী স্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের খাজনা উক্ত অংশেরঅধিগৃহীত ও অনধিগৃহীত খণ্ডের মধ্যে হরাহারি বন্টন করা হইবে কিন্তু যেক্ষেত্রে উহাকোনো নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে গঠিত নহে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত রায়তিস্বত্ব, জোতঅথবা প্রজাস্বত্বের নির্দিষ্ট অধিগৃহীত ও অনধিগৃহীত খণ্ডের মধ্যে এলাকা বা মূল্যযাহা তাহার কাছে উপযুক্ত ও ন্যায়সংগত মনে হইবে উহার উপর ভিত্তি করিয়া হারাহারিবন্টন করিতে হইবে ।

ধারা-৭৬খ( বিদায়ী খাজনা প্রাপক কর্তৃক আদায়কৃত অগ্রিমখাজনা অথবা নিলামের অর্থ পুনরুদ্ধার)

যেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার সন্তুষ্ট হন যে, যাহার স্বার্থ অত্র আইন মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে ঐরূপ খাজনা প্রাপক উক্তস্বার্থ সম্বন্ধীয় কোনো খাজনা অথবা নিলামের অর্থ বিনিময়ের অর্থ উক্ত অধিগ্রহণের পরেআদায় করিয়াছে সেক্ষেত্রে তিনি উক্ত অথবা উহার অংশবিশেষ খাজনা প্রাপকের নিকট থেকেসরকারী দাবী হিসাবে পুনরুদ্ধার করিতে পারিবেন ।

ধারা-৭৭(এই আইনের অধিন গৃহীত কার্যক্রম সংরক্ষণ)

উপধারা-(১) এই আইনের অধীনে অথবা এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিসরল বিশ্বাসে কোনো কিছু করিয়া অথবা করিবার অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়া থাকিলে তাহারবিরুদ্ধে কোনো মামলা রুজু বা অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না ।

উপধারা-(২)এই আইনে অন্য কোনো সুস্পষ্ট বিধান ছাড়া এই আইনের কোনো বিধানদ্বারা কোনো ক্ষতি করা হইলে অথবা ক্ষতির পর্যায়ে গেলে অথবা আঘাত করা হইলে অথবাআঘাতের পর্যায়ে গেলে বা এই আইন বা এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালা অনুসারে কোনো কিছুসরল বিশ্বাসে করা হইলে বা করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো মামলাঅথবা আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না ।

ধারা-৭৭ক(সরকারের ক্ষমতা অর্পণ)

অত্র আইন অনুসারেসরকারের উপর প্রদত্ত ক্ষমতা এবং ইহার উপর অর্পিত দায়িত্ব বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিতঅবস্থায় এবং শর্ত অনুসারে ইহার অধীনস্থ যে কোনো অফিসার অথবা কর্তৃপক্ষ প্রয়োগ করিবারজন্য সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন ।

ধারা ৭৮( বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা)

উপধারা-(১)এই আইনের ২য়, ৩য়ও ৪র্থ খণ্ডের উদ্দেশ্য সাধন করার উদ্দেশ্যে পূর্বে প্রকাশ করার পর, সরকার বিধিমালাপ্রণয়ন করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(২)উপরের সাধারণ ক্ষমতার পরিপন্থী কোনো কাজ না করিয়া ঐবিধিমালা নিম্নলিখিত বিষয় সম্পর্কিত হইবে যথা:

(ক) ৩ (৩) ধারায় বর্ণিত বিজ্ঞপ্তির ফরম ও ঐ বিজ্ঞপ্তিরবিবরণসমূহ;

(খ) ৪ (১) ধারায় বর্ণিত নোটিশ প্রদানের নিয়ম ও বিবরণসমূহ;

(গ) ৬ ধারার (১) ও (২) উপধারায় বর্ণিত অন্তর্বর্ন্তীকালীনঅর্থ গ্রহণের সময় ও নিয়ম;

(ঘ) ৬ (৪) ধারায় বর্ণিত অর্থ বাদ দেওয়ার নিয়ম নির্ধারণ;

(ঙ) ৭ ধারায় বর্ণিত আপিল দাখিল করার নিয়ম ও সময়;

(চ) ৮ ধারায় বর্ণিত জরিমানা উদ্ধারের নিয়ম;

(ছ) বাতিল;

(জ) ১৫ ধারায় বর্ণিত আবেদনের ফরম, ঐ আবেদনের বিবরণসমূহ এবংআবেদনের সংগে সংযুক্ত প্রসেস ফী ;

(ঝ) ১৭ ধারার অধীন স্বত্বলিপি প্রণয়নকরণ অথবা পরিমার্জনেরনিয়ম ও ঐ স্বত্বলিপি প্রণয়নকরণের অথবা পরিমার্জনের ক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার কর্তৃকঅনুসৃত পদ্ধতি এবং প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতাসমূহ;

(ঞ) ১৭ ধারার অধীন প্রণয়ণকৃত বা পরিমার্জিত স্বত্বলিপিরেকর্ডভুক্ত বিবরণসমূহ;

(ট) ১৯ (১) ধারার অধীন খসড়া স্বত্বলিপিসমূহ প্রকাশের নিয়ম ওসময়;

(ঠ) যে রাজস্ব অফিসারের কাছে যে নিয়মে ও যে সময়ের ভিতর ১৯ধারার (২) উপধারার অধীন আপীল দায়ের করা যাইতে পারে;

(ড) ১৯ ধারার অধীন আপত্তি ও আপিলসমূহের নিষ্পত্তি;

(ঢ) ১৯ ধারার (৩) উপধারার অধীন স্বত্বলিপি প্রকাশের নিয়ম;

(ণ) ২০ (৩) ধারার অধীন ইচ্ছা প্রয়োগের সময় ও যখন ইচ্ছা প্রয়োগনা করা হয় তখন ঐ ধারার অধীন ভূমিসমূহ বন্টন;

(ত) ২০ ধারার (৫) উপধারায় (আ) অনুচ্ছেদের ভূমি নির্ধারণেরউপায় যাহা ঐ উপধারার (অ) অনুচ্ছেদের (গ) উপ-অনুচ্ছেদের আওতায় আসিবে ;

(থ) ৩১ ধারার (২) উপধারায় বর্ণিত বিবরণসমূহের পরিমার্জন করারউপায় ও পদ্ধতি এবং এই উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতাসমূহ;

(দ) ৩৩ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরনীর ফরম, উহারপ্রস্তুতের উপায় ও উহাতে বর্ণিত বিবরণসমূহ;

(ধ) ৩৫ ধারার (২) উপধারায় বর্ণিত অর্থ গণনার রীতি ও ব্যয় ওদায় নির্ধারণ;

(ন) ৩৭ ধারার (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অস্থায়ী রায়তীস্বত্ব অথবাপ্রজাস্বত্বের অধিকারী ও তাহার তাত্ক্ষণিক উর্ধ্বতন ভূমির মালিকের মধ্যে ক্ষতিপূরণবন্টনের ক্ষেত্রে অনুসৃত পদ্ধতি;

(প) ৩৮ ধারার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ও ক্ষতিপূরণগণনার রীতি ও পদ্ধতি;

(ফ) ৩৯ ধারার (১) উপধারার টেবিলের (ঙ) ও (চ) দফাদমূহের বর্ণিতভূমির বার্ষিক ভাড়ার মূল্য নির্ধারণের নিয়ম(manner)ও (চ) দফার প্রকৃত নির্মাণ খরচ এবং অপচয়নির্ধারণ করার নিয়ম;

(ব) ৩৯ ধারার (৩) নং উপধারার (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভূমিরবার্ষিক স্বাভাবিক উত্পাদন নির্ধারণ করার নিয়ম;

(ভ) ৩৯ ধারার (৩) উপধারার (খ) অনুচ্ছেদের (অ) উপ-অনুচ্ছেদেবর্ণিত আবাদের খরচ নির্ধারণ করার নিয়ম;

(ম) ৩৯ ধারার (৪) উপধারায় বর্ণিত মত্স খামার হইতে আগতবার্ষিক প্রকৃত আয় নির্ধারণ করার নিয়ম;

(য) ৩৯ (৫) ধারায় বর্ণিত ক্ষতিপূরণ বন্টন করার ক্ষেত্রেঅনুসৃত নিয়ম;

(যক) ৪০ ১ ধারার অধীন খসড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীপ্রকাশের নিয়ম ও সময় এবং ঐ উপধারা অনুযায়ী আপত্তিসমূহের নিষ্পত্তি;

(যখ) ৪১ ধারার অধীন যে রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল দায়ের করাহইবে ঐ ধারার অধীন আপিলসমূহের নিষ্পত্তি;

(যগ) ৪২ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রকাশের নিয়ম;

(যম) ৪৫ নং ধারা অনুযায়ী ঘোষণা প্রকাশের নিয়ম;

(যঙ) ৪৬ (১) ধারায় বর্ণিম স্বত্বলিপির সংগে সম্পর্কযুক্তএলাকার ক্ষেত্রে জেলার রাজস্ব বিবরণীতে চিহ্নিত ঐ উপধারা অনুযায়ী সংখ্যায়এসাইন্টমেন্ট ও ঐ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী স্বত্বলিপিসমূহের অনুলিপি বন্টন করারনিয়ম;

(যচ) ৪৮ (২) ধারায় বর্ণিত কমিশনার অভ স্টেট পার্চেজেরক্ষমতাসমূহ ও কর্তব্যসমূহ;

(যছ) ৪৮ ধারার (৩) উপধারায় বর্ণিত ডাইরেক্টর অভ্ ল্যাণ্ডরেকর্ডস ও সার্ভিসের ক্ষমতাসমূহ ওকর্তব্যসমূহ;

(যজ) ৫৭ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী অতিরিক্ত অর্থ প্রদান এবং ঐধারার দ্বিতীয় শর্তাবলীতে বর্ণিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ নির্ধারণের নিয়ম;

(যঞ) ৬৭ ধারায় বর্ণিত অর্থ গণনার নিয়ম ও ঐ ধারার অধীন বিদায়ীখাজনা প্রাপককে কিস্তিতে অর্থ প্রদানের নিয়ম;

(যট) ৭০ (৩) ধারায় বর্ণিত প্রকৃত আয় হ্রাসের পরিমাণ নির্ধারণকরার নিয়ম;

(যঠ) ৭০ (৪) ধারায় বর্ণিত প্রকৃত বার্ষিক আয় ও আয় গণনা করারনিয়ম;

(যড) ৭১ ধারার (২) উপধারা অনুসারে নোটিশ প্রকাশের নিয়ম ও ঐউপধারায় বর্ণিত ফরম ।- এ ও সময়ের মধ্যে দাখিলযোগ্য স্টেটমেন্ট ও ঐস্টেটমেন্টের বিবরণসমূহ;

(যঢ) ১ (৫) ধারায় বর্ণিত বিধিসমূহ:

(যণ) ৭১ ধারার (৬) উপধারারঅধীন আপীল দায়েরের সময়;

(যথ) ৭৩ ধারায় বর্ণিত রাজস্ব অফিসারগণ, কর্মচারীগণেরআচার-আচরণের পদ্ধতি;

(যদ) স্টেটমেন্ট প্রস্তুত এবং হস্তান্তর ও রেকর্ড বা দলিলপ্রণয়ন বলবত্ করার জন্য ৭৪ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী ক্ষমতাসমূহ প্রয়োগ,

(যধ) ৭৬ ধারায় বর্ণিত ভূমি বন্দোবস্তের জন্য বিধিমালা ।

 

ধারা-৭৯( এই অংশের শুরু)

এই অংশের শুরু। অত্র খণ্ডঅথবা ইহার অংশবিশেষ ঐ সমস্ত এলাকায় ঐ সকল তারিখে ও ঐ পরিমাণে কার্যকর হইবে যাহাসরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করিবেন ও এই খণ্ডের যে কোন অংশ যখন বলবত্হয় তখন ঐ অংশের বিধানসমূহ উক্ত সময় অন্য কোন আইন যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্তএলাকায় বলবত্ হইবে।

ধারা ৮০(বাতিল )

এই খণ্ডের সম্পূর্ণ কোনো এলাকায়কার্যকর হওয়ার তারিখে অথবা তারিখ হইতে তফসিলে, উল্লেখিত আইনসমূহ তফসিলের ৪র্থ কলামেবর্ণিত পরিমাণ উক্ত এলাকায় বাতিল হইবে ।

ধারা ৮১(কৃষি প্রজাগণের শ্রেণী এবং উহাদের অধিকার ওদায়িত্বসমূহ নিয়ন্ত্রণ)

এই খণ্ডের সম্পূর্ণ কোনো এলাকায় কার্যকর হওয়ার তারিখেঅথবা তারিখ হইতে উক্ত এলাকায় কেবলমাত্র কৃষি ভূমির এক শ্রেণীর অধিকারী থাকিবে যথা: মালিকগণ ও উক্ত অধিকারীর অধিকারসমূহ এবংদায়িত্বসমূহ অত্র খণ্ডের বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, অত্র ধারা উক্ত কোনো মালিককে তাহার জোতেরখনির কোনো অধিকারসহ মাটির নিচের অংশে লুকায়িত স্বার্থের উপর কোনো অধিকার প্রদান করিবেনা ।

আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে সরকার নির্দিষ্ট সময়ের নিমিত্তকোনো ভূমি ইজারা প্রদান করে সেক্ষেত্রে উক্ত ইজারাগ্রহীতার অধিকার ও দায়িত্বসমূহইজারার শর্তাবলী অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হইবে ।

ধারা ৮১-ক ( অকৃষি প্রজার অধিকার ও দায়িত্বসমূহ)

উপধারা-(১)অত্র খণ্ডে অন্য কোনোরূপ ব্যবস্থা থাকা ছাড়া অকৃষি দখলকার যিনি এই আইনেরবিধান সমূহের অধীনে এইরূপ জমির উপস্থিত স্বত্ব দখলকার হওয়ার দরুন সরকারের অধীনেপ্রজা হইয়াছেন, অধিকার ও দায়-দায়িত্বসমূহ সেখানে এইরূপ অধিগ্রহণের সময় পূর্ব বঙ্গীয়অকৃষি প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৪৯-এর বিধানসমূহ এইরূপ জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় সেখানেসেই আইনের বিধানসমূহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হইবে ।

উপধারা-(২)অপরাপর অকৃষি প্রজাগণের অধিকার ও দায়িত্ব, খাজনা বৃদ্ধিবা হ্রাসকরণ ছাড়া ইজারার চুক্তি ও সম্পত্তির হস্তান্তর আইন, ১৮৮২-এর বিধানসমূহমোতাবেক পরিচালিত হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, অত্র আইন বা আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো বিধানকিংবা চুক্তিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে কোনো চুক্তি বা শর্ত যাহাই হউক, কোনোঅকৃষি প্রজা তাহার প্রজাস্বত্বের সমস্ত বা যে কোনো অংশ কোর্ফা পত্তন দিতে পারিবেন নাএবং যদি কোনো প্রজাস্বত্ব অথবা প্রজাস্বত্বের যেকোনো অংশ এই বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোর্ফাপত্তন দেওয়া হয় তাহা হইলে অকৃষি প্রজার প্রজাস্বত্ব অথবা প্রজাস্বত্বের যে অংশেরকোর্ফা পত্তন দেওয়া হয়, সে যাহাই হউক, স্বার্থ বিলুপ্ত হইবে এবং উক্তপ্রজাস্বত্বের অংশটুকু এরুপ কোর্ফা পত্তনের তারিখ হইতে সকল দায়-দায়িত্বমুক্তঅবস্থায় হইয়া সরকারের উপর বর্তাইবে ।

ধারা৮১-খ ( ইজারা দলিল নিবন্ধন)

৮১ বা ৮১ক ধারায়অথবা আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি সরকারী খাস জমি ইজারাদিবার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা এই উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃকইজারা দলিল সম্পাদিত এবং ১৯০৮ সালের রেজিষ্টেশন আইনের ১৭ (১) ধারার (খ) অনুচ্ছেদেরবিধানানুসারে রেজিস্ট্রিকৃত না হয় তাহা হইলে কৃষি অথবা অকৃষি কোনো প্রকারপ্রজাস্বত্ব সৃষ্টি হইবে না বা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না এমনকি ইজারাগ্রহীতার নিকটসেলামী বা খাজনা গ্রহণ করা হইলেও ।

ধারা৮২ ( ব্যাখ্যা )এই খণ্ডে -

উপধারা-(১)“প্রকৃত চাষী”বলিতে এমন কোনো ব্যক্তিকে বুঝায় যে নিজে অথবাতাহার পরিবারের সদস্যের সাহায্যে বা চাকর বা শ্রমিকের দ্বারা অথবা অংশীদার বাবর্গাদারের মাধ্যমে ভূমি চাষ করে এবং ইহা একজন অকৃষি শ্রমিককেও অন্তর্ভূক্ত করে;

উপধারা-(২)“রায়ত”বলিতে এমন ব্যক্তিকে বুঝায় যে নিজে অথবা তাহারপরিবারের সদস্যের দ্বারা অথবা চাকর বা শ্রমিকগণ দ্বারা বা সহায়তায় অথবা অংশীদার বাবর্গাদারগণ কর্তৃক বা সহায়তায় চাষ করার নিমিত্ত ৪৪ ধারা বা অন্যভাবে সরকারের সরাসরিঅধীনে ভূমি দখলে রাখিবার অধিকার অর্জন করিয়াছেন ও যে ব্যক্তিগণ ঐরূপ অধিকার অর্জনকরিয়াছে ইহা তাহাদের স্বার্থের উত্তরাধিকারীগণকেও অন্তর্ভূক্ত করে;

 

উপধারা-(৩)রায়তের পরিবার তাহার সংগে একই অন্নে বসবাসরত এবং তাহারউপর নির্ভরশীল সকল ব্যক্তিগণকে অন্তর্ভূক্ত করে; কিন্তু ইহা কোনো চাকর বা শ্রমিককেঅন্তর্ভূক্ত করে না ।

(৪), (৫) এবং (৬) *১৯৬৪ সালের ১৭ নং অধ্যাদেশের ৩ ধারা বলে ৮/৯/৬৪ তারিখে বাদ দেওয়া হয় ।

উপধারা-(৭)অন্যভাবে প্রকাশ্য বিধান ছাড়া̔হস্তান্তর̕কোনো ব্যক্তিগত বিক্রয়, বন্ধক, দান অথবা কোনো চুক্তি বাএগ্রিমেন্টকে অন্তর্ভূক্ত করে এবং

উপধারা-(৮)এই খণ্ডের সম্পূর্ণ কোনো এলাকায় কার্যকর হওয়ার তারিখে অথবাতারিখ হইতে ঐ এলাকায় এই খণ্ডের বিধানসমূহ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে কৃষি ভূমির সহিতসম্বন্ধযুক্ত এই খণ্ডে ঐ শব্দগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে̔মালিক̕ শব্দটি ̔রায়ত̕ অথবা  ̔টেন্যান্ট̕ শব্দের এবং ̔ভূমিরাজস্ব̕ শব্দটি ̔রেন্ট̕ শব্দের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় বলিয়া গণ্য করা হইবে এবংযেক্ষেত্রে কোনো ইজারা, কবুলিয়ত, চুক্তি বা অন্যান্য চুক্তির শর্তসমূহ মোতাবেক খাজনাসরকারকে প্রদেয় হয় সেক্ষেত্রে ইহা এইরূপভাবে আদায় করা হইবে যেন ইহা ভূমি রাজস্ব ছিল ।

ধারা-৮৩ (রায়তগণের ভূমি ব্যবহার সম্পর্কে অধিকার)

কোনোরায়তের জোতের অন্তর্ভূক্ত ভূমি তাহার ইচ্ছা অনুযায়ী সে যে কোনোভাবে ভোগ-দখলে রাখারঅধিকারী থাকিবে ।

ধারা-৮৪( কোনো রায়তের মৃত্যুতে জোতের উত্তরাধিকার বর্তন)

কোনো রায়ত যদি উত্তরাধিকারবিহীন অবস্থায় পতিত হয় তবে তাহার এই আইনের বিধানসাপেক্ষেএবং এই আইনের সংগে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপভাবে তাহার অপরাপর স্থাবর সম্পত্তিযেভাবে বর্তাইবে ইহাও সেইভাবে বর্তাইবে । তবে শর্ত থাকে যে, যে উত্তরাধিকার আইন কোনোরায়তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেই উত্তরাধিকার আইনে তাহার অপরাপর সম্পত্তি রাষ্ট্রীয়মালিকানায় চলিয়া গেলে জোতে তাহার স্বার্থ বিলুপ্ত হইবে ।

ধারা-৮৫( রায়ত উচ্ছেদের কারণ)

কোনো রায়তকে তাহার জোতবা উহার অংশবিশেষ হইতে উচ্ছেদের জন্য প্রদত্ত ডিক্রি কার্যকর ছাড়া তাহার জোত অথবাউহার অংশ বিশেষ হইতে উচ্ছেদের জন্য প্রদত্ত ডিক্রিকার্যকর ছাড়া তাহার জোত অথবা উহার অংশবিশেষ হইতে উচ্ছেদ করা যাইবে না ।

ধারা-৮৬( সিকস্তির কারণে খাজনা হ্রাস এবং পরিবৃদ্ধিরকারণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমিতে অধিকারের নিশ্চয়তা)

উপধারা-(১)যদি জোতের অন্তর্ভূক্ত জমিবা জমির অংশবিশেষ নদীগর্ভে সিকস্তি হইয়া যায় তাহা হইলে রাজস্ব অফিসারের নিকট প্রজাকর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করা হইলে আবেদন করা হইলে বা তাহাকে সংবাদ দেওয়া হইলে ঐজোতের খাজনা বা উন্নয়ন কর কতটুকু হ্রাস করা বা মওকুফ করা হইবে যতটুকু রাজস্বকর্মকর্তা এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী যথাযথ ও ন্যায়সংগতবলিয়া বিবেচনা করিবেন এবং সিকস্তির কারণে যে ক্ষতি হইবে তাহা এই বিধি অনুযায়ীলিপিবদ্ধ করা হইবে যাহা পরবর্তীতে উক্ত ভূমি যথাস্থানে পুনঃউদ্ভব হইলে তখন উক্তভূমিতে স্বত্বের প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে ।

 

উপধারা-(২)সাময়িকভাবে বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে অন্য কোনো কিছু বলা থাকাসত্ত্বেও কোনো প্রজা বা তাহার উত্তরাধিকারীর ঐ জমিতে বা জমির অংশে স্বত্ব, স্বার্থএবং অধিকার সিকস্তির কারণে জমি অবলুপ্তির সময়ে বর্তমান থাকিবে যদি উক্ত জমিঅবলুপ্তির ৩০ বছরের মধ্যে পূর্ব স্থানে পুনঃউদ্ভব হয় ।

উপধারা-(৩)অধিকার, স্বত্ব এবং স্বার্থ সম্পর্কে (২) উপধারার যাহা বলাআছে তাহা থাকা সত্ত্বেও, পুনঃউদ্ভাবিত জমিতে তাত্ক্ষনিক দখলাধিকার প্রথমে কালেক্টরনিজ উদ্যোগে বা যাহার জমি অবলুপ্ত হইয়া গিয়াছিল সেই প্রজা বা তাহার উত্তরাধিকারীকর্তৃক বা অন্য কাহারো মাধ্যমে লিখিতভাবে সংবাদ পাইবার পর প্রয়োগ করিবেন ।

উপধারা-(৪)এই আইনের অন্যত্র কোনো কিছু বলা থাকা সত্ত্বেও কালেক্টরঅথবা রাজস্ব কর্মকর্তা এই ধরনের জমিতে দখল লইবার পর এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃকপ্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী দখল লওয়া সম্পর্কে জনগণকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানাইবেন এবংপুনঃউদ্ভাবিত জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে জরিপ করিবেন এবং ইহার ভিত্তিতে ম্যাপ প্রস্তুতকরিবেন ।

উপধারা-(৫)কালেক্টর উপধারা (৪) অনুযায়ী সার্ভে জরীপ এবং ম্যাপপ্রস্তুত করিবার ৪৫ দিনের মধ্যে সিকস্তির কারণে যাহার জমি অবলুপ্ত হইয়া গিয়াছেতাহাকে অথবা যেইক্ষেত্রে তাহার উত্তরাধিকারকে এই পরিমাণ জমি বন্দোবস্তকৃত জমিরপরিমাণ এইরূপ হইবে যাহা ইতিপূর্বে ঐ ব্যক্তির বা তাহার উত্তরাধিকারী কর্তৃক অধিকৃতজমির সংগে সংযুক্ত হইয়া ৬০ বিঘার অতিরিক্ত না হয় এবং উক্ত প্রজা বা তাহারউত্তরাধিকারী যদি উক্ত বন্দোবস্তের পর কোনো অতিরিক্ত ভূমি থাকে তবে তাহা সরকারের উপরন্যস্ত হইবে এবং সরকারের কর্তৃত্বাধীনে থাকিবে ।

উপধারা-(৬)(৫) উপধারা অনুযায়ী বন্দোবস্তকৃত জমি সালামী মুক্ত হইবেকিন্তু এই শর্তসাপেক্ষে হইবে যে প্রজা বা তাহার উত্তরাধিকারী রাজস্ব অফিসার কর্তৃকযথাযথ ও ন্যায়সংগত বলিয়া ধার্যকৃত কর এবং ভূমি উন্নয়ন কর দিতে বাধ্য থাকিবে।

উপধারা-(৭)সরকার কর্তৃক বা কোন আইনের উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্যক্ষমতাপ্রাপ্ত বা কর্তৃকপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত উন্নয়নমূলক কাজের ফলশ্রুতিতেকৃত্রিম বা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পুনঃউদ্ভব প্রাপ্ত জমির ক্ষেত্রে এই ধারার বিধানপ্রযোজ্য হইবে না।

ধারা-৮৬-ক(নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মামলা দায়েরে বাধা)

এই ধারা অনুযায়ী কার্যক্রম যাহাতে কালেক্টর সম্পন্ন করিতে পারেন, সেই জন্য ৮৬ধারার আওতাভুক্ত কোনো জমির ব্যাপারে কোনো মামলা, আবেদন অথবা অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম৮৬ (৪) ধারা অনুযায়ী জনগণের জ্ঞাতার্থে নোটিশ জারির পর ১২ মাসের মধ্যে দায়ের করাযাইবে না ।

ধারা-৮৭(নদী বা সমুদ্র দূরে সরিয়া যাওয়ার কারণেবৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমির অধিকার)

 

উপধারা-(১) সাময়িকভাবে বলবত্‍ কৃত অন্য কিছু বলা থাকাসত্ত্বেও নদী বা সমুদ্র দূরে সরিয়া যাওয়ার কারণে যখন, কোনো জমি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, তখন ইহা সংযুক্ত জোতের পরিবৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমি হিসাবে গণ্য করা যাইবে না, কিন্তু উহাচূড়ান্তভাবে সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে এবং উহার কর্তৃত্ব সরকারের হাতে থাকিবে ।

উপধারা-(২)উপধারা (১)-এর বিধানাবলী ঐ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সকল জমিরক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে তাহা ১৯৭২ সালের ২৮শে জুনের পূর্বে বা পরে পরিবৃদ্ধিপ্রাপ্তহউক না কেন, কিন্তু উহা ঐ তারিখের পূর্বে কোনো জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যদিজোতের পরিবৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমি মালিকের দখলে রাখার অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (ষষ্ঠসংশোধনী) আদেশ (পি. ও. ১৩৭/১৯৭২) শুরু হওয়ার পূর্বে বলবত্‍ কৃত আইনে স্বীকৃত বাঘোষিত হইয়া থাকে ।

উপধারা-(৩)কোনো নদী বা সমুদ্র দুরে সরিয়া যাওয়ার কারণে জোতের সংলগ্নবৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমি অধিকার রাখার দাবী সম্পর্কিত সকল মামলা, আবেদন, আপিল বা অন্যান্যকার্যক্রম ঐ আদেশ কার্যকরী হওয়ার তারিখে কোনো আদালতে বা কর্তৃপক্ষের নিকট স্থগিতঅবস্থায় থাকিলে তাহা আর চলিতে পারিবে না এবং তাহা বাতিল হইয়া যাইবে এবং ঐ দাবীসম্পর্কিত কোনো মামলা, আবেদন বা আইনগত কার্যক্রম কোনো আদালত গ্রহণ করিবে না ।

ধারা-৮৮ রায়তের জোতজমি হস্তান্তর যোগ্যতা

অপরাপর স্থাপরসম্পত্তি যে নিয়মে এবং যতখানি হস্তান্তর করা যায় সেইভাবে রায়তের জোত বা উহারঅংশবিশেষ অত্র আইনের বিধানসাপেক্ষে হস্তান্তরযোগ্য হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, ২০ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী অধিকৃত চাবাগানের খাসজমি বা উহার অংশবিশেষ ডেপুটি কমিশনারের লিখিত পূর্ব অনুমোদন ছাড়াহস্তান্তর করা যাইবে না এবং প্রস্তাবিত হস্তান্তর কোনো ভাবেই বাগানের অস্তিত্ব বিনষ্টকরিবে না অথবা অধিকৃত ভূমিতে চা চাষের ক্ষতি সাধন করিবে না ।

ধারা-৮৯( হস্তান্তর পদ্ধতি)

উপধারা-(১)উইল, ডিক্রীজারী মূলে নিলাম/বিক্রিঅথবা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আইনের অধীনে কোনোসার্টিফিকেট জারি ব্যতীত ঐরূপ প্রত্যেক হস্তান্তর রেজিষ্ট্রি দলিলের মাধ্যমেহস্তান্তর করিতে হইবে এবং রেজিষ্ট্রি অফিসার ঐরূপ কোনো দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্যগ্রহণ করিবেন না, যদি না হস্তান্তরিত সম্পত্তির বিক্রয়মূল্য এবং যেক্ষেত্রেবিক্রয়মূল্য নাই সেক্ষেত্রে হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের মূল্য দলিলে উল্লেখথাকে এবং যদি না ইহার সংগে সংযুক্ত করা হয়-

(ক)রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে পাঠাইবার জন্য নির্ধারিত প্রসেসফি-সহ নির্ধারিত ফরমে হস্তান্তরের বিবরণসহ একটি নোটিশ; এবং

(খ)(৪) উপধারা অনুযায়ী যে নোটিশসমূহের ও প্রসেস ফিসমূহেরপ্রয়োজন উহা ।

উপধারা-(২)ঐরূপ একটি হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের উইলের ক্ষেত্রেকোনো আদালত̔প্রবেট̕অথবা লেটার্স অভ এডমিনিষ্ট্রেশন মঞ্জুর করিবেন না, যে পর্যন্ত R/F দরখাস্তকারী (১)উপধারার (ক) বর্ণিত একই রকমের নোটিশ ও একই অংকের প্রসেস ফি দাখিল করে ।

উপধারা-(৩)যে পর্যন্ত না ক্রেতা বন্ধকগ্রহীতা, সে যাহাই হউক, (১)উপধারায় বর্ণিত একই রকমের নোটিশ বা নোটিশসমূহ এবং একই অংকের প্রসেস ফি সমূহ জমা দেয়কোনো আদালত অথবা রাজস্ব কর্তৃপক্ষ ডিক্রী জারীমূলে বা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায়আইনের অধীনে সার্টিফিকেট মূলে ঐরূপ কোন, হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের বিক্রয়অনুমোদন করিবেন না এবং কোন আদালত ঐরূপ কোন হোল্ডিং বা উহার খণ্ড অথবা অংশের কোনোবন্ধক সম্বন্ধে কোনো ফোরক্লোজারের চূড়ান্ত ডিক্রী বা আদেশ দিবেন না ।

উপধারা-(৪)যদি ঐরূপ একটি হোল্ডিং-এর খণ্ড অথবা অংশের হস্তান্তর এমনহয় যাহার ক্ষেত্রে ৯৬ ধারার বিধান প্রযোজ্য হয় সেক্ষেত্রে উক্ত হোল্ডিং-এর সকল সহ-শরীক প্রজাগণের উপর জারীর জন্য এবং উহার এক কপি রেজিষ্টারিং অফিসারের অফিসেঅথবা আদালত ভবনে অথবা রাজস্ব কর্তৃপক্ষের অফিসে, যেখানে যেমন প্রযোজ্য হয় ঝুলাইবারজন্য নির্ধারিত প্রসেস সমূহসহ হস্তান্তরের বিবরণাদিসহ নির্ধারিত ফরমে নোটিশসমূহে জমাদিতে হইবে ।

উপধারা-(৫)আদালত, রাজস্ব কর্তৃপক্ষ অথবা রেজিষ্টারিং অফিসার, যেযেখানে প্রযোজ্য হয়, (১) উপধারার (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত নোটিশ রেভিনিউ অফিসারের কাছেপাঠাইবেন এবং (৪) উপধারায় বর্ণিত নোটিশ রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে সহশরীক প্রজাগণের উপরজারী করিবেন এবং নোটিশের এক কপি আদালত ভবনে অথবা রাজস্ব কর্তৃপক্ষের অফিসে অথবারেজিষ্টারিং অফিসারের অফিসে, যেমন প্রযোজ্য হয়, ঝুলাইবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ নোটিশ জারী সরকার বা হোল্ডিং-এর কোনোসহশরীক প্রজা যাহাদের উপর এরূপ নোটিশ জারী হইয়াছে দ্বারা খাজনার পরিমাণ বা এইরূপহোল্ডিং-এর পরিসীমার স্বীকৃত হিসাবে প্রয়োগ করা হইবে না । সরকার অথবা এইরূপ সহ-শরীকপ্রজার হোল্ডিং-এর বিভাজন অথবা উহার জন্য দেয় খাজনা বণ্টনের ব্যক্ত সম্মতি হিসাবেনেওয়া হইবে না ।

আরও শর্ত থাকে যে, যাহাতে রাজস্ব অফিসার পক্ষ নন এমন কোনো মামলা, আপিল বা অন্যবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরবর্তী সময়েযদি কোনো হস্তান্তর বাতিল বা সংশোধিত হয় তবে যে কর্তৃপক্ষের কাছে সর্বপ্রথম যথাযথমামলা বা কার্যক্রম রুজু করা হইয়াছিল সেই কর্তৃপক্ষ এইরূপ আদেশের কপি রাজস্বঅফিসারের কাছে প্রেরণ করিবেন ।

উপধারা-(৬)এই ধারায়-

(ক) হস্তান্তরগ্রহীতা, ক্রেতা এবং বন্ধক গ্রহীতা বলিতেতাহাদের স্বার্থের স্থলাবর্তীগণকেও বুঝাইবে; এবং

(খ) 'হস্তান্তর' বলিতে বাটোয়ারা বা, যে পর্যন্ত না একটি ডিক্রীঅথবা ফোরক্লোজারে কোনো চূড়ান্ত আদেশ দেওয়া হয়, সরল বা খাই খালাসী বন্ধক বাশর্তসাপেক্ষে বিক্রয়ের বন্ধককে অন্তর্ভূক্ত করিবে না ।

 

ধারা-৯০ ( জোতজমি হস্তান্তরের সীমাবদ্ধতা)

উপধারা-(১)আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই খণ্ড বলবত্‍ হওয়ার পর এই খণ্ডের বিধানব্যতীত কোনো ব্যক্তিবিশেষ এই পরিমাণ ভূমি ক্রয় করিতে বা অন্য কোনোভাবে অর্জন করিতেপারিবে না যাহা তাহার নিজের ও পরিবারের জন্য অধিকৃত মোট ভূমির সংগে যুক্ত হইলে ৩৭৫বিঘার অধিক হইবে ।

উপধারা-(২)আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো রায়তের জোত বা উহার কোনো অংশ বা খণ্ড বিক্রয়, দান বা উইলমূলে বা অন্যকোনো বাডিক্রীজারী মূলে বা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আইনের অধিনে কোনো সার্টিফিকেট জারিমূলেপ্রকৃত কৃষক ছাড়া অন্য কাহারো নিকট হস্তান্তর করা যাইবে না এবং এরূপ কোনপ্রজাস্বত্ব বা উহার কোন বা খণ্ড ঐরূপ কোন উপায়ে কোনো ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করাযাইবে না যদি না সে নিজের ও পরিবারের জন্য আপাতত ৩৭৫ বিঘার কম জমির অধিকারী হয় এবংঐরূপ কোনো হস্তান্তর বৈধ হইবে না যদি হস্তান্তরের সময় হস্তান্তর গ্রহীতার অধিকৃতভূমির সহিত উক্ত হস্তান্তরিত ভূমি যুক্ত হইলে ৩৭৫ বিঘার সীমা অতিক্রম করে ।

 তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি বা সমবায় সমিতির নিকটহস্তান্তর করা হইলে, ঐরূপ ব্যক্তি বা সমবায় সমিতির মোট জমির পরিমাণ ৩৭৫ বিঘার বেশীহইলেও (১) এবং (২) উপধারার বিধানের অধীনে হস্তান্তর বাতিল হইবে না, যদি-

(ক)নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ এইরূপ ব্যক্তিকে শক্তিচালিতযন্ত্রপাতির সাহায্যে বৃহাদায়তন কৃষি খামার প্রতিষ্ঠান উপায় অবলম্বন করিয়াছে বলিয়াসার্টিফিকেট দিয়া থাকে; এবং

(খ)সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ যদি এইমর্মে সার্টিফিকেট দেয় যে, ঐরূপ সমিতি দলবদ্ধভাবে চাষী জমির মালিকগণ উত্কৃষ্ট ফসলউত্পাদনের জন্য সংগঠিত হইয়াছে, তাহারা শক্তিচালিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুক বা নাকরুক এবং নিঃশর্তভাবে প্রত্যেকের জমির মালিকানা সমিতির নিকট হস্তান্তর করুক বা নাকরুক, উভয়ক্ষেত্রেই এইরূপ হস্তান্তরের সীমা রাজস্ব কর্তৃপক্ষের মঞ্জুরকৃতসার্টিফিকেটে বর্ণিত থাকিবে ।

আরও শর্ত থাকে যে, (১) ও (২) উপধারার কোনো বিধান কোনো ব্যক্তিযে প্রকৃতপক্ষে চায়ের চাষ করিতেছে, বা কোনো সমবায় সমিতি বা কোনো কোম্পানী যাহাপ্রকৃতপক্ষে উক্ত সমবায় সমিতি অথবা কোম্পানী কর্তৃক চিনি উত্পাদনের নিমিত্ত আখেরচাষ করিতেছে বা অপর কোনো কোম্পানী যাহার উদ্দেশ্য কোনো পণ্যদ্রব্য উত্পাদনের দ্বারাশিল্পের উন্নতি সাধন করা তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না ।

উপধারা-(৩)(১) ও (২) নং উপধারায় ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও, খাঁটিচাষী নহে এমন কোনো ব্যক্তিও নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষের পূর্ব লিখিত অনুমতি লইয়াঅনুমতিপত্রে বর্ণিত পরিমাণ ভূমি ভোগদখল করিতে ও বাণিজ্যিক শিল্পের উদ্দেশ্যে অথবাদাতব্য এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ভূমি খরিদ এবং ভোগ-দখল করিতে পারিবে ।

উপধারা-(৪)(১) ও (২) উপধারায় ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও প্রকৃতচাষী নহে এমন ব্যক্তি নির্ধারিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষের পূর্ব লিখিত অনুমতিক্রমেঅনুমতিপত্রে উল্লেখিত পরিমাণ ভূমি তাহার পরিবারের বসতবাড়ি প্রস্তুতের নিমিত্ত অথবাসে নিজে বা তাহার পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা অথবা চাকরদের অথবা শ্রমিকদের দ্বারা বাসাহায্যে অথবা অংশীদারগণের বা বর্গাদারগণের সাহায্যে উক্ত ভূমি চাষ করিবার নিমিত্তখরিদ অথবা অন্য উপায়ে অর্জন করিতে পারিবে এবং উক্ত অর্জিত ভূমি সরকারের প্রজা হিসাবেঅধিকারে রাখিতে পারিবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ কোনো ব্যক্তিকে (১) উপধারায় নির্ধারিতভূমির বেশী পরিমাণ ভূমি অধিকারে রাখিতে দেওয়া হইবে নাঃ

আরও শর্ত থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি অথবা পরিবারের সদ্স্যগণেরজন্য বসতবাড়ি তৈরীর নিমিত্ত তদকর্তৃক অধিকৃত ভূমির ক্ষেত্রে যদি অধিকার অর্জনেরতারিখ হইতে পাঁচ বত্সরের ভিতর উক্ত ভূমির উপর বসতবাড়ি প্রস্তুত না করা হয়তবে উক্ত জমিতে উক্ত ব্যক্তির অধিকারের বিলুপ্তি ঘটিবে এবং উক্ত ভূইম সরকারের উপরবর্তাইবে ।

উপধারা-(৫)অত্র ধারার বিধান লংঘন করিয়া কোনো জোত বা প্রজাস্বত্ব বাউহার অংশ বা খণ্ডের হস্তান্তর করিলে উহা বাতিল হইয়া যাইবে এবং উহা দায়যুক্ত অবস্থায়সরকারের উপর চূড়ান্তভাবে অর্পিত হইবে ।

ধারা-৯১ ( উত্তরাধিকার সূত্রে বর্তিত অতিরিক্ত ভূমিরঅধিগ্রহণের ক্ষমতা)

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেনযেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পূর্ব দখলকৃত মোট ভূমির সহিত উত্তরাধিকারের মাধ্যমে তাহারপ্রাপ্ত ভূমি সংযুক্ত হইয়া ৯০ ধারায় নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে সেক্ষেত্রে উক্তব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচিত অতিরিক্ত ভূমির জন্য ৩৯(১) ধারায় উল্লেখিত হারেক্ষতিপূরণ প্রদানের পর উহা অধিগ্রহণ করা সরকারের জন্য আইনানুগ হইবে ।

ধারা-৯২(কতিপয় ক্ষেত্রে রায়তের স্বার্থের বিলোপ)

উপধারা-(১)জোতে কোন রায়তের স্বত্বের পরিসমাপ্তি ঘটিবে-

(ক)যেক্ষেত্রে তিনি যে আইনের অধীনে হউক সেই আইনের বিধানঅনুযায়ী সম্পত্তি পাইবার জন্য উত্তরাধিকারী না রাখিয়া বা সম্পত্তির জন্য কোনো প্রকারউইল সম্পাদন না করিয়া মারা যান ।

(খ)যেক্ষেত্রে তিনি কোনো কৃষি বত্সরের শেষে নির্ধারিত ফরমে, নির্ধারিত নিয়মে, নির্দিষ্ট সময় মধ্যে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানেরমাধ্যমে রাজস্ব অফিসারের কাছে তাহার জোত সমর্পণ করিয়া ইস্তফা দেন;

(গ)যেক্ষেত্রে বকেয়া খাজনা পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা না রাখিয়াস্বেচ্ছায় বাসস্থান ত্যাগ করেন ও নিজে বা তাহার পরিবারের সদস্যগণ দ্বারা বা কর্মচারীঅথবা শ্রমিক দ্বারা বা অংশীদার অথবা বর্গাদারের সাহায্যে এক নাগাড়ে তিন বত্সরকালপর্যন্ত তাহার জোত চাষাবাদ করা হইতে বিরত থাকেন;

(ঘ)যেক্ষেত্রে যে আইনের অধীন আইন অনুযায়ী কোনো রায়তের উপর কোনোভূমির স্বত্ব উত্তরাধিকার সূত্রে ন্যস্ত হয়, যিনি নিজে প্রকৃত চাষী নহেন ও যিনি নিজেঅথবা তাহার পরিবারের লোকজন, কর্মচারী বা বর্গাদারগণের সহায়তায় একনাগাড়েপাঁচ বত্সরকাল যাবত্‍ চাষাবাদ করিতে ব্যর্থ হন বা ঐরূপ চাষাবাদ না করার কোনো সন্তোষজনক কারণ নাই;

উপধারা-(২)যেক্ষেত্রে (১) নং উপধারায় কোনো জোত কোনো রায়তের স্বার্থেরপরিসমাপ্তি ঘটে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং যেতারিখে রাজস্ব অফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করেন সেই তারিখ হইতে জোতটি উক্ত উপধারার কঅনুচ্ছেদের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারেরউপর ন্যস্ত হইবে । কিন্তু জোতসমূহে যে সমস্ত ব্যক্তিগণের স্বার্থ উক্ত (খ), (গ) ও(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলুপ্ত হয় তাহারা উক্ত জোতসমূহের উপর সৃষ্ট দায়সমূহের টাকারজন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবন ।

উপধারা-(৩)(২) উপধারা অনুযায়ী কোনো জোতে প্রবেশের পূর্বে রাজস্বঅফিসার উক্ত জোতে প্রবেশ করার তাহার ইচ্ছা ও ইহার কারণ জোতে স্বার্থ আছে এমন সকলব্যক্তির নিকট নোটিশে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে আপত্তি আহবান করিয়া নির্দিষ্ট নিয়মেনোটিশে প্রদান করিবেন এবং সিদ্ধান্ত রেকর্ড করিবেন ।

উপধারা-(৪)(১) উপধারার ঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জোতে স্বার্থ বিলুপ্তির কোনো রায়তের আপত্তির পর (৩) উপধারায় রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশে ক্ষুব্ধ কোনোব্যক্তি ১৪৭ ধারায় আপিল না করিয়া ঐরূপ আদেশের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়েরকরিতে পারিবে ।

আপাতত বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন ঐরূপ মামলারাজস্ব অফিসার কর্তৃক (৩) উপধারায় প্রদত্ত আদেশের তারিখ হইতে ৯০ দিনের মধ্যে দায়েরকরিতে হইবে।

উপধারা-(৫)(১) উপধারায় জোতে কোনো রায়তের স্বার্থ বিলুপ্ত হইলে তাহারনিকট হইতে প্রাপ্য উক্ত জোতের সমস্ত বকেয়া খাজনা অনাদায়যোগ্য বলিয়া গন্য হইবে ।

ধারা-৯৩( কোর্ফা পত্তনের উপর বিধি-নিষেধ)

উপধারা-(১)কোনোরায়ত তাহার সমগ্র জোত অথবা উহার কোনো মেয়াদ অথবা শর্তে কোর্ফা পত্তন দিতে পারিবে না ।

উপধারা-(২)এই ধারার বিধানসমূহ অমান্য করিয়া কোনো জোত অথবা উহার অংশযদি কোর্ফা পত্তন দেওয়া হয় তবে উক্ত জোত অথবা উহার অংশে রায়তের স্বার্থের বিলুপ্তিঘটিবে এবং উক্ত জোত অথবা উহার অংশ, উহা যাহাই হউক, কোর্ফা পত্তনের তারিখ হইতেসম্পূর্ণ দায়মুক্ত অবস্থায় সরকারের উপর বর্তাইবে ।

ধারা-৯৪( কতিপয় ক্ষেত্রে দায় হস্তান্তর)

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুইথাকুক না কেন ৯০ ধারার (৫) নং উপধারায় অথবা ৯০ ধারায় (২)উপধারায় উল্লেখিত দায় সংশ্লিষ্ট ভূমির হস্তান্তর অথবা অধীনস্থ ইজারার তারিখহইতেনির্ধারিত বিধিমালা অনুযায়ী রাজস্ব অফিসার কর্তৃক বাছাইকৃত হস্তান্তরকারীঅথবাইজারাদাতার অপরাপর জমির সংগে হস্তান্তরিত অথবা যুক্ত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়ানেওয়া হইবে; এবং তত্পর উক্ত হস্তান্তর অথবা অধীনস্থ ইজারা সম্পন্ন হইবার আগে তাহার মূলভূমিতেদায় প্রাপকের যে অধিকার নিহিত ছিল সেই একই অধিকার ঐ সমস্ত জমির উপর চলিতেথাকিবে । হস্তান্তরকারী অথবা ইজারাদাতা, যেক্ষেত্রে যাহা প্রযোজ্য উক্ত দায়সৃষ্টির মাধ্যমেগৃহীত অর্থের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবে ।

ধারা-৯৫( রায়তি জোতের বন্ধকের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা)

উপধারা-(১)আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো রায়ত তাহার জোত অথবাউহার অংশবিশেষ সম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ছাড়া অন্য কোনো রকম বন্ধকাবদ্ধ হইবে না এবংঐরূপ প্রত্যেক সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ৯০ ধারার অধীন কোনো রায়তের জোত বা উহারঅংশবিশেষ হস্তান্তর ক্ষেত্রে ৯০ ধারায় যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হইয়াছে ঐরূপ প্রত্যেকসম্পর্ণ খাইখালাসী বন্ধক ও একই সীমাবদ্ধতাসাপেক্ষ হইবে এবং যে সময়ের জন্য রায়ত ঐরূপসম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধকাবদ্ধ হইয়াছে উহার মেয়াদ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন চুক্তিদ্বারা সাত বত্সরের বেশী হইবে না ।

তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ কোনো খাইখালাসী বন্ধক উক্ত মেয়াদ শেষহইবার পূর্বে যে কোনো সময় বন্ধকের মেয়াদের বাকী সময়ের জন্য সরাসরিভাবে বন্ধকের টাকাপ্রতার্পণ করিয়া বন্ধকী ভূমি দায়মুক্ত করিয়া লইতে পারিবে ।

উপধারা-(২)১৯০৮ সালের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী ঐরূপ প্রত্যেক সম্পর্ণখাইখালাসী বন্ধক রেজিষ্ট্রিকৃত হইতে হইবে ।

উপধারা-(৩)কোনো রায়ত যদি (১) উপধারায় নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ নাকরিয়া কোনো সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধকাবদ্ধ হয় অথবা (২) উপধারার অধীনে উহা নিবন্ধনকৃতনা হয় তবে উহা বাতিল হইবে ।

উপধারা-(৪)আপাতত বলবত্‍ অপর কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদিবন্ধকগ্রহীতা (১) নং উপধারার বিধান অনুসারে বন্ধক মুক্তকরণের ক্ষেত্রে বাধা দান করেঅথবা অস্বীকার করে তবে বন্ধকদাতা মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেটের (বর্তমানে থানাম্যাজিষ্ট্রেটের) নিকট বা এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের নিকটআবেদন করিতে পারিবে এবং ঐ আবেদন করার পরও বন্ধক মুক্তকরণের ক্ষেত্রে ঐ বিধান অনুযায়ীবন্ধকগ্রহীতার প্রাপ্য অর্থ দরখাস্তকারী কর্তৃক প্রদান করার পর থানা ম্যাজিষ্ট্রেটঅথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসারের আদেশে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অথবা কর্তৃত্বে অবস্থিতবন্ধকী জমি সম্পর্কিত সকল দলিলপত্র প্রদান করিবার নিমিত্ত আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৫)যদি বন্ধকগ্রহীতা (৪) উপধারার অধীন নির্ধারিত তারিখেবন্ধকী জমির দখল বন্ধকদাতার নিকট ফেরত্‍ না দেয় তবে বন্ধক দাতার আবেদনের প্রেক্ষিতেথানা ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা এই উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার ঐ বন্ধকগ্রহীতাকেউচ্ছেদ করিয়া দরখাস্তকারীকে ঐ জমির দখল প্রদান করিবেন ও প্রয়োজনবোধে উচ্ছেদেরনিমিত্ত বলপ্রয়োগ করিবেন অথবা প্রয়োগের ব্যবস্থা করিবেন ।

ধারা ৯৫-ক ( কতিপয় হস্তান্তর খায়খালাসী বন্ধক হিসাবে গণ্যকরা )

আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন যদি কোনো জোত বাউহার অংশবিশেষ কবলা মূল্যে পুনঃফেরতের চুক্তিসহ হস্তান্তর করা হয় অথবা যে ক্ষেত্রেহস্তান্তরকারী হস্তান্তর গ্রহীতার নিকট হইতে কোনো মূল্য গ্রহণ করে এবংহস্তান্তরগ্রহীতা দখল করার ও উত্পাদিত ফসল ভোগ করার অধিকার অর্জন করে সেইক্ষেত্রেএইরূপ জোত বা উহার অংশ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঐরূপ মূল্যের পরিবর্তে হইলেহস্তান্তর দলিলে অন্যরূপ কিছু থাকিলেও উহাকে অনধিক ৭ বত্সরের পূর্ণ খাইখালাসীবন্ধক হিসাবে ধরিয়া লওয়া হইবে এবং এইরূপ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ৯৫ ধারার বিধানা বলীপ্রযোজ্য হইবে, ইহা রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন (দ্বিতীয় সংশোধনী আদেশ)১৯৭২ কার্যকর হওয়ার তারিখের আগেই হউক বা পরেই হউক ।

ধারা-৯৬( অগ্রক্রয়ের অধিকার-)

উপধারা-(১)যদি কোনো প্রজার জোতের খণ্ড অথবা অংশ হস্তান্তর করা হয় তবে ঐ হোল্ডিং-এর এক বাএকাধিক সহ-শরীক প্রজাগণ ৮৯ ধারা অনুযায়ী নোটিশ জারীর চার মাসের মধ্যে বা ৮৯ ধারাঅনুযায়ী যদি কোনো নোটিশ জারী না করা হয় তবে হস্তান্তর সম্বন্ধে অবগত হইবার তারিখহইতে চার মাসের মধ্যে তাহার অথবা তাহাদের ঐ ভূমি খণ্ড অথবা অংশ হস্তান্তরের জন্যআদালতে আবেদন পেশ করিতে পারে ও কোনো জোত অথবা খণ্ড বা অংশ হস্তান্তর করা হইলে ঐহস্তান্তর করা ভূমির সংলগ্ন ভূমি দখলকার প্রজা অথবা প্রজাগণ ঐ হন্তান্তর সম্বন্ধেঅবগত হওয়ার তারিখ হইতে চার মাসের মধ্যে তাহার অথবা তাহাদের নিকট ঐ হোল্ডিং অথবাখণ্ড বা অংশ হস্তান্তরের জন্য আদালতে দরখাস্ত দাখিল করিতে পারে ।

তবে শর্ত থাকে যে, কোনোসহ-শরীক প্রজার বা হস্তান্তরিত ভূমির দখলদার প্রজার অত্র ধারা অনুবলে খরিদ করারঅধিকার থাকিবে না-যদি না সে এমন ব্যক্তি হয় যাহার কাছে জোত অথবা উহার খণ্ড বা অংশ, সে যাহাই হউক, ৯০ ধারা অনুযায়ী হস্তান্তরযোগ্য ।

উপধারা-(২)একজন সহ-শরীক প্রজা বা সহ-শরীক প্রজাগণ (১) উপধারা অনুযায়ী দরখাস্ত দাখিল করিলেউক্ত দরখাস্তে জোতের অপর সমস্ত সহ-শরীক প্রজাগণকে ও হস্তান্তর গ্রহীতাকে পক্ষভুক্তকরিতে হইবে ও হস্তান্তরিত ভূমির সংলগ্ন ভূমির দখলদার প্রজা দরখাস্ত করিলে ঐ দরখাস্তেহস্তান্তরিত জোতের সমস্ত সহ-শরীক প্রজাগণকে ও হস্তান্তরিত ভূমির সংলগ্ন ভূমিরদখলদার সমস্ত প্রজাগণকে এবং ক্রেতাকে পক্ষভুক্ত করিতে হইবে ।

উপধারা-(৩)(ক) (১) উপধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত দরখাস্ত খারিজ হইবে যদি দরখাস্তকারী অথবাদরখাস্তকারীগণ উহা দায়ের করার সময় মূল্যের অর্থ অথবা হস্তান্তরিত জোত বা জোতেরখণ্ড অথবা অংশের মূল্য হস্তান্তর দলিলে বা ৮৯ ধারার অধীনে নোটিশ বর্ণিত, সে যাহাইহউক, মূল্যের অর্থ তত্‍সহ উহার শতকরা বার্ষিক দশ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ আদালতে জমা নাদেয় ।

(খ) উক্তরূপ জমাসহ দরখাস্তপাওয়ার পর আদালত ক্রেতা ও (২) নং উপধারার অধীনে দরখাস্তের পক্ষভুক্ত অপরাপরব্যক্তিগণকে আদালতে যে সময় ধার্য করেন সে সময়ের মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশপ্রদান করিবেন ও হস্তান্তর বাবদ যে মূল্যের টাকা প্রকৃতপক্ষে দেওয়া হইয়াছে তাহাবর্ণনার জন্য এরূপ ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবেন । হস্তান্তরের তারিখ হইতে খাজনাবাবদ সে আরও কত টাকা পরিশোধ করিয়াছে ও জোত অথবা অংশের দায়মুক্ত করার নিমিত্ত এবংঅপর কোনো উন্নয়ন কার্য্য বাবদ সে আর ও কত টাকা খরচ করিয়াছে উহা বলার নিমিত্তক্রেতাকে নির্দেশ প্রদান করিবেন । আদালত তখন সমস্ত পক্ষগণকে শুনানীর সুযোগ প্রদানকরিয়া প্রকৃত মূল্যের টাকা, খাজনা পরিশোধ ও হস্তান্তরিত সম্পত্তির দায়মুক্তি বাউন্নয়ন বাবদ ক্রেতার খরচ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিবেন । প্রয়োজনবোধে আদালত যাহাযথার্থ মনে করেন সেই সময়ের মধ্যে আরও অর্থ জমা দেওয়ার নিমিত্ত দরখাস্তকারী বাদরখাস্তকারীদিগকে নির্দেশ প্রদান করিবেন ।

তবে শর্ত হইল যে, ক্রেতাকোনো অবস্থাতেই হস্তান্তর দলিলে বর্ণিত অর্থের চাইতে বেশী মূল্যের অর্থ দাবী করিতে পারিবে না ।

উপধারা-(৪)যখন (১) উপধারার অধীনে কোনো দরখাস্ত দাখিল করা হয় তখন ক্রেতা, তাহাদের মধ্যে যদিকেহ থাকে তাহাকে সহ যে কোনো অবশিষ্ট সহ-শরীক প্রজা ও হস্তান্তরিত সম্পত্তিরসংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজাগণ (১) উপধারায় বর্ণিত সময়ের মধ্যে বা (৩) উপধারার খঅনুচ্ছেদ অনুযায়ী দরখাস্তের নোটিশ জারীর তারিখ হইতে দুই মাসের মধ্যে, যাহা আগেঘটিবে, ঐ দরখাস্তে যোগদানের জন্য দরখাস্ত দিতে পারিবে; কোন সহ-শরীক বা হস্তারিতসম্পত্তির লাগা ভূমির দখলদার প্রজা যে (১) উপধারা বা অত্র উপধারা অনুযায়ী দরখাস্তকরে নাই অত্র ধারা অনুযায়ী তাহার খরিদ করার আর কোনো অধিকার থাকিবে না ।

উপধারা-(৫)(ক) (অ) যদি কোনো সহ-শরীক প্রজা, যাহার স্বত্ব ওয়ারীশসূত্রে উদ্ভব হইয়াছে;

(আ) কোনো সহ-শরীক প্রজাযাহার স্বত্ব খরিদসূত্রে উদ্ভব হইয়াছে এবং

(ই) যদি অত্র ধারা মোতাবেকহস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজ্ঞা আবেদন করে এবং উহার শর্তাবলীপালন করে তাহা হইলে আবেদনকারী বা আবেদনকারীরা অত্র ধারায় বর্ণিত ক্রমানুসারে খরিদকরিবার অগ্রাধিকার পাইবে ।

(খ) যদি অত্র ধারা মোতাবেকহস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলদার প্রজা আবেদন করে তবে আদালত এইরূপপ্রজাগণের মধ্যে নিম্নলিখিত বিবেচনায় অগ্রাধিকার ক্রমিক অনুযায়ী নির্ধারণ করিবেন-

(অ) দরখাস্তকারী প্রজাদেরপ্রত্যেকের দখলে থাকা মোট জমির পরিমাপ;

(আ) প্রজার সংলগ্ন ভূমি বসতবাড়ীর ভূমি অথবা অন্য প্রকারের ভূমি কিনা;

(ই) সংলগ্নতার বিস্তৃতি;

(ঈ) আবেদনকারীর সংলগ্নভূমির দখল লাভের প্রয়োজনীয়তা কতখানি; এবং

(উ) আবেদনকারীর ইজমেন্টেরঅধিকার, যদি কিছু থাকে ।

উপধারা-(৬)(ক) (৪) উপধারা অনুযায়ী যে সময়ের মধ্যে আবেদন দাখিল করা যাইতে পারে সে সময় অতিবাহিতহইবার পর অত্র ধারার শর্তাবলী অনুসারে আদালত নির্ধারণ করিবেন যে, (১) উপধারা বা (৪)উপধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত আবেদনসমূহের মধ্যে কোনটির অনুমতি প্রদান করিবেন;

(খ) যদি আদালত দেখিতে পানযে, অত্র ধারা অনুযায়ী দায়েরকৃত দরখাস্তসমূহের অনুমতির আদেশ একাধিক দরখাস্তকারীরঅনুকূলে দিতে হইবে তবে আদালত এইরূপ প্রত্যেক দরখাস্তকারী কতৃক যেই পরিমাণ অর্থপরিশোধ করিতে হইবে তাহা নিরূপণ করিবেন ও অর্থ ন্যায়ানুগতভাবে ভাগ করিবার পর আদেশপ্রদান করিবেন যে, দরখাস্তকারী অথবা দরখাস্তকারীগণ যাহারা (৪) উপধারা মোতাবেক মূলদরখাস্তে যোগদান করিয়াছেন তাহার বা তাহাদের দ্বারা পরিশোধযোগ্য অর্থ আদালত যেমনসঙ্গত মনে করিবেন তেমন সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য আদেশ দিবেন এবং এইরূপ কোনোদরখাস্তকারী যদি উক্ত সময়ের মধ্যে অর্থ জমা না দেয় তাহা হইলে তাহার দরখাস্ত খারিজহইয়া যাইবে ।

উপধারা-(৭)(ক) (৬) উপধারার (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ীযে সময়ের মধ্যে জমা, যদি কিছু থাকে, দিতে হইবে সেই সময় অতিবাহিত হইলে আদালত অত্রধারা মোতাবেক খরিদ করিবার অধিকারী ও ইহার শর্তাবলী পালন করিয়াছে এইরূপ আবেদনকারীঅথবা আবেদনকারীগণ দ্বারা দায়েরকৃত আবেদন অথবা আবেদনসমূহ অনুমোদন করিয়া আদেশ প্রদানকরিবেন এবং যেক্ষেত্রে এইরূপ আদেশ একাধিক আবেদনকারীর অনুকূলে প্রদান করিতে হয়সেক্ষেত্রে জোতটি অথবা জোতের খণ্ড অথবা অংশকে তাহাদের মধ্যে এইরূপভাবে ভাগ করিবেনযাহা আদালতের কাছে ন্যায়সংগত বলিয়া গণ্য হয় এবং (১) উপধারার অধীন যদি আবেদনকারী বাআবেদনকারীগণ কোন অর্থ ফেরত পাইবে বলিয়া প্রতিপন্ন হয় তাহা হইলে (৬) উপধারারঅনুচ্ছেদ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণ কর্তৃক দেওয়া জমার অর্থ হইতেফেরত পাইবে ।

(খ) হস্তান্তরের জন্য ক্রেতা কর্তৃক পরিশোধিত মূল্যের টাকা, এইরূপ টাকার উপর শতকরা বার্ষিক দশ টাকা হারে ক্ষতিপূরণসহ, হস্তান্তরের তারিখ হইতেজোতের অথবা খণ্ডের অথবা অংশের খাজনা বাবদ তত্‍কর্তৃক পরিশোধিত টাকা, যদি কিছু থাকে, এবং এইরূপ জোত অথবা খণ্ডের বা অংশের দায়মুক্তি বা উন্নয়নের জন্য তত্কর্তৃক ব্যয়িতটাকা, যদি কিছু থাকে, (৩) উপধারা মোতাবেক দেওয়া জমা হইতে ক্রেতাকে পরিশোধ করার জন্যআদালত একই সময় নির্দেশ প্রদানপূর্বক আদেশ দান করিবেন ।

উপধারা-(৮)(৭) উপধারা মোতাবেক কোনো বিভাগাদেশ জোতের বিভাজন হিসাবেগণ্য হইবে না ।

উপধারা-(৯)(৭) উপধারা মোতাবেক আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে -(ক)হস্তান্তরের দরুন জোত অথবা খণ্ডে বা অংশে ক্রেতার উদ্ভুত অধিকার, স্বত্ব স্বার্থউক্ত উপধারা অনুযায়ী প্রদত্ত যে কোনো আদেশের সাপেক্ষে সমস্ত দায়, যাহা হস্তান্তরেরতারিখের পরে সৃষ্ট হইয়াছে, মুক্ত হইয়া, অবস্থাভেদে সহ-শরীক প্রজা বা হস্তান্তরিতসম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজা বা হস্তান্তরিত সম্পত্তির সংলগ্ন ভূমির দখলকারপ্রজাগণের, যাহাদের খরিদ করিবার আবেদন (৭) উপধারা মোতাবেক মঞ্জুর হইয়াছে, তাহাদেরউপর ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) ক্রেতার হোল্ডিং অথবা খণ্ডের বা অংশের খাজনা বাবদ দায়হস্তান্তরের তারিখ হইতে লোপ পাইবে এবং সহ-শরীক প্রজাগণ অথবা হস্তান্তরিত সম্পত্তিসংলগ্ন ভূমির দখলকার প্রজাগণের যাহাদের খরিদ করিবার আবেদন এইরূপে মঞ্জুর হইয়াছেতাহারা ক্রেতার কাছে প্রাপ্য এইরূপ যে কোনো খাজনার নিমিত্ত দায়ী থাকিবে ।

(গ) আদালত এইরূপ আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণের দরখাস্তেরপ্রেক্ষিতে তাহার অথবা তাহাদের উপর অর্পিত সম্পত্তির দখলে তাহাকে অথবা তাহাদিগকে, সে যাহাই হউক, বহাল করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(১০)অত্র ধারার কোনো কিছুই প্রয়োগ করা যাইবে না-

(ক) জমার কোনো সহ-শরীক, যাহার স্বার্থ খরিদসূত্রে ছাড়া অন্যউপায়ে উদ্ভব হইয়াছে, এইরূপ সহ-শরীকের কাছে ভূমি হস্তান্তর করা হইলে; বা

(খ) বিনিময় অথবা বাটোয়ারামূলে, হস্তান্তর করা হইলে; বা

(গ) উইল অথবা দানমূলে স্বামী অথবা স্ত্রীর উইলকারী অথবা দাতাতাহার আনুকূলে বা কোনো উইলকারী অথবা দাতা তাহার তিন ডিক্রির মধ্যে কোনো রক্তেরসম্পর্কিত আত্নীয়ের অনুকূলে, (দান অথবা হেবামূলে, আর্থিক বিনিময়ের হেবা বিল এওয়াজছাড়া) হস্তান্তর করিলে; বা

(ঘ) সরল বা সম্পূর্ণ খাই খালাসী বন্ধক বা, যতক্ষণ পর্যন্তবন্ধক মুক্তকরণের অধিকার হরণের চূড়ান্ত আদেশ অথবা ডিক্রি প্রদান করা না হয়, কোনোবন্ধক দ্বারা শর্তাধীন বিক্রয় করা হইলে; বা

(ঙ) মুসলিম আইনের বিধান মোতাবেক সৃষ্ট ওয়াকফ; অথবা

(চ) কোনো ব্যক্তির জন্য আর্থিক সুবিধা সংরক্ষণ ছাড়া কোনো ধর্মীয়অথবা দাতব্য উদ্দেশ্য উত্সর্গ করা হইলে ।

উপধারা-(১১)অত্র ধারা কোনো কিছুই মুসলিম আইনের অধীন কোনো অগ্রক্রয়েরঅধিকার হইতে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করিতে পারিবে না ।

উপধারা-(১২)যে আদালতে সংশ্লিষ্ট ভূমির দখল সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ ওনিষ্পত্তি করার এখতিয়ার আছে, সেই আদালতে এই ধারার অধীনে দরখাস্ত দাখিল করিতে হইবে ।

উপধারা-(১৩)অত্র ধারাবলে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো আদেশেরবিরুদ্ধে সাধারণ দেওয়ানী আপিল আদালতে আপিল দায়ের করা চলিবে । কিন্তু অন্য কোনো আইনেআপাতত অন্যরূপ কিছু বলবত্‍ থাকিলেও প্রথম আপিল আদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় আপিলদায়ের করা চলিবে না ।

ধারা ৯৭ ( আদিবাসী বা উপজাতীয়দের দ্বারা ভূমি হস্তান্তরেবিধি-নিষেধ )

উপধারা-(১)সরকার সময় সময় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করিতে পারিবেন যে, এইধারার বিধানাবলী কোনো জেলা অথবা স্থানীয় এলাকার নিম্নলিখিত আদিবাসী সমাজ অথবাগোত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে এবং এইরূপ সমাজ এবং গোত্র এই ধারার উদ্দেশ্যেআদিবাসী হিসাবে গণ্য হইবে এবং এইরূপ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ চূড়ান্ত প্রমাণ হইবে যে, এই ধারার বিধানাবলী এইরূপ সমাজ ও গোত্রের বেলায় প্রযোজ্য হইয়াছে যথা: সাঁওতাল, বানিয়াস, ভুঁইয়াম ভূমিজ, দালুস, গণ্ডা, হাদী, হাজং, হো,খারিয়া, খারওয়ার, কোরা, কোচ (ঢাকাবিভাগ), মগ (বাখেরগঞ্জ জেলা), মাল ও সুরিয়া, পাহাড়িয়া, মাচ, মাণ্ডা, মণ্ডিয়া, ওড়াংও তোড়ি ।

উপধারা-(২)অত্র ধারার যেরূপ বিধান রাখা হইয়াছে উহা ব্যতীত কোনোআদিবাসী রায়ত কর্তৃক তাহার জোত বা উহার অংশে তাহার স্বত্বের কোনো হস্তান্তর বৈধ হইবেনা যদি ইহা বাংলাদেশের ডমিসাইল্ড বা স্থায়ীভাবে বসবাসকারী আদিবাসী যাহার কাছে এইরূপজোত অথবা উহার অংশ ৮৮ ও ৯০ ধারা অনুযায়ী হস্তান্তর করা যায় তাহার কাছে হস্তান্তর করানা হইলে ।

উপধারা-(৩)যদি কোনো ক্ষেত্রে আদিবাসী রায়ত অপর কোনো ব্যক্তি যে এইরূপআদিবাসী নহে তাহার কাছে জোত অথবা উহার খণ্ড প্রাইভেট বিক্রি, দান বা উইল মাধ্যমেহস্তান্তর করিলে ইহার স্বপক্ষে অনুমতির জন্য যে রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিতেপারিবে ও রাজস্ব কর্মকর্তার ৮৮ ও ৯০ ধারার বিধানাবলী বিবেচনায় রাখিয়া দরখাস্তের উপরযাহা যথাযথ মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৪)(৩) উপধারায় উল্লেখিত প্রত্যেক হস্তান্তর নিবন্ধনকৃতদলিলমূলে করিতে হইবে এবং দলিল নিবন্ধনকৃত হওয়ার আগে জোতটি বা ইহার যে কোনো খণ্ডহস্তান্তরিত হইলে দলিল অনুযায়ী এবং হস্তান্তরের শর্তাবলী অথবা চুক্তি অনুযায়ীরাজস্ব কর্মকর্তার লিখিত সম্পত্তি গ্রহণ করিতে হইবে ।

উপধারা-(৫)একজন আদিবাসী রায়ত তাহার জমি শুধুমাত্র একপ্রকারের বন্ধকযথা সম্পূর্ণ খাইখালাসী বন্ধক প্রদানের ক্ষমতায় সীমাবদ্ধ ।

তবে শর্ত এই যে, কৃষির উদ্দেশ্যে ঋণ প্রাপ্তির জন্য বা কৃষিউন্নয়ন কর্পোরেশন বা সমবায় সমিতির নিকট হইতে কৃষির উদ্দেশ্যে ঋণ প্রাপ্তির বেলায় এইউপধারায় কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না ।

উপধারা-(৬)একজন আদিবাসী রায়ত অপর কোনো বাংলাদেশী ডমিসাইল্ড অথবাবাংলাদেশে স্থায়ী বসবাসকারী আদিবাসী যাহার সহিত ৯৫ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ীসম্পূর্ণ খাইখালাসী চুক্তিবদ্ধ হওয়া যায় তাহার সহিত তাহার জোতের অন্তর্ভূক্ত যেকোনোভূমিকে যে কোনো ব্যক্তি অথবা অব্যক্ত চুক্তির মাধ্যমে যে কোনো সময়ের জন্য যাহা কোনোমতেই সাত বত্সরের অধিক হইবে না বা হইতে পারে না এইরূপ সময়ের জন্য সম্পূর্ণখাইখালাসী বন্ধক চুক্তিতে আবদ্ধ হইতে পারে ।

উপধারা-(৭)কোনো আদিবাসী রায়ত এই ধারায় বিধানসমূহ লংঘন করিয়া কোনোহস্তান্তর করিলে উহা বাতিল হইবে ।

উপধারা-(৮)(ক) যদি এই ধারার বিধানসমূহ লংঘন করিয়া কোনো আদিবাসী রায়তকর্তৃক যদি কোনো জোত বা ইহার অংশ হস্তান্তর করে তাহা হইলে রাজস্ব কর্মকর্তার নিজউদ্যোগে বা ইহার স্বপক্ষে তাহার বরাবরে পেশকৃত দরখাস্তের ভিত্তিতে লিখিত আদেশবলেএইরূপ হস্তান্তর গ্রহীতাকে জোত অথবা অংশ হইতে উচ্ছেদ করিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ আদেশের আগে হস্তান্তর গ্রহীতাকেএইরূপ উচ্ছেদের জন্য কারণ দর্শানোর সুযোগ দিতে হইবে ।

(খ) (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজস্ব কর্মকর্তা কোনো আদেশ প্রদানকরিলে-

(অ) তিনি হয় আদিবাসী বা তাহার উত্তরাধিকারী বা তাহার আইনসংগতপ্রতিনিধির কাছে হস্তান্তরিত ভূমি প্রত্যার্পণ করিবেন; বা

(আ) হস্তান্তরকারী বা তাহার উত্তরাধিকারী বা তাহার আইনসংগতপ্রতিনিধি বা পাওয়া গেলে ভূমি সরকারের উপর ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া ঘোষণা দিবেন এবংরাজস্ব কর্মকর্তা উহা অন্য কোনো আদিবাসীর কাছে বন্দোবস্ত দিবেন ।

উপধারা-(৯)আপাতত বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনোআদালত কোনো আদিবাসী রায়তের জোত বা ইহার অংশের স্বত্ব বিক্রয়ের নিমিত্ত ডিক্রি অথবাআদেশ প্রদান করিতে পারিবেন না ।

তবে শর্ত এই যে, জোতের বকেয়া ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য বাসরকার বা কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বা সমবায় সমিতি কর্তৃক কৃষিরউদ্দেশ্যে জোত-এর জামানত সাপেক্ষে প্রদত্ত ঋণ আদায়ের জন্য এই আইনের বিধানসমূহমোতাবেক সার্টিফিকেট কার্যকর করিবার নিমিত্ত কোনো আদিবাসীর জোত বিক্রি করা যাইতে পারে ।

উপধারা-(১০)সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করিতে পারিবেন যে, এইধারা কোনো জেলা বা স্থানীয় এলাকার যে কোনো শ্রেণী বা গোত্র যাহার ক্ষেত্রে (১) উপধারাঅনুযায়ী ইহা প্রয়োগ করা হইয়াছে তাহার বেলায় এই ধারা প্রয়োগ হইতে বিরত থাকিবে ।

ধারা-৯৮( রায়ত এবং অকৃষি প্রজাগণ খাজনা পরিমার্জন)

অত্র অধ্যায়ে বর্ণিত বিধান ছাড়া কোনো রায়ত অথবা অকৃষি প্রজার খাজনা বৃদ্ধি, হ্রাসঅথবা পরিবর্তন করা যাইবে না ।

ধারা ৯৮ক (কতিপয় ক্ষেত্রে খাজনা নির্ধারণ অথবাপুনঃনির্ধারণ)

উপধারা-(১)অত্র আইনের অন্যত্র ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্বেও, ভূমির খাজনানির্ধারণ এবং পুনঃনির্ধারণ করা বৈধ হইবে-

(ক) যে ক্ষেত্রে রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কর্তৃক দখলিকৃত ভূমিরখাজনা ৪র্থ অধ্যায় অথবা ১৪৪ ধারার অধীনস্থ নির্ধারণ করা হয় নাই অথবা উক্ত ভূমিসম্বন্ধীয় খাজনা ১০৭ ধারার অধীনে নির্ধারণ করা হয় নাই; বা

(খ) যেখানে কোনো ভূমির খাজনা ক অনুচ্ছেদে উল্লেখিত কোনো বিধানঅনুযায়ী কৃষিভূমি হিসাবে নির্ধারণ করা হইয়াছে যাহা পরবর্তীকালে অকৃষি ভূমি হিসাবেব্যবহার করা হইয়াছে অথবা অকৃষি ভূমি হিসাবে নির্ধারণ করা হইয়াছে যাহা পরবর্তীকালেকৃষি ভূমি হিসাবে ব্যবহার করা হইয়াছে ।

উপধারা-(২)(১) উপধারার অধীন খাজনা নির্ধারণ অথবাপুনঃনির্ধারণের বেলায় জেলা প্রশাসক ২৬ ধারায় উল্লেখিত নীতিসমূহ বিবেচনা করিবেন;

তবে শর্ত থাকে যে, জেলা প্রশাসক এইরূপ এলাকায় কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করিবেন না যেখানে ১৪৪ ধারা মোতাবেক খতিয়ান প্রস্তুত অথবা পুনঃপরীক্ষণ করাহইয়াছে :

আরো শর্ত থাকে যে, রায়ত বা প্রজার উপস্থিত হওয়ার এবং এইবিষয়ের শুনানীর জন্য কমপক্ষে ১৫ দিনের নোটিশ না দিয়া এই ধারা মোতাবেক কোনো খাজনা নির্ধারণ অথবা পুনঃনির্ধারণ সমাধা করা হইবে না ।

উপধারা-(৩)যে ক্ষেত্রে কোন জোতের একটি অংশ অকৃষি কাজের উদ্দেশ্যেব্যবহৃত হয় সেক্ষেত্রে ১০৭ ধারার (৩) উপধারার উল্লেখিত নীতি সমূহের যতখানি প্রযোজ্যহয় ততখানি মোতাবেক উক্ত অংশ পৃথক প্রজাস্বত্বরূপে গঠিত হইবে এবং খাজনা নির্ধারণ এবংপুনঃনির্ধারণ এই ধারা মোতাবেক সমাধা করা যাইবে ।

ধারা -৯৯ (খাজনার হার নির্ধারণ এবং খাজনার তালিকা প্রণয়নেরআদেশ )

 উপধারা-(১)সরকার রাজস্ব অফিসারগণকে নির্দেশ প্রদান করিয়া আদেশ দিতে পারিবেন-

(ক)অত্র অধ্যায়ের বিধান এবং এতদ্উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃকপ্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী যে কোনো জেলা অথবা জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার জন্যখাজনার হার নির্ধারণ করা ও নির্ধারিত ফরমে এবং নিয়মে খাজনার হারের ছক প্রণয়ন করাইতেযাহাতে ঐ নির্ধারিত খাজনার হার তত্সহ অপরাপর নির্ধারিত বিবরণসমূহ সুনির্দিষ্টথাকিবে; এবং

(খ) যে কোনো জেলা, জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকার খাজনার হারেরছক অত্র অধ্যায়ের অধীনে প্রণয়ন ও বহালের পর উক্ত জেলা অথবা জেলার অংশ অথবা এলাকারসমস্ত জনগণের জন্য ন্যায্য এবং ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণ করিতে এবং নির্ধারিত ফরমেএবং নিয়মে খাজনা নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়ন করিতে যাহাতে উক্ত নির্ধারিত খাজনা তত্সহঅপরাপর বিবরণসমূহ সুনির্দিষ্ট থাকিবে ।

ধারা-১০০ (খাজনার হার নির্ধারণের পদ্ধতি)

উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে ৯৯ (১) ধারার (ক) অনুচ্ছেদের অধীনে কোনো আদেশ প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রেউক্ত আদেশে উল্লেখিত এলাকার জন্য খাজনার হার নির্ধারণের উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসারভূমির অবস্থা ও উক্ত এলাকা যদি কৃষি এলাকা হয় তবে উক্ত এলাকার উত্পন্ন ফসল বিবেচনাকরিয়া তিনি যেরূপ প্রয়োজনীয় মনে করিবেন সেইরূপভাবে উক্ত এলাকাকে কয়েকটি সুবিধাজনকইউনিটে ভাগ করিবেন ও রাজস্ব অফিসার অতঃপর উক্ত প্রতি ইউনিটের ভিন্ন শ্রেণীসমূহেরভূমির খাজনার হারসমূহ নির্ধারণ করিবেন ।

উপধারা-(২)রাজস্ব অফিসার (১) উপধারার অধীনে বিভিন্ন শ্রেণীসমূহেরকৃষি ভূমির খাজনার হারসমূহ নির্ধারণের বেলায় নিম্নলিখিত বিষয়াদি বিবেচনা করিবেন-

(ক)যে শ্রেণীর ভূমির জন্য খাজনার হার নির্ধারণ করা হইতেছেউহার মাটির প্রকৃতি এবং সাধারণ উত্পাদন ক্ষমতা;

(খ)নির্ধারিত নিয়মে প্রতি একর ভূমির স্বাভাবিক উত্পাদননির্ধারণ;

(গ)যে বত্সরগুলিতে ফসলের মূল্য অস্বাভাবিক ছিল সেই বত্সরসমূহ বাদ দিয়া বিগত বিশ বত্সরের ফসলের মূল্য অস্বাভাবিক ছিল সেই বত্সরসমূহ বাদদিয়া বিগত বিশ বত্সরের ফসলের গড় মূল্যের উপর ভিত্তি করিয়া নির্ধারিত উত্পাদিতফসলসমূহের গড়মূল্য;

(ঘ)ঐরূপ ভূমি চাষের ক্ষেত্রে সেচ অথবা নর্দমা অথবা অপর কোনোবিশেষ সুবিধা

(ঙ)বিশেষ ইউনিটে সরকারী অর্থ ব্যয়ে কৃষি উন্নয়নমূলককর্মকাণ্ডের ফলাফল ।

(চ) বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধারা-(৩)(১) উপধারার অধীন (যে কোনো শ্রেণীর কৃষি ভূমির ) একর প্রতিখাজনার হার ঐরূপ প্রতি একর ভূমির উত্পাদিত ফসলের মোট মূল্যের দশ ভাগের এক ভাগেরবেশী হইবে না যাহা ঐরূপ প্রতি একর ভূমির স্বাভাবিক উত্পাদন (২) উপধারার (২)অনুচ্ছেদে উল্লেখিত উক্ত উত্পাদিত ফসলের নির্ধারিত নিয়মে হিসাবকৃত গড় দাম দ্বারাবৃদ্ধি করিয়া প্রাপ্ত হয়;

উপধারা-(৪)রাজস্ব অফিসার (১) উপধারার অধীনে বিভিন্ন শ্রেণীর অকৃষিভূমির খাজনার হার নির্ধারণার্থে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করিবেন ।

(ক)অনুরূপ সুবিধার অথবা অনুরূপ বর্ণনা সম্বলিত পার্শ্ববর্তীঅকৃষি ভূমির জন্য সাধারণভাবে সরকারকে প্রদত্ত খাজনার হার;

(খ)৯৯ ধারার অধীন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অব্যবহিত পূর্বেনির্ধারিত নিয়মে হিসাবকৃত ঐ জমির অথবা পার্শ্ববর্তী অনুরূপ ভূমির বাজার দাম;

(গ)প্রজাস্বত্বে বিশেষ শর্তসমূহ এবং অনুসঙ্গ যদি থাকে; এবং

(ঘ)সরকারী খরচে নির্দিষ্ট ইউনিটে উন্নয়নমূলক কার্যের ফলাফলঃ

তবে শর্ত থাকে যে, (১) উপধারার অধীনে নির্ধারিত যে কোনোশ্রেণীর অকৃষি ভূমির খাজনার হার আবাসিক এলাকার বেলায় উক্ত বাজার দামের শতকরা একচতুর্থভাগের বেশী হইবে না ও অন্য কোনো এলাকার বেলায় উক্ত বাজার দামের শতকরা আধ ভাদেরবেশী হইবে না।

উপধারা-(৫)(৪) উপধারার (৪) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অনুরূপ বর্ণনাসম্বলিত পাশ্ববর্তী ভূমির জন্য সাধারণভাবে প্রদত্ত খাজনার ইউনিটে অবস্থিত ঐ ভূমিরবর্তমান খাজনাসমূহ একত্র করিয়া মোট টাকাকে ইউনিটের মোট পরিমাণ দিয়া ভাগ করিয়া হিসাবকরা হইবে ।

ধারা-১০১ (খাজনার হারের ছকসমূহ প্রাথমিক এবং চূড়ান্তভাবেপ্রকাশ ও নির্ধারিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইহার অনুমোদন)

উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার খাজনার হারসমূহের কোনো ছক প্রণয়ন করেন সেক্ষেত্রে তিনিইহার একটি খসড়া নির্ধারিত সময়ের জন্য ইহার সংগে সম্বন্ধযুক্ত এলাকায় অথবা গ্রামেপ্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন ।

উপধারা-(২)খাজনার হার সমূহের ছকের কোনো লিখনীর বিরুদ্ধে আপত্তিকারীব্যক্তি (১) উপধারা অনুযায়ী প্রকাশের ১ম দিন হইতে ৩০ দিনের ভিতর রাজস্ব অফিসারেরকাছে দরখাস্ত করিতে পারিবে ও রাজস্ব অফিসার ঐরূপ কোনো আপত্তি বিবেচনা করিবেন এবংছকের পরিবর্তন অথবা সংশোধন করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(৩)উক্ত সময়ের মধ্যে যদি কোনো আপত্তি না জানানো হয় অথবা অথবাযদি আপত্তি জানানো হয় তবে উহার নিষ্পত্তির পর রাজস্ব অফিসার তাহার প্রস্তাবেরকারণসমূহের পূর্ণ বিবরণ তত্সহ প্রয়োজনীয় বিবরণ এবং প্রতি শ্রেণীর ভূমির বর্তমানখাজনার হার ও প্রাপ্তআপত্তিসমূহের সংক্ষিপ্ত সারসহ তাহার কার্যক্রমসমূহ নির্ধারিতরাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবেন ।

উপধারা-(৪)উক্ত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ (৩) উপধারার অধীনেদাখিলকৃত ছক পরিবর্তনসহ অথবা পরিবর্তন ছাড়া অনুমোদন করিতে পারিবেন অথবা পুনঃপরীক্ষণের জন্য ফেরত্‍ পাঠাইতে পারিবেন ।

উপধারা-(৫)যেক্ষেত্রে খাজনার হারসমূহের ছক উক্ত উর্ধ্বতন রাজস্বকর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয় সেক্ষেত্রে অনুমোদনের আদেশকে ইহা প্রণয়নের নিমিত্তকার্যক্রম অত্র আইন মোতাবেক সঠিকভাবে পরিচালিত হইয়াছে বলিয়া চূড়ান্ত সাক্ষ্যরূপেগণ্য করা হইবে এবং প্রতি শ্রেণীর ভূমির জন্য ছকে দেখানো হার প্রযোজ্য এলাকায়অবস্থিত উক্ত শ্রেণীর জন্য প্রদান যথাযথ ও ন্যায়সংগত হার বলিয়া অনুমান করা হইবে ।

ধারা-১০২(সর্বোচ্চ হার হিসাবে ছকে প্রদর্শিত হার)

১০১ ধারার অধীনে অনুমোদিত খাজনার হারের ছকে দেখানো যে কোন শ্রেণীর ভূমির জন্যখাজনার হার সেই সর্বোচ্চ পরিমাণ হইবে যাহা ঐরূপ শ্রেণীর ভূমির জন্য একজন রায়ত বাঅকৃষি প্রজার খাজনা নির্ধারণ করা যাইবে ।

ধারা-১০৩(খতিয়ানে যে সকল বিবরণ থাকিতে হইবে)

১০০ ধারার (২) এবং (৪) উপধারায় উল্লেখিত একক ও খাজনার হার যাহা অত্র অধ্যায়ের অধীনেউক্ত ইউনিটের অন্তর্গত বিভিন্ন শ্রেনীর ভূমির জন্য নির্ধারিত হয় তদবিষয়ের বিবরণঅত্র খণ্ডের অধীনে পরিচালিত ঐ এককের খতিয়ানের অংশ হিসাবে গণ্য হইবে ।

ধারা-১০৪(খাজনার হারসমূহের স্থায়িত্বকাল)

যে ক্ষেত্রেকোনো জেলা, জেলার অংশ বা এলাকার এককের জন্য অত্র অধ্যায়ের হার নির্ধারিত হয় এবং ১০০ধারায় অনুমোদিত খাজনার হারের ছকে প্রদর্শিত হয় সেক্ষেত্রে ঐ অনুমোদনের তারিখ হইতেকুড়ি (২০) বত্সর সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উহা পরিবর্তন করা যাইবে না ।

ধারা-১০৫(খাজনা বৃদ্ধির কারণসমূহ ও সীমাবদ্ধতা)

উপধারা-(১)কোনো ভুমির জন্য কোনো রায়ত (অথবা অকৃষি প্রজার) প্রদেয় খাজনা এই জন্য বৃদ্ধি করা যাইবেযে, তদকর্তৃক দেয় খাজনার পরিমাণ যে এককে উক্ত ভূমি অবস্থিত এবং যে এককের ক্ষেত্রেপ্রযোজ্য ১১১ ধারা মোতাবেক অনুমোদিত খাজনার হারের ছকভুক্ত সেই এককের অনুরূপশ্রেণীসমূহের ভূমির জন্য এই অধ্যায়ের অধীনে নির্ধারিত খাজনার হারে হিসাবকৃত খাজনারপরিমাণ মূলত কম হয় ।

উপধারা-(২)যে সমস্ত ক্ষেত্রে অব্যবহিত পূর্ববর্তী বত্সরের দেয়খাজনার চেয়ে শতকরা ৫০ ভাগ বৃদ্ধি করা হয় ও অপর যে সমস্ত ক্ষেত্রে তিনি বিবেচনা করেনযে, তাত্ক্ষনিক খাজনা বৃদ্ধি দুর্ভোগ সৃষ্টি করিবে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার এইমর্মে নির্দেশ দিতে পারিবেন যে, উক্ত খাজনা বৃদ্ধি বার্ষিক হিসাবে এই উদ্দেশ্যেতদকর্তৃক নির্ধারিত কয়েক বত্সরের জন্য কার্যকর হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, অব্যবহিত পূর্ববর্তী বত্সরের যে সময় হইতে১১৩ ধারা অনুযায়ী নতুন খাজনা হিসাব করা হয় বিশেষ বত্সরে খাজনা বৃদ্ধি উক্ত বত্সরের দেয় খাজনার শতকরা ৫০ ভাগের বেশী হইতে পারিবে না ।

 

ধারা-১০৬(খাজনা কমানোর কারণসমূহ)

নিম্নলিখিত এক বাএকাধিক কারণে রায়ত কর্তৃক দেয় কোনো জোতের খাজনা হ্রাস করা যাইবে যথাঃ

(ক)যদি কোনো রায়ত কর্তৃক দেয় খাজনা তাহার জোত ভূমি যেই ইউনিটেঅবস্থিত সেই ইউনিটের অনুরূপ শ্রেণীসমূহের ভূমির জন্য এই অধ্যায়ের অধীনে নির্ধারিতএবং উক্ত ইউনিটের জন্য প্রযোজ্য খাজনার হারের ছকে অন্তর্ভুক্ত এবং ১০১ ধারায়অনুমোদিত খাজনা অপেক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশী হয় ।

(খ)বালি সঞ্চিত হওয়ার ফলে অথবা অপর কোনো আকস্মিক অথবা নিয়মিতপ্রাকৃতিক কারণে যদি জোতের ভূমি খারাপ বা অনুর্বর হয়; এবং

(গ)যদি খাজনা শেষ নির্ধারিত হওয়ার সময় বিদ্যমান কোনো সেচ অথবাজল নিষ্কাষণ ব্যবস্থা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় বা সেই সময় বিদ্যমান কোনবাঁধ অথবা বেড়ী যদিভাংগিয়া যায় এবং উহার ফলে জোতের ভূমি খারাপ বা অনুর্বর হয় ।

ধারা-১০৬ক (খাজনা হ্রাসের কারণ)

কোনো প্রজা স্বত্বেরঅকৃষি প্রজা কর্তৃক প্রদানযোগ্য খাজনা এই কারণে হ্রাস পাইতে পারে সে তদকর্তৃকপ্রদানযোগ্য খাজনার পরিমাণে যে ইউনিটে ঐ প্রজাস্বত্বের অনুমোদিত খাজনার হারের ছকেঅন্তর্ভুক্ত সেই ইউনিটের একই শ্রেণীর জমির এই অধ্যায় অনুযায়ী নির্ধারিত খাজনার হারেহিসাবকৃত খাজনার পরিমাণের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশী থাকে ।

ধারা-১০৭(যথাযথ ও ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণ)

উপধারা-(১) অত্রঅধ্যায়ের অধীনে খাজনার হারের কোনো ছক প্রণযন ও অনুমোদনের পর রাজস্ব অফিসার পূর্ববর্তীধারাসমূহের বিধানবলী মোতাবেক সেই এলাকার খাজনার হারের ছক প্রযোজ্য হয় সেই এলাকারসমস্ত প্রজাগণের ন্যায্য ও ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণের জন্য ও ৯৯ ধারার (১) উপধারারখ অনুচ্ছেদের নির্দেশ মোতাবেক খাজনা নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়ণের জন্য অগ্রসর হইবেন ।

উপধারা-(২)রাজস্ব অফিসারের যথাযথ ও ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণ এবংখাজনা নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়ন করার উদ্দেশ্যে ঐরূপ প্রণয়নকৃত এবং অনুমোদিত খাজনারহারের ছকে বর্ণিত খাজনার হার দ্বারা চালিত হইবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, রাজস্ব অফিসার যদি লিখিত কারণলিপিবদ্ধসাপেক্ষে বিবেচনা করেন যে, বিশেষ ক্ষেত্রে এবং বিশেষ বিশেষ এলাকায় উক্তহারের প্রয়োগ অ-যথাযথ ও অন্যায়সংগত হইবে তবে তিনি উক্ত হার ঐ রূপ ক্ষেত্রেঅথবাএলাকায় প্রয়োগ করিতে বাধ্য নহেন ।

উপধারা-(৩)যেক্ষেত্রে অকৃষি ভূমি প্রজাস্বত্বে অন্তভূর্ক্ত অকৃষিভূমি ছাড়া অন্য ভূমি নিয়া গঠিত হয় বা যেক্ষেত্রে ভূমির শ্রেণী বিন্যাস আংশিকভাবেকৃষি হইতে অকৃষিতে পরিবর্তিত হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার।

(অ)অকৃষি ও কৃষি ভূমির জন্য পৃথক প্রজাস্বত্ব গঠন করিবারজন্য প্রজাস্বত্বকে বিভক্ত করিবেন;

(অ)ঐরূপ গঠিত প্রজাস্বত্বের মধ্যে বর্তমান খাজনা বন্টন করিবেন ।

(ই)অত্র অধ্যায়ের বিধানবলী অনুযায়ী কৃষি এবং অকৃষি ভূমিরজন্য ন্যায্য এবং ন্যায়সংগত খাজনা হিসাব করিবেন ।

ধারা-১০৮(জরিপী খাজনা নির্ধারণ বিবরণীর প্রাথমিক প্রকাশনাও সংশোধন)

উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে খাজনা নির্ধারণ বিবরণী প্রণযন করা হয়, সেক্ষেত্রেরাজস্ব অফিসার নির্ধারিত উপায়ে ও নির্ধারিত সময়ের জন্য ইহার একটি খসড়া প্রকাশনারব্যবস্থা করিবেন ও উক্ত সময়কালে কোনো কিছু বাদ পড়া সম্বন্ধে আপত্তি গ্রহণ এবং বিবেচনাকরিবেন এবং সরকার কর্তৃক প্রস্তুত বিধিমালা অনুযায়ী উক্ত আপত্তিসমূহের নিষ্পত্তিকরিবেন ।

উপধারা-(২)রাজস্ব অফিসার স্বীয় উদ্যোগে অথবা ক্ষতি গ্রস্থ পক্ষেরআবেদনের প্রেক্ষিতে ১০৯ ধারা অনুযায়ী অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট খাজনা নির্ধারণবিবরণী দাখিল করার আগে যে কোনো সময় উহাতে ভুক্ত খাজনার পরিমার্জন করিতে পারিবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট প্রজাকে হাজির হইবার এবং উক্তবিষয়ে শুনানীর জন্য যুক্তিসংগত নোটিশ প্রদান না করিয়া কোনো অন্তর্ভুক্তির পরিমার্জনকরা যাইবে না ।

ধারা-১০৯ (খাজনা নির্ধারণ বিবরণী অনুমোদন এবং চূড়ান্তপ্রকাশ ও স্বত্বলিপিতে ইহা অন্তর্ভুক্তকরণ)

উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে ১০৮ ধারার অধীনসমস্ত আপত্তির নিষ্পত্তি ঘটে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার তাহার প্রস্তাবসমূহেরকারণগুলি পূর্ণ বিবরণ এবং তদকর্তৃক গৃহীত আপত্তিসমূহের, যদি থাকে, সংক্ষিপ্তসারসম্বলিত খাজনা নির্ধারণ বিবরণী অনুমোদনের জন্য নির্দিষ্ট অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষেরকাছে দাখিল করিবেন ।

উপধারা-(২)অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ সংশোধনসমূহ বা সংশোধন ছাড়া খাজনানির্ধারণ বিবরণী অনুমোদন করিতে পারিবেন অথবা পুনঃপরীক্ষণের নিমিত্ত ফেরত্‍ পাঠাইতেপারিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট প্রজাকে হাজির হওয়ার এবং ঐ বিষয়েশুনানীর জন্য যুক্তিসঙ্গত নোটিশ প্রদান না করিয়া কোনো অন্তর্ভুক্তি সংশোধন অথবা বাদঅন্তর্ভুক্ত করা হইবে না ।

উপধারা-(৩)অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর রাজস্ব অফিসারচূড়ান্তরূপে খাজনা নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়ন করিবেন এবং নির্ধারিত উপায়ে উহা প্রকাশকরিবেন ও এই খণ্ডের অধীনে রক্ষিত খাজনা নির্ধারণ বিবরণীর সহিত সম্বন্ধযুক্ত এলাকারজন্য খতিয়ানে ইহা অন্তর্ভূক্ত করিবেন ও ঐরূপ প্রকাশকে এই অধ্যায় মোতাবেক খাজনানির্ধারণ বিবরণীর সহিত সম্বন্ধযুক্ত এলাকার জন্য খতিয়ানে ইহা অন্তর্ভুক্ত করিবেন ওঐরূপ প্রকাশকে এই অধ্যায় মোতাবেক খাজনা নির্ধারণ বিবরণী যথাযথভাবে প্রস্তুত করাহইয়াছে মর্মে চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে ।

ধারা-১১০(উর্ধ্বতন রাজস্ব অফিসারেরসমীপে আপিল ও তদকর্তৃক রিভিশন)

উপধারা-(১)যদি কোনো আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল দায়ের করাহয় তবে সেই আদেশের তারিখ হইতে দুই মাসের মধ্যে ১০৮ ধারার অধীন উত্থাপিতআপত্তির প্রেক্ষিতে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যেক আদেশের বিরুদ্ধে অথবা১০৯ ধারার অধীন অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষকতৃর্ক প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে নির্দিষ্টরাজস্ব কর্তৃপক্ষের সমীপে আপিল করা যাইবে ।

উপধারা-(২)এই অধ্যায়ের অধীনে ভূমি প্রশাসন বোর্ড যে কোনো ক্ষেত্রেইহার স্বীয় উদ্যোগে বা কোনো দরখাস্তের ভিত্তিতে ১০৯ (২) ধারার অধীন খাজনা নির্ধারণবিবরণী অনুমোদনের আদেশের বা (১) উপধারা মোতাবেক উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ প্রদত্তআদেশের, যাহা পরে ঘটে, ছয় মাসের মধ্যে খাজনা নির্ধারণ বিবরণী অথবা উহার অংশপরিমার্জনের নিমিত্ত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, কিন্তু ইহা দ্বারা বিশেষ জজকর্তৃক ১১১ ধারার অধীন প্রদত্ত আদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হইবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে হাজির হইবার এবং উক্তবিষয় শুনানীর জন্য যুক্তিসংগত নোটিশ প্রদান না করিয়া ঐরূপ নির্দেশ প্রদান করা হইবেনা ।

ধারা-১১১(বিশেষ জজের নিকট আপিল)

উপধারা-(১) ১০৮ধারার অধীন দায়েরকৃত আপত্তির প্রেক্ষিতে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ দ্বারাঅথবা ১০৯ ধারা অনুযায়ী অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত আদেশ দ্বারা ক্ষুদ্ধ কোনোব্যক্তি আপিলের সহিত সম্বন্ধযুক্ত উপায়ে অত্র উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষজজের নিকট আপিল করিতে পারিবে।

তবে শর্ত থাকে যে, ১১০ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী এই ব্যাপারেনির্ধারিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করা হয় নাই ।'

উপধারা-(২)হাইকোর্ট কর্তৃক রিভিশন এখতিয়ার প্রয়োগ করিয়া প্রদত্তআদেশ কোনো আপিলে বিশেষ জজের আদেশ চূড়ান্ত হইবে এবং অত্র ধারায় বিশেষ জজের আদেশেরবিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করা চলিবে না ।

উপধারা-(৩)১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানসমূহ অত্র ধারায়বিশেষ জজের কাছে দায়েরকৃত আপিলের বেলায় প্রযোজ্য হইবে ।

ধারা-১১১ক (ভুলসমূহ শুদ্ধকরণ এবং খাজনার বিবরণী পরিবর্তন)

১০৯ (৩) ধারারঅধীন চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হওয়ার আগে যে কোনো সময় রাজস্ব অফিসার খাজনানির্ধারণ বিবরণীতে করণিক ভুল শুদ্ধ করিতে পারিবেন এবং ১১০ এবং ১১১ ধারার অধীনেপ্রদত্ত আদেশ কার্যকর করার জন্য যাহা প্রয়োজন করিতে পারিবেন ।

ধারা-১১২(অত্র অধ্যায়ের অধীনে নির্ধারিত খাজনাসম্পর্কে অনুমান)

এই অধ্যায়ের অধীনে নির্ধারিত সমস্ত খাজনা শুদ্ধরূপেনির্ধারিত করা হইয়াছে এবং যথাযথ ও ন্যায়সংগত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ।

ধারা-১১৩(যে তারিখ হইতে কার্যকর হইবে)

যে ক্ষেত্রেঅত্র অধ্যায় মোতাবেক কোনো এলাকার খাজনা রাজস্ব অফিসার নির্ধারিত হয় সেক্ষেত্রে উহা১১০ এবং ১১১ ধারার বিধানসাপেক্ষে ১০৯ ধারার (৩) উপধারার অধীন খাজনা নির্ধারণ বিবরণী, যাহাতে উক্ত খাজনা নির্দিষ্ট করা হয়, চূড়ান্তভাবে প্রকাশের তারিখের পরবর্তী কৃষি বত্সরের প্রথম হইতে কার্যকর হইবে ।

ধারা-১১৪(নির্ধারিত খাজনা যে সময় পর্যন্ত অপরিবর্তিতথাকিবে)

যেক্ষেত্রে অত্র অধ্যায় অনুসারে কোনো প্রকার খাজনা নির্ধারিত হয়সেক্ষেত্রে কুড়ি (২০ বত্সর) সময়ের মধ্যে উহা বৃদ্ধি করা যাইবে না এবং ১০৬ ধারার(খ) অনুচ্ছেদ অথবা (গ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত কারণ ছাড়া উক্ত সময়ের মধ্যে খাজনা কমানোযাইবে না ।

ধারা ১১৫(দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারে বিধি-নিষেধ)

অত্রঅধ্যায়ের অধীন খাজনার হার নির্ধারণ অথবা কোনো খাজনা নির্ধারণ অথবা খাজনার হারনির্ধারণে অথবা খাজনা নির্ধারণ বাদ সম্বন্ধে কোনো মামলা অথবা অপর কোনো আইনগতকার্যক্রম ১১১ ধারায় বর্ণিত বিষয় ছাড়া কোনো দেওয়ানী আদালতে দাখিল করা যাইবে না ।

ধারা ১১৬(একই গ্রামে প্রজার জোতের সংযুক্তকরণ)

একইগ্রামের মধ্যে একই প্রজার যদি পৃথক একাধিক ভূখণ্ড থাকে, তবে উক্ত ভূখণ্ডগুলি কিংবাউহার কতিপয় যদি পৃথক প্রজাস্বত্বের অধীন হয়, তবে উক্ত ভূখণ্ডগুলি রাজস্ব কর্মকর্তারআদেশক্রমে একই প্রজাস্বত্বে সংযুক্ত করা যাইবে ।

ধারা ১১৭(জোতের উপরিভাগ এবং উহাতে বিধি-নিষেধ)

উপধারা-(১)এই অংশের ভিন্ন কিছু থাকা সত্ত্বেও, রাজস্ব কর্মকর্তা-(ক)১১৬ ধারা অনুযায়ীপ্রজাস্বত্বের সংযুক্তির উদ্দেশ্যে, হয় স্বীয় উদ্যোগে না হয় এই উদ্দেশ্যে এক বাএকাধিক সহ-শরীক প্রজা কর্তৃক তাহার নিকট আবেদনক্রমে; বা

(খ)১১৯ ধারা অনুযায়ী মালিকের জোতের একত্রীকরণের উদ্দেশ্যে, হয় তাহার নিজ উদ্যোগে না হয় এই উদ্দেশ্যে তাহার নিকট আবেদনক্রমে; বা

(গ)খাজনা বন্টনের জন্য এজমালী প্রজাস্বত্বের উপরিভাগেরউদ্দেশ্যে এক বা একাধিক সহ-শরীক কর্তৃক তাহার নিকট আবেদনক্রমে, সহ-শরীক প্রজাদেরমধ্যে এজমালী প্রজাস্বত্বের উপরিভাগ এবং উহার বকেয়া খাজনাসহ, যদি থাকে তদকর্তৃকযথাযথ ও ন্যায়সংগত বিবেচিত খাজনার বন্টনের জন্য লিখিত আদেশ দ্বারা নির্দেশ প্রদানকরিতে পারিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ আদেশ প্রদান করা হইবে না যদিসংশ্লিষ্ট পক্ষদিগকে উপস্থিত হওয়ার এবং এই ব্যাপারে শুনারীর জন্য যুক্তিসঙ্গত নোটিশপ্রদান করা না হয়ঃ

আরও শর্ত থাকে যে, যেখানে (গ) দফা অনুযায়ী আদেশ প্রদান করা হয়এবং ইহার কারণে খাজনার বণ্টন প্রজাস্বত্বের অংশের খাজনা এক টাকার নিম্নে আণয়ন করে, সেখানে এক টাকার অংশ একটি পূর্ণ টাকায় পরিণত হইবে ।

উপধারা-(২)১৯৬৭ সালের ৮ নম্বর অধ্যাদেশ দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধারা-(৩)একটি এজমালী জোতকে উপরিভাগ করিয়া যখন (১) উপধারা অনুযায়ীআদেশ প্রদান করা হয়, তখন ঐ উপরিভাগ মাঠে চিহ্ণিত হইতে পারে এবং ক্যাডেস্ট্রাল ম্যাপেপ্রদর্শিত হইতে পারে ।

ধারা-১১৮(এই ধারাটি ১৯৬৪ সালের ৬ নং আইন দ্বারা বাদদেওয়া হইয়াছে )

ধারা-১১৯(জোতের একত্রীকরণের জন্য আবেদন করার অধিকারীব্যক্তি)

উপধারা-(১)একই বা পার্শ্ববর্তী সংলগ্ন গ্রামে জমি ভোগ বা দখলকারী দুই বাততোধিক রায়ত তাহাদের জোত-জমা একত্রীকরণের জন্য রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট নির্দিষ্টফরমে আবেদন পেশ করিতে পারেন এবং এইরূপ একত্রিকরণের সহিত একটি পরিকল্পনাও পেশ করিতেপারেন ।

উপধারা-(২)কোনো গ্রাম বা সংলগ্ন গ্রামসমষ্টি দুই-তৃতীয়াংশের কম নহেএমন সংখ্যক রায়ত, যদি উক্তগ্রামে বা গ্রামসমূহের তিন-চতুর্থাংশের কম নহে এইরূপ কৃষিজমি ধারণ করিয়া থাকেন এবং তাহাদের জোত-জমাসমূহ একত্রীকরণের জন্য (১) উপধারার বিধানমোতাবেক আবেদন করেন, তাহা হইলে আবেদন উক্তগ্রাম বা গ্রামসমূহের সকল রায়তের পক্ষ হইতেকরা হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে ।

ধারা-১২০ (আবেদন গ্রহণ)

উপধারা-(১)১১৯ ধারা অনুযায়ীএকত্রীকরণের আবেদন পাওয়ার পর রাজস্ব কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত আবেদনসম্পর্কে অনুসন্ধান করিবেন এবং যদি অনুসন্ধান করার পর বিবেচনা করেন যে উক্ত আবেদননাকচ করা জন্য অথবা একত্রীকরণ হইতে কোনো জমি বাদ দেওয়ার জন্য যথাযথ এবং যথেষ্ট কারণআছে তাহা হইলে তিনি উক্ত আবেদন নাকচ করার আংশিক অথবা অনুমোদিত না হওয়ার কারণপ্রদর্শন করিয়া সুপারিশসহ আবেদনটি নির্ধারিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকটদাখিল করিবেন এবং উক্ত ঊর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ ঐরূপ সুপারিশ পাওয়ার পর যাহাযথাযথ মনে করিবে ঐরূপ আদেশ প্রদান করিবে ।

উপধারা-(২)যদি রাজস্ব কর্মকর্তা (১) উপধারা অনুযায়ী কোনো সুপারিশ নাকরেন অথবা যদি উক্ত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ রাজস্ব কর্মকর্তার সুপারিশ পাওয়ার পররাজস্ব কর্মকর্তাকে আবেদন সম্পূর্ণ বা আংশিক স্বীকার করিয়া লওয়ার জন্য নির্দেশপ্রদান করে, তাহা হইলে রাজস্ব কর্মকর্তার উক্ত আবেদন সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে যাহাযেখানে প্রযোজ্য হয় স্বীকার করিয়া লইবেন এবং এই অধ্যায়ের বিধানাবলী এবং এই আইনঅনুযায়ী সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী উহা পরিচালনা করিবেন । 

ধারা-১২১ (একত্রিকরণের জন্য স্বীকৃত পরিকল্পনার অনুমোদন)

যখন জোতের একত্রীকরণের জন্য কোনো পরিকল্পনা ১১৯ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ীআবেদনসহ দাখিল করা হয় এবং উক্ত পরিকল্পনা তদসহ উক্ত পরিকল্পনায় এক পক্ষ কর্তৃক অন্যপক্ষকে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের শর্ত ক্ষতিগ্রস্ত রায়তদের দ্বারা স্বীকৃত হয়, তখনরাজস্ব কর্মকর্তা ১২০ ধারা অনুযায়ী আবেদন সম্পূর্ণরূপেবা আংশিকরূপে স্বীকার করার পরউক্ত পরিকল্পনা পরীক্ষা করিবেন এবং উক্তরূপ পরীক্ষার পর সংশোধনসহ বা ব্যতীতপরিকল্পনাটি অনুমোদন করিবেন, অন্যথায় রিভিশনের জন্য ফেরত পাঠাইতে পারেন এবংরিভিশনের পর অনুমোদন করিতে পারেন:

তবে শর্ত থাকে যে, রাজস্ব কর্মকর্তা উক্ত পরিকল্পনাটি অনুমোদনকরিবেন না যদি জমির পুনঃ বন্টনের পরিণতিতে খাজনার বন্টনের দ্বারা পরিকল্পনারঅধীনস্থ সকল জোতের মোট খাজনার পরিমাণ হ্রাসপ্রাপ্ত হয় ।

ধারা ১২২(একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুতকরণ এবংউপদেষ্টা পর্ষদ নিয়োগ)

উপধারা-(১)নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে, যথা:

(ক) যেখানে ১১৯ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী আবেদনের সংগে জোতেরএকত্রীকরণের কোন পরিকল্পনা দাখিল করা না হয় বা যেখানে আবেদনের সংগে ঐরূপ পরিকল্পনাদাখিল করা হয় কিন্তু এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত রায়তদের দ্বারা উহা অস্বীকৃত হয় নাই; বা-

(আ) যেখানে ঐ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী আবেদন জানানো হইয়াছে; বা

(ই) যেখানে সরকার নোটিফিকেশনের দ্বারা আদেশ প্রণয়ন করিয়ানির্দেশ দেয় যে কোনো এলাকায় জোতের একত্রীকরণ সম্পন্ন হইবে এবং উক্ত এলাকার রায়তের(১ক) উপধারা অনুযায়ী স্বীকৃত পরিকল্পনা প্রস্তুত করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, রাজস্বকর্মকর্তা ঐ সকল গ্রামে বা এলাকায়, যাহা যেখানে প্রযোজ্য হয়, ঐ সকল আবেদনের বাপ্রত্যেক রায়তের জোতের একত্রীকরণের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করিবেন এবং ঐরূপপ্রত্যেকটি পরিকল্পনা এই আইনের বিধানাবলী ও এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীতবিধিমালা অনুযায়ী প্রস্তুত করা হইবে ।

(১ক) (১) উপধারার (ই) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নোটিফিকেশন প্রকাশিতহওয়ার পর রাজস্ব কর্মকর্তা নোটিফিকেশনের সংগে সম্পর্কযুক্ত এলাকার রায়তদেরকেনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাহা প্রয়োজন মোতাবেক বৃদ্ধি করা যাইতে পারে, জোতেরএকত্রীকরণের জন্য স্বীকৃত পরিকল্পনা প্রস্তুতের জন্য আহবান জানাইবেন ।

উপধারা-(২)কোনো এলাকায় (১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের জন্যপরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে তাহাকে সাহায্য করার জন্য অথবা (১ক) উপধারা অনুযায়ীকোনো এলাকায় ক্ষেত্রে জোতের একত্রীকরণের জন্য স্বীকৃত পরিকল্পনা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যেরাজস্ব কর্মকর্তা এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা সাপেক্ষে, উক্ত এলাকাসম্পর্কে একটি উপদেষ্টা পর্ষদকে ঐরূপ কারিগরী সহায়তা দান করিবেন ।

(২ক) যখন (১ক) উপধারা অনুযায়ী একটি স্বীকৃত পরিকল্পনাপ্রস্তুত করা হয় তখন রাজস্ব অফিসার ১২১ ধারায় যে নিয়ম বর্ণিত আছে ঐ নিয়ম অনুযায়ীউক্ত পরিকল্পনা পরিচালনা করিবেন ।

উপধারা-(৩)(১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা প্রণয়নেরক্ষেত্রে ইহার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষগণের মধ্যে সবচাইতে বেশী স্বীকৃতি সম্বলিতএকত্রীকরণের প্রস্তাবকে বিবেচনায় আনিবেন এবং একত্রীকরণের উদ্দেশ্যে জমিরপুনঃবন্টনের ক্ষেত্রে তিনি দেখিবেন যাহাতে জোতের সর্বমোট এলাকা বা উহা হইতে উদ্ভুতসুবিধা যতটুকু সম্ভব কম পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

উপধারা-(৪)যদি (১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনাপ্রণয়নের ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, জমির পুনঃবন্টন তাহারজমির মূল খণ্ডের বাজার মূল্যের চাইতে রায়তের নিকট বণ্টনকৃত জমির খণ্ডের বাজার মূল্যকম আনয়ন করে তাহা হইলে রাজস্ব কর্মকর্তা ঐ পরিকল্পনার মধ্যে ঐ রায়তকে ঐ রায়ত দ্বারা, যে রাজস্ব কর্মকর্তার মতানুসারে প্রথোমোক্ত রায়তের বেশী মূল্যবান জমি বন্দোবস্তদ্বারা উপকৃত হয়, ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন ।

উপধারা-(৫)(১) উপধারা অনুযায়ী জোত একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনাপ্রস্তুতের ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তা যেখানে জমি ঐ প্রকারের হয় যাহাতে বিভিন্নএলাকায় উত্পাদিকা শক্তি এক বত্সর হইতে আর এক বত্সরে পরিবর্তিত হয় এই বিষয় যথাযথবিবেচনার মধ্যে আনিবেন, যতটুকু সম্ভব জোতের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণকরিবেন এবং যেখানে দাগগুলি বিভিন্ন সমতলে অবস্থান করে সেখানে জোতকে দুই বা ততোধিকব্লকে একত্র করিতে পারেন যাহাতে প্রত্যেকটি বিভিন্ন সমতলে থাকে ।

উপধারা-(৬)১২১ ধারা অথবা ১২৩ ধারা অনুযায়ী কোন এলাকায় জোতেরএকত্রীকরণের পরিকল্পনা অনুমোদনের পূর্বে উক্ত এলাকায় অবস্থিত জমিতে সংযুক্ত রেহেনসহসমস্ত দায়ের যতটুকু সম্ভব নিশ্চয়তা বিধান করিবেন এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারিকরিয়া দায়ের সুবিধা প্রাপক ব্যক্তিগণকে এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত তারিখের মধ্যেস্বার্থ সম্পর্ক ঘোষণা দিবার জন্য আহবান জানাইবেন এবং তখন যে ব্যক্তির অনুকূলে দায়সৃষ্টি করা হইয়াছে তাহার তাহার দায়িত্ব হইবে উক্ত নোটিশে উল্লেখিত নির্ধারিত সময়েরমধ্যে রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট উক্ত দায় সম্পর্কে ঘোষণা প্রদান করা এবং যদি উক্তব্যক্তি সময়ে দায় সম্পর্কে ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে মূলত দায়বদ্ধ জমিরঅংশবিশেষ, যাহা একত্রীকরণের পর মালিকের থাকিল না, এবং এর সহিত সংযুক্ত দায়েরপরিসমাপ্তি ঘটিবে ।

উপধারা-(৭)(১) উপধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনাপ্রণয়নের ক্ষেত্রে, রাজস্ব কর্মকর্তা দেখিবেন যাহাতে এই পরিকল্পনার অধীনস্থ সকলজোতের মোট খাজনার জমির পুনঃবন্টনের পরিণতিতে খাজনা বন্টনের দ্বারা হ্রাসপ্রাপ্ত নাহয় ।

উপধারা-(৮)যেখানে জোতের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে পরবর্তিত, সেখানেজোতের একত্রীকরণের জন্য কোন কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে, রাজস্ব কর্মকর্তাএকই সংগে এইভাবে খাজনা বন্ট ন করিবেন যাহাতে জোতের মালিকের উপর পরিণতি পূর্বের মতপ্রত্যেক জোতের মূল্যের অনুপাতে থাকে ।

উপধারা-(৯)প্রত্যেক একত্রীকৃত জোতের একটি পৃথক খাজনা থাকিবে ।

ধারা ১২৩(পরিকল্পনার খসড়া প্রকাশ এবং আপত্তি শুনানী)

উপধারা-(১)যখন জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়, তখন রাজস্ব কর্মকর্তানির্ধারিত পদ্ধতি এবং নির্ধারিত সময়ের জন্য পরিকল্পনার খসড়া প্রকাশের ব্যবস্থাগ্রহণ করিবেন, প্রকাশের সময় কোনো কিছু ভুক্ত হওয়া বা কোনো কিছু বাদ যাওয়া সম্পর্কেআপত্তি গ্রহণ করিবেন ও বিবেচনা করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীতবিধিমালা অনুযায়ী ঐ সমস্ত আপত্তির নিষ্পত্তি করিবেন ।

উপধারা-(২)যদি উক্ত সময়ের মধ্যে কোনো আপত্তি উত্থাপন না করা হয় অথবাযেখানে আপত্তি উত্থাপন করা হইয়াছে এবং উক্ত আপত্তির নিষ্পত্তি করা হইয়াছে, তাহা হইলেরাজস্ব কর্মকর্তা সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উক্ত পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য আদেশপ্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৩)ই, পি, অধ্যাদেশ নং ১৫/১৯৬১ এর দ্বারা বাতিল ।

ধারা-১২৪(আপিল)-

উপধারা-(১)১২১ ধারা অথবা ১২৩ ধারার (২)উপধারা অনুযায়ী পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশ দ্বারাক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত উর্ধ্বতনরাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে আপিল দায়ের করিতে পারে এবং এইরূপ আপিলেউক্ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত (২) উপধারার শর্তসাপেক্ষে, চূড়ান্ত বলিয়া গণ্যহইবে ।

উপধারা-(২)উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক (১) উপধারা অনুযায়ীপ্রত্যেক আপিলের আদেশের বিরুদ্ধে এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং নির্ধারিতপদ্ধতিতে সরকারের নিকট দ্বিতীয় আপিল করা যাইবে ।

ধারা-১২৫ (পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদন)যখন ১২৪ ধারার(১) উপধারা অনুযায়ী আপিল করার সময়ের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং যদি এইরূপ কোনো আপিল করা হয়, যখন উক্ত ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী দ্বিতীয় আপিল করার সময়েরও পরিসমাপ্তি ঘটেএবং উক্ত ধারার (১) এবং (২) উপধারা অনুযায়ী সকল আপিলের নিষ্পত্তি ঘটে এবং উক্তআপিলের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত পরিকল্পনা নাকচ আপিলের নিষ্পত্তি ঘটে এবং উক্ত আপিলেরপরিপ্রেক্ষিতে উক্ত পরিকল্পনা নাকচ করিয়া চূড়ান্ত আদেশ প্রদান না করা হয়, তাহা হইলেরাজস্ব কর্মকর্তা প্রয়োজন মোতাবেক উক্ত ধারা অনুযায়ী আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদত্তআদেশ বলবত্‍ করার জন্য পরিকল্পনা সংশোধন করিবে এবং অতঃপর উক্ত পরিকল্পনা চূড়ান্তভাবেঅনুমোদন করিয়া একটি আদেশ লিপিবদ্ধ করিবেন ।

ধারা-১২৬ (পরিকল্পনা অনুমোদন হওয়ার পর গ্রামের স্বত্বলিপিসংশোধন এবং উক্ত পরিকল্পনা কার্যকরী হওয়ার তারিখ)

উপধারা-(১)১২৫ ধারা অনুযায়ীজোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন হওয়ার পর রাজস্ব কর্মকর্তা এই অংশঅনুযায়ী রক্ষিত, পরিকল্পনার সংগে সম্পর্কিত গ্রামের বা গ্রামসমূহের স্বত্বলিপিচূড়ান্তভাবে অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং সকলপ্রজা যাহারা উক্ত পরিকল্পনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে তাহারা বিনামূল্যে রাজস্বকর্মকর্তার নিকট হইতে উক্তরূপ সংশোধিত স্বত্বলিপির এক কপি পাইবে ।

উপধারা-(২)যখন ১২৫ ধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনাচূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয় তখন উহা ঐ পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদনের তারিখের পরবর্তীকৃষি বত্সরের শুরু হইতে কার্যকরী হইবে ।

ধারা-১২৭(জোতের সীমানা চিহ্নিতকরণ)

জোতের একত্রীকরণপরিকল্পনা কার্যকরী হওয়ার সংগে সংগে পরিকল্পনার আওতাধীন জোতের চৌহদ্দি নির্ধারণকরার জন্য অথবা জোতের অন্তর্ভুক্ত সরেজমিনে জমির অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য রাজস্বকর্মকর্তা যাহা অনুমোদন করিতে পারেন এইরূপ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যসার্ভেয়ার বা আমীন নিযুক্ত করিবেন ।

ধারা-১২৮(একত্রীকরণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদনের ফলাফলএবং উহার অধীনস্থ রায়তদের অধিকার)

উপধারা-(১)১২৫ ধারা অনুযায়ী পরিকল্পনা চূড়ান্তঅনুমোদনের পর উক্ত পরিকল্পনার সংগে সম্পর্কযুক্ত সকল রায়তদের উপর উহা বাধ্যকর হইবে ।

উপধারা-(২)১৯৬১ সালের ১৫ নং অধ্যাদেশ দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে।

উপধারা-(৩)১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত জোতের একত্রীকরণেরজন্য পরিকল্পনা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক রায়ত যেদিন উক্ত পরিকল্পনা কার্যকর হইবেসেইদিন হইতে বণ্টনকৃত জোতসমূহের দখলের অধিকারী হইবে, এবং রাজস্ব কর্মকর্তার ঐ রায়তকর্তৃক এই উদ্দেশ্যে আবেদন জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে উক্তরূপ বণ্টনকৃত জোতে উক্ত রায়তকেদখল প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা করিবেন ।

উপধারা-(৪)একত্রীকরণের পূর্বে তাহার মূল জোতে যেরূপ অধিকার ছিল একজনরায়তের ১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত জোতের একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনারঅধীনে তাহাকে বণ্টনকৃত একই অধিকার থাকিবে ।

ধারা-১২৯ (একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্তজমির দায়)

উপধারা-(১)আপাতত বলবত্‍ কৃত আইনে বা কোনো চুক্তিতে অন্য বিধান থাকা সত্ত্বেওযদি ১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনার আওতাভুক্তরায়তের জোত উক্ত পরিকল্পনা কার্যকরী হওয়ার তারিখের অব্যববহিত পূর্বে কোনো বন্ধক বাঅন্যান্য দায়ের অধীন হয় তাহা হইলে উক্ত বন্ধক বা অন্যান্য দায় ঐ তারিখ হইতে ঐপরিকল্পনার অধীনে ঐ রায়তের নিকট বন্টনকৃত জোতের বা পরিকল্পনার মধ্যে রাজস্বকর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত ঐ জোতের অংশবিশেষ হস্তান্তরিত বা সংযুক্ত হইয়াছে বলিয়াধরিয়া লওয়া হইবে । ইহার পর হইতে যে জমি বন্ধক বা অন্যান্য দায় হস্তান্তরিত হইয়াছে সেজমিতে বন্ধক গ্রহীতা দায় প্রাপকের অধিকারের অবলুপ্তি ঘটিবে এবং ঐ মূল জমিতে বা উহারঅংশবিশেষ বা উহার বিরুদ্ধে যেখান হইতে উক্ত বন্ধক অন্যান্য দায় হস্তান্তরিত হইয়াছেউহার যে অধিকার ছিল তাহা বণ্টনকৃত জমি বা উহার অংশবিশেষ বা উহার বিরুদ্ধে বিদ্যমানথাকিবে ।

উপধারা-(২)১২৮ ধারার (৩) উপধারায় যাহা কিছু থাকুক না কেন, রাজস্বকর্মকর্তা রেহেন বা দায় (১)উপধারা অনুযায়ী হস্তান্তরিত হইয়াছে এইরূপ জোত বা উহার অংশবিশেষের দখলের অধিকারীরেহেনগ্রহীতা বা অন্যান্য দায়প্রাপক কর্তৃক এই উদ্দেশ্যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত ঐজোতের বা উহার অংশবিশেষ রেহেনগ্রহীতা বা দায়প্রাপককে দখল গ্রহণের ব্যবস্থা করিতেপারিবেন ।

ধারা-১৩০(হস্তান্তর কার্যকরী করার জন্য দলিলেরঅপ্রয়োজনীয়তা)-সাময়িকভাবে বলবত্কৃত অন্য কোনো আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য হস্তান্তর কার্যকরী করিতে লিখিতদলিলের প্রয়োজন হয় না ।

ধারা-১৩১( একত্রীকরণের কার্যক্রম বিচারাধীনথাকাবস্থায় জোতের হস্তান্তর)

উপধারা-(১)এই অধ্যায় অনুযায়ী কোনো কার্যক্রম বিচারাধীন থাকাসময়ে কোনো ব্যক্তি উক্ত কার্যক্রমের সহিত সম্পর্কযুক্ত কোনো জমি রাজস্ব কর্মকর্তারপূর্ব অনুমতি ব্যতীত হস্তান্তর করিতে পারিবে না এবং যেখানে এইরূপ অনুমতি লইয়া উক্তজমি হস্তান্তরিত হয় সেখানে হস্তান্তরগ্রহীতা উক্ত কার্যক্রমে পক্ষভুক্ত হইবে বলিয়াধরিয়া লওয়া হইবে এবং জমি হস্তান্তরকারীর স্থলে তাহাকে কায়মোকাম করা হইবে ।

উপধারা-(২)১২৫ ধারা অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের পরিকল্পনার চূড়ান্তঅনুমোদনের তারিখে ও তারিখ হইতে কোনো সহ-শরীককে বহিষ্কার করিয়া জোতের অংশ বিশেষলাগাতার দখলের দ্বারা স্বত্ব অর্জন করিতে পারিবে না ।

ধারা-১৩২(একত্রীকরণের কার্যক্রমের খরচ আদায়)

উপধারা-(১)এইঅধ্যায় অনুযায়ী জোতের একত্রীকরণের কার্যক্রমের খরচ, একত্রীকরণের জন্য পরিকল্পনা ২৫ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হইবেএবং এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালাসাপেক্ষে, উক্ত পরিকল্পনা দ্বারাযাহাদের জোত প্রভাবিত হইয়াছে এইরূপ রায়তদের নিকট হইতে উদ্ধার করা হইবে।

তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে আবেদনকারীরা তাহাদের জোতএকত্রীকরণের জন্য একটি স্বীকৃত পরিকল্পনা দাখিল করিয়াছে সেখানে ১১৯ ধারার (১) উপধারাঅনুযায়ী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উত্থিত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে অথবা ১২২ ধারার (১ক)উপধারা অনুযায়ী প্রস্তুত স্বীকৃত পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্থিত কার্যক্রমেরক্ষেত্রে কোনো খরচ উদ্ধার করা হইবে না ।

উপধারা-(২)উপরে উল্লিখিত খরচের অংশে যাহা রায়ত প্রদান করার জন্য দায়ী, উক্ত পরিকল্পনা দ্বারা প্রভাবিত রায়তের জোতের ক্ষেত্রে বকেয়া খাজনা হিসাবে সরকারকর্তৃক উদ্ধারযোগ্য হইবে ।

ধারা-১৩৩(বকেয়া সরকারী দাবী হিসাবে ক্ষতিপূরণ আদায়)

১২৫ ধারা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত পরিকল্পনার ক্ষতিপূরণ হিসাবে বর্ণিত কোনঅর্থ বকেয়া সরকারী দাবি হিসাবে আদায় করা যাইবে ।

ধারা-১৩৪(দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার বাধা)

এই অধ্যায়েবর্ণিত রায়তেদর জোতের একত্রীকরণ সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে কোনো আবেদন বা মামলা কোনো দেওয়ানীআদালত গ্রহণ করিবে না ।

ধারা-১৩৪(দিনাজপুর জেলার জন্য বিশেষ বিধান)

এইঅধ্যায়ের উপরে উল্লিখিত ধারাগুলিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন? জোতের একত্রীকরণেরপরিকল্পনা এই অধ্যায়ের বিধানাবলী অনুযায়ী দিনাজপুর জেলার দেবীগঞ্জ ও বোদা থানাএলাকায় কার্যকরী হইয়া থাকিলে উহা প্রথম হইতে বাতিল বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবেএকত্রীকরণের অব্যবহিত পূর্বে পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত জমিতে প্রজাদের বিদ্যমানঅধিকার ও স্বার্থ এমন স্বাভাবিক অবস্থায় বিদ্যমান থাকিবে যেন কখনই একত্রীকরণ করা হয়নাই ।

ধারা-১৩৫(খাজনার কিস্তি)

 উপধারা-(১)চুক্তি অথবাপ্রতিষ্ঠিত রীতিসাপেক্ষে কোন রায়ত কর্তৃক পরিশোধনীয় খাজনা দুই সমান কিস্তিতেনির্ধারিত তারিখে দেয়, হিসাবে পরিশোধ করিতে হইব।

উপধারা-(২)চুক্তিসাপেক্ষে অকৃষি প্রজা কর্তৃক প্রদানযোগ্য খাজনাবার্ষিক এক কিস্তিতে কৃষি বত্ সরটির শেষ দিনে পরিশোধ করিতে হইবে ।

ধারা-১৩৬(খাজনা প্রদানের সময় ও স্থান)

উপধারা-(১)প্রত্যেক রায়ত প্রতি কিস্তির খাজনা প্রদান করিবে বা যাচনা করিবে ও প্রত্যেকঅকৃষি প্রজা যেদিন খাজনা প্রদানের জন্য নির্ধারিত থাকে সেই দিন সূর্যাস্তের পূর্বেউহা প্রদান করিবে।

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো রায়ত অথবা কৃষি খাজনা প্রদানের জন্যনির্ধারিত সময়ের আগে যে কোনো সময় ঐ বত্সরেরজন্য দেয় খাজনা প্রদান বা যাচনা করিতেপারিবেন ।

উপধারা-(২)খাজনা প্রদান বা যাচনা করা যাইবে-

(ক) গ্রাম্য তহশীল অফিসে অথবা এতদ্ উদ্দেশ্যে কালেক্টর কর্তৃকনির্ধারিত সুবিধাজনক স্থানে, বা

(খ) নির্ধারিত নিয়মে ডাক মানি অর্ডার যোগে;

উপধারা-(৩)যে ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মে ডাক মানি অর্ডারযোগেখাজনা প্রেরণ করা হয় সেক্ষেত্রে বিপরীত কিছু প্রমাণনা হওয়া পর্যন্ত অনুমান করা হইবে যে উহা যাচনা করা হইয়াছে ।

উপধারা-(৪)যেক্ষেত্রে ডাক মানি অর্ডারযোগে প্রেরিত খাজনার অর্থগ্রহণ করা হয় সেক্ষেত্রে এই গ্রহণের ঘটনাকে ডাক মানি অর্ডার ফরমে উল্লিখিতবিবরণাদির শুদ্ধতা স্বীকারের সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা করা চলিবে না ।

উপধারা-(৫)যদি কোনো খাজনা বা উহার কোনো কিস্তির বা কিস্তির অংশপরিশোধযোগ্য হইলে বা তত্পূর্বে প্রদান করা না হইলে উহা বকেয়া খাজনা হিসাবে গণ্য করাহইবে ।

ধারা-১৩৭(খাজনা পরিশোধ বন্টন)

যেক্ষেত্রে একজন রায়তবা অকৃষি রায়ত খাজনা বাবদ কোনো অর্থ প্রদান করে সেক্ষেত্রে উহা দ্বারাআপাতত বলবত্‍ আইনে তামাদি হয় নাই এমন কোনো বকেয়া, যদি থাকে, মিটানো হইবেএবং বকেয়া মিটাইবার পরকোনো অতিরিক্ত অর্থ থাকিলে বা কোনো বকেয়া না থাকিলে সম্পূর্ণ অর্থ চলতিবত্সরেরখাজনার জন্য পরিশোধিত হইবে ।

ধারা-১৩৮(খাজনা প্রদান করিলে রায়ত রসিদ পাওয়ার অধিকারী)

প্রত্যেক রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কালেক্টর কর্তৃক লিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরনিকট হইতে নির্ধারিত ফরমে একটি লিখিত রসিদ পাইবার অধিকারী হইবে যাহা উক্তভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে ।

ধারা-১৩৯(বকেয়ার দায়ে জোত বিক্রয়)

কোনো রায়তের জোত বাকোনো অকৃষি প্রজার প্রজাস্বত্ব উহার খাজনার দায়ে ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইনমোতাবেক স্বাক্ষরকৃত কোনো সার্টিফিকেট জারীমূলে বিক্রয়যোগ্য হইবে এবং খাজনাই উহারউপর প্রথম চার্জ হইবে ।

ধারা-১৪০(বকেয়াসমূহের উপর সুদ)

কোনো খাজনা অথবা উহারকিস্তি দেয় হওয়ার তারিখ হইতে প্রদানের তারিখ পর্যন্ত বা ১৯১৩ সালের সরকারী দাবিআদায় আইনের অধীনে সার্টিফিকেট দায়েরের তারিখ পর্যন্ত, যাহা আগে ঘটে, সময়ের নিমিত্তঐরূপ খাজনা অথবা কিস্তির টাকার উপর শতকরা ৬.২৫ টাকা হারে সাধারণ সুদ প্রদান করিতেহইবে ।

ধারা-১৪১(১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইন মোতাবেক বকেয়াখাজনা আদায়)

সকল প্রকার বকেয়া খাজনা শুধুমাত্র ১৯১৩ সালের সরকারী দাবি আদায়আইনের অধীনে সরকার এই বিষয়ে যে বিধি প্রণয়ন করিবেন উহার বিধানসাপেক্ষে আদায় করাযাইবে, অন্য প্রকার নহে।

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের অধীনে স্বাক্ষরিত বকেয়া খাজনাআদায়ের জন্য উক্ত সার্টিফিকেট দায়িককে গ্রেফতার এবং তাহাকে দেওয়ানী কায়াদ আটক করিয়াকার্যকরী করা যাইবে না।

ধারা১৪১ক (কতিপয় ক্ষেত্রে বিক্রয় বন্ধ করার জন্য আদালতেবন্ধকের দেনা হিসাবে অর্থ প্রদান)

যেক্ষেত্রে কোনো সহ-অংশীদার, প্রজার কোনো জোতবা প্রজাস্বত্বের স্বার্থ ১৯১৩ সালের সরকারী দাবী আদায় আইন মোতাবেক স্বাক্ষরিত দেয়দাবী আদায়ের সার্টিফিকেট জারীর উদ্দেশ্যে বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপিত হয় ইহাতে তাহারস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেক্ষেত্রে বিক্রয়কে বন্ধ করার জন্য যদি সে প্রয়োজনীয়অর্থ আদালতে প্রদান করে সেক্ষেত্রে-

(ক) তদকর্তৃক প্রদত্ত অর্থ শতকরা বার্ষিক সোয়া ৬ টাকা হারে সুদসহ দেনা হিসাবে গণ্য হইবে ও উক্ত জোত অথবা প্রজাস্বত্ব তাহার নিকটবন্ধক দ্বারা নিশ্চয়তা প্রদান করা হইবে; ও

(খ) ঐ জমি অথবা প্রজাস্বতের উপর বকেয়া খাজনার দায় ছাড়া অপরকোনো দায়ের চেয়ে তাহার বন্ধক অগ্রাধিকার পাইবে ।

(২) অত্র ধারার কোনো কিছুই উক্ত সহ-শরীকদারের অপর কোনোপ্রতিকারের অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে না ।

ধারা-১৪২(তামাদি)

যে বত্সরের খাজনা বকেয়া পড়ে সেইবকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য তামাদি মেয়াদ সেই বত্সরের শেষ দিন হইতে তিন বত্সর কালহইবে ।

ধারা-১৪৩(খতিয়ান সংরক্ষণ)

কালেক্টর অত্র আইনের ৪র্থখণ্ড অথবা এই খণ্ড অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত অথবা পুনঃপরীক্ষিত খতিয়ান নির্ধারিত পদ্ধতিতেসংরক্ষণ করিবেন, প্রকৃত ভুল শুদ্ধ করিয়া ও উহাতে নিম্নলিখিত হেতুতে পরিবর্তনগুলিঅন্তর্ভুক্ত করিবেন-

(ক)হস্তান্তর অথবা উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে নামজারী;

(খ)জোত ক্ষুদ্রতর অংশ ভাগকরণ, একত্রীকরণ বা সংযুক্তকরণ;

(গ)সরকার কর্তৃক ক্রয় করা ভূমি অথবা জোতের নূতন বন্দোবস্ত; এবং

(ঘ)ভূমি পরিত্যাগ অথবা সিকস্তি অথবা অধিগ্রহণজনিত কারণে খাজনামওকুফ ।

ধারা-১৪৪(খতিয়ানসমূহ সংশোধন)

উপধারা-(১)সরকার যদি কোনোক্ষেত্রে উপযুক্ত মনে করেন তবে সরকার কোনো জেলা, জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকারস্বত্বলিপি সরকার কর্তৃক প্রণীত অনুযায়ী রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রণয়ন অথবাপুনঃপরীক্ষণ করিবার নির্দেশ প্রদান করিয়া আদেশ দিতে পারেন ।

উপধারা-(২)সাধারণভাবে উপরোল্লিখিত ক্ষমতার ক্ষতিসাধন না করিয়া সরকারবিশেষভাবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির যে কোনটি সম্বন্ধে আদেশ দান করিতে পারেন, যথা-

(ক)যেক্ষেত্রে মোট প্রজাগণের অর্ধেকের কম নহে ঐরূপ আদেশপ্রদানের নিমিত্ত দরখাস্ত করিয়াছে;

(খ)যেক্ষেত্রে প্রজাগণের মধ্যে বিরাজমান অথবা উত্থিত হইতেপারে এমন সাংঘাতিক ধরনের বিবাদ মীমাংসার জন্য ; এবং

(গ)যেক্ষেত্রে কোনো জেলা অথবা জেলার অংশ অথবা স্থানীয় এলাকারখাজনা নির্ধারণ করা পর্যায়ে আছে ।

উপধারা-(৩)(১) উপধারায় প্রদত্ত কোনো আদেশ সরকারী বিজ্ঞপ্তিতেপ্রকাশিত হইলে বিজ্ঞপ্তিটি উক্ত আদেশ যথাযথভাবে প্রদানের চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসাবেগণ্য হইবে ।

উপধারা-(৪)যেক্ষেত্রে ১ উপধারায় কোনো আদেশ প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রেরাজস্ব অফিসার উক্ত আদেশ মোতাবেক প্রণয়নকৃত অথবা পুনঃপরীক্ষিত খতিয়ানে ঐ সকলবিবরণসমূহ রেকর্ড করিবেন যেইগুলি নিরূপণ করা হইবে ।

উপধারা-(৪ক)(অ)অত্র আইনের অন্যত্র যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, রাজস্ব অফিসার নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ভূমির খাজনা নির্ধারণ অথবা পুনঃনির্ধারণকরিবেন। যথা :

(ক)যেক্ষেত্রে রায়ত অথবা অকৃষি প্রজা কর্তৃক অধিকৃত ভূমিরখাজনা ৪র্থ অধ্যায় অথবা ৯৮ (ক) ধারার অধীন নির্ধারণ করা হয় নাই অথবা ১০৭ ধারামোতাবেক উক্ত ভূমি সম্বন্ধীয় খাজনার ব্যবস্থা করা হয় নাই, অথবা

(খ)যেক্ষেত্রে ক অনুচ্ছেদে উল্লেখিত শর্ত মোতাবেক কোনো ভূমিরখাজনা কৃষি ভূমি হিসাবে নির্ধারণ করা হয় ও পরবর্তীতে উক্ত ভূমি অকৃষি উদ্দেশ্যেব্যবহার করা হয় বা ভাইস ভার্সা । রাজস্ব অফিসার এই ধারা মোতাবেক কোনো খাজনা নির্ধারণও পুনঃনির্ধারণের বেলায় ২৬ ধারায় উল্লেখিত নীতিসমূহ বিবেচনা করিবেন ।

(আ)যেক্ষেত্রে কোনো জোতের অংশ অকৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার ৯৮(ক) ধারার ৩ উপধারায় উল্লেখিত নীতিসমূহ মোতাবেক ব্যবস্থানিবেন ।

উপধারা-(৫)যেক্ষেত্রে (৪) উপধারায় উল্লেখিত বিবরণসমূহ ধারণ অথবাঅন্তর্ভূক্তির জন্য খতিয়ান প্রণয়ন অথবা পুনঃপরীক্ষণ করা হয় এবং (৪ক) উপধারা মোতাবেকখাজনা নির্ধারণ অথবা পুনঃনির্ধারণ করা হয় সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার নির্ধারণ নিয়মেপ্রণয়নকৃত অথবা পুনঃপরীক্ষিত স্বত্বলিপির খসড়া নির্ধারিত সময়ের জন্য প্রকাশ করিবেনএবং উক্ত প্রকাশের সময় কোন কিছু অন্তর্ভুক্ত হওয়া অথবা বাদ পড়া সম্বন্ধে আপত্তিসমূহগ্রহণ ও বিবেচনা করিবেন ।

উপধারা-(৬)(৫) উপধারা মোতাবেক দায়েরকৃত আপত্তির উপর রাজস্ব অফিসারকর্তৃক প্রদত্ত আদেশের দ্বারা ক্ষুদ্ধ কোনো ব্যক্তি সরকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের পদমর্যাদার নীচে নয় এইরূপ নির্ধারিত রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট নির্ধারিত সময়সীমার ভিতরআপিল দায়ের করিতে পারেন ।

উপধারা-(৭)যখন ঐরূপ সমস্ত আপত্তি এবং আপিলের বিবেচনা ও নিষ্পত্তি এইউদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক সম্পন্ন হয় তখন রাজস্ব অফিসারচূড়ান্তভাবে রেকর্ড প্রণয়ন করিবেন এবং নির্ধারিত নিয়মে উহা চূড়ান্তভাবে প্রকাশেরব্যবস্থা এবং এই ধারা মোতাবেক রেকর্ড সঠিকভাবে প্রণয়ন এবং পুনঃপরীক্ষণ করা হইয়াছেমর্মে উক্ত প্রকাশ চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে ।

উপধারা-(৮)যেক্ষেত্রে একটি খতিয়ান (৭) উপধারায় চূড়ান্তভাবে প্রকাশিতহইয়াছে সেইক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার ল্যাণ্ড রেকর্ডস-এর ডাইরেক্টরকর্তৃক নির্ধারিত সময়ের ভিতর ঐ চূড়ান্ত প্রকাশ এবং উহার তারিখের বিষয় উল্লেখ করিয়াএকটি সার্টিফিকেট দিবেন এবং উহাতে তাহার নাম অফিসের পদবীসহ স্বাক্ষর ও তারিখ দিবেন ।

ধারা-১৪৪-ক (স্বত্বলিপির বিশুদ্ধতার অনুমান)

১৪৪ ধারারবিধান অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত বা পরিমার্জনকৃত প্রতিটি স্বত্বলিপির লিখন উহাতে বর্ণিতবিষয়ের এইরূপ লিখনে সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে এবং অশুদ্ধ বলিয়া সাক্ষ্য দ্বারাপ্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত শুদ্ধ বলিয়া অনুমান করিতে হইবে ।

ধারা-১৪৪-খ(দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারে বিধি-নিষেধ)

উপধারা-(১)যখন ১৪৪ ধারার (১) উপধারার বিধান অনুযায়ী কোনো এলাকার স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণের বাপরিমার্জনের নির্দেশ দিয়া আদেশ দেওয়া হয়, তখন ১১১ ধারার বিধানসাপেক্ষে, কোনো দেওয়ানীআদালত খাজনা পরিবর্তনের বা কোনো প্রজাস্বত্বের বিষয়ে প্রজার মর্যাদা নির্ধারণের জন্যকোনো মামলা বা আবেদন গ্রহণ করিবেন না এবং এইরূপ আদেশের পর যদি এইরূপ এলাকার এইরূপকোনো মামলা বা আবেদন বিচারাধীন থাকে, তাহা আর চলিবে না এবং বাতিল হইবে এবং উক্ততারিখের পরে কোনো মামলায় কোনো রায়, ডিক্রি বা আদেশ দেওয়া হয় বা আবেদনের কোনো আদেশ দেওয়াহয় তাহা অকার্যকরী হইবে এবং কোনো বৈধ ফল হইবে না ।

উপধারা-(২)এই অধ্যায় অনুযায়ী স্বত্বলিপি প্রস্তুত ও পরিমার্জনের কোনোনির্দেশ দিয়া আদেশ দেওয়া হইলে বা এইরূপ স্বত্বলিপি বা উহার অংশবিশেষ প্রস্তুতকরণ, প্রকাশন, স্বাক্ষরকরণ বা তসদিককরণ সম্পর্কে দেওয়ানী আদালত কোনো মামলা বা আবেদন দাখিলকরা যাইবে না এবং যদি এইরূপ কোনো মামলা বা আবেদন দেওয়ানী আদালতে বিচারাধীন থাকে তাহাআর চলিবে না তাহা বাতিল হইবে এবং যদি এইরূপ কোনো মামলায় কোনো রায়, ডিক্রি বা আদেশদেওয়া হয় অথবা এইরূপ আবেদনের কোনো আদেশ দেওয়া হয় তাহা অকার্যকরী হইবে এবং কোনো বৈধ ফলহইবে না ।

ধারা-১৪৫(স্বত্বলিপি পরিমার্জন খরচ আদায়)

উপধারা-(১)যেখানেএই অধ্যায়ের অধীনে কোনো জেলা, জেলার অংশবিশেষ বা স্থানীয় এলাকায় স্বত্বলিপিপ্রস্তুতকরণের ও পরিমার্জনের নির্দেশ দেওয়া হইয়া থাকে, এইরূপ প্রস্তুতকরণ ওপরিমার্জনের জন্য যাহা খরচ হইবে তাহা রায়তের এবং ভূমির অন্যান্য দখলকারীদের নিকটহইতে যদি থাকে এইরূপ অংশ কিস্তিতে আদায় করা হইবে, যাহা সরকার সার্বিক পরিস্থিতিবিবেচনায় নির্ধারণ করিতে পারেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, চতুর্দশ অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী এইরূপরায়তের যথাযথ ও ন্যায়সংগত খাজনা নির্ধারণের লক্ষ্যে যেখানে ১৪৪ ধারার (২) উপধারার(গ) দফা অনুযায়ী স্বত্বলিপি প্রস্তুতকরণের ও পরিমার্জনের ব্যবস্থা লওয়া হইয়াছেসেখানে খরচের কোনো অংশই রায়তেদর বা দখলকারদের নিকট হইতে আদায় করা যাইবে না ।

উপধারা-(২)(১) উপধারা অনুযায়ী খরচের যে অংশ যাহা কোনো ব্যক্তির দিতেহইবে তাহা উক্ত জেলা, জেলার অংশ বিশেষ বা স্থানীয় এলাকার মধ্যে অবস্থিত উক্তব্যক্তির জোতের বকেয়া খাজনা বা অন্য হিসাবে যাহাই হউক, সরকার আদায় করিতে পারিবেন ।

ধারা-১৪৬ (রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর তদারক ও নিয়ন্ত্রণ)

উপধারা-(১)রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর সাধারণ তদারক ও নিয়ন্ত্রণ ভূমি প্রশাসন বোর্ডের উপর ন্যস্তথাকিবে এবং ঐ সকল কর্মকর্তা ভূমি প্রশাসন বোর্ডের অধীন থাকিবে ।

উপধারা-(২)(১) উপধারার বিধানসাপেক্ষে বিভাগীয় কমিশনার তাহার বিভাগেরঅন্যান্য রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখিবেন ।

উপধারা-(৩)উপরোল্লিখিত বিধান এবং বিভাগের কমিশনারেরনিয়ন্ত্রণসাপেক্ষে কালেক্টর তাহার জেলার অন্যান্য সকল রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপরনিয়ন্ত্রণ রাখিবেন ।

ধারা-১৪৭ (আপিল)

এই অংশ বা এই অংশের আইন অনুযায়ী প্রণীতবিধিমালাতে আপিলের বিশেষ বিধানসাপেক্ষে রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক এই অংশের বিধানঅনুযায়ী প্রত্যেক মূল বা আপিল আদেশের বিরুদ্ধে নিম্নলিখিতভাবে আপিল করা যাইবে যথা:

(ক) কালেক্টর নিকট, যখন কালেক্টরের অধীনস্থ রাজস্ব কর্মকর্তাকর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয়;

(কক) বিভাগীয় কমিশনারের নিকট, যখন বিভাগের মধ্যে জেলারকালেক্টর কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয়;

(খ) ১৯৭৩ সালের পি, ও ১২ দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

(গ) ভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট, যখন বিভাগের কমিশনার কর্তৃকআদেশ প্রদান করা হয় ।

ধারা-১৪৮(আপিলের জন্য তামাদি)

১৪৭ ধারা অনুযায়ীআপিলের জন্য তামাদির সময়সীমা যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল জানানো হয় সেই আদেশের তারিখহইতে চলিতে থাকিবে এবং উহা নিম্নরূপ হইবেঅর্থাত্‍-

(ক) কালেক্টরের নিকট আপিল-৩০ দিন

(খ) বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপিল-৬০ দিন

(গ) ভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট আপিল-৯০ দিন।

ধারা-১৪৯(রিভিশন)

উপধারা-(১)এই অংশের আওতায় রিভিশনের বিশেষবিধান সাপেক্ষে, কালেক্টর তাহার নিজ উদ্যোগে তাহারাই অধীনস্থ একজন রাজস্ব কর্মকর্তাকর্তৃক এই অংশের অধীনে প্রদত্ত কোনো আদেশের তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে বা এইরূপআদেশের তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে দাখিলকৃত কোনো আবেদনের ভিত্তিতে এইরূপ আদেশপরিমার্জন করিতে পারিবেন ।

(১ক) একজন বিভাগীয় কমিশনার তাহার নিজ উদ্যোগে তাহার বিভাগেরমধ্যকার কোনো জেলার কালেক্টর কর্তৃক এই অংশের অধীনে প্রদত্ত কোনো আদেশের তারিখ হইতেতিন মাসের মধ্যে অথবা এইরূপ আদেশের তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে দাখিলকৃত কোনোআবেদনের ভিত্তিতে এইরূপ আদেশ পরিমার্জন করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(২)১৯৭২ সালের ১২ নং পি, ও, দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধারা-(৩)ভূমি প্রশাসন বোর্ড উহার নিজ উদ্যোগে এই অংশের অধীনে কোনোবিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে অথবা এইরূপআদেশের তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে দাখিলকৃত কোনো আবেদনের ভিত্তিতে এইরূপ আদেশপরিমার্জন করিতে পারেন ।

উপধারা-(৪)ভূমি প্রশাসন বোর্ড যে কোনো সময় এই অংশের অধীনে সংরক্ষিতস্বত্বলিপির লিখন অথবা এই অংশের অধীনে প্রস্তুতকৃত এবং চূড়ান্তভাবে প্রকাশিতসেটেলমেন্ট রেষ্ট রোলে যথার্থ ভুল রহিয়াছে বলিয়া সন্তুষ্ট হইলে সংশোধনের আদেশ দিতেপারিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়া থাকিলেএই ধারার অধীনে আদেশের পরিমার্জন করা যাইবে না ।

আরও শর্ত থাকে যে, আপিলের সংশ্লিষ্ট পক্ষবৃন্দকেবিষয়টির উপর শুনানীর জন্য যুক্তিসংগত নোটিশ প্রদান না করিয়া (৪) উপধারার অধীনে কোনোসংশোধনীর আদেশ দেওয়া যাইবে না ।

ধারা-১৫০(রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক রিভিউ)

উপধারা-(৪)একজন রাজস্ব কর্মকর্তা যে কোনো স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষের আবেদনক্রমে অথবাস্ব-উদ্যোগে তাহার নিজের প্রদত্ত অথবা তাহার পূর্ববর্তী কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইনেরএই অংশের অধীনে পেশকৃত যে কোনো আদেশ রিভিউ করিতে পারেন এবং এইরূপ কোনো আদেশ রিভিউকরিতে গিয়া এইরূপ আদেশকে পরিবর্তন, খণ্ডন বা বহাল রাখিতে পারেন।

তবে শর্ত থাকে যে, (ক)এইরূপ আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনেরমধ্যে একটি আদেশের রিভিউর জন্য আবেদন করা না হইলে অথবা যখন এইরূপ আবেদন ত্রিশ দিনঅতিবাহিত হইবার পর দাখিল করা হয় তখন উক্ত সময়ের মধ্যে আবেদন না করার যথেষ্ট কারণছিল রাজস্ব কর্মকর্তাকে আবেদনকারী সন্তুষ্ট না করিতে পারিলে গ্রহণ করা যাইবে না;

(খ)যদি এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা হইয়া থাকে অথবাউর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশনের আবেদন করা হইয়াথাকে, তাহা হইলে আদেশ রিভিউ গ্রহণ করা যাইবে না; এবং

(গ)উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষদেরকে শুনানী করার জন্য হাজিরহইবার জন্য যুক্তিসংগত নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত রিভিউতে একটি আদেশ সংশোধন বাপরিবর্তন করা যাইবে না ।

উপধারা-(২)রিভিউএর আবেদন নাকচ করিয়া অথবা রিভিউতে পূর্ববর্তী কোনোআদেশ বহাল রাখিয়া আদেশ দেওয়া হইলে তার বিরুদ্ধ কোনো আপিল চলিবে না ।

ধারা-১৫১(এই আইন অনুযায়ী আপিল, রিভিশন ও রিভিউ-এর আবেদনেরজন্য তামাদির সময়সীমা গণনা)

উপধারা-(১)১৯০৮ সালের তামাদি আইনের (১৯০৮ সালের ৯ নং আইন)৬, ৭, ৮ এবং ৯ ধারা ২৯ ধারার (২) উপধারা, পঞ্চম অংশ অনুযায়ী আনীত সকল মামলা, আপিলএবং আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না এবং এই আইনের বিধানসাপেক্ষে পূর্ববর্তীআইনের অবশিষ্ট বিধানাবলী উক্ত অংশ অনুযায়ী আনীত সকল মামলা আপিল ও আবেদনের ক্ষেত্রেপ্রযোজ্য হইবে ।

উপধারা-(২)পঞ্চম অংশে বর্ণিত সকল মামলা, আপিল ও আবেদন নির্ধারিতসময়ের মধ্যে দায়ের করিতে হইবে, তামাদির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দায়ের না হইলে ঐরূপদায়েরকৃত মামলা আপিল ও আবেদন খারিজ হইয়া যাইবে যদিও তামাদির বিষয় ওজর করা হয় নাই ।

ধারা-১৫১ক(কতিপয় জমির ক্ষেত্রে খাজনা মওকুফ)

উপধারা-(১)এই আইনেরঅন্যত্র যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন, যেখানে মালিক বা অকৃষি প্রজা এমন জমি অধিকারেরাখে যাহা প্রথমত গণপ্রার্থনা বা ধর্মীয় পূজা, গণ-কবর বা শ্নশানের স্থানহিসাবে ব্যবহৃত হয়, সেখানে ঐ জমির খাজনা মওকুফের জন্য সে নির্ধারিত ফরমে জেলাপ্রশাসকের নিকট আবেদন জানাইতে পারে ।

উপধারা-(২)এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে জেলাপ্রশাসক যাহা যথাযথ মনে করিবেন এরূপ অনুসন্ধান করার পর নিশ্চয়তা বিধান করিবেন যেআবেদনে বর্ণিত জমি উল্লিখিত ব্যবহৃত হয় কিনা ।

উপধারা-(৩)যদি জেলা প্রশাসক সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনে বর্ণিত জমিউল্লিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তাহা হইলে তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে ঐ ব্যবহৃত জমিরএলাকা নির্ধারণ করিবেন এবং ঐ এলাকার খাজনা মওকুফ করিয়া দিয়া একটি আদেশ প্রদানকরিবেন এবং যদি জেলা প্রশাসক সন্তুষ্ট না হন, তাহা হইলে ঐ আবেদন প্রত্যাখ্যান করিয়াএকটি আদেশ প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(৪)যদি (৩) উপধারা অনুযায়ী নির্ধারিত এলাকা জোত বাপ্রজাস্বত্ব অংশবিশেষ হয়, তাহা হইলে জেলা প্রশাসক এই এলাকাকে অবশিষ্ট জোত বাপ্রজাস্বত্ব হইতে পৃথক করিবেন এবং ঐ এলাকার জন্য নিষ্কর প্রজাস্বত্ব সৃষ্টি করিবেন ।

উপধারা-(৫)যেখানে (৪) উপধারা অনুযায়ী পৃথক নিষ্কর প্রজাস্বত্বেরসৃষ্টি হয়, সেখানে জেলা প্রশাসক জোত বা প্রজাস্বত্ব যাহা হইতে নিষ্কর প্রজাস্বত্বেরসৃষ্টি হইয়াছে, তাহার প্রদানযোগ্য খাজনা ঐ নিষ্কর প্রজাস্বত্বের এলাকার অনুপাতেহ্রাস করিবেন ।

উপধারা-(৬)(৩) উপধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের আদেশ দ্বারাক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ঐ আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কশিনারের নিকটআপীল করিতে পারেন।

উপধারা-(৬ক)(৬) উপধারা অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনারের আদেশ দ্বারাক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি উক্ত আদেশের তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে এইরূপ আদেশের বিরুদ্ধেভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট রিভিশনের জন্য আবেদন করিতে পারিবে ।

উপধারা-(৭)১৯৭৩ সালের ১২ নং পি, ও দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধারা-(৮)ভূমি প্রশাসন বোর্ড যে কোনো সময় স্ব-উদ্যোগে বিভাগীয়কমিশনার বা জেলা প্রশাসক কর্তৃক এই ধারা অনুযায়ী প্রদত্ত আদেশ পরিমার্জিত করিতেপারিবেন ।

উপধারা-(৯)এই ধারা অনুযায়ী খাজনা প্রদান করা হইতে অব্যাহতির আদেশ, এইরূপ আদেশের পরবর্তী কৃষি বত্সরের শুরু হইতে কার্যকরী হইবে ।

ধারা-১৫১খ(১৫১ ধারা মোতাবেক খাজনা মওকুফবিশিষ্ট জমিরখাজনা পুনঃনির্ধারণ)

উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে ১৫১ক ধারা মোতাবেক যে সমস্ত উদ্দেশ্যেব্যবহার করিবার নিমিত্ত কোনো জমির খাজনা মওকুফ করা হইয়াছিল উহা যদি সেই সমস্তউদ্দেশ্যে ব্যবহার না করা হয় সেক্ষেত্রে ঐ ভূমির খাজনা পুনঃনির্ধারণের ক্ষমতা জেলাপ্রশাসকের থাকিবে এবং একই গ্রামের বা সংলগ্ন গ্রামের অনুরূপ বর্ণনা ও সুবিধাসম্বলিত ভূমির জন্য সাধারণভাবে প্রদেয় খাজনার হার বিবেচনা করিয়া তিনি যাহা ন্যায্যও ন্যায়সঙ্গত মনে করিবেন সেইরূপভাবে উহা নির্ধারণ করিবেন ।

শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে উপস্থিত হওয়ার এবং উক্তবিষয়ে শুনানীর নিমিত্ত ১৫ দিনের কম নহে নোটিশ প্রদান না করিয়া উহা পুনঃনির্ধারণ করাচলিবে না ।

উপধারা-(১)উপধারা মোতাবেক জেলা প্রশাসকের আদেশ কর্তৃক ক্ষুব্ধব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ দিনের ভিতর (বিভাগীয় কমিশনারের) কাছেআপিল দায়ের করিতে পারে ।

উপধারা-২ক(২) উপধারা মোতাবেক বিভাগীয় কমিশনারের আদেশ কর্তৃকক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রদানের ৬০ দিনের ভিতর উক্ত আদেশ রিভিশন করার জন্য ভূমিপ্রশাসন বোর্ডের কাছে দরখাস্ত দাখিল করিতে পারে এবং বোর্ডের আদেশ চূড়ান্ত হইবে ।

উপধারা-(৩)১৯৭৩ সনের ১২ নং পি, ও দ্বারা বাদ দেওয়া হইয়াছে ।

উপধার-(৪)-ঐ পুনঃনির্ধারিত খাজনা এই ধারা মোতাবেক পুনঃনির্ধারণেরতারিখের পরের কৃষি বত্সরের প্রথম হইতে কার্যকর হইবে ।

ধারা-১৫১গ (কতিপয় ক্ষেত্রে কৃষি জমি সম্পর্কিত রাজস্বমওকুফ)

এই আইনের অন্যত্র ভিন্ন কিছু থাকা সত্ত্বেও এবং এই অধ্যায়েরশর্তসাপেক্ষে, যেখানে যে কোনো পরিবার কর্তৃক বাংলাদেশে অধিকৃত মোট কৃষি জমির পরিমাণপচিঁশ বিঘা অতিক্রম করিবে না সেখানে উক্ত পরিবার ১৩৭৯ বাংলা সালের পহেলা বিঘাঅতিক্রম করিবে না সেখানে উক্ত পরিবার ১৩৭৯ বাংলা সালের পহেলা বৈশাখ হইতে অথবা ১৫১-ঝধারা অনুযায়ী উহা যে তারিখ হইতে মওকুফের অধিকারী হইবে সেই তারিখ হইতে যাহাযেখানে প্রযোজ্য হয়, উক্ত জমি সম্পর্কিত ভূমি রাজস্ব প্রদান হইতে অব্যাহিত পাইবে।

তবে শর্ত থাকে যে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে যে পরিবারেরঅধিকৃত জমির পরিমাণ পঁচিশ বিঘা অতিক্রম করিয়াছিল, সে পরিবার ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরহইতে ১৫১ ঘ ধারা অনুযায়ী বিবরণী দাখিলের শেষ তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হস্তান্তরেরকারণে মোট জমির পরিমাণ হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়া পঁচিশ বিঘা বা তাহার কম হওয়ার ফলে ভূমিরাজস্ব মওকুফ পাওয়ার দাবির অধিকারী হইবে না।

আরও শর্ত থাকে যে, এই ধারা অথবা ১৫১ঝ ধারা অনুযায়ী ভূমিরাজস্ব মওকুফ কোনো ব্যক্তিকে ১৯৫৮ সালের অর্থ (তৃতীয় অধ্যাদেশ)। (১৯৫৮ সালের ৮২নং ই, পি, অধ্যাদেশ) অনুযায়ী অতিরিক্ত উন্নয়ন এবং রিলিফ কর, ১৯৩০ সালের বঙ্গীয় (গ্রামাঞ্চল)প্রাথমিক শিক্ষা আইন (১৯৩০ সালের ৭ নং বঙ্গীয় আইন) অনুযায়ী সেসকর ১৯৫৯ মৌলিকগণতন্ত্র আদেশের (১৯৫৯ সালের ৮ নং পি, ও,) অধীনে স্থানীয় রেটস, যাহা ভূমি রাজস্বেরউপর ভিত্তি করিয়া গড়িয়া উঠে এবং সাময়িকভাবে বলবতকৃত অন্য কোনো আইন অনুযায়ীপ্রদানযোগ্য অন্য কোনো খাজনা, কর, সেস কর প্রদান করা হইতে অব্যাহতি পাইবে না ।

ধারা১৫১ঘ (পঁচিশ বিঘার অতিরিক্ত কৃষি জমির অধিকারী পরিবারপ্রধান কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে বিবরণী দাখিল)-১৯৭৩ সালের ৩১শে জানুয়ারীর মধ্যে, সকল পরিবারের প্রধানগণ, যাহারা হয় ব্যক্তিগতভাবে অথবা যাহাদের পরিবারের অন্যান্যসদস্যদের সাথে বাংলাদেশে পঁচিশ বিঘার উর্ধ্বে কৃষি জমি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরতারিখে অথবা বিবরণী দাখিলের তারিখে অধিকারে রাখিত বা রাখে, তাহারা নির্ধারিত ফরমে ওপদ্ধতিতে ঐ সকল জমির একটি বিবরণী রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার সকল ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে, কোনো শ্রেণীর ক্ষেত্রে বা কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিবরণী দাখিলের সময়সীমা যাহা যথাযথ মনেকরিবেন ততদিন বর্ধিত করিতে পারিবে ।

ধারা-১৫১ঙ (বিবরণী দাখিল না করা বা ইচ্ছামূলক জমি গোপনকরার জন্য শাস্তি)

কোনো পরিবারের প্রধান যে বিবেচনা সংগত কারণ ব্যতীত, নির্ধারিতসময়ের মধ্যে ১৫১-ঘ ধারা অনুযায়ী দাখিল করিতে ব্যর্থ হয় বা ঐ ধারা অনুযায়ী তদকর্তৃকদাখিলকৃত বিবরণীতে ইচ্ছামূলকভাবে কোনো কিছু বাদ দেয়া বা অসত্য ঘোষণা প্রদান করে, সেএক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার দায়ে দায়ী হইবে এবং যে জমির জন্য কোনো বিবরণী করা হয়নাই বা বিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হইয়াছে বা যাহার সম্পর্কে অসত্য ঘোষণা করা হইয়াছে ঐজমি বাজেয়াপ্ত হইয়া সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে।

তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে বিবরণী দাখিলের ব্যর্থতা বা বিবরণীতেকোনো জমি বাদ বা অসত্য ঘোষণা এমন জমি সম্পর্কে ঘটে যাহা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাতাহার পরে ঐ পরিবারের কোনো সদস্য কর্তৃক হস্তান্তরিত হইয়াছে সেই জমি বাজেয়াপ্ত হইবেনা কিন্তু তাহার পরিবর্তে ঐ পরিবারের সদস্য বা সদস্যরা যে জমি দখলে রাখিয়াছে সেই জমিহইতে সমপরিমাণ জমি বাজেয়াপ্ত করা হইবে ।

ধারা ১৫১চ (কতিপয় ক্ষেত্রে মওকুফপ্রাপ্ত জোতের পুনঃনির্ধারণেরজন্য দায়)

যদি কোনো ব্যক্তি যে ১৫১গ ধারা অনুযায়ী ভূমি রাজস্ব প্রদান হইতে নিষ্কৃতিপায় পরবর্তীকালে কোনো সময়ে উত্তরাধিকার সূত্রে ক্রয়, দান, হেবার দ্বারা বা অন্যকোনোভাবে কৃষি জমি অর্জন করে যাহা তত্কর্তৃক বা তাহার পরিবারের অন্যান্য সদস্যকর্তৃক ইতিপূর্বে অর্জিত মোট কৃষি জমির সংগে সংযুক্ত হইয়া সর্বমোট পঁচিশ বিঘারঅতিরিক্ত হয় তাহা হইলে তত্কর্তৃক বা তাহার পরিবারের সদস্য কর্তৃক অধিকৃত সর্বমোটকৃষিজমি নিম্নলিখিত তারিখ হইতে ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ হইবে; যথা:

(১) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিকের পূর্বে অর্জনের ক্ষেত্রেঐ বত্সরের পহেলা কার্তিক হইতে কার্যকরী হইবে; এবং

(২) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিক বা পহেলা কার্তিকের পরেঅর্জনের ক্ষেত্রে ঐ অর্জনের তারিখের পরবর্তী বাংলা বত্সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকরীহইবে ।

ধারা-১৫১ছ (কতিপয় ক্ষেত্রে অর্জিত জমির জন্য পরিবারেরপ্রধান কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে বিবরণী দাখিল)

কোনো পরিবারের প্রধান যে অথবাযাহার পরিবারের কোনো সদস্য কৃষি জমি অর্জন করার ফলে পরিবার কর্তৃক অর্জিত কৃষিজমিরমোট পরিমাণ ১৫১চ ধারা অনুযায়ী ভূমি রাজস্ব প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ হয় ঐ অর্জনেরতারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে তত্কর্তৃক ওতাহার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ কর্তৃক সকল কৃষি জমির একটি বিবরণী রাজস্বকর্মকর্তার নিকট দাখিল করিবেন ।

ধারা-১৫১জ (বিবরণী দাখিল না করা বা ইচ্ছামূলকভাবে জমি গোপনরাখার জন্য শাস্তি)

একজন পরিবারের প্রধান যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৫১ছ ধারাঅনুযায়ী বিবরণী দাখিল করিতে ব্যর্থ হয় বা ঐ ধারা অনুযায়ী তত্কর্তৃক দাখিলকৃতবিবরণীতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কিছু বাদ দেয় বা অসত্য ঘোষণা প্রদান করে সে এক হাজার টাকাপর্যন্ত জরিমানার দায়ে দায়ী হইবে এবং যে জমির জন্য কোনো বিবরণী দাখিল করা হয় নাই বাযাহা বিবরণী হইতে বাদ দেওয়া হইয়াছে বা যাহার সম্পর্কে অসত্য ঘোষণা প্রদান করা হইয়াছেঐ জমি বাজেয়াপ্ত হইয়া সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে ।

ধারা১৫১ঝ (জমির পরিমাণে হ্রাসপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভূমিরাজস্ব প্রদান করা হইতে নিষ্কৃতি)

যেখানে কোনো পরিবার কর্তৃক ভূমি রাজস্বপ্রদানের জন্য দায়বদ্ধ মোট কৃষি জমির পরিমাণ ১৫১ঘ বা ১৫১জ ধারা অনুযায়ী বিবরণীদাখিলের পর উত্তরাধিকার বা প্রকৃত হস্তান্তরের কারণে পচিঁশ বিঘা বা তাহার কম হয়, সেখানে ঐ পরিবারের প্রধান নির্ধারিত ফরমে ভূমি রাজস্ব প্রদান করা হইতে নিষ্কৃতিচাহিয়া ঐ হ্রাসপ্রাপ্তির তারিখ ও কারণ বর্ণনা করিয়া রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট আবেদনজানাইতে পারিবে এবং রাজস্ব কর্মকর্তা যথাযথ অনুসন্ধান করার পর আবেদনে বর্ণিত বিবরণীসম্পর্কে সন্তুষ্ট হইয়া নিম্নলিখিত তারিখ হইতে ঐ নিষ্কৃতি অনুমোদন করিয়া আদেশপ্রদান করিবেন, যথা:

(১) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিকের পূর্বে আবেদনের ক্ষেত্রেঐ বত্সরের পহেলা কার্তিক হইতে কার্যকরী হইবে ।

(২) বাংলা বত্সরের পহেলা কার্তিক বা পহেলা কার্তিকের পরেআবেদনের ক্ষেত্রে ঐ আবেদনের তারিখের পরবর্তী বাংলা বত্ সরের প্রথম দিন হইতে কার্যকরীহইবে ।

ধারা-১৫১ ঞ(পরিবার ও পরিবারের প্রধানের সংজ্ঞা)

(ক) কোনোব্যক্তি সম্পর্কিক 'পরিবার' ঐ ব্যক্তি ও তাহার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পুত্রবধু, পুত্রের পুত্র ও পুত্রের অবিবাহিতা কন্যা।

তবে শর্ত এই যে, একজন বয়স্ক ও বিবাহিত পুত্র যে ১৯৭১ সালের১৬ই ডিসেম্বরের পূর্ব হইতে বিরামহীনভাবে তাহার পিতামাতা হইতে স্বাধীনভাবে পৃথক মেসেবসবাস করিয়া আসিতেছে সেও তাহার স্ত্রী-পুত্র ও অবিবাহিতা কন্যা একটি পৃথক পরিবারগঠন করিয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে।

আর ও শর্ত থাকে যে, ওয়াকফ, ওয়াকফ-আল-আওলাদ, দেবোত্তর বাঅন্য কোনো ট্রাস্টের অধীনস্থ জমি যেখানে সুবিধাভোগীদের তাহাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিহিসাবে ঐ সকল সম্পত্তি হস্তান্তর করার অধিকার থাকে সেইক্ষেত্রে ঐ সকল সুবিধাভোগীরাএকত্রে ঐ সকল জমি সম্পর্কিত পৃথক পরিবার গঠন করিয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে ।

(২) ''পরিবারের প্রধান'' বলিতে বুঝায়-

(১) (ক) অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অনুবিধিতে বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীতঅন্যান্য ক্ষেত্রে ঐ পুরুষ বা মহিলা যাহার সম্পর্ক দ্বারা রাজস্ব অফিসার নির্ধারিতনিয়মে পরিবার নির্ধারণ করেন ।

(১) (খ) অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অনুবিধিতে বর্ণিত ক্ষেত্রেমুতওয়াল্লী, সেবায়েত বা ট্রাস্টিকে, যেখানে যাহা প্রযোজ্য হয় ।

ধারা-১৫২ (বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা)- (১)সরকার পূর্বেপ্রকাশ করার পর এই খণ্ডের উদ্দেশ্যে কার্যকর করার জন্য বিধিমালা প্রণয়ন করিতেপারিবেন ।

(২) বিশেষভাবে ও উপরোক্ত ক্ষমতার সাধারণভাবে কোন হানিকর কিছুনা করিয়া নিম্নলিখিত বিষয়সমূহের সকল অথবা যে কোন একটির জন্য উক্ত বিধিমালায় থাকিবে, যথা :

(ক)৮৬ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত আবেদনের ফরম ও ঐ উপধারায়বর্ণিত মওকুফের পরিমাণ নির্ধারণ করিবার নিয়ম;

(খ)বাতিল

(গ)৮৯ ধারায় (১) উপধারা ক অনুচ্ছেদ এবং (৪) উপধারায় বর্ণিতনোটিশের ফরম ও উহাতে বর্ণিত প্রসেস ফী এর পরিমাণ;

(ঘ)৯০ ধারার (৩) ও (৪) উপধারায় বর্ণিত রাজস্ব কর্তৃপক্ষ

(ঙ)৯২ ধারার (১) উপধারার খ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নোটিশের ফরম ওযে নিয়মে যে সময়ের মধ্যে ঐ নোটিশ প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত ধারার (৩) উপধারায়বর্ণিত নোটিশ প্রকাশের নিয়ম,

(চ)৯৪ ধারা মোতাবেক দায় হস্তান্তর করিবার জন্য রাজস্ব অফিসারকর্তৃক ভূমি নির্ধারণের নিয়ম বা উপায়;

(ছ)৯৯ ধারার (১) উপধারার ক অনুচ্ছেদে বর্ণিত খাজনার হারনির্ধারণ করিবার জন্য রাজস্ব অফিসার কর্তৃক অনুসৃত পদ্ধতি ও প্রয়োগকৃত ক্ষমতা ওউক্ত অনুচ্ছেদ মোতাবেক খাজনার হারের টেবিলের ফরম, ঐ টেবিলের প্রস্তুতকরণের নিয়ম এবংউহাতে বর্ণিত বিবরণসমূহ;

(জ)৯৯ ধারার (১) উপধারার খ অনুচ্ছেদ মোতাবেক খাজনারবন্দোবস্তকৃত খাজনা বিবরণী-এর ফরম, উহা প্রস্তুতের নিয়ম ও উহাতে বণীর্ত বিবরণসমূহ;

(ঝ)১০০ ধারার (২) উপধারার চ অনুচ্ছেদ এবং (৩) উপধারায় বর্ণিতখাজনার গড় হার নির্ধারণের সময়;

(ট)১০১ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক খাজনার হারের খসড়া টেবিলেরপ্রকাশের নিয়ম ও উক্ত ধারার (৩) উপধারায় বর্ণিত রাজস্ব অফিসার;

(ঠ)১০৮ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক খসড়া বন্দোবস্তকৃত খাজনাবিবরণী প্রকাশের নিয়ম ও সময় ও উক্ত উপধারা মোতাবেক আপত্তিসমূহের নিষ্পত্তি;

(ত)১০৯ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত অনুমোদনকারী কর্তৃকপক্ষ; ওউক্ত ধারার (৩) উপধারা মোতাবেক বন্দোবস্তকৃত খাজনা বিবরণী চূড়ান্ত প্রকাশের নিয়ম;

(ঢ) ১১০ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ;

(ন)১১ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত আপিল দায়েরের নিয়ম;

(ত)বাতিল

(থ)১৯ ধারায় (১) উপধারায় বর্ণিত আবেদনের ফরম;

(দ)২০ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত অনুসন্ধান করার নিয়ম উধর্বতনরাজস্ব কর্তৃপক্ষ যাহার নিকট রাজস্ব অফিসার কর্তৃক উক্ত উপধারায় বর্ণিত আবেদন দায়েরকরিতে হইবে এবং উক্ত ধারার (২) উপধারায় বর্ণিত আবেদনসমূহের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যঅনুসৃত পদ্ধতি;

(ধ)১২২ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত জোতসমূহের সংযুক্তকরণপ্রকল্প প্রস্তুতের নিয়ম এবং উক্ত ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত উপদেষ্টা পরিষদেরনিযুক্ত ও গঠন;

(ন)১২৩ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক জোতসমূহের সংযুক্তকরণের খসড়াপ্রকল্প প্রকাশের নিয়ম এবং সময় এবং উক্ত উপধারার অধীনে আপত্তিসমূহের নিষ্পত্তি;

(প)যে সময়ের মধ্যে ও যে নিয়মে ১২৪ ধারার (১) উপধারা মোতাবেকআপীল এবং উক্ত ধারার (২) উপধারা মোতাবেক ২য় আপিল দায়ের করা যাইবে এবং ঐ ধারায়বর্ণিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ;

(ফ)১৩২ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত জোতসমূহের সংযুক্তকরণেরজন্য কার্যক্রমসমূহের ব্যয় নির্ধারণের নিয়ম এবং ঐ উপধারা অনুযায়ী ঐরূপ ব্যয় আদায়;

(ব)১৩৫ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত খাজনার কিস্তিসমূহ প্রদানেরতারিখ;

(খ)১৩৬ ধারা মোতাবেক খাজনা প্রদান অথবা ডাক মানি অর্ডার যোগেপ্রেরণ;

(ম)১৩৮ ধারায় বর্ণিত লিখিত রসিদের ফরম;

(য)১৪১ ধারা মোতাবেক বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য অনুসৃত পদ্ধতি;

(যক)১৪৩ ধারায় বর্ণিত স্বত্বলিপিসমূহ যে উপায়ে বা নিয়মেবর্তমান পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাইবে;

(যখ)১৪৪ ধারা অনুযায়ী স্বত্বলিপিসমূহ পরিমার্জন করিবারক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক অনুসৃত পদ্ধতি ও প্রয়োগকৃত ক্ষমতাসমূহ ।

 

 

ভূমি বিষয়ক তথ্য

খতিয়ান কী ?
মৌজা ভিত্তিক এক বা একাদিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরন সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে।
সি,এস রেকর্ড কী ?
সি,এস হল ক্যাডাস্টাল সার্ভে। আমাদের দেশে জেলা ভিত্তিক প্রথম যে নক্সা ও ভূমি রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় তাকে সি,এস রেকর্ড বলা হয়।
এস,এ খতিয়ান কী ?
সরকার কর্তৃক ১৯৫০ সনে জমিদারি অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন জারি করার পর যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তাকে এস,এ খতিয়ান বলা হয়।  
নামজারী কী ?
উত্তরাধিকার বা ক্রয় সূত্রে বা অন্য কোন প্রক্রিয়ায় কোন জমিতে কেউ নতুন মালিক হলে  তার নাম খতিয়ানভূক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলে।
জমা খারিজ কী ?
জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়।
পর্চা কী ?
ভূমি জরিপকালে প্রস্তুতকৃত খসরা খতিয়ান যে অনুলিপি তসদিক বা সত্যায়নের পূর্বে ভূমি মালিকের নিকট বিলি করা হয় তাকে মাঠ পর্চা বলে। রাজস্ব অফিসার কর্তৃক পর্চা সত্যায়িত বা তসদিক হওয়ার পর আপত্তি এবং আপিল শোনানির শেষে খতিয়ান চুরান্তভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর ইহার অনুলিপিকে পর্চা বলা হয়।
তফসিল কী ?
তফসিল অর্থ জমির পরিচিতিমূলক বিস্তারিত বিবরন। কোন জমির পরিচয় প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মৌজার নাম, খতিয়ান নং, দাগ নং, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমান ইত্যাদি তথ্য সমৃদ্ধ বিবরনকে তফসিল বলে।
মৌজা কী ?
ক্যাডষ্টাল জরিপের সময় প্রতি থানা এলাকাকে অনোকগুলো এককে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি একক এর ক্রমিক নং দিয়ে চিহ্নিত করে জরিপ করা হয়েছে। থানা এলাকার এরুপ প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।
খাজনা কী ?
ভূমি ব্যবহারের জন্য প্রজার নিকট থেকে সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে ভুমি কর আদায় করে তাকে ভুমির খাজনা বলা হয়।
ওয়াকফ কী ?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মুসলিম ভূমি মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যানমুলক প্রতিষ্ঠানের ব্যায় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন সম্পত্তি দান করাকে ওয়াকফ বলে।
মোতওয়াল্লী কী ?
ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান যিনি করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে।মোতওয়াল্লী ওয়াকফ প্রশাষকের অনুমতি ব্যতিত ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন না।
ওয়রিশ কী ?
ওয়ারিশ অর্থ ধর্মীয় বিধানের আওতায় উত্তরাধিকারী। কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলে আইনের বিধান অনুযায়ী তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্নীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে ওয়ারিশ বলা হয়।
ফারায়েজ কী ?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।
খাস জমি কী ?
ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।
কবুলিয়ত কী ?
সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহন করে খাজনা প্রদানের যে অংঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।
দাগ নং কী ?
মৌজায় প্রত্যেক ভূমি মালিকের জমি আলাদাভাবে বা জমির শ্রেনী ভিত্তিক প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে সিমানা খুটি বা আইল দিয়ে স্বরজমিনে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়। মৌজা নক্সায় প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে ক্রমিক নম্বর দিয়ে জমি চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রদত্ত্ব নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে।
ছুট দাগ কী ?
ভূমি জরিপের প্রাথমিক পর্যায়ে নক্সা প্রস্তুত বা সংশোধনের সময় নক্সার প্রত্যেকটি ভূ-খন্ডের ক্রমিক নাম্বার দেওয়ার সময় যে ক্রমিক নাম্বার ভূলক্রমে বাদ পরে যায় অথবা প্রাথমিক পর্যায়ের পরে দুটি ভূমি খন্ড একত্রিত হওয়ার কারনে যে ক্রমিক নাম্বার বাদ দিতে হয় তাকে ছুট দাগ বলা হয়।
চান্দিনা ভিটি কী ?
হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকান অংশের অকৃষি প্রজা স্বত্ত্য এলাকাকে চান্দিনা ভিটি বলা হয়।
অগ্রক্রয়াধিকার কী ?
অগ্রক্রয়াধিকার অর্থ সম্পত্ত্বি ক্রয় করার ক্ষেত্রে আইনানুগভাবে অন্যান্য ক্রেতার তুলনায় অগ্রাধিকার প্রাপ্যতার বিধান। কোন কৃষি জমির মালিক বা অংশিদার কোন আগন্তুকের নিকট তার অংশ বা জমি বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করলে অন্য অংশিদার কর্তৃক দলিলে বর্নিত মূল্য সহ অতিরিক্ত ১০% অর্থ বিক্রি বা অবহিত হওয়ার ৪ মাসের মধ্যে আদালতে জমা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জমি ক্রয় করার আইনানুগ অধিকারকে অগ্রক্রয়াধিকার বলা হয়।
আমিন কী ?
ভূমি জরিপের মধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তুত ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলা হত।
সিকস্তি কী ?
নদী ভাংঙ্গনে জমি পানিতে বিলিন হয়ে যাওয়াকে সিকস্তি বলা হয়। সিকস্তি জমি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়স্তি হলে সিকস্তি হওয়ার প্রাককালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন, তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।
পয়স্তি কী ?
নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়স্তি বলা হয়।
নাল জমি কী ?
সমতল ২ বা ৩ ফসলি আবাদি জমিকে নাল জমি বলা হয়।
দেবোত্তর সম্পত্তি কী ?
হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির আয়োজন, ব্যাবস্থাপনা ও সু-সম্পন্ন করার ব্যয় ভার নির্বাহের লক্ষ্যে উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি সম্পত্তি বলা হয়।  
দাখিলা কী ?
ভূমি মালিকের নিকট হতে ভূমি কর আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফরমে (ফরম নং-১০৭৭) ভূমিকর আদায়ের প্রমানপত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলে।
ডি,সি,আর কী ?
ভূমি কর ব্যতিত অন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফরমে (ফরম নং-২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে ডি,সি,আর বলে।
দলিল কী ?
যে কোন লিখিত বিবরনি যা ভবিষ্যতে আদালতে স্বাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করেন তাকে সাধারনভাবে দলিল বলে।
কিস্তোয়ার কী ?
ভূমি জরিপকালে চতুর্ভূজ ও মোরব্বা প্রস্তুত করারপর  সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভূমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নক্সা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।
খানাপুরি কী ?
জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।

 

মিউটেশন (নামজারী) জমা ভাগ ও জমা একত্রিকরন সংক্রান্ত নিয়মাবলী

 মিউটেশনের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর দরখাসত্ম দাখিল করতে হবে।

মিউটেশনের আবেদনের সাথে নিম্ন বর্ণিত কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।

(ক)প্রযোজ্য ক্ষেত্রেঃ ১। ক্রয় ওপ্রয়োজনীয় বায়া দলিলের কপি। ২। ওয়ারিশ সনদপত্র  ৩। হেবা দলিলের কপি এবংসকল রেকর্ড বা পর্চা খতিয়ানের সার্টি ফাইড কপি। ৪। সর্বশেষ জরিপের পরথেকে বায়া /পিট দলিল এর সার্টি ফাইড/ফটোকপি

৫। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা ।  ৬। তফফিল বর্ণিত চৌহদ্দিসহ কলমি নকসা ০১ কপি।

(খ) মিউটেশনের খরচঃ

(ক) আবেদন বাবদ কোর্ট ফি = ৫/- (পাঁচ টাকা)

(খ) নোটিশ জারী ফি = ২/- (দুই টাকা) (অনাধিক ৪ জনের জন্য ) চার জনের অধিক প্রতিজনের জন্য আরো ০.৫০ টাকা হিসাবে আদায় করা হবে।

(গ) রেকর্ড সংশোধন ফি = ২০০/- (দুইশত) টাকা।

(ঘ) প্রতিকপি মিউটেশন খতিয়ান ফি = ৪৩/- (তেতালি­শ) টাকা।

সর্বমোট= ২৫০/- (দুইশত পঞ্চাশ) টাকা + চার জনের অধিক হলে নোটিশ জারী ফি প্রতিজনের জন্য আরো ০.৫০ টাকা হিসেবে আদায় করা হবে।

বিঃদ্রঃদরখাস্ত জমা দেওয়ার দিন থেকে ৪৫ দিনেরমধ্যে মিউটেশন কেস নিষ্পত্তি না হলে এবং উলে­খিত খরচের অতিরিক্ত ফি কেউদাবী করলে সহকারী কমিশনার (ভূমি)/ উপজেলা নির্বাহী অফিসার/রেভিনিউ ডেপুটিকালেক্টর/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অথবা জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগকরুন।

 

ভূমি উন্নয়ন করের দাবী নির্ধারনঃ

ইউনিয়ন ভূমি অফিস

বিগত অর্থছরের দাবী

বিগত অর্থবছরের আদায়

বিগত অর্থবছরে আদায়ের হার

বর্তমান অর্থবছরের দাবী

দাবী বৃদ্ধি (টাকায়)

দাবী বৃদ্ধির হার

মমত্মব্য

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইউনিয়ন ভূমি অফিস

বিগত অর্থছরের দাবী

বিগত অর্থবছরের আদায়

বিগত অর্থবছরে আদায়ের হার

বর্তমান অর্থবছরের দাবী

দাবী বৃদ্ধি (টাকায়)

দাবী বৃদ্ধির হার

মমত্মব্য

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভূমি উন্নয়ন করের (সাধারণ) দাবী আদায়ঃ

 

ক্রমিক

নং

ইউনিয়ন ভূমি অফিস

বর্তমান অর্থছরের দাবী

বিবেচ্য মাসে আদায়ের টার্গেট

বিবেচ্য মাসে আদায়

বিবেচ্য মাসে আদায়ের হার

বিগত মাসে আদায়

মমত্মব্য

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নামজারী-জমাখারিজের আবেদন নিষ্পত্তিঃ

ক্রমিক নং

ইউনিয়ন ভূমি অফিস

বিগত মাস পর্যমত্ম পেন্ডিং আবেদনের সংখ্যা

বিবেচ্য মাসে দায়ের

মোট আবেদনের সংখ্যা

বিবেচ্য মাসে নিষ্পত্তি

নিষ্পত্তির হার

অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত

ক্রমিক নং

ইউনিয়ন ভূমি অফিস

বর্তমানে বন্দোবসত্মযোগ্য কৃষি খাস জমির পরিমান

বিবেচ্য মাসে বন্দোবসত্মকৃত কৃষি খাস জমির পরিমান

বিবেচ্য মাসে উপকারভোগী

পরিবারের সংখ্যা

কবুলিয়ত সম্পাদন হয়েছে এমন পরিবারের সংখ্যা

অবৈধ দখলীয় কৃষি খাস জমির পরিমান

মামলা মোকদ্দমার জড়িত কৃষি খাস জমির পরিমান

বন্দোবসত্মযোগী নয় এরূপ কৃষি খাস জমির পরিমান

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনাঃ

ক্রমিক নং

ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নাম 

অর্পিত সম্পত্তির পরিমান

অর্পিত সম্পত্তির ইজারা

বিগত অর্থবছরের দাবী ও আদায়

বর্তমান অর্থবছরের দাবী ও আদায়

মমত্মব্য

বকেয়া

হাল

মোট

 

 

 

 

 

প্রত্যর্পনযোগ্য

অনিবাসী

ইজারাভূক্ত

ইজারা

বিহীন

দাবী

আদায়

হার

দাবী

বিবেচ্য মাস পর্যমত্ম আদায়

হার

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

                           

বিবিধ পাবলিক পিটিশন নিষ্পত্তিঃ

ক্রঃ

 নং

ইউনিয়ন ভূমি অফিস

বিগত মাস পর্যমত্ম পেন্ডিং পাবলিক পিটিশনের সংখ্যা

বিবেচ্য মাসে আগত পাবলিক পিটিশনের সংখ্যা 

বিবেচ্য মাসে নিষ্পত্তিকৃত পাবলিক পিটিশনের সংখ্যা

মাস শেষে পেন্ডিং পাবলিক টিটিশনের সংখ্যা

মমত্মব্য

 

 

 

 

 

 

 

. জনদুর্ভোগ লাঘব ও সেবার মান উন্নয়নে গৃহীত বিশেষ উদ্যোগঃ সহকারীকমিশনার (ভূমি) এর নিকট সরাসরি স্বাক্ষাতের মাধ্যমে যে কোন অভিযোগ/ আবেদনতাৎক্ষণিক ভাবে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।